গণমাধ্যম
মির্জা ফখরুলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের নামে তারা জনগণের ওপর যে ভয়াবহ অগ্নি-সহিংসতা চালিয়েছে তা জনগণের মনে এখনও তাজা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসময় ফখরুলের ‘নিয়মিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ মন্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে: কাদের
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকারকে বারবার অবৈধ সরকার আখ্যা দিয়ে ফখরুল সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধ করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আওয়ামী লীগ এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর। দেশে গণতন্ত্র হারিয়ে যায়নি, তাই এটি পুনরুদ্ধার করার দরকার নেই। বরং বিএনপি গঠনের পর থেকেই তার সব কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ফখরুল ‘কাল্পনিক মামলার’ কথা বলে রাজনীতিতে ফাঁপা আওয়াজ তোলার অপচেষ্টা করছেন। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারও বিরুদ্ধে কোনো কাল্পনিক মামলা করেনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় ২০৫৭ সালের মধ্যে পরিশোধ করা হবে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি, ক্ষমতার দাম্ভিকতা ও গণবিরোধী অবস্থানের কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন অপশক্তির ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা দেশকে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ১৫০ জনে পৌঁছেছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ বাখতার নিউজ এজেন্সির তালেবান পরিচালক আব্দুল ওয়াহিদ রায়ান জানান, নিহতের সংখ্যা ১০০০ থেকে বেড়ে ১১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে অন্তত ৯২০ জন নিহত
৬ মাত্রার ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবারের ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল পাকতিকা প্রদেশ ও প্রতিবেশী খোস্ত প্রদেশে।
এ ঘটনায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মতো সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত ৮৫
বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিএসএফ’র ছোঁড়া স্টান গ্রেনেডের আঘাতে আহত বাংলাদেশি শিশু রমজান আলী (১০) এখন ভারতের দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাবা-মা জানে না তাদের সন্তানের অবস্থা। অপরদিকে আহত রমজান আলীও জানে না বাবা-মায়ের ভাগ্যে কি জুটেছে। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা রমজান বাড়ি ফেরার আঁকুতি জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
ভারতের কোচবিহার জেলার বিশিষ্ট সাংবাদিক খাজা মাইনুদ্দিন চিশতীর এক প্রতিবেদনে শিশু রমজান আলীর বিষয়টি সকলের নজরে আসে। তিনি জানান, গত ১৭ মে কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার ২ নম্বর ব্লক দিয়ে বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাগেরহাটের রায়ান্দা শরণখোলার উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মুনির শরীফ, তার স্ত্রী ও ছেলে রমজান আলীসহ ১০-১৫ জনের একটি দল কাজ শেষে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে গোপনে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এসময় বিএসএফ টহলদল বিষয়টি টের পেয়ে স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে । এসময় স্টান গ্রেনেড রমজান আলীর শরীরের উপর এসে পরলে তার পাজরে ও পেটে আঘাত লাগে। অপরদিকে রমজান আলীর বাবা-মা ও অন্যান্যরা কাটাতারের বেড়া টপকিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে বিএসএফ আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে ভারতীয় পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
শিশু রমজান আলী জানায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজের সন্ধানে তারা ভারতে যায়। এরপর তার বাবা শরীফ মুনির বেঙ্গালুরুতে কাজ পেয়ে সেখানে পরিবারসহ অবস্থান নেয়। দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর গত ১৭ মে ঝড়-বৃষ্টির রাতে দিনহাটা থানা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় রমজান আহত অবস্থায় বিএসএফ’র কাছে ধরা পরে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও বর্ডার ভিকটিমস রেসকিউ লিগ্যাল এসিসট্যান্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস. এম আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা উভয় পক্ষ শিশুকে দেশে ফেরাতে ভারত সরকার, দিল্লি, কলকাতা ও আসামস্থ বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছি। এছাড়াও পশ্চিম বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ মাসুম, ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ উভয় দেশের গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
মানবিক বিষয় বিবেচনা করে শিশুটিকে জেলে না রেখে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০
প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক কর্মশালা ও ফেলো নির্বাচনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ উদ্যোগে এবং ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সঙ্কট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব। এ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের বড় সহায়ক শক্তি।মন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রীতিনি আরও বলেন, দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতের এ বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।মন্ত্রী আরও জানান, করোনা সঙ্কটে প্রাণিসম্পদ খাতকে রক্ষার জন্য সরকার ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে করে উৎপাদনকারী ও ভোক্তা উভয়ে লাভবান হয়েছে। ৯হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হয়েছে। গত রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে। হয়।
প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনার পাশাপাশি ত্রুটির কথা গণমাধ্যম সামনে নিয়ে আসলে সেটি সরকারের জন্য সহায়ক হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় কর্মশালাযর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দীপক রঞ্জন রায়। গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ ও সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও ফিশারিজ অ্যান্ড লাভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ডা. মো. গোলাম রব্বানীসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পশুখাদ্যে ভেজালরোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মৎস্য খাতে বাংলাদেশ স্বর্ণালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
আইপিইএফ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করছে ওয়াশিংটন: মার্কিন মুখপাত্র
সদ্য আত্মপ্রকাশ করা অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রাখতে উন্মুখ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার।
শিলার বলেন, মার্চে অংশীদারিত্ব সংলাপের পর থেকে ঢাকা ও ওয়াশিংটনে নিয়মিত বিরতিতে আইপিইএফ সম্পর্কে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
আরও পড়ুন: সুইস বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ঢাকার
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল অর্থনীতি, ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন এবং সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা সহ ২১ শতকের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চায়।
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ১২টি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি করেছেন।
বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি। যা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন উপস্থিতির জানান দেয়ার জন্য এবং মহামারি ও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পাদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘কৌশল’ ভারসাম্যপূর্ণ: এসসিএমপি
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগদানকারী দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। বাইডেন সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ জোটের হাতে থাকছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ জিডিপি।
দেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার পরে এই চুক্তিটি সম্মিলিতভাবে তাদের ‘অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে’ সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি ট্রাক্টর ট্রলির সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।এসময় আহত হয়েছে আরও আটজন৷
মঙ্গলবার জয়পুর থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে ঝুনঝুনু জেলার হাইওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জেলা পুলিশ প্রধান প্রদীপ মোহন শর্মা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তারা একটি তীর্থযাত্রা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ জনের মৃত্যু
তিনি আরও জানিয়েছেন,আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইটারে লিখেছেন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ঈশ্বর তাদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন এবং প্রয়াতদের আত্মা শান্তিতে থাকুক। দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার নতুন ধরন এক্সই শনাক্ত
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১২ নাবিক জীবিত উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরের ভাসানচরে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ‘সজল তন্ময় ২’ এর নিখোঁজ ১২ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার সকালে নোয়াখালী ও হাতিয়ার মাঝামাঝি এলাকায় ভাসানচর থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ‘সজল তন্ময় ২’ ডুবে যায়। খবর পেয়ে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ টেঙ্গুইন উদ্ধার অভিযানে যায়। তবে নৌবাহিনীর জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে আশপাশে থাকা কয়েকটি বেসরকারি জাহাজ নাবিকদের উদ্ধার করে।
তাদের মধ্যে আকিজ লজিস্টিকের জাহাজ একজন নাবিককে, টিটু নামের জাহাজ চারজনকে, আকিজ শিপ একজনকে, এমটি করিম দুইজনকে, তিন্নি জাহাজ একজনকে উদ্ধার করেছে।
আর কোনো নাবিক নিখোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজডুবি, ১২ নাবিক নিখোঁজ
দেশে ফিরলেন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক
‘সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা কমে গেছে'
সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, সারা বিশ্বে গণমাধ্যমের উপর মানুষের আস্থা কমে গেছে। মানুষ এখন আর গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করে না। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপে জরিপ চালিয়ে জানা গেছে। ইউরোপের ১১টি দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছিল, তারা গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না। কারণ এখনকার সংবাদপত্র কারো পক্ষে লিখে, কেউ আজেবাজে লিখে বা মিথ্যা লিখে। তাই বেশির ভাগ মানুষ যার ওপর বেশি আস্থা রাখে তিনি বড় সাংবাদিক। সাংবাদিক সংগঠন শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, ভাল সাংবাদিক তৈরির জন্যে প্রয়োজন।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেছেন। শনিবার বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা শহরের মসজিদ রোডস্থ এ মালেক কনভেনশন সেন্টারে এই সমাবেশ চলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এই সমাবেশের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে'র মহাসচিব দীপ আজাদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে'র কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হেফাজতে ইসলামের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রেসক্লাবে এই হামলার ফলে দুটি সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক হচ্ছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একক প্রেসক্লাব আছে, আরেকটি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সত্য-সুন্দর ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। যারা এই হামলা করেছে তারা হচ্ছে অন্ধকারের শক্তি। এই অন্ধকারের শক্তিরা প্রথম সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতে চায়।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের কোন সমস্যা হলে প্রেসক্লাব পাশে দাঁড়াবে, তেমনি প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক কোন সমস্যা হলে ইউনিয়ন পাশে দাঁড়াবে। এই
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি হবে। সমাবেশে জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ১৩০জন সাংবাদিক অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল
গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতিদান টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবি’র কোনো বিষয় না। তা সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই,বরং অন্তরায়।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবি’র বিবৃতি কেন’ -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আর আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে -এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে।
মন্ত্রী বলেন, নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবির একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।
আরও পড়ুন: অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নেয়ার শপথ আজ: তথ্যমন্ত্রী
এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’-বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবি'র ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে, যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধি, যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেয়াতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন’।
‘মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত' মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে, বিএনপি অস্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু ভারতের
করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধের পর রবিবার থেকে পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে ভারত।
ভারতীয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন এক বিবৃতে জানায়, ‘ছয়টি ভারতীয় বিমান সংস্থা ও ৬০টি বিদেশি বিমান সংস্থা আজ (রবিবার) থেকে ৬৩টি দেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ শুরু করবে।’
দেশটির এক সিনিয়র এভিয়েশন কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, বিমানবন্দর ও ফ্লাইটে করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি যেমন সামাজিক দূরত্বের জন্য মাঝখানের আসন খালি রাখা শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে গোডাউনে আগুন: ১১ জনের মৃত্যু
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা টুইটারে জানান।
করোনার কারণে ভারতজুড়ে লকডাউন দেয়া হলে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০২০ সালের মে মাস থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয়া হলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধ অব্যাহত ছিল। তবে ওই বছরের অক্টোবর থেকে পর্যটক ছাড়া সকল বিদেশি নাগরিককে ‘বাবল ব্যবস্থার’ আওতায় দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৮, আহত ২০