হাইকোর্ট
বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র্যালিতে ও বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় মৃত হাতি উদ্ধার
তাদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানান কর্মসূচি দিয়ে আসছে।
এর মধ্যে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু
এসময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বিভাগটির পক্ষ থেকে।
এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
হাতির উপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে মহাবিপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা।
জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
জাপানি দুই শিশুর মধ্যে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা তাদের মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা রিভিশন আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়টি দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। একইভাবে দ্বিতীয় মেয়ে লাইলা লিনা বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবেন। জাপানি মা ও তাদের বাংলাদেশি বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, নাসিমা আক্তার লাভলী।
নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে তাকবে মায়ের কাছে। মেঝে মেয়ে থাকবে বাবার কাছে। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ছোট মেয়ে জাপানে আছে, সেটা মামলার বিষয়বস্তু না। তার ব্যাপারে হাইকোর্ট কিছু বলেননি।
এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান।
শিশুদের নিজ হেফাজতে নিতে বাবা ইমরান শরিফের করা আবেদন খারিজ করে ওই রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন ইমরান শরিফ।
পরে গত বছরের ১৬ জুলাই দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফের করা আপিল খারিজ করে দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে ইমরান শরিফ। যে আবেদনের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজনের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ড. ইউনূস
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনুসসহ অন্য আসামিরা। একই সঙ্গে জামিন চান। পরে শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
পরে এই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে সরকারের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। যে আবেদনের উপর সোমবার শুনানি হয়।
ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজার কার্যকারিতার উপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের অনুমতি ছাড়া ড. ইউনূস যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে আবেদনও করা হয়েছে। শ্রম আইনে করা মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেছেন।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আপিল করে জামিন চাইলে ২৮ জানুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। আর আপিল শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলা: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ড. ইউনূসের
কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
দেশের কোন কোন আদালতের এজলাস কক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবী গত ২৩ জানুয়ারি ওই রিট করেন।
আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়, তা না হলে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
আরও পড়ুন: হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে ৮৪টি আদালতে এ ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার মধ্যে সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।
শিশির আরও বলেন, এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫ (৫)–এ বলা আছে কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করা যাবে না, অথচ এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকী ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উঠাতে পারবে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আইনজীবী মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন।
অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
২০২০ সালে নাঈম নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ নেয়। একদিন নাঈমের ডান হাত একটি মেশিনের ভেতরে ঢুকে যায়। অস্ত্রোপচার করে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।
এ ঘটনায় নাইমের বাবা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে রিট করেন হাইকোর্টে।
নাঈমের বাবার অভিযোগ, ঘটনার দিন ওয়ার্কশপের ম্যানেজার রাজু আহমেদ তার ছেলেকে জোর করে মেশিন চালাতে দিলে এমন দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ১০ অক্টোবর নাঈমের চাচা ওয়ার্কশপ মালিক ও ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব হোসেন, ওয়ার্কশপের মিস্ত্রি স্বপন মিয়া, জুম্মান মিয়া, সোহাগ মিয়া ও ব্যবস্থাপক রাজু মিয়াকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর নাঈমের বাবা দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন।
এরপর চলতি বছরের গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিশু নাঈমের এক হাত হারানোর ঘটনায় তাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এই রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট বুধবার এ রায় দেন।
নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ আরোপ কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় বহাল: ভেঙে ফেলতে হবে গুলশান শপিং সেন্টার
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭, ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বিধানের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ৭ ডিসেম্বর রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দি ছাড়া গণহারে বন্দি আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি না পরাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ডাণ্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
মন্ত্রণালয়ের ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে।
আইনজীবী বলেন, এই পরিপত্র অনুসরণ করতে বলেছেন আদালত। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
একইসঙ্গে বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১৬ জানুয়ারি দেশের ৬৪ কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়। ওই রিটের উপর ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা।
সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ায় নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি পরানো ছিল।
মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অধস্তন আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী বাদী হয়ে এই রিট করেছেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিটের উপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর আইনসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলে আইনি নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল।
নোটিশের জবাব না পেয়ে ১০ আইনজীবী আজ রিট করেন।
রিটকারী ১০ আইনজীবী হলেন— জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আবদুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির সাংবাদিকদের বলেন, দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান, যার সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এ ধরনের খাঁচা ব্যবস্থা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কারো সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অথচ, এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী আরও বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢোকানো হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
রিটে, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এরই মধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
যেসব আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে, তার একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে রিটে।
রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামিদের আদালতকক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢোকানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত চত্বরের সামনে পড়ে থাকা মামলার জব্দ করা নমুনার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আইজিপিকে সারা দেশের থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত প্রাঙ্গণে অরক্ষিত মালামালের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিশু আয়ানের মৃত্যু : পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল জারি
আইনজীবী বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব পণ্যের এমন অব্যবস্থাপনা আমরা পৃথিবীর আর কোথাও দেখিনি। বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকার কারণে পরে তা রাষ্ট্রের বা মালিকদের কোনো কাজে আসছে না।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তারা তার কোনো জবাব দেননি। ফলে তারা পাঁচ আইনজীবী ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩০ আগস্ট মালখানা ও থানায় জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের