সিলেট
সিলেটে বাসের ধাক্কায় ঢাবি ছাত্রের মৃত্যু
সিলেটে বাসের ধাক্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মাহির শাহরিয়ারের বাড়ি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে। তিনি ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ৫
মাহিরের বন্ধুরা জানান, রবিবার মোটরসাইকেলে করে মাহির ও আরেকজন সিলেট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেলটি ছিটকে রাস্তার পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাইকের পেছনে যিনি ছিলেন তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুল রহমান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় কিশোর নিহত
ঝিনাইদহে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সিলেটে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল
রাষ্ট্র ও ধর্মদ্রোহীতার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে মামলার আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ইমন আহমদ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নুর রাজনীতির নামে দল করে দেশের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৭ কর্মদিবসে সাবেক ভিপি নুরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজিরের নির্দেশ
সম্প্রতি দুবাইয়ে গিয়ে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা 'মোসাদ' এর এজেন্ট মেন্দি এন সাফদির সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উৎখাতের গোপন আলোচনা ও পরামর্শ করেছেন। তাদের ছবি ও স্বীকারোক্তিমূলক কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নুর পবিত্র ঘর কাবা শরীফ তাওয়াফের নাম করে দেশের বাইরে গিয়ে ইহুদি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র, সরকার ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে বিভেদ সৃষ্টির চক্রান্তে লিপ্ত। নুর বাংলাদেশে ইহুদি চক্রান্ত বাস্তবায়নে মেতে উঠেছেন।
এ বিষয়ে বাদী ইমন আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি দেশপ্রেম থেকে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলার এজাহার দাখিল করেছেন। একজন নাগরিক হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাহের। তবে তিনি জানান রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রাষ্ট্রপক্ষ বা রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি বিশেষ করতে পারেন না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দুই থানায় অভিযোগ
সিলেটে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু
সিলেট নগরীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত টিটন পাল টিটু (২৪) বিশ্বনাথ উপজেলার মদনপুর গ্রামের লাবণী পালের ছেলে এবং দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস লাইন লিকেজে মা-মেয়ে দগ্ধ
টিটনের ফুফাতো ভাই রণি দাস জানান, গত ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিটনসহ তিনজন (রণিও ছিলেন) নগরের শাহী ঈদগাহ থেকে হেঁটে ইলেকট্রিক সাপ্লাই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় সড়কের পাশের গ্যাস লাইনে বিস্ফোরিত হয়। সেখানেই মারা যান টিটন।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, একটি ছেলে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছিলাম। শুনেছি তিনি মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকটের কারণে না’গঞ্জে এক বছরে ২৭ জন দগ্ধ ও ৫ জনের মৃত্যু
আসাদগেটে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে আহত ২
সিলেট বিমানবন্দরে ই-গেট যাত্রীদের অভিজ্ঞতা বাড়াবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইলেকট্রনিক গেট যাত্রীদের অভিজ্ঞতার উন্নতি ঘটাবে এবং সেবার মান বাড়াবে।
মোমেন বলেন, যেসব যাত্রীদের ই-পাসপোর্ট আছে তারা ই-গেটের মাধ্যমে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
সিলেট বিমানবন্দরে রবিবার ই-গেট উদ্বোধনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমাদের দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট চালু করেছি এবং এ পর্যন্ত অনেক ই-পাসপোর্ট ইস্যু করেছি।
এছাড়া সম্প্রতি পাসপোর্ট সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আগের মতো বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ই-গেট চালুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরও বাড়বে। তাহলে অনেক দেশে যেতে আমাদের ভিসা লাগবে না।
এছাড়া অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে ভিসা মওকুফ চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
সিলেট বিমানবন্দরে রবিবার ছয়টি ই-গেট চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রস্থানের জন্য এবং তিনটি প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক মাহের উদ্দিন শেখ জানান, দ্রুত অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করা এবং সেবার মান বাড়াতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,যাত্রীরা সহজেই ই-গেট দিয়ে যেতে পারেন। কারণ একটি ই-পাসপোর্ট জমা দেয়ার পরে গেটগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলা হবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
এর আগে গত ৭ জুন ঢাকা বিমানবন্দরে ১২টি ই-গেট উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
পাথর ও বালুবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া) শাহরিয়ার বিন সালেহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
এই দুই পুলিশ সদস্য হলেন- ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. সুমন মিয়া ও মো. শাহরিয়ার হোসাইন। তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় পাথর ও বালুবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: বাস চালককে মারধর, বরিশালে ট্রাফিক সার্জেন্ট ক্লোজড
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো.শাহাব উদ্দিন খান গত ২৪ ডিসেম্বর ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ওই দুই পুলিশ সদস্য তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। বারবার তাদের সতর্ক করার পরও তারা চেইন অব কমান্ড মানেননি।
সিলেটের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট সার্কেল) প্রভাস কুমার সিংহ জানান, মূলত চেইন অব কমান্ড ভাঙার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বালু ও পাথরবাহী ট্রলি আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগও আছে। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কর্তব্যে অবহেলার অভিযাগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
জায়গা নিয়ে বিরোধ, বিশ্বনাথে লন্ডন প্রবাসীসহ ২১ জন আটক
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই প্রবাসী ভাইয়ের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় নারীসহ ২১ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর ২১ জনকে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ এবং অপর সাতজন নারীকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মন্নান উরফে মসকুদ আলী ও তার ভাই আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলীর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে আদালতে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তি করতে স্থানীয় পঞ্চায়েতসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানও।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৩: জয় দিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের যাত্রা শুরু
এরই মধ্যে শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের প্রবাসীসহ ২৮জন নারী-পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তাদের মধ্যে ২১জনকে শনিবার বিকালে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ এবং মানবিক দিক বিবেচনায় শিশুসহ সাত নারীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলী (৬০), একই গ্রামের মৃত কটু মিয়ার ছেলে টুনু মিয়া (৩২), সাজু মিয়া (৩০), মৃত হাফিজ আলীর ছেলে আবুল মিয়া (৪৫), নানু মিয়ার ছেলে শরীফ আহমদ (১৯), আলকাছ আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৩২), মৃত খুর্শেদ আলীর ছেলে সেবুল আহমদ (৪৮), আর্শ্বব আলীর ছেলে রোহান উদ্দিন জাফর (১৯), মৃত ছিদ্দিক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), নানু মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০), জুনু মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৫), চান্দশীরকাপন গ্রামের মৃত আমজদ আলীর ছেলে ছালেক মিয়া (২৫), ধীতপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর মেয়ে রিয়া বেগম রুবি (৩০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর পূর্বভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৬), ওসমানীনগর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের আইন উল্লাহর ছেলে রাসেল উল্লাহ (২৪), খাপন খালপাড় গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৪), মৃত আমজদ খানের ছেলে কামরুল খান (২৪), মোল্লারগাঁও গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল মতিন (৪৩) সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া গ্রামের মৃত আফিজ আলীর ছেলে কফিল আহমদ (২৩) ও কুবাজপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (২৪)।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়েই আমরা অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ২৮ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়। এরপর তাদের মধ্যে ২১ জনকে আদালতে পাঠানো হয় এবং সাতজন নারীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
ফ্ল্যাটে ঝুলছিল নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের লাশ, স্বামী আটক
সিলেট নগরীর একটি ফ্ল্যাটের এক কক্ষে ঝুলছিল সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ফারাজানা হক মিলির (২৫) লাশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নূর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ২টায় সিলেট নগরের তেলিহাওরের সিলভ্যালী টাওয়ারের তৃতীয় তলার এ-২ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পুলিশের ধারণা ভোরের দিকে মিলির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ফারজানা হক মিলি ওই বাসার বাসিন্দা নূর আলমের স্ত্রী ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। মিলি জেলা পর্যায়ের সাবেক নারী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।
মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার ভোররাতের দিকে মিলির মৃত্যু হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।
মিলি আত্মহত্যা করেছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো লাশের হাঁটু বিছানায় লাগানো ছিল। তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহের উদ্রেক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহকারী কমিশনার শামসুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কোতোয়ালি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন মাহমুদ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর লাশ ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি পুলিশের সহকারী কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, মিলি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যালয় ভবন থেকে লাফিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে মিলির সঙ্গে ঝগড়া করেন স্বামী। ঝগড়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসার একটি কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন মিলি। এ দুইদিন তিনি না খেয়ে থাকলেও স্বামীসহ বাসার লোকজন তার কোনো খোঁজ খবর নেয়নি।
নিহতের ভাই সাংবাদিক এনামুল হক রেনু ও আমিনুল হক সিপনের অভিযোগ, মিলিকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে।
তারা বলেন, মিলির স্বামী নূর আলম তার স্ত্রীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ছয় লাখ টাকা তুলে অনলাইনে জুয়া খেলেছেন। সেই সঙ্গে মিলির ব্যবহৃত স্বর্ণ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে জুয়া খেলেছেন। এসব বিষয় নিয়ে তাদের বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের থেকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে দাবি করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে নিহতের স্বামী নূর আলম বলেন, আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। সে খুব রাগী ছিল। কখনো রাগ করে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ২/৩ দিন ঘুমিয়ে থাকতো। বৃহস্পতিবার রাতেও ঠিক একইভাবে রাগ করে দরজা বন্ধ করে থাকে মিলি।
জুয়া নয় পেশা হিসেবে অনলাইনে ডলার কেনা-বেচা করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। বাড়ির জমি বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছি। মিলির ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উঠাইনি।
প্রায় দুই বছর আগে জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মরহুম সিরাজুল হকের মেয়ে ফারজানা মিলির সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলিয়ার কাপন গ্রামের আসকর আলীর ছেলে নূর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সিলেট নগরের তেলিহারস্থ সিলভ্যালী টাওয়ারের ডা. মোছা. মরিয়ম সিদ্দিকীর মালিকানা ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন এ দম্পতি।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
২০২৩ সালে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি বছর নতুন করে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর প্রত্যাশা করছে সরকার।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালের একটি অভিজাত হোটেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রম বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে বাড়বে প্রবাসী আয়। চায়নায় বড় শ্রমবাজার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রোমানিয়া, গ্রিস ও ইতালিতে এখন মানুষ যাচ্ছে। লিবিয়াতেও লোক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কাজের ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন। আমরা ৩০ লাখ লোকের রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদেরকে রক্তের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কর্মজীবনে যা দিয়েছেন তা আপনাদের হিসাব আছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে যায়নি। এটিকে আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে।
কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, এ জন্য স্কিলড্ ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী দক্ষতা অর্জন করে ও নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা বিদেশে যে কাজে যায় সেখানে গিয়ে তা ছেড়ে দেয়। এতে করে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (সিলেট) মো. উজ্জ্বল বখতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন-২) সরোজ কুমার নাথ, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী সিকদার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) সত্যব্রত দাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাবিবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন উজ্জ্বল কুমার রায় ও ত্রিপিঠক পাঠ করেন দয়ার কান্তি চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক সভা এবং সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
জার্মানির স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈম পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। ইউরোপের দেশটি থেকে প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এসেছেন মারিয়া। বৃহস্পতিবার রাজকীয় ও বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেলো তাদের বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েকে ঘিরে বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহামদের বাড়িতে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভুরিভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে, আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে।
রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরনের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।
আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান, ‘মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগিরই দেশটি থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।’
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম-মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ‘সারা জীবন যেন আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি, সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে
ধর্ম অবমাননা মামলা: সিলেটে হিন্দু মহাজোটের নেতা রাকেশ রায়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাকেশ রায় নামে এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সিলেটের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত রাকেশ রায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।
এই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, রাকেশের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ এর ২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। যা এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রাকেশ রায়কে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণাকালে জামিনে থাকা রাকেশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাকেশ রায়কে ২০১৭ সালের ৭ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওই বছরের জুন মাসে রাকেশের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন ফুযায়েল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। বাদী ও বিবাদী দুজনের বাড়িই জকিগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহারে রাকেশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহানবী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ আনা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে রাকেশের আইনজীবী ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বলতে পারি না। তবে ন্যায় বিচারের আশায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তিন ভারতীয় যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড