গণমাধ্যম
কিছু গণমাধ্যম বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে বাধ্য করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দেয়া উচিত নয়, দোষ সবারই আছে; বিশেষ করে গণমাধ্যমের।
বাংলাদেশি গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘দোষ সবারই আছে। আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। তাদের এমন সুযোগ দেয়া আমাদের উচিত নয়।’
মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে জেলা সাহিত্য মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কূটনীতিকরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আসেন; তারা এখানে নেতিবাচক মন্তব্য করতে আসেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু কূটনীতিক তাকে বলেছেন যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে চান না, তবে কিছু কিছু সাংবাদিক তাদের প্রশ্ন করে উত্তর দিতে বাধ্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশে গণমাধ্যম অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের প্রশ্ন করে না।’
গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আপনার পরিবারের সদস্য নয় এমন লোকেরা আপনার পারিবারিক বিষয় সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু আপনারা বিদেশিদের কাছে আপনার ঘরের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছেন। এটাও লজ্জার বিষয়।
এর আগে সোমবার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের কূটনৈতিক নিয়ম অনুসরণ করার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তাদের (কূটনৈতিকদের) এটি মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ এবং কূটনীতিকদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত থাকার এই সংস্কৃতি আজ হোক না কাল পরিবর্তন হবে।
মোমেন বলেন, এখানে অবস্থানরত কূটনীতিকরা আচরণবিধি জানেন এবং বাংলাদেশ আশা করে তারা তা অনুসরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আর কলোনি নই, তাদের (কিছু কূটনীতিকদের) এটা মনে রাখা উচিত।’
ঢাকার একটি আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক’ কিন্তু এটি একটি ‘দুর্ঘটনা’ এবং এই ধরনের ‘দুর্ঘটনা অন্যান্য দেশেও ঘটে’।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম আর নেই
শিশু সাহিত্যিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম আর নেই।
সোমবার(২১ নভেম্বর) ধানমন্ডির ইবনে সিনা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।
আলী ইমামের মৃত্যুর খবরটি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ডা. অন্তু।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ঝুমুরের মায়ের মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক
জানা যায়, দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শ্বাসযন্ত্রে, নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগ নিয়ে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আলী ইমাম। পরিবারসহ তিনি থাকতেন পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারে। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকায়। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক ছিলেন। ২০০৬ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে আলী ইমামের উপস্থাপনা ‘হ্যালো, আপনাকে বলছি’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’র প্রযোজক ছিলেন আলী ইমাম।
বাংলাদেশের শিশু সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য আলী ইমাম ২০০১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। ২০১২ সালে তার হাতে ওঠে শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
অনিতা চৌধুরী’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি: শরীফুল রাজ
বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে শরিফুল রাজের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে সম্প্রতি পরীমনির ফেসবুক স্ট্যাটাস এখন শোবিজের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু।
এ নিয়ে গত দুই দিন চুপ ছিলেন রাজ। রবিবার অবশেষে গণমাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানালেন এই অভিনেতা। পরীমনির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন রাজ।
তিনি বলেন, 'পরী আমার সম্পর্কে এমন কথা কেন বলছে জানি না। আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি। কারণ এর কোনো সত্যতা নেই।'
আরও পড়ুন: পরীমনির অভিমান কি ঘুচল?
রাজ আরও বলেন, 'আমার কাজ ও সংসারের প্রতি আমি বেশ যত্নশীল। সংসার, স্ত্রী, সন্তান ফেলে অন্য সম্পর্কে জড়াব; এমন অনৈতিক কথা ভাবতেই পারি না। আমার কথা হলো- যে যাই বলুক, যে কারণেই বলুক, আমি এসব নিয়ে মোটেও বিচলিত নই।'
কিন্তু পরীমনি কেন এমন স্ট্যাটাস দিলেন এমন প্রসঙ্গে রাজ বলেন, কারণটা পরী ভালো বলতে পারবে। তাকেই যেন প্রশ্ন করা হয়।'
আরও পড়ুন: মিমের স্ট্যাটাসের উত্তর দিয়ে স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন পরীমনি
মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না: মিম
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করে এমন কর্মকাণ্ড প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহযোগিতা করে ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সাংবাদিকদের ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ ও ভারতের সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নারী স্পিকারদের সম্মেলনে যোগ দিতে তাসখন্দের উদ্দেশে শিরীন
স্পিকার বলেন, দুই দেশ বিগত বছরগুলোতে স্থল ও সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামুদ্রিক ও পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে।
যদিও দুই দেশ অনেক সমস্যার সমাধান করেছে, তবুও পানি বণ্টনের মতো কিছু সমস্যার সমাধান করা দরকার।
তিনি বলেন, নিম্ন নদী প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর সমান পানিবণ্টনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে বাংলাদেশ এমন বড় সমস্যার সম্মুখীন হয় যা ভারত, নেপাল বা ভুটান হয় না।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে পারবেন। ‘
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বাঙালি জাতি খালি হাতে ফিরবেনা: ডেপুটি স্পিকার
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশ তার আমলেই হয়েছে এবং যা বলতে চায় তা বলার স্বাধীনতা রয়েছে গণমাধ্যমের।
মঙ্গলবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব কিছু বলার পর কেউ যদি বলে যে তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, তার উত্তর কী হবে? আমি এটাই জানতে চাই।’
মার্কিন ওই গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকার কর্তৃক প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষ করেননি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশে মাত্র কয়েকটি টিভি ও রেডিও স্টেশন ছিল এবং সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতকে অবাধে মিডিয়া হাউস চালানোর পথ খুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, অনুমোদিত ৪৪টি টিভি চ্যানেলের মধ্যে এখন ৩২টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিচ্ছে এবং তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছে- সত্য বা মিথ্যা এবং তারা সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি আরও বলেন, সামরিক স্বৈরাচারের সময় বাক বা চলাফেরার স্বাধীনতা ছিল না।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো স্বাধীনতা নেই।
১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র দিবসে এবং প্রতিদিন, আসুন আমরা সর্বত্র স্বাধীনতা এবং সকল মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করি।’
আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের ১৫তম বার্ষিকী। ২০০৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে গণতন্ত্রের পশ্চাদপসরণ ঘটছে, নাগরিকদের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকোচিত হচ্ছে।’
গুতেরেস বলেন, অবিশ্বাস ও অপতৎপরতা বাড়ছে এবং মেরুকরণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
তিনি বলেন, সতর্ক হওয়ায় এখনই সময়। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যে পরস্পর নির্ভরশীল এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী হয় তা নিশ্চিত করার এখনই সময়।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সাম্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সংহতির গণতান্ত্রিক নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যায় শোকাহত জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ভার্চুয়াল সভা
রাজধানীতে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে এবং ইমএমকে সেন্টার এর সহায়তায় বুধবার ‘প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আয়োজক সংস্থার চেয়ারপারসন মহুয়া পাল।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাগণ সুযোগ পেলে সাফল্য অর্জন করতে পারে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালক ও প্রবন্ধ উপস্থাপক অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাতটি বিভাগের ১৬টি জেলার ৫০ জন প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ই-কমার্স প্লাটফর্মে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসা উন্নয়নে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫০ জন প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাকে তিনদিন করে দুইটি ব্যাচে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য বিভিন্ন ই-কমার্স প্লাটফর্মে তাদেরকে যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় দক্ষতার অভাব, ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব, প্রযুক্তিগত ধারণার অভাব, ব্যবসা শুরু ও সম্প্রসারণে মূলধনের অভাব, পরিবারের সহযোগিতা না পাওয়া, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, টিআইএন ও অন্যান্য সনদ প্রাপ্তিতে বাধা, সরকারি এবং বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থা/ব্যাংক থেকে ঋণ প্রাপ্তিতে বৈষম্য, সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সব ধরণের প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য প্রবেশগম্য নয়, প্রতিবন্ধী নারীদের উৎপাদিত পণ্যের উপর ক্রেতাদের আস্থার অভাব, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা ও প্রকল্প থাকলেও এসকল সুবিধায় প্রতিবন্ধী নারীরা যুক্ত হতে পারে না, উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ক নীতিমালায় প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই যেমন-এসএমই নীতিমালা-২০১৯ এ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি অনুপস্থিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
তিনি বাধাসমূহ দূরীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা দূর করতে গণমাধ্যম বিভিন্ন প্রচারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সফল প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারে, প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে এবং নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিশ্লেষণধর্মী এবং তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাব এর সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কথা আমাকে বিষ্মিত করেছে। প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন সফল হওয়া কঠিন নয়, শুধু প্রয়োজন সহযোগিতা। আমাদের দায়িত্ব তাদের বিষয়গুলো সমাজের সামনে তুলে ধরা। আমি মনে করি রাষ্ট্রের উচিত তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমি আয়োজক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই এ ধরনের কাজ করার জন্য। প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তার সাফল্যের কথা আমরা প্রচার করতে চাই। আমি উদ্যোগ গ্রহণ করবো যাতে সাংবাদিক বন্ধুগণ প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কথা আরো বেশি করে প্রচার করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহনাজ শারমীন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রতিবন্ধী নারীদের ৩টি বিষয় উল্লেখযোগ্য - তিনি পারেন, নারী হিসেবে পারেন এবং প্রতিবন্ধী নারী হিসেবে পারেন। একজন সাংবাদিক পারেন একজন প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তার উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে। কারণ, প্রচারেই প্রসার। তাই তাদের বিষয়গুলো নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।
ইএমকে সেন্টারে এর সমন্বয়কারী (উদ্যোক্তা উন্নয়ন) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, উদ্যোক্তা হওয়া সহজ নয়। কিন্তু প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তারা তা প্রমাণ করেছেন। প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ এই কঠিণ কাজটি করে যাবার জন্য।
প্রতিন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে নাটোর থেকে আরেফা পারভীন, সাতক্ষীরা থেকে অষ্টমী মালো, ময়মনসিংহ থেকে চুমকি বিশ্বাস এবং শেফালী আক্তার এবং ঢাকা থেকে কামরুন নাহার তাদের ব্যবসা চালাতে যে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা তুলে ধরেন এবং বাধা উত্তরণে গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তা কামনা করেন। সভায় সাংবাদিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, সংস্থার কর্মী ও প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাসহ মোট ৫২ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের প্রথম ভার্চুয়াল আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা: ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তারা
আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন জেমস
গত রোজার ঈদে প্রায় এক যুগ পর রিলিজ হয়েছিল রক তারকা মাহফুজ আনাম জেমসের নতুন গান। ‘আই লাভ ইউ’ শিরোনামে গানটি ভক্তদের উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। সেই রেশ না কাটতেই আবারও চমক নিয়ে আসছে নগরবাউল।
শিগগিরই মুক্তি পাবে জেমসের নতুন গান। খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন। তিনি বলেন, ‘গুরুর নতুন গানটি রিলিজ হতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে। এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি। পুরো বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন:কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলার শুনানি ২৬ মে
জেমসের এবারের গানটিও প্রকাশ করবে বসুন্ধরা ডিজিটাল। এরইমধ্যে প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে।
‘আই লাভ ইউ’ গানটির আগে প্রায় এক যুগ কোনো নতুন গান প্রকাশ করেননি জেমস। তাই দীর্ঘদিন পর তার গান পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন ভক্তরা। যদিও অনেকের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবুও জেমসের নতুন গান মানেই উৎসব। এবারের গানটি ঘিরেও শ্রোতাদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে জেমসের মামলা
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার জেমস ও মাইলসের
মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য কিছু গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের প্রদত্ত বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি।
এতে বলা হয়, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপিকে ঘিরে ধরেন, এসময় সাংবাদিকদের অনুরোধে, তাদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তার ধারে কাছেও আমি বলিনি। আমি ইলেকশন নিয়ে কোন কথা বলি নাই। ভারতে (গিয়ে) ইলেকশন নিয়ে কোন সাহায্যের জন্য বলিনি।’
সাংবাদিকরা আরো জানতে চান, আপনি তাহলে কী বলেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্থিতিশীলতার কথা বলেছি। আমি গ্লোবাল কন্টেক্সটে সব জায়গায় যে অস্থিতিশীলতা হচ্ছে- স্ট্যাবিলিটির কথা বলেছি।’
সাংবাদিকরা তখন জানতে চান, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিল, এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো একেবারে ডাহা…।’
কিন্তু কিছু মিডিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরোক্ত উক্তি উল্লেখ না করে তা বিকৃতভাবে প্রচার করছে এবং তা হলো ‘শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে— ভারতে গিয়ে এমন কোনও কথা আমি বলিনি।’
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উক্তি বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে- যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন:৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে তিনি সম্প্রতি ভারত সফরের সময় ভারত সরকারের কাছে প্রদত্ত বক্তব্যের বিষয়ে তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐ সফরে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি গৌহাটিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ হওয়ায় আসামে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারত সরকারকে বলেছেন যে, উভয় দেশের মঙ্গলের জন্য, উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন। কোনো ধরণের সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে অতিরঞ্জিতভাবে প্রচার করে যাতে উভয় দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সহায়তা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন:ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
ভারতকে দেশে স্থিতিশীলতা বজায়ে সাহায্য করতে বলেছিলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে গুম নেই, স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ নেই: ব্যাচলেটকে বললেন মোমেন
দেশে গুম এবং গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেটকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্যাচলেটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের বিষয়টি উত্থাপন করেননি। তবে বাংলাদেশ পক্ষ তা নিজ থেকে উত্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (জাতিসংঘ পক্ষ) বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তোলেনি। কিছু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের অবহিত করা হয়। আমরা বলেছি এ রকম কোনো তথ্য থাকলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।’
সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো ঘটনার কথা শোনেননি বলে জানান মোমেন। তবে ২০০২-২০০৩ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের কাছে নেত্র নিউজের (ইংরেজি) সম্পাদক ডেভিড বার্গম্যানের খোলা চিঠির বিষয়ে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে- এ জন্য তারা (বার্গম্যান ও অন্যরা) খুবই অসন্তুষ্ট ও এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক তাদের (বার্গম্যান ও অন্যদের) টাকা দিচ্ছে। তারা পেইড ব্যক্তি।’
যারা তাদের (বার্গম্যান ও অন্যরা) পয়সা দেয় তাদের পক্ষে কাজ করে- এমন শুনেছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় বার্গম্যানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মোমেন বলেন, তিনি তখন অর্থের বিনিময়ে কাজ করতেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে আরও বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধের ধারণাটি সত্য নয়। ‘আমি দেখছি এখানে মিডিয়া খুব শক্তিশালী।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা (জাতিসংঘের পক্ষ) খুবই উদ্বিগ্ন।
ব্যাচলেট রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তবে একই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গাদের প্রতি আরও বেশি সহযোগিতা চান, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট
দেশে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে ব্যাচলেটকে অবহিত করেন মোমেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য রাখাইন রাজ্যে তাদের সহায়তা বাড়াতে তাকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পক্ষ।
এর আগে রবিবার সকালে চারদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাচলেটকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, ব্যাচলেট সকাল ৯টায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ফ্লাইটটি বিলম্বিত হয়।
ব্যাচলেট দুই দফায় (২০০৬-২০১০ ও ২০১৪-২০১৮) চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে।
রবিবার ব্যাচলেট পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ছাড়াও সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যুব প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
তিনি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।