আইন
গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতিদান টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবি’র কোনো বিষয় না। তা সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই,বরং অন্তরায়।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবি’র বিবৃতি কেন’ -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আর আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে -এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে।
মন্ত্রী বলেন, নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবির একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।
আরও পড়ুন: অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নেয়ার শপথ আজ: তথ্যমন্ত্রী
এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’-বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবি'র ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে, যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধি, যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেয়াতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন’।
‘মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত' মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে, বিএনপি অস্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে একের পর এক বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করায় বাংলাদেশে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম এখন আর স্বাধীন নয়।
তিনি বলেন,‘যদিও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা, কিন্তু এখন বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদপত্র স্বাধীন নয়… সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে বক্তব্যে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অসত্য ও অপকর্ম এবং দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
তিনি বলেন,‘একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা; যিনি ভালো মানের স্যান্ডেল কিনতে পারতেন না, তিনি এখন বহুতল ভবন ও নতুন গাড়ির মালিক। এটাই বাস্তবতা।’
ফখরুল বলেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ এদেশকে ধ্বংস করতে কিছুই বাকি রাখেনি। তারা এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ১৯৭১ সাল থেকে এটা করে আসছে। তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে সত্য প্রকাশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকার এখন আরও নীতিমালা প্রণয়ন করছে। গণমাধ্যমের জন্য প্রতিটি আইন ও নীতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, অধিকাংশ মিডিয়ার মালিক আওয়ামী লীগের সদস্য, যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও বাধা।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সাংবাদিক নেতাদের নিজেদের ও পেশাজীবীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনকে হটিয়ে জনগণের হারানো অধিকার পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমরা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ইসি’র সংলাপ একটি নির্ভেজাল নাটক: বিএনপি
জোটবদ্ধ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর কারণে বাজার লাগামছাড়া: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আইন করলেও এখন পর্যন্ত সে আইনের বিধি না করায় আইনের প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এটি দুর্ভাগ্যজনক। আর এর সুযোগ নিচ্ছে জোটবদ্ধ ব্যক্তি-গোষ্ঠী। সরকারের মেশিনারিজগুলো (আইন, বিধি, নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তদারক সংস্থা) সক্রিয় থাকলে মজুদকারীরা সাহস পেত না। আইন, সংগঠন সব কিছু আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। মেশিনারিজগুলো সক্রিয় করতে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। সেটি নেই। আমরা চাই সরকারের মেশিনারিজগুলো ৩৬৫ দিনই সতর্ক-সোচ্চার থাকুক। এটা (বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ) এক দিনের কাজ না। যতটুকু হয়েছে সেটি প্রশংসনীয়।
সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে করা রিট আবেদনের শুনানিকালে এমন মন্তব্য এসেছে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে।
সোমবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে প্রথমেই এ রিটের বিরোধিতা করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যে সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকার বাজার তদারকিতে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এ রিটে রুল জারি করা ঠিক হবে না।
তখন রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, প্রতিযোগিতাবিরোধী জোট কিভাবে নিরূপণ করছেন? ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন হয়েছে। এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়ন নেই। প্রতিযোগিতাবিরোধী চুক্তি, কর্তৃত্ব বন্ধ করতে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা জবাবে বলেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আদালত প্রতিযোগিতা আইনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১৫ ধারা উল্লেখ করে তখন বলেন, 'এ আইনে মনোপলি (একচেটিয়া) ব্যবসা বন্ধের কথা বলা আছে। সরকার বিধি-নীতিমালা করছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ কারণে আইনের প্রয়োগ নেই। এ রকমটা সব সময় হয়ে আসছে। আপনারা যদি কঠোর হতেন তবে বাজার লাগামছাড়া হতো না। আগে থেকে সচেষ্ট থাকলে জনসাধারণের ভোগান্তি হতো না। একচেটিয়া ব্যবসা একটা গ্রুপের কাছে চলে যাওয়ায় এমনটা হচ্ছে। অথচ এটি বন্ধ করতে রেগুলেটরি বডি (নিয়ন্ত্রক সংস্থা) গঠনের কথা আইনে বলা আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকলে আমাদের কাছে (আদালতে) আসতে হতো না। আমরা চাচ্ছি, এগুলো হোক। আমাদের সামনে আইন বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো উদাহরণ নেই।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ফের বলেন, সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে, সক্রিয় আছে। বাজার এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আদালত তখন এই আইন কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন রাখেন, কবে থেকে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে? সরকারের মেশিনারিজগুলো (আইন, বিধি, নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তদারক সংস্থা) সক্রিয় থাকলে মজুদকারীরা সাহস পেত না। আইন, সংগঠন সব কিছু আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। মেশিনারিজগুলো সক্রিয় করলে এরা সাহস পাবে না। এর জন্য কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। সেটি নেই। আমরা চাই সরকারের মেশিনারিজগুলো ৩৬৫ দিনই সতর্ক-সোচ্চার থাকুক। এটা (বাজার তদারকি বা নিয়ন্ত্রণ) এক দিনের কাজ না। যতটুকু হয়েছে সেটি প্রশংসনীয়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের কাজ চলছে। একচেটিয়াভাবে কেউ যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার টাস্কফোর্স গঠনে হাত দিয়েছে। বাজারদর এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। বাজারে বাজারে গিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতিতে এই রিটে রুল দেয়া ঠিক হবে না।
আদালত বলেন, সরকার খাদ্যপণ্যের বাজারদর ঠিক করে দিচ্ছে। আর একটা গ্রুপ জোটবদ্ধ হয়ে সেসব পণ্য মজুদ করছে। পরে দাম বাড়িয়ে তা বাজারে ছাড়ছে। জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আদালত আরও বলেন, যারা দুষ্কৃতকারী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। সারা বছর বাজার তদারকি করতে হবে। রোজা এলে তদারকি হবে, এমনটা হলে হবে না। এটা প্রতিদিনের কাজ, প্রতিদিন করতে হবে। আইন লঙ্ঘন করা চলবে না।
পরে রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, 'যেকোনো সময় যেকোনো খাদ্যপণ্যে দাম বাড়তে পারে। শুধু সয়াবিন তেল নয়। আপনাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের বিষয়ে আসা উচিত। আপনার রিট আবেদনের আরজি যথাযথ হয়নি। আপনার আবেদনে অনেক কিছুই বাদ পড়েছে। এরপর আদালত রিট আবেদনটি সংশোধন করে নিয়ে আসতে বলেন এবং শুনানি আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।
গত ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ এ রিট করেন। বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এ তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে সর্বনিম্ন করার নির্দেশ মন্ত্রিসভার
ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা সমস্যার জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেন, কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। বৈষম্য নিরসনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারী খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।মন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গ ভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বন্টনের দাবি উঠছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বলে তিনি মনে করেন।বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে এবং সেখানেই বৈষম্য বেশি হয়, প্রকট নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আইনমন্ত্রী যোগ করনে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেসমিন আরা বেগমসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিদ্যমান মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীদের এ পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে।রবিবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃক জিপি (সরকারি কৌসুলি) এবং পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) গণের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত ২৩তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য ও শোষণ হতে মুক্তি এবং সার্বিক উন্নয়নের সোপান হিসেবে দেখতে চাইলে সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সে কারণেই তার দেয়া সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা সুস্পষ্টভাবে বিধৃত করা হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু এমন এক স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে বিচারপ্রার্থী মানুষ স্বল্প খরচে, সহজে ও দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে স্বাধীন ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বিচারক, জিপি, পিপি, আইনজীবী, আদালতের কর্মচারীসহ বিচার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপালনরত সকলকে নিয়েই কিন্তু বিচার বিভাগ। তাই বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন (স্টেক হোল্ডার) হিসেবে দেওয়ানী ও ফৌজদারি উভয় বিষয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জিপি ও পিপিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।জিপি ও পিপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু সরকারি মামলায় সরকারকে যথাযথভাবে ‘রিপ্রেজেন্টেশন’ করা নয়, স্ব স্ব অফিসের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সঠিকভাবে মামলার ফাইল পরিচালনা করা, সরকারসহ সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে মামলা পরিচালনা করে বিচারে প্রবেশাধিকারকে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্ব অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, কোন কোন জিপি এবং পিপি বিভিন্ন অজুহাতে আদালতে সময়ের দরখাস্ত দাখিল করে থাকেন। সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ঢিলেঢালা বা গড়িমসি মনোভাব কাম্য নয়।মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের পক্ষে ওকালতি করার জন্যই সরকারি কৌঁসুলিদের নিয়োগ দেয়া হয়। তাই সরকারি কৌঁসুলিদের দ্বারা যদি রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষিত না হয়; তারা যদি ঠিকমতো কাজ না করেন, বিচারপ্রার্থীরা যদি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন, বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তবে তা হবে দুঃখজনক।বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী
ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনের ওপর দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।আগামী দু’মাস চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা; ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা; শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরা ও বিক্রির ওপর ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু মঙ্গলবার
এ পাঁচটি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থা
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ
নতুন আইন পাশের মাধ্যমে ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে নিজেদের দখলকে সুরক্ষিত করার জন্য আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাশিয়া। এই আইনের মাধ্যমে মস্কো ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন পাবে। অন্যদিকে এই পদক্ষেপের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমারা।
রাশিয়ার এই নতুন আইন কোনো রকম বিচার-বিবেচনা ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে এই আইনটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের জন্য একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। কেননা এর একদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে পুতিন ডিক্রিতে স্বাক্ষর করার পরপরই সাঁজোয়া বাহিনীর কনভয়কে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল জুড়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তবে তারা রাশিয়ান কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রাশিয়ার, সেনা মোতায়েনের নির্দেশ
এদিকে, রুশ কর্মকর্তারা এখনও বিদ্রোহী অধ্যূষিত পূর্বাঞ্চলে কোনো সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেননি। তবে ডনেটস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্থানীয় কাউন্সিলের সদস্য ভ্লাদিস্লাভ ব্রিগ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ান সেন্যরা ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের উত্তর ও পশ্চিমে অবস্থান নিয়েছে।
বিদ্রোহী অঞ্চলগুলোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার পুতিনের এই সিদ্ধান্ত প্রায় আট বছরের পুরনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতকে উস্কে দেয়া হবে। আট বছর আগের সংঘাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয় এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস নামের শিল্প কেন্দ্রকে ধ্বংস করা হয়।
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার অধিগ্রহণের কয়েক সপ্তাহ পরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা মস্কোর বিরুদ্ধে সেনা ও অস্ত্র দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ান পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে যে খসড়া বিল দ্রুত পাশের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিগুলোতে সেনা মোতায়েন সহ সামরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে পুতিনকে আলোচনার প্রস্তাব ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে রাতে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ‘আমরা কাউকে বা কিছুকে ভয় করি না। আমরা কারো কাছে ঋণী নই। এবং আমরা কাউকে কিছু দেব না।’
ইউক্রেনের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভে এই টুইটে বলেছেন, ‘ক্রেমলিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব আগ্রাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’ মস্কোর এই পদক্ষেপকে ‘নতুন বার্লিন প্রাচীর’ হিসাবে বর্ণনা করে এবং পশ্চিমাদের দ্রুত রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থা - হিসেবে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারে।
অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও বলেছে তারা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়া বাজার ও প্রযুক্তি পণ্য অবরোধের মুখে পড়বে
নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন জানান, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
আগামী ১৫ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে এদিন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন মামলার দায়েরের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
মামলার অপর আসামি হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর ও ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনের এডমিন, বর্ণণাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান।
মামলায় অভিযোগ, গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। সেটা অনলাইনেও দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।’
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
এ বিষয়ে তিনি মামলায় বলেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি পিটিশন শুনানিতে অংশ নেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ‘এসব ষড়যন্ত্র কিসের আলামত, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামাতে তৎপর রাষ্ট্রবিরোধী চক্র আড়ারের রহস্যময় সিন্ডিকেট কারা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ওইদিন বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইট ভাইরাল প্রতিদিনও তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে লেখা হয় বলে বাদী অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,‘আসামিরা ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে আপত্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করে যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারার অপরাধ।
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূণ্যতা এবং সবকিছুতে না বলার বাতিকেরই প্রমাণ।’বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে। মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়। কিন্তু সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েন নাই এবং তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব নানা মন্তব্য করেছেন যে, এখানে কোনো বেসরকারি লোক বা কোনো আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয় নাই। অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। বেসরকারি যখন বলা হয় সেখানে আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ সবাই অন্তর্ভুক্ত।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন- এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে যেটি দেশের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে এমনকি কিছুদিন আগে আইনজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি আইন করার তাগাদা এবং প্রস্তাবনাও দিয়েছিলেন এবং তারা অনেকেই আইন করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির সবকিছুতেই যে না বলার বাতিক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
লবিস্ট ফার্ম নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য নাই। কিন্তু একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ বিশ্লেষণ নামে বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য এটি ছাপানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। দেশের রপ্তানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আজকে যে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে সেটিকে ম্লান করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব ঠিকই বলেছেন যে, নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি চুক্তি করেছিল, সেই লবিস্ট ফার্মকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তারা প্রদান করেছে। শাহরিয়ার আলম আরও একটি কথা বলেছেন যে বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌনে চার মিলিয়ন। এবং বিএনপি আরও ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে যেটুকু পাওয়া গেছে, তারা পৌনে চার মিলিয়ন ডলার এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেলো, এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে, এই টাকা বিদেশে পাঠানোর জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে- কোনটাই তো নয়। তাহলে এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা সেটি সত্যিই দুঃখজনক। সুতরাং এখানে সংবাদ বিশ্লেষণের নামে বিএনপির এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে। একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার জন্য সেটি কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়।’এসময় নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলমকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘যদিওবা সেটি বিএনপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিএনপি কম্বল বাছতে গিয়ে কম্বলটাই না জানি উজাড় হওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। তৈমূর আলম খন্দকার যে ভোট পেয়েছে তাতে আমার মনে হচ্ছে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং নারায়ণগঞ্জে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে যে কেন এতো সুন্দর নির্বাচন হলো এবং তা সারাদেশে প্রশংসিত হলো। সেটার দায় তৈমূর আলম খন্দকারের ওপর দিতে চাচ্ছে। সে কারণে তাকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে বিএনপি কুমিল্লার মেয়রসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় নানাজনকে নানা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, বহিস্কার করেছে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
পর্যটন খাতে রাজস্ব বাড়াতে আইন সংশোধিত হচ্ছে
পর্যটন খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী করতে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (সংশোধন) বিল-২০২২’ উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী বিলটি উত্থাপন করলে তা সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকার পরিবর্তে এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৪০০ কোটি টাকা হবে।
আরও পড়ুন: শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর
বিদ্যমান আইনে করপোরেশন বোর্ডে সর্বোচ্চ চার জন সদস্য থাকবে বলে বিধান রয়েছে। নতুন খসড়া আইনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জন করা হয়েছে।
কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। তবে এটি বাংলাদেশের বাইরে বা অন্য কোনো স্থানে কার্যালয়, শাখা বা সংস্থা স্থাপন করতে পারবে।
কর্পোরেশনের কাজ হবে পর্যটনের প্রচার ও বিকাশ, সুবিধা প্রদান, ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বা আনুষঙ্গিক সব ধরনের কাজ পরিচালনা করা।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন শুরু
সংসদ ভবন এলাকায় অস্ত্র বহন ও সমাবেশ নিষিদ্ধ