শরীয়তপুর
চাঁদপুর-শরীয়তপুরে ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল ৬ ঘন্টা বন্ধ
চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ঘন কুয়াশার কারণে ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সল আলম চৌধুরি ইউএনবিকে জানান, ঘন কুয়াশায় নদীতে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। তাই রবিবার ৩টা থেকে সকাল ৯টা পযর্ন্ত ছয় ঘন্টা নদীতে নৌদুঘর্টনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো।
এরপর কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল আবার হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট।
দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সদরের হরিণা ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল প্রায় আড়াই ঘন্টা বন্ধ ছিলো।
ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সল আলম চৌধুরি জানান, মধ্যরাত থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই ঝুঁকি এড়াতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
এছাড়া শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় কোনো ফেরি নদীতে নোঙর করা ছিল না।
তিনি জানান, নরসিংহপুর ঘাটে চারটি ফেরি এবং হরিণাঘাটের ফেরি যানবাহন নিয়ে অবস্থান করছিল। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরিগুলো নদী পার হবে।
স্থানীয়রা জানান, হরিণা ফেরিঘাটে এখন শতাধিক ও নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দেড় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
এজন্য চাঁদপুর-ঢাকাগামী বা ঢাকা–চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলো সতকর্তার সঙ্গে চলছে বলে জানান বিআ্ইডব্লিউটিএ-র বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও লঞ্চ মালিকের সুপারভাইজার আলী আজগর।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
শরীয়তপুরে প্রাইভেট কার উল্টে নিহত ১
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সড়কে গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার মাঝেরটেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কাউছার মাঝি (২৮) উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চরভয়রা গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলার চর ভয়রা এলাকার বারেক মাঝির ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ডামুড্যা থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চরভয়রা গ্রামের বারেক মাঝির বড় ছেলে আল আমিন মাঝি (৪০) সোমবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
তাকে নিয়ে সেখানে থেকে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।
এ জন্য রাত ১১টার দিকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেন তারা। রাতে কুয়াশা থাকায় গাড়ি চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল চালকের।
রাত তিনটার দিকে শরীয়তপুর-ডামুড্যা সড়কের ডামুড্যা উপজেলার মাঝেরটেক এলাকায় পৌঁছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা পাঁচ যাত্রী খাদের পানিতে তলিয়ে গাড়ির ভেতর আটকে পড়েন।
সড়কের টহল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে কাউছার মাঝির মৃত্যু হয়।
আর গুরুতর আহত অবস্থায় তার ভাতিজি মুন্নি আক্তারকে (১৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় আকাশ আহমেদ বলেন, হঠাৎ করেই অনেক চিৎকার শুনে আমরা ঘর থেকে বের হই। পরে রাস্তার পাশে পুকুরের মধ্যে একটি প্রাইভেট কার পড়ে থাকতে দেখি। আমরা দ্রুত নেমে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফি উল্লাহ বলেন, আমরা রাতে টহলে ছিলাম। হঠাৎ করেই ডাক চিৎকার শুনতে পেয়ে আমরা ছুটে আসি। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
পথে কাউছার নামের একজনের মৃত্যু হয়।
ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিস -এর ফায়ার ফাইটার হাসেম সিকদার বলেন, আমরা রাতে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই।
সেখানে আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
পরে আমরা নেমে গাড়িটি সার্চ করি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজ মাঠে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পৌরবাসী
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা। তাছাড়া ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই পানি। পানি সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, বহু বছরের পুরনো পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া ময়লা পানি ব্যবহারে চর্ম ও পেটে পিড়ার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নৌকা গ্রাম: শরীয়তপুরের ৩০ পরিবারের জীবিকা চলে নৌকা তৈরি করে
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকূপ চালু আছে। তুলাসার, আংগারিয়া, আটং, প্রেমতলা ও কোতোয়াল বাড়ির রাস্তার পাইপ লাইনে পানির সঙ্গে ময়লা আসে। মাঝে মধ্যে পাইপ লাইন ওয়াশ করা হয়। বহুদিনের পুরানো পাইপ লাইন পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রকল্প চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। পৌরসভার রাস্তা সংস্কার হলে পাইপ লাইন রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই বেলা পানি সরবরাহ করে থাকে পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ। প্রায় এক লাখ মানুষ এই পানি ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিনিয়ত পানির সঙ্গে শ্যাওলা ও লাল বর্ণের আয়রন জাতীয় ময়লা আসে। যে সকল পরিবার এই পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের সকল কাজেই এই ময়লা পানি ব্যবহার করতে হয়।
তুলাসার এলাকার আব্দুল মজিদ, আঙ্গারিয়া এলাকার মুন্নি আক্তার ও নিরালা এলাকার আমিন জানায়, পানির সঙ্গে ময়লা আসে। কিছু ময়লা ছাকনি দিয়ে পরিস্কার করা যায়। পানির সঙ্গে মিশে কিছু ময়লা আসে তা ছাকনিতেও পরিস্কার করা যায় না। এই পানিতে গোসল করে তাদের চুলকানির মতো চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া এই পানিতে রান্না করা খাবার খেয়েও অনেকের পেটের অসুখ হচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সঙ্গে ময়লা যায় এমন অভিযোগ সকল এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। পাইপ লাইনের শেষের দিকে এই সমস্যা বেশী হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে কোতোয়াল বাড়ির পাইপ লাইন পরিস্কার করা হয়।
এছাড়া বটতলার নলকূপটি ১৯৮৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে। এই নলকূপের পাইপ লাইনের ওপরে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাইপ রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া পাইপ লাইনে বাহিরের ময়লা প্রবেশের সুযোগ নাই। পাইপ লাইনে সৃষ্ট ময়লা পানির সঙ্গে যায়। এই ময়লায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ময়লা পানির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা নাহলে চর্ম রোগ পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা
মায়ের মামলায় জেলহাজতে গেল ২ ছেলে
শরীয়তপুরে মায়ের করা একটি মামলায় দুই ছেলেকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে ডামুড্যা আমলী আদালতে আসামিরা জামিনের জন্য আসলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দেন বিচারক।
আসামিরা হলো- ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মোল্যাকান্দি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদ বেপারী বড় ছেলে রফিক বেপারী ও মেঝো ছেলে জহুরুল বেপারী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মৃত নুর মোহাম্মাদ বেপারী স্ত্রী জিন্নাত নেছা।
দুই ছেলে আর ছেলেদের স্ত্রীরা প্রায়দিন'ই তাকে নির্যাতন করতো।
গত ২৯ নভেম্বর তার সন্তান আর সন্তানের স্ত্রীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে অমানবিকভাবে মারধর করেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিএনপির ৪৯ নেতাকর্মী জেলহাজতে
আত্মরক্ষায় নিজের সন্তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার জনের বিরুদ্দে মামলা করেন তিনি।
এ মামলায় দুই ছেলেকে ওয়ারেন্ট করে। আর ছেলেদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করে।
সোমবার আসামিরা জামিনের জন্য আসলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বাদী জিন্নাত নেছা জানান, আমার বড় দুই সন্তান আর তাদের স্ত্রীরা আমাকে প্রায়দিন মারধর করে। আর এদিকে আমার ছোট ছেলে প্রবাসী আবু তাহেরের ঘর দখল করার জন্য আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি ঘর থেকে বের না হওয়াতে, তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাকে ও আমার ছোট ছেলের বউকে মারধর করে।
এসময় তিনি কান্না কন্ঠে জানান, এক জন মা কত কষ্টে সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা করে সেটা শুধু ওই মা'ই জানে। তারা জেলে গেছে এটা যে আমার কত কষ্ট লাগে, সেটা শুধু আমি'ই জানি। আমি বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক এনাম জানান, আমি এই অসহায় মায়ের পক্ষ হয়ে মামলা করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট জারি করে।
সোমবার তারা জামিনের জন্য আসলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে। যতদিন এই অসহায় মা মামলাটি চালাতে চায়, ততদিন আমি তার পাশে থাকবো।
আরও পড়ুন: সংযোগই পাননি, বিদ্যুৎ বকেয়া বিলের মামলায় জেলহাজতে দিনমজুর মতিন
শরীয়তপুরে গাড়ি খাদে পড়ে বাবা-মেয়ে নিহত
শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় সড়কের পাশে গাড়ি খাদে পড়ে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছে।
শনিবার চট্টগ্রাম থেকে শরীয়তপুর আসার পথে মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের পরিচয়- অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৪২) শরীয়তপুর জজ আদালতের এপিপি ও শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং মেয়ে মইশা (৩)। তারা শরীয়তপুর জেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকার বাসিন্দা। রাশেদ নিজেই ব্যক্তিগত গাড়ি (কার) চালিয়ে আসছিলেন।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার আঙ্গরিয়া ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকার বাসিন্দা আইনজীবীর স্ত্রী সোহানা আক্তার মিলি (২৬), মেয়ে মেরিন (৬) ও চালক কামরুল হাসান (৩০)।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ করে। গাড়ি খাদে পরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, এতে দুইজন নিহত হয়। বাকিদের উদ্ধার করে হসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
জকিগঞ্জে ট্রাক চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. পারভেজ হাসান।
তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ ও পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩৫টি ট্রলার, আট লাখ মিটার জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তাছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর চরমোহন মাছের অস্থায়ী আরত ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। এ কারণে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে ইলিশ শিকার করে। তাই আমরা রাতে নড়িয়ার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান। সবার সহযোগিতায় আমরা মা ইলিশ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।
অভিযানের সময় নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মৃধা, নড়িয়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ২৪ ঘন্টায় জেলার নড়িয়ায় ২৭ জন, ভেদরগঞ্জ আট জন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ছয় জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আট লাখ ৩০ হাজার মিটার জাল ও ১৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক
নৌ পুলিশ ও জেলেদের সংঘর্ষ, শরীয়তপুরে আটক ১০
শরীয়তপুরের জাজিরার পাইনপাড়া চরে শনিবার রাতে নৌ পুলিশের সঙ্গে ইলিশ ধরার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জেলেকে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল পদ্মা নদীতে জাজিরা পয়েন্টে অভিযান চালালে একদল জেলেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে দেখলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত মাছ পেয়ে খুশি সুন্দরবনের জেলে ও ব্যবসায়ীরা
ইউএনও মো. কামরুল হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশে কাজিরহাট ও দুবিসাবর বন্দর এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জনগণকে সচেতন করতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপরে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করি যেন কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে না পারে।
আরও পড়ুন: ট্রলারডুবি: ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় কোস্টগার্ড
তিনি বলেন, মাঝিরচর পাইনপারা এলাকায় পৌঁছলে শতাধিক জেলে টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় নৌ পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে জেলেরা পিছু হটেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১০ জেলেকে আটক করেছি, এদের মধ্যে ৯ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং একজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ইউএনও কামরুল হাসান।
রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। তাই রাজপথে থেকেই আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।’
মঙ্গলবার শরীয়তপুরের সখিপুরে থানা শ্রমিকলীগের মতবিনিময় সভায় উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগকে দেখিয়ে লাভ নাই। দীর্ঘ আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ অবস্থানে এসেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে ধরনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওরে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
তিনি বলেন, ৭০'র নির্বাচন ও ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং দেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। সুতরাং বিএনপি'র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন শ্রমিকলীগ রাজপথেই মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: সরকারের এ মেয়াদেই দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তিস্তা চুক্তি: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের নেতা তারেক রহমান দেশ থেকে টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে থেকে আয়েশী জীবন-যাপন করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টাও করেছে বিএনপি। তাই এসি রুমে আন্দোলনের প্রলাপ বকে। রাজপথের আন্দোলন আর এসিরুমে বসে প্রলাপ বকা এক কথা নয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় সরকার ও দলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি তো তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে একটা মিছিল করতে পারে নাই। তারা আবার আন্দোলনের হুঙ্কার দেয়। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হয়, তাদের জন্য কাজ করতে হয়। জনগণের রায় ছাড়া কোনো প্রভু এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না।
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে শরীয়তপুরে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বুধবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মামুন খান (৩২) নড়িয়া পৌরসভার বাড়ৈপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম খানের ছেলে ও নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, নড়িয়া পৌরসভা শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেস বেপারী ও মামুনের মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শত্রুতার জের ধরে নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মামুনকে বাড়ি ফেরার পথে মোখলেসের সমর্থকরা তাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শরীয়তপুর জেলার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে মামুনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হামলায় মামুনের সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওসি জানান, মামুনের মৃত্যুর সংবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে তার পক্ষের লোকজন মোখলেছ বেপারীকে নড়িয়া আধুনিক হাসপাতালের সামনে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে