স্কুলছাত্র
ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৩
ঝালকাঠির রাজাপুরে ট্রাকের চাপায় এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকসহ তিনজন আহত হয়েছে। এছাড়া ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাব্বি হোসেন (১৫) উপজেলার উত্তর মনোহরপুর গ্রামের রিকশাচালক বশির হোসেনের ছেলে ও মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিকসহ নিহত ৩
আহতরা হলেন- উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে ইমরান, ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশা গ্রামের আবুল ফরিদের ছেলে রাজিব ও একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে রনি।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, খুলনাগামী ট্রাকটি (যশোর-ড-১১০০৫৪) মোটরসাইকেলটিকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচরে যায় এবং মোটরসাইকেলের চার আরোহী গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত ইমরান ও রাজিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আহত রনিকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মীসহ নিহত ২
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ট্রাক ও চালক মেহেদি হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
কুষ্টিয়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত, নারীর লাশ উদ্ধার
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহে ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া খোকসা উপজেলায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমারখালী শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের হাজী হোসেন আলীর ছেলে দিদার (১৬) ও খোকসা উপজেলার একতারপুর কমলাপুর রইস মন্ডলের স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে চালককে ছুরিকাঘাত করে টমটম ছিনতাই
পরিবারের বরাতে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বেশ কিছুদিন থেকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দিদারের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার রাত ৯টার দিকে শিলাইদহ বাজারে একটি কাঠের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় কয়েকজন যুবক ছুরি নিয়ে তার ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা উপজেলার একতারপুর এলাকায় নিজ ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে খাল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম জানান,টিউবওয়েল মিস্ত্রি রাজিনাথ পুরের ফকির হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে পরকীয়া চলছিল ওই নারীর। পরকীয়া প্রেমকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই ঘটনার পর থেকে পরকীয়া প্রেমিক বিল্লাল লাপাত্তা। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে সেলিনা খাতুনের ভাই হাসনু শেখ বাদী হয়ে খোকসা থানায় একটি এজাহার দিয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার জানান, দুটি ঘটনার তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
টিকা দিতে যাওয়ার সময় দুরন্তপনায় প্রাণ হারালো স্কুলছাত্র
করোনার টিকা দেয়া হলো না স্কুলছাত্র হুমায়ুন কবিরের (১৪)। টিকা দিতে যাওয়ার সময়ই দুরন্তপনার জন্য প্রাণ হারাতে হলো তাকে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলারের ট্রলির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শালটি মুরাদপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন কবির (১৪) উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম প্রধানের ছেলে এবং উপজেলার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
নবাবগঞ্জ থানায় মিডিয়া অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) বিভূতিভূষণ ব্রতি রায় জানান, ছয় সাতজন সহপাঠিসহ ইজিবাইকে চড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে যাচ্ছিল ছাত্র হুমায়ুন কবির। দুরন্তপনা দেখাতে চলন্ত ইজিবাইকে লাফ দিয়ে নেমে আবার লাফ দিয়ে উঠছিল সে। এভাবে উঠানামার এক পর্যায়ে পেছন থেকে ছুটে আসা বালু বহনকারী একটি পাওয়ার টিলারের ট্রলির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হুমায়ুন।
আরও পড়ুন: পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামে নিহত ৩
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায়া বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া বাজার দক্ষিণ পাড়া এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ মো. সিবগাতুল্লাহ(১৬) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উলিপুর এলাকার শাহেদুজ্জামানের ছেলে। সে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে লেখাপড়া করতো। এ ঘটনায় হাসান আলী(২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম জানান, মোটসাইকেল যোগে সিবগাতুল্লাহ ও হাসান আলী বগুড়া থেকে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আড়িয়াবাজার এলাকার পৌঁছালে পেছন থেকে ঢাকাগামী একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সিবগাতুল্লাহর মৃত্যু হয়। পেছনে বসে থাকা হাসান আলী গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
নাটোরে নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নাটোরের সিংড়ায় নিখোজেঁর চার ঘণ্টা পর তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এলাকার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আসিফ উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামের কৃষক ভুলু মিয়ার ছেলে। তার বয়স আনুমানিক ৯ বছর।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, পাঙ্গাসিয়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আসিফ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে রাত ১০টার দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে আসিফের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারকে খবর দেয়। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতেই লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাক বিভাগের নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
রামুতে অপহৃত ৩ স্কুলছাত্র উদ্ধার, আটক ৭
কক্সবাজারের রামুতে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) পৃথক অভিযান চালিয়ে টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নারীসহ সাত রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম। তবে মিজানুর রহমান নামে আরেক ছাত্রকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আটক ব্যক্তিদের তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ-৪ ব্লকের নূর সালাম (৫০), রনজন বিবি ও মোচনী পাড়ার সাদ্দাম মিয়া।
১৬ এপিবিএনের এসপি তারিকুল ইসলাম তিন স্কুলছাত্র উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকায় দুই দফা অভিযান চালিয়ে তিন ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী দলের চারজনকে আটক করেছে র্যাব। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এসপি জানান, চার স্কুলছাত্র অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শুক্রবার ভোরে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪ স্কুলছাত্র অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে রামু থানায় চার ছাত্র নিখোঁজের অভিযোগ করেন স্বজনরা।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়িও সেখানে। তারা দু’জনই বাতিঘর কটেজের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ইব্রাহিম চাকরি ছেড়েছেন কয়েক মাস আগে।
অভিযোগে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ৪ জনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২ ‘অপহরণকারী’ আটক, ভুক্তভোগী উদ্ধার
কক্সবাজারে ৪ স্কুলছাত্র অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালংয়ের চার স্কুলছাত্রকে মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নেয়ার কথা বলে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে দুই রোহিঙ্গা নাগরিকের বিরুদ্ধে।
অপহৃতরা হলো- উপজেলার খুনিয়াপালংয়ের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহেদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাকিরা একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্তরা হলেন-টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬নং ব্লকের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম। তারা দুজনই কক্সবাজারের বাতিঘর কটেজের কর্মচারী।
এদিকে অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরুপ কুমার চৌধুরী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই দুই রোহিঙ্গার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় চার স্কুলছাত্রের। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান তারা।
বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। আর তা না পেলে তাদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
নিখোঁজ জাহেদুলের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, পূর্ব পরিচয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলেসহ চারজনকে নিয়ে গেছে। খোঁজ-খবর নিতে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীমের মোবাইল ফোনও বন্ধ।
‘বুধবার দুপুরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পরিচয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়।’
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘টেকনাফের ঘটনা বলে সেখানে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। আমরা তাদের সহযোগিতায় বিষয়টি তদন্ত করব।’
আরও পড়ুন: ল্যাপটপ কেনার টাকা যোগাড় করতেই অপহরণের পর শিশু ইয়ামিনকে হত্যা!
নতুন জামার টাকার জন্য শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার
পাবনায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
পাবনা সাঁথিয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। উপজেলার আতাইকুলা থানার বনোগ্রাম গাংগুহাটি গ্রামের বামন ডাঙ্গায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কৌশিক (১৪) ওই গ্রামের মো. হারুন প্রধানের ছেলে ও মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ছাত্র।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কৌশিকের মা জাহানারা খাতুন জানান, সকালে তার ছেলে কৌশিক বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। সন্ধ্যার পরে খবর পায় মেহগুনি বাগানের মধ্যে কার যেন লাশ পরে আছে। তখন তারা সেখানে গিয়ে কৌশিকের লাশ দেখতে পায়।
তিনি জানান, স্থানীয়রা আতাইকুলা থানায় বিষয়টি জানালে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন ও পাবনা সদর সার্কেল অতিরিত্তি পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নতুন জামার টাকার জন্য শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার
খালার বিয়ে উপলক্ষ্যে নতুন জামা কেনার টাকা যোগাড় করতে চার বছরের শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ক্রাইম পেট্রোল অনুষ্ঠান দেখে কৌশল রপ্ত করে তাকে অপহরণ করা হয়। বগুড়ার গাবতলীতে সানজিদা খাতুন (৪) নামে এক কন্যাশিশুকে হত্যার এই ঘটনায় বুধবার নবম শ্রেণির দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী রিয়াদের (১৫) দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ওইদিন রাতে সানজিদার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সানজিদা গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের লাঠিমার ঘোন উত্তরপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী শাহীন প্রামাণিকের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই কিশোরও একই এলাকার বাসিন্দা। তারা হলো লাঠিমার ঘোন উত্তরপাড়া গ্রামের প্রবাসী উজ্জ্বলের ছেলে রিয়াদ ও সাজু প্রামাণিকের ছেলে শুভ।
আরও পড়ুন: প্রভাষক মামুন হত্যা: ৮ বছর পর জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর দুই কিশোর শিশু সানজিদাকে অপহরণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য সানজিদার লাশ বৃহস্পতিবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শুভ জানিয়েছে, তার খালার বিয়ে উপলক্ষ্যে নতুন জামা-কাপড় কেনার টাকার জন্য তারা সানজিদাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। তারা ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ক্রাইম পেট্রোল অনুষ্ঠান দেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের কৌশল রপ্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, চার বছর বয়সী সানজিদা বুধবার সকালে বাড়ির উঠানে খেলছিল। কিন্তু সকাল ১০টার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পাওয়ায় অনেকে ধারণা করেন পুকুর বা ডোবার পানিতে সে তলিয়ে গেছে। এজন্য ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর ও ডোবায় তল্লাশী চালিয়ে না পেয়ে ফিরে যায়। এরপর ওইদিন দুপুরে একটি মোবাইল ফোন থেকে স্থানীয় এক মহিলার মোবাইল ফোনে কল করে সানজিদাকে অপহরণের কথা জানানো হয়। তাকে পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে। ওই মহিলা বিষয়টি নিখোঁজ সানজিদার বাবা শাহীন প্রামাণিককে জানায়। এরপর সানজিদার বাবা সেই মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তার কাছেও অপহৃত মেয়েকে ফিরে পেতে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়। তবে কয়েকবার কথা বলার পর অপহরণকারীরা টাকার অংক কমিয়ে ৫০ হাজার দাবি করে এবং বুধবার রাত ৭টার দিকে গ্রামের একটি কালভার্টের নিচে রেখে আসতে বলে পাশাপাশি বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর জন্যও হুশিয়ার করা হয়। এরপর সানজিদার বাবা শাহীন প্রামাণিক পুরো ঘটনাটি গাবতলী থানায় জানালে পুলিশ নির্ধারিত সময়ের আগেই সেই কালভার্টের অদূরে ওঁৎ পেতে থাকে। এরপর রাত ৭টার দিকে এক ব্যক্তিকে ওই কালভার্টের কাছে আলো দিয়ে কিছু খুঁজতে দেখে পুলিশ ও সানজিদার স্বজনরা সেখানে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তার মুখ দেখে চিনতে পারে সে একই গ্রামের প্রবাসী উজ্জ্বলের ছেলে রিয়াদ। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ রাত ১১টার দিকে একই গ্রামে সাজুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি স্টিলের বাক্সের ভেতর থেকে সানজিদার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই রাতেই পাশের কদমতলী গ্রামে নানার বাড়ি থেকে পুলিশ রিয়াদের সহযোগী শুভকেও গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল জানান, রিয়াদ নিজেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দাবি করেছে। আর শুভ বলেছে সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তিনি বলেন,ওই হত্যার ঘটনায় নিহত সানজিদার বাবা শাহীন প্রামাণিক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গাবতলী থানায় একটি মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রসহ দু’জন অটোভ্যানের যাত্রী নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার কাথহালি এলাকার দুপচাঁচিয়া-ক্ষেতলাল সড়কে এ দুর্ঘটনায় অপর এক শিক্ষার্থীসহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার কোলগ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ও সাগর কোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান সাগর (১৮) এবং অটোভ্যান চালক ও একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক (১৮)।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
আহতরা হলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোলগ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে শ্রাবণ (১৯) ও ড্যামপুর গ্রামের ফয়েজ উল্লাহর ছেলে মোস্তফা কামাল (৫৫)।
স্থানীয়দের বরাতে দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান রুবায়েত জানান, নিহত সাগর ও তার বন্ধু শ্রাবণ দুপচাঁচিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দেখতে যায়। পরীক্ষা শেষে দুপুর ৩টার দিকে দুই বন্ধু একই গ্রামের আশিকের অটোভ্যান যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে অপর যাত্রী মোস্তফাসহ রওনা দেয়। পথে চলন্ত ভ্যানের চাকা খুলে যায়। এসময় পিছন থেকে একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিলে চার জন গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সাগর মারা যায়। আশিক ও শ্রাবণকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল ৫টার দিকে আশিক মারা যায়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাটোরে স্কুলশিক্ষক নিহত
ওসি জানান, দুর্ঘটনার পর পরই ট্রাক রেখে চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়। পরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে এবং ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।