স্কুলছাত্র
বাথরুমে ঝুলছিল স্কুলছাত্রের লাশ
সিলেটে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙাটিকর দারোগা বাড়ির নিজ ঘরের বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাছুম আহমদ (১৮) জেলার কুয়ারপাড় ভাঙাটিকর এলাকার রুসেল মিয়ার ছেলে ও আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ জানান, সন্ধ্যার দিকে বাসার বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে মাছুমের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলে স্বজনরা লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) রমাকান্ত অন্যান্য পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, মরদেহের সুরতহাল অনুযায়ী স্কুল পড়ুয়া তরুণ আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজনও বলতে পারছে না মাছুম কি কারণে আত্মহত্যা করল। তবে এর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু!
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মহানগরী সংলগ্ন পদ্মা নদীর টি বাঁধ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এরফান (১৬) নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন:সিলেটে সুরমা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধুদের নিয়ে মহানগরের টি-বাঁধ সংলগ্ন নদীর তীরে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল এরফান। একপর্যায়ে বলটি নদীতে পড়ে গেলে তুলতে যায় সে। এরপর সে আর তীরে ফিরে আসতে পারেনি।
স্থানীয়রা সদর দমকল বাহিনীকে ফোন দেয়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এরফানের লাশ খুঁজে পায়। মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকায় থাকা জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনের বিপরীতে পদ্মা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে সেই লাশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:পদ্মা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
রৌমারীতে গাছচাপায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্কুলে যাওয়ার পথে গাছচাপায় আব্দুল্লাহ আল নোমান রাব্বি (১২) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের পূর্ব পাখিউড়া গ্রামের পাখিউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ আল নোমান রাব্বি চরশৌলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের শাহ আলেমর ছেলে এবং চর শৌলমারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় বড় ভাইয়ের ঘুষিতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুল্লাহ আল নোমান রাব্বি নানা বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় পূর্ব পাখিউড়া এলাকায় রাস্তার গাছ কাটছিলেন শ্রমিকেরা। এসময় কাটা গাছ রাব্বির ওপর পড়লে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের বাবা ও পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মাগুরার শ্রীপুরে সাড়ের কামড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত রিয়াজ জোয়াদ্দার (১০) একই উপজেলার মদনপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে এবং হোগলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
মৃতের পরিবার ও শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মসিয়ার রহমান বলেন, রিয়াজের বাড়ি মদনপুর গ্রামে হলেও সে নানা বাড়ি হোগলডাঙ্গা গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতো। বৃহস্পতিবার সে যথারীতি স্কুলে ক্লাসও করে এবং সন্ধ্যার পর পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রিয়াজের বাম হাতে সাপে কামড় দেয়। কান্নার আওয়াজ পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে প্রাথমিক পর্যায়ে ওঝা-কবিরাজ এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে ২ মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে সাপের কামড়ের কোনো চিকিৎসা নেই। আমার ইউনিয়নে চিকিৎসা থাকলে স্কুলছাত্র মারা মিজানুর যেত না।’
তিস্তা নদী থেকে সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে লালচামার কাপাসিয়া ঘাটে তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সিহাব একই উপজেলার পূর্ব বেলকা গ্রামের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিহাব তার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে রওনা দেয়। তার হাতে দোকানে বিক্রির টাকাও ছিল। পরে রাতে সে আর বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা আনিসুর রহমান সুন্দরগঞ্জ থানায় ছেলে নিখোঁজের একটি জিডি করেন। শুক্রবার বিকালে নিখোঁজ সিহাবের লাশ কাপাসিয়া লাল চামার ঘাটে তিস্তা নদীতে ভেসে উঠলে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, কাউন্সিলর পুত্র গ্রেপ্তার
সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় কে বা কারা তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
মোবাইল ফোনের জন্য স্কুলছাত্র নওফেল শেখকে (১৪) খুন করে তারই বন্ধু। এ ঘটনায় খুনী বন্ধুকে ( অপ্রাপ্ত বয়স্ক ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরের বাড়ি বগুড়া শাজাহানপুর থানা হলেও ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে লন্ড্রীর দোকানে কাজ করতো। খুনের ঘটনার পর মোবাইল বিক্রির কাজে জড়িত ও ওই কিশোরের কথিত বান্ধবী শেরপুরের জাকিয়া খাতুন বৃষ্টি (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
গত ২০ জুন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা গ্রামের জঙ্গল থেকে নওফেলের (১৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা হাটপাড়া গ্রামের ইসরাফিলের ছেলে এবং দাড়িগাছা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, নওফেল এবং ওই কিশোর একে অপরের বন্ধু ছিল। তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতো। প্রায় দুই মাস আগে নওফেলের বাবা শখের বশে জমি বিক্রির টাকায় নওফেলকে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয়। গত ১৮ জুন নওফেলের জন্মদিনে ওই কিশোর নওফেলকে ওই জঙ্গলে ধুমপান করে আনন্দ ফুর্তির প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হলে ওইদিন সকাল ১১টার দিকে ধুমপান করার জন্য নওফেল ও ওই কিশোর দাড়ীগাছা গ্রামের ফুলবাড়ীয়া নামক স্থানে জঙ্গলযুক্ত বাগানের মধ্যে ধূমপান করতে যায় । নওফেল জঙ্গলের একটি গাছের সঙ্গে হেলান দিলে মাফলার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ পাশের জঙ্গলে গুম করে স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। এরপর বান্ধবী বৃষ্টিকে বগুড়া শহরে ডেকে নিয়ে স্মার্টফোনটি বিক্রি করে সেই টাকায় একটি হোটেলে যায়। পরে ২০ জুন নওফেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে খবর জেনে ওই কিশোর ঢাকায় আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত সেই মাফলার উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কিশোরকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়াও মোবাইল বিক্রিতে সহায়তাকারী নারী বৃষ্টিকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা খাতুন এবং শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
দিনাজপুরে নাপিত খুন
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত, বাসে আগুন
খুলনার কয়রায় বাসের চাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বমিয়া সরদারবাড়ি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রমজান আলী (১৪) উপজেলার বামিয়া গ্রামের কিনু আলী সরদারের ছেলে এবং বামিয়া এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রমজান আলী সাইকেলে করে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে সে বামিয়া সরদারবাড়ি মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাইকাগাছাগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে সাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে এবং বাসের সামনের চাকা তার মাথার ওপরে উঠে যায়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সড়ক অবরোধ করে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
কয়রা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবন দাশ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষিণকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
খুলনা পাবলিক কলেজের ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যার দায়ে ১৭ আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে যে সব আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার আসামিদের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার (১৬), বিএম মাজিব হাসান রয়েল (১২), শাহারিয়ার জামান তুর্য্য (১৭), রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত (১২), ফাহিম ইসলাম মনি (১৪), সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৩), জিসান খান (১৫), তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৩), শাকিব খান শিমুল (১৭), অন্তর কুসার দাস (১৫), মো.হাকিম (১৭), সৈকত (১৬), শেখ সাকিব (১৭), আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৫), শেখ তামিম (১৬), সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল (১২), মোস্তফিজুর রহমান নাঈম (১৪)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কনসার্ট দেখার জন্য কলেজের উদ্দেশে রওনা হয় রাজিন। রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে আসামি তামিমের সঙ্গে রাজিনের হাতাহাতি হয়। রাত ৯টার দিকে রাজিনকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে নিয়ে গিয়ে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে সাব্বির বলে আমার কাছে চাকু আছে। অনেকদিন চাকুটি রক্ত খায় না। এরপর মামলার অন্যান্য আসামিরা রাজিনের হাত চেপে ধরে। আর সাব্বির চাকু দিয়ে রাজিনের পেটে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আসামিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পরে স্থানীয়ার গুরুতর আহত রাজিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ছয় জন আসামির নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সাতগাঁও হাওরে ও রানিচাপুর গ্রামের সামনে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-স্কুলছাত্র মামুন মিয়া (১৪)ও কৃষি শ্রমিক জাকারুল মিয়া (৩৪)। মামুন চাকুয়া ইউনিয়নের রানিচাপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে। বজ্রপাতে আহত হওয়ার পর তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে জাকারুল আটপাড়া উপজেলার ইকরহাটিয়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে। তিনি কিছুদিন ধরে মেন্দিপুর ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে তার শশুর আব্দুল জলিলের বাড়িতে থেকে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জাকারুলসহ কয়েক শ্রমিক সাতগাঁও হাওরে ধান কাটছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা মাথায় করে ধানের বোঝা নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি হাওরেই মারা যান।
অন্যদিকে কিশোর মামুন বিকেলে রানিচাপুর গ্রামের সামনের মাঠে শুকাতে দেয়া ধান তোলার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা আশঙ্কাজানক অবস্থায় তাকে নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খালিয়াজুরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসিন খন্দকার বলেন, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
মেহেরপুরে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জের পাগলা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উপজেলার কানসাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বি (১৬)উপজেলার কানসাট বাজারের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও কানসাট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা যায়, কানসাট প্রি-ক্যাডেট স্কুল ঘাটে পাগলা নদীতে দুপুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় রাব্বি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার রজব আলী শেখ জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক ঘন্টার চেষ্টায় লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু