স্কুলছাত্র
মানিকছড়িতে জীপচাপায় দুই স্কুলছাত্র নিহত, আহত ১
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে জীপচাপায় দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সুইজাই কার্বারি পাড়া নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, হাতিমুড়া এলাকার হ্যাংল্লা মারমার ছেলে উগ্যজাই মারমা (১২) ও ডেপুয়া পাড়া এলাকার মৃত চাউথোই মারমার ছেলে রাজু মারমা (১৫)। উগ্যজাই মারমা হাতিমুড়া জুনিয়র হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এবং রাজু মারমা উপজেলা সদরের কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত রাসাই মারমা (৩৫) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সুইজাই কার্বারি পাড়া এলাকায় আনারস ফল বোঝাই একটি জীপ গাড়ি উঁচু টিলায় উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে চলে আসলে পেছনে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকছড়ি থানার এসআই মো. নাজমুল হাসান জানান, ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। লাশগুলো ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি সড়কে মরণ ফাঁদ ‘বেইলি সেতু’
শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরের জাজিরায় অপহরণের পর এক স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় সাত আসামির মধ্যে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি চার আসামিকে বেকসুর খালাস এবং একজনের রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
নিহত স্কুল ছাত্রের নাম শাকিল মাদবর। সে উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়লকান্দির এলাকার ছালাম মাদবরের ছেলে এবং স্থানীয় আ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নাম ইমরান মোড়ল ও সাকিব বাবু।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আক্তার মাদবর, সজিব মাঝি, মহসিন হাওলাদার ও স্বপন সরদার।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্র হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
আর আসামি বাবু ফরাজীর উচ্চ আদালতে আপীল থাকায়, তার রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আপীল নিস্পত্তি হলে বাবু ফরাজীর রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।
জানা যায়, ক্রিকেট খেলার নাম করে ২০২০ সালের ২৫ জুন শাকিল মাদবরকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীতে শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতুর ৩৯ নং পিলারের নিকট মাটিতে পুঁতে রাখে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শাকিলের বাবা ছালাম মাদবর জাজিরা থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিলকে ক্রিকেট খেলতে ডেকে নেয়া সাকিব বাবুকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব বাবুর দেখানো জায়গা থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সাত জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ উভয়ই এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
মামলার বাদী ছালাম মাদবর বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে অন্যান্যদের আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় আজ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে, অন্যান্যদের খালাস দিয়েছেন আদালত। আমি এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। আমি উচ্চ আদালতে যাবো।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, একটি লোমহর্ষক ঘটনা ছিল। আাসমিরা মুক্তিপনের দাবীতে শাকিল মাদবর নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা পরবর্তী লাশ গুম করে। সেই মামলায় আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেই অন্যান্যরা আসামি হয়েছে। আজ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অপর চার জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি বাবু ফরাজীর পক্ষে উচ্চ আদালতে আপলীল থাকায় তার রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। বাদী উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আমি তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুরাদ বলেন, আমার আসামি ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেব।
আরও পড়ুন: খুলনায় শহীদুল হত্যায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
চুরির অপবাদে খুঁটিতে বেঁধে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা সদরে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রকে প্রকাশ্যে খুটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ফ্যাশন হাউজের মালিকের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে দোস্ত গ্রামের মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজে সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আরাফাত রহমান (১১) উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বসতিপাড়ার কৃষক মনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং দোস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউজের মালিক আলী আহমদ। তার দাবি, প্রতিনিয়ত দোকানের টাকা চুরির ঘটনা ঘটছে। রবিবার টাকা চুরির অভিযোগে ওই ছাত্রকে কিছুক্ষণ দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেও তাকে মারধর করা হয়নি। এর আগেও বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনার দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা!
স্থানীয়রা জানায়, বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির নারীরা দোকানটি পরিচালনা করেন। প্রায়ই এই দোকান থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। রবিবার দুপুরে স্কুল টিফিনের সময় ওই স্কুলছাত্র খাবার কিনতে দোকানে আসলে তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। সামান্য মারধরও করা হয়।
তারা জানায়, কেউ যদি চুরি করেও থাকে তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি। নিজের হাতে আইন তোলাটা ঠিক হয়নি তাদের। তাছাড়া সে একজন শিশু।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জানতে পেরে ওই দোকানে গিয়ে ছাত্রকে মুক্ত করে আনি। তবে তার কাছে কোন টাকা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালেহ বলেন, আমি রাতে ঘটনাটি শুনেছি। কেউ যদি চুরিও করে এভাবে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে আইন লঙ্ঘন করেছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচ এম লুৎফুর কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিব। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেন হত্যাকাণ্ডে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এ ঘটনায় চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুইজন উপস্থিত ছিলেন এবং বাকিরা পলাতক আছেন।
নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- ইমনের আত্মীয় আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (১৮)।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুরপ্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী।
সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফুলজোড় নদীতে নিখোঁজ: ২ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দু’দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের পেছন থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শুভ (১৪) একই এলাকার সুকুমার চন্দ্রের ছেলে ও স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: যমুনায় ২ স্কুলছাত্র নিখোঁজ: এক জনের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান জানান, শুক্রবার বিকালে হোলি উৎসব শেষে কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামে শুভ। গোসলের একপর্যায়ে শুভ নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ও রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরি দল দু’দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তার কোনো সন্ধান পায়নি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২৫ দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের পেছন এলাকায় শুভ’র ভাসমান লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
মাগুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
মাগুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দী গ্রামের চরপাড়া ঈদগাহ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল শ্রীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে ও হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: মাধবপুরে ট্রাকচাপায় রিকশার ৩ যাত্রী নিহত
আহতরা হলেন-একই উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আনোয়ারের ছেলে আদর ও সাচিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হোসেন। তারা দুজন একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুখদেব রায় জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর সোনাতুন্দী সড়কের চরপাড়া ঈদগাহ ময়দানের সামনে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের মান্দার গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ফয়সাল ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হলে তাদের ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: রোলার স্কেটিং করতে গিয়ে ট্রলির ধাক্কায় কিশোর নিহত
ওসি জানান, এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলার গজারিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হয়েছে এরফান আলী (৫৫) গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও মানিকদী চৌমুড়ী বাজারের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। এবং স্কুল শিক্ষার্থী আমিন মিয়া (১৩) গজারিয়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতি সপ্তাহের বুধবার চৌকিদার এরফান আলীকে ভৈরব থানায় হাজিরা দিতে হয়। আজও তিনি বেলা সাড়ে ১১টা সময় থানার উদ্দেশে গ্রামীণ এম্বুলেন্স নিয়ে রওনা হন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। গজারিয়া প্রাইমারি স্কুল এলাকায় আসার পর চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থী দৌড়ে রাস্তা পাড় হওয়া সময় গ্রামীণ এম্বুলেন্সের (ইজিবাইক) চালক চৌকিদার এরফান আলী শিশুটিকে বাঁচতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই শিশুসহ পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার একটি ভবনে ধাক্কা দেয়। এসময় চালক এরফান আলী আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আমিন মিয়া গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক এরফান আলীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আমিন মিয়াকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকা নেয়ার পথে আমিন মিয়া মারা যান বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহত চৌকিদারে জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চৌকিদার এরফান আলী ও আমিন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই মোটরসাইকেল আরোহীর
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
কুমিল্লায় স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে তিন বন্ধুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪ এর বিচারক মিসেস সেলিনা আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো.খাইরুল ইসলাম, জিহাদ হোসেন ও এমদাদ হোসেন।
তিন আসামির মধ্যে মো. খাইরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর দুই আসামি জিহাদ হোসেন ও এমদাদ হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে কুড়িগ্রামে যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত জাহিদ হাসান উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাপলেজি গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
মামলা সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের গত ৪ নভেম্বর মো. জাহিদ হাসানকে বাড়ির পাশ থেকে কৌশলে অপহরণ করে তারই তিন বন্ধু। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজির পর গত ৫ নভেম্বর হোমনা থানায় নিখোঁজের পরিবার একটি ডায়েরি করে। এরপর অপহরণকারীরা ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিহতের চাচা মাসুদ রানার মোবাইলে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। চাচা মাসুদ রানা জাহিদের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। এরপর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জিহাদ হোসেন, এমদাদ ও খাইরুলকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তিপণ দাবি ও জাহিদ হাসানকে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে রাখে বলে পুলিশকে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে স্কুল ছাত্র জাহিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ হত্যায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত জাহিদের বাবা ও মামলার বাদী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার ছেলেকে তারা নৃশংসভাবে মেরেছে। আমি এই রায়ে সুন্তষ্ট নই। আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম।
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপজেলার স্টেশন রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্র আশিকুর রহমান বাবু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের দবিরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় এ জেড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রেলস্টেশন থেকে ঘুঘুরাতলী এলাকায় সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলো আশিকুর ও তার বন্ধু। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে ওভারটেক করার সময় আশিকুরের সাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে আশিকুর রাস্তায় ছিটকে পড়লে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাহেন্দ্র উল্টে চালক নিহত
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ট্রাকটিকে আটক ও ভাঙচুর করে। অন্যদিকে,ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, ট্রাকসহ চালককে আটক করেছেন তারা। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
বরিশালে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
বরিশালের উজিরপুরে হৃদয় মোল্লা (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।মৃত হৃদয় মোল্লা (১৪) একই পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে এবং পূর্ব নারায়ণপুর পল্লী ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
মৃতের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকালে একটি বেসরকারি সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন মৃতের বাবা শহীদ মোল্লার ঘরে কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য যান। তবে ওইসময় ঘরে টাকা না থাকায় মৃতের মা ঝুমুর বেগম পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যান টাকা সংগ্রহের জন্য।
মৃতের মা ঝুমুর বেগম জানান, কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী জাহিদকে ঘরের মধ্যে রেখে টাকা জোগাড়ে পাশের বাড়িতে যাই। কিছু সময় পরে এসে দেখতে পাই আমার ছেলে হৃদয় ঘরের দরজার দৌড়ের (চৌকাঠ) সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে আমার স্বামী হৃদয়কে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজছাত্র নিহত
ঝুমুর বেগমের দাবি তার ছেলেকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল।এদিকে সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন ওই ঘরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ঝুমুর বেগম টাকা খুঁজতে যাওয়ায় তিনি অন্য সদস্যদের ঘরে কিস্তির টাকা আদায়ে যান। পরে মৃতের বাবার চিৎকারে তিনিও ওই বাড়িতে গিয়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পান।এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যুর খবর শুনে হৃদয় মোল্লার লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা