আইন
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো, যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেটা বন্ধ করা। অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা।
মন্ত্রী বলেন, বিচারে সোপর্দ করতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয় এবং এই সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের দায়িত্ব। ওইখানে যদি পুলিশের হাতটা বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না। এমন এমন জায়গা আছে, যেখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রেই কেবল ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২০০৬ সালের আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ধারার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি ছিল। আবার সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষারও প্রয়োজন ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল না- সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম বা স্বাধীন সাংবাদিকতা করার জন্য এটা একটা বাধা হয়ে দাঁড়াক। মোটেই এটা ইচ্ছা ছিল না এবং এটাও সত্য যে বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথাটা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে তা সরকার সবসময় স্বীকার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এখন আছে ৫ হাজার ৯৯৫টি মামলা। এই মামলার শতকরা ৯৫ ভাগ দায়ের করেছে বাংলাদেশের জনগণ। এর মধ্যে হয়তো রাজনীতিবিদরাও আছেন। কিন্তু যখন দেখা গেল, এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার করা হচ্ছে, তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো সম্বন্ধেও সরকার জ্ঞাত হয়েছে।
এরপর যখন দেখা গেছে আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার আলাপে সরকার এটাকে আরও সহজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে যেসব যৌক্তিক আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারও সঙ্গে আলাপ করা হয়নি, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। কেউ হয়তো বলতে পারেন তার সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি, অমুকের সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি। কিন্তু এই আইনের বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কী করতে হবে, সেসব কথা বলার জন্য কিন্তু আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরও যখনই আপত্তি উঠেছে, তখন আবারও আলাপ-আলোচনা করেছি। যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে তারা হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিএফইউজের বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তাদের যে পরামর্শ ছিল, সেটা নেওয়া হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ৪২ ধারা নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাংবাদিক নয় সর্বক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মী আছেন তাদের সবার স্ব-স্ব অবস্থানের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খুবই সিরিয়াস।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আগের মামলাগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারেই চলবে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে এ কথাটা উল্লেখ আছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে সংসদ ডাকা হয়েছে। আইনটি যাতে সংসদে যেতে পারে সেজন্য আইনটির বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। আপনারা আমাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।’
আগের মামলা আগের আইনে নিষ্পত্তির কথা সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে। তবে সরকার আগের মামলায় নতুন আইনের কম শাস্তি নিশ্চিতের চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লিখা আছে- প্রথম কথা হচ্ছে অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিল সে আইনেই বিচারকার্য হবে এবং সেই আইনে যে সাজা ছিল সেই সাজাই দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে একটা কথা আছে, সেটা হচ্ছে যদি নতুন আইন যেটা করা হচ্ছে ওইটার পরিবর্তে সেখানে যদি সাজা অধিক হয় তাহলে সে সাজাটা দেওয়া যাবে না। পুরানো আইনে অর্থাৎ যে আইনে সে অপরাধ করেছে অথবা যে আইন বলবৎ ছিল অপরাধ করার সময়, সেই আইনে যে সাজা আছে, তাকে সেই সাজাই দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়টা হচ্ছে কোনো ভিন্নতর সাজা দেওয়া যাবে না। এখানে আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা যদি ২১ ধারা ধরি। এ ধারায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ বছর সাজা।
তিনি বলেন, ‘এখানে আজ নতুন আইনে অর্থাৎ সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হচ্ছে পাঁচ বছর। তাহলে বিজ্ঞ আদালত যখন এ আইন পাস হওয়ার আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় যে অপরাধ হয়েছে, তাহলে তিনি সংবিধান মতে এ ১০ বছর সাজা কিন্তু দিতে পারেন। আমরা সেখানে যাতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এমন একটা ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বরিশাল পুলিশ লাইন্সে বরিশাল ইউনিট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন:নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করেছে এবং নির্বাচনের আগে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং ভুক্তভোগীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য আহত হলে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
আরও পড়ুন:কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইনি কাঠামোর বাইরে তাদের কিছু করার নেই।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের
এসময় এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘(বিএনপি) খালেদার স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটি এখন নোংরা পর্যায়ে চলে গেছে।’
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা মামলাগুলো নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করছেন এবং খালেদা জিয়াকে মরার আগেই কয়েকবার মেরে ফেলছে মির্জা ফখরুলরা।’
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ ছাড়াই কিছু বিদেশি আসেন: কাদের
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে সরকার।
তিনি বলেন, তবে আগের আইনে হওয়া মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, নতুন আইনে শাস্তি কমানো হয়েছে, আগের আইনের অপরাধের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলাগুলো চলবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব। পুরনো আইনে যে অপরাধগুলো করা হয়েছে, পুরনো আইনের শাস্তি আদালত দিতে পারেন। কিন্তু সেখানে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আইনে অনেকাংশ কমানো হয়েছে। সেই কমানোটাই সরকার ও আইন সভার উদ্দেশ্য। সেই কমানোটা যাতে বাস্তবায়ন করা হয় সেই চেষ্টাটা আমরা করব।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
জনদুর্ভোগ বা সম্পত্তি নষ্ট হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসাদুজ্জামান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে বলে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনের নামে জানমাল বা সম্পত্তি ধ্বংস অথবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২৭ জুলাই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সরকারের কোন বাধা নেই।
তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) দেখেছেন তারা পদযাত্রা করেছে তারা মানববন্ধন করেছে, যা করেছে আমরা কিন্তু কোনোটাতেই বাধা দিইনি। তারা সুন্দরভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও যদি তারা করতে চান করবেন। সেখানেও আমাদের বাধা থাকবে না। কিন্তু যখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, জানমাল ধ্বংস করতে চাইবে তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, এটাই তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা পদযাত্রার পরে অতি সম্প্রতি একটা লং মার্চ করল, তারুণ্যের একটা সমাবেশও করল। এখন তারা একটা বড় সমাবেশ করার জন্য আমাদের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার এখনো তার মতামত জানাননি। আশা করছি, শিগগিরই মতামত জানিয়ে দেবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত কী হবে? দেখুন, হঠাৎ করেই তারা (বিএনপি) এমন-এমন কর্মসূচি দিচ্ছে যেগুলোয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলছেন আন্দোলন শুরু করেছেন, আন্দোলন করবেন। আমরা সেখানে কোনো বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, যদি জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আসে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণকে জোর করে আনলে আমাদের আপত্তি।
আমাদের আপত্তি সেখানেই যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে তারা যদি কিছু করে কিংবা জান-মালের ক্ষতি করে অথবা জীবননাশ হয়, আমরা তখনই বাধা দেব।
আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয় কি না, এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আপনারাই দেখছেন।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে কর্মসূচি দেয়, শুধু আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেখছেন কেন?
আরও অন্যান্য পার্টিও তো দিচ্ছে। সেগুলোও আপনার নজরে নিশ্চয়ই পড়েছে। ২০ জন নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন না তিনিও একটা কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেছেন।
কাজেই সবাই কর্মসূচি দিচ্ছে। সবাই রাস্তায় থাকবে। আমরা এটুকুই বলব, যতক্ষণ পর্যন্ত জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করবেন, জান-মালের ক্ষতি না করবেন, গাড়ি ভাঙচুর না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দেবো না।
আরও পড়ুন: আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাসেলের জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আদেশের পরে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, রাসেলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর মো. রাসেল তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন। ওই দিন বিকাল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের আটক করে র্যাব। পরে অবশ্য তার স্ত্রী জামিনে মুক্তি পান।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে রাসেল দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান বাদী। অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পরও তিনি তা পাননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চলতি বছরের ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
সিলেটে গণপূর্তের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে স্ত্রীর মামলা
সিলেটে গণপূর্ত বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে তার স্ত্রী।
গত ১৩ মে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী আকলিমা বেগম থানায় হাজির হয়ে এজাহার দাখিল করলে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মো. আব্দুর রহিম। তিনি সিলেট গণপূর্ত উপ বিভাগ-৩ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিগত ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল চার লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক গণপূর্তের কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিমের সঙ্গে বাদিনী আকলিমা বেগমের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে মো. আব্দুর রহিম ব্যবসার কথা বলে আকলিমার ভাইয়ের কাছে টাকা ধার চান। আকলিমার সুখের কথা চিন্তা করে তার ভাই রহিমকে ১২ লাখ টাকা ধার দেন।
কিন্তু সেই টাকা ফেরত চাইলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, তিনি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিয়ের জন ২০ লাখ টাকা যৌতুক পান। এক পর্যায়ে রহিম পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য আকলিমাকে নির্যাতন শুরু করেন।
ঘটনার দিন গত ১২ মে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে রহিম তার স্ত্রী আকলিমাকে জখম করেন ও লাঠি দিয়ে মারপিট করে ঘরের রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে কোতোয়ালি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠায়।
ভুক্তভোগী আকলিমা বেগম বলেন, তিনি টাকার জন্য শুধু মারধর করে। টাকা এনে না দিলে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানায় রহিম। ওসিসিতে চিকিৎসা নেওয়ার পর আমি মামলা করেছি।
মামলা রুজুর বিষয়টি স্বীকার করে সিলেট গণপূর্তের উপ০সহাকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আকলিমাকে উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গির আলম বলেন, গণপূর্তের ওই কর্মকর্তার কাজলশাহর বাসা থেকে ভিকটিমকে আমরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মণ্ডল বলেন, আসামি মো. আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আকলিমাকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে সিলেট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায় বলেন, আমরা জানতে পেরেছি উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের বিভাগীয় নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। এই আইনের খসড়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে শিগগিরই সংসদে প্রেরণ করা হবে। এই আইন প্রণীত হলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে বাঁচবে এবং ভূমি খাতে আসবে পরিচ্ছন্নতা।
শনিবার চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম হলে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক ভূমি বিষয়ক জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের একটি কর্মসম্পাদনকারী দক্ষ মন্ত্রণালয়। জনগণকে সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সফল ব্যবহারকারী এই মন্ত্রণালয়। আমাদের মৌলিক সেবাগুলোর প্রায় সবগুলো টেকসই করে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর শতভাগ ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে গত ৪৩ দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, যা বছরে দুই হাজার কোটি টাকা হবে বলে আমরা আশা করছি।
আরও পড়ুন: ওয়ান স্টপ সার্ভিস শিল্প স্থাপনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত জটিলতা দূর করবে: ভূমিমন্ত্রী
একই সঙ্গে চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জমির মালিকদের দুর্দশা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট ভূমিসেবার ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ভূমিমন্ত্রী প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে অধিগৃহীত জমির খতিয়ান ও ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি সেবা গ্রহীতা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের ভূমি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ মে থেকে শুরু হওয়া ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ রবিবার ২৮ মে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে সবধরনের তামাকপণ্য বিশেষ করে কমদামি সিগারেটের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
একইসঙ্গে খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
বুধবার (১০ মে) ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ: বাজেট ২০২৩-২৪’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব বিষয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা।
তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে কর্মশালাটি আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য কেবিনেট ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করতে যত দেরি হবে তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি ততই বাড়বে।
কর্মশালায় জানানো হয়, আইএমএফ ঋণের বিপরীতে যে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অংশ তামাকপণ্যের কর ও দাম কার্যকরভাবে বাড়িয়ে পূরণ করা সম্ভব।
বর্তমানে সিগারেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৭৫ শতাংশই কমদামি সিগারেটের ভোক্তা এবং এই স্তরে সম্পূরক শুল্কহার খুবই কম, মাত্র ৫৭ শতাংশ।
কর্মশালায়, নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে ৩৫ দশমিক ৭৫ টাকা অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
মধ্যম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১১১ টাকা থেকে ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ দশমিক ০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
একইসঙ্গে বিড়ি, গুল এবং জর্দার দাম বাড়িয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠির ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় জানানো হয় তামাকবিরোধীদের এই বাজেট প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে এবং চার লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং চার লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর, সিটিএফকে বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়