সিলেট
সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রী শিপা তালুকদার সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে এবং স্বামী রিপন দাস জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসের বাসা থেকে প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘরের ভেতর থেকে তাদের ছোট্ট মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ডাকাডাকি করেন বাসার অন্যান্যরা। এসময় অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তারা পুলিশে খবর দেন। পরে বেলা ১১টার পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় আলাদা দুই কক্ষ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, শয়ন কক্ষের খাটের ওপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানের খেয়াল রেখো। তবে চিরকুটটি কার লেখা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
রিপন দাস একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। নিহত দম্পতির দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
তার নাম ঋত্বিক তালুকদার।
নিহতদের প্রতিবেশী শিল্পী সরকার বলেন, প্রায় সাত মাস ধরে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। কখনো ঝগড়া বিবাদ শুনিনি। সকাল ৯টার দিকে বন্ধ ঘরে শিশুটির কান্না শুনতে পান। বাইরে থেকে তারা অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানানো হয়।
খবর পেয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ঘরের জানালা খুলে দুই কক্ষে স্বামী-স্ত্রী দুই জনের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
নিহত শিপা দাসের ভাই নিবারণ দাস বলেন, আমার বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরপর ভগ্নিপতি রিপন আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি।
নিহত রিপনের জ্যাঠাতো ভাই অনুকূল তালুকদার বলেন, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানির পরিবেশকের অধীনে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু কি কারণে তারা গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে মেয়ের কান্না শুনতে পান। পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেবসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
তবে কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে।
ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আর বন্ধ ঘর থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর
সারাদেশে বিভাগীয় শহরে বিএনপির গণসমাবেশ সমাবেশের অংশ নিসেবে আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশের নির্ধারিত তারিখ একদিন এগিয়ে ১৯ নভেম্বর করা হয়েছে। নগরের আলীয়া মাদরাসা মাঠে ২০ নভেম্বর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করেছে দলটি।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বিষয়টি জানিয়েছেন। মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার কারণে রবিবার থেকে আলীয়া মাদরাসা এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
পুলিশের এই বিজ্ঞপ্তির পর সমাবেশের স্থান নিয়ে শংকা দেখা দেয়। এরমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হলো। ১৯ নভেম্বর শনিবার এইচএসসির কোন পরীক্ষা নেই।
রবিবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মত সকল বাধা উপেক্ষা করে সিলেটের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর সমাবেশ হবার কথা থাকলেও পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে ভেবে তারিখ পরিবর্তন করে ১৯ নভেম্বর শনিবার এটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সারাদেশের ন্যায় সিলেটে নগরীর সরকারী আলিয়া মাদরাসা মাঠে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সমাবেশের অনুমতির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অবহিতকরণ চিঠিও দেয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, আজ থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আলিয়া মাদরাসায় পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। তাই পরীক্ষর্থীদের কথা বিবেচনা করে সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সারা দেশের সাথে সিলেটের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে রাজনৈতিক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটবাসী সব সময় সহনশীল। তার পরও আমাদের দলের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় সমাবেশকে ঘীরে সিলেটেও গণপরিবহন ধর্মঘট হলে বিএনপির করণীয় কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সিলেটের পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা এমনটি করবেন না। কারন আমাদের সমাবেশের দাবী শুধু বিএনপির নয়, এই দাবী সকলের। তাই আমরা আশা করছি পরিবহন শ্রমিকরা জনতার দাবীর প্রতি একাত্মতা পোষণ করবেন।
সমাবেশ সফল করতে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ দেশের কল্যাণে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান বিএনপি নেতারা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাছিম হোসেইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজজামান সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে র্যালি ও গণসমাবেশ
সিলেটে ২য় দিনে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে, পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন
সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে জেলার কোনও স্থান থেকে ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ পণ্যবাহী যানবাহন ছেড়ে যায়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক--শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে দুই দিনের এই ধর্মঘট চলছে।
ধর্মঘটের ফলেপণ্যবাহী হাজার হাজার ট্রাক বিভিন্ন ট্রাক টার্মিনালসহ জেলার অন্যান্য স্থানে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।
এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ধর্মঘট পালনে সকাল থেকেই মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট এবং রাস্তায় অবস্থান নেন পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
বিশেষ করে ভোলাগঞ্জ, জাফলং, লোভাছড়া ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি এলাকার পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অবস্থান নেন।
এছাড়া ধর্মঘট চলাকালে মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও রাস্তায় আলাদা মিছিল-সমাবেশ করেছেন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় সবকিছু হারিয়ে আজ সিলেটের দশ লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা লক্ষাধিক মানুষের কথা বিবেচনা করে পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছে।
বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এতেও কাজ না হলে পুরো বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে।
উল্লেখ্য, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গত ৩০ অক্টোবর রবিবার বিকাল ৪টায় বৈঠকে বসেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের প্রতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তারা।
এদিকে, পণ্যপরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেটের পাইকারি ও খুচরা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ধর্মঘটের কারণে পাইকারি বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসতে পারেনি ট্রাক, পিকআপ প্রভৃতি যানবাহন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, পাথর তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা সিলেটের কোয়ারিগুলো পরিদর্শনে আসবেন। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখবেন পাথর তোলার যৌক্তিকতা আছে কি না। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেটে লেগুনার ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত
সিলেটে লেগুনার ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বটেশ্বরে জৈন্তিয়া গেইট এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী ইউসুফ আহমদ (৭) জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ও কানাইঘাট উপজেলার মানিকগঞ্জে বাউর ভাগপূর্ব গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী বুলবুল আহমেদের ছেলে। বর্তমানে জৈন্তাপুরের ঘাটেরচটি গ্রামের আবু সাইদ (পোস্ট মাস্টার) এর বাড়িতে ভাড়া থাকেন বুলবুলের পরিবার।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় সড়কে ৪ জনের প্রাণহানি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ স্কুল শেষে তার মায়ের সঙ্গেই বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু রাস্তা পারাপারের সময় জাফলংগামী দ্রুতগামী লেগুনা গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিএমএইচে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. কবির জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং ঘাতক লেগুনা জব্দ করি।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে দেড় ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সিলেট-শারজাহ্ রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু
যাত্রীদের সুবিধার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে শারজাহ্ রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এদিন বিমানের ফ্লাইট বিজি২৫১ ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪৫ এ যাত্রা করে সিলেট পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০মিনিটে। এরপর সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে শারজাহ্-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ৯ অক্টোবর থেকে তিন রুটে ফের বিমানের ফ্লাইট চালু
ফ্লাইটটি শারজাহ্ পৌঁছাবে বুধবার (২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২টায়।
ফিরতি ফ্লাইট শারজাহ থেকে বুধবার রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে এসে সিলেট পৌঁছাবে বুধবার সকাল ১০টা ১৫মিনিটে।এরপর সিলেট থেকে সকাল ১১ টায় ছেড়ে এসে ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১১টা ৪০মিনিটে।
ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে শারজাহ্ রুটে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু ২৫ ডিসেম্বর
ঢাকা-ব্যাংকক রুটে পুনরায় বিমানের ফ্লাইট শুরু ২ ডিসেম্বর
পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার ভোর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে দুই দিনের এই ধর্মঘট ডেকেছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সে বৈঠকে বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন’ বলা হলেও শ্রমিক নেতারা বলছেন- ‘ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ বলেন, আমাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে বছরের পর বছর ধরে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর বৈধ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সংকটে। ব্যবসায় পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব।
তিনি বলেন, অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সড়কে চাঁদাবাজি: সিলেটে ৭২ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি ও ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পাথর কোয়ারি পুনরায় চালুর দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পণ্য পরিবহন মালিকরা।
পণ্যবাহী পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই পাথর সরবরাহ করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-ট্রাক, পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকায় সিলেটের পণ্য পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩১ অক্টোবর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা
তারা আরও জানান, অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহণে ভাটা পড়েছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল জানান, পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ সবাই ঋণের জালে আবদ্ধ। আমরা এ নিয়ে বারবার প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি এবং গত ১৬ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবির ব্যাপারে তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে পাথর কোয়ারি খুলে না দিলে সোমবার থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিন: যাত্রীদের চরম ভোগান্তি
পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় সড়কে ৪ জনের প্রাণহানি
কিছুতেই থামছে না সিলেটের সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে বিভাগের তিনটি সড়কে প্রাণ গেলো চার জনের।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) রঞ্জন ভৌমিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই দিন বিকালে অজ্ঞাত নামা বৃদ্ধা মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী ট্রাক চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের জকিগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।
জকিগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের জকিগঞ্জ মানিকপুর ইউপির কলাকুটা বাংলাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলা সদর ইউপির সেনাপতিরচক গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে ইমন আহমদ (২৪) এবং মানিকপুর ইউপির দেওয়ানচক গ্রামের আবদুল মানিকের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে ট্রাকসহ চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমন ও মুক্তার মোটরসাইকেলযোগে মানিকপুরের দেওয়ানচকের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মানিকপুরের বাংলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ সময় ট্রাকটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় পুলিশ জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ট্রাকের সন্ধান করতে থাকে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
একপর্যায়ে জকিগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজার এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ট্রাকসহ এর চালক ও সহকারীকে আটক করে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের সুন্দ্রগাঁও পয়েন্টে কোম্পানীগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাস গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়।
নিহত আজির উদ্দিন (৬৫) গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সুন্দ্রগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় সড়ক পার হচ্ছিলেন আজির উদ্দিন। এসময় বেপরোয়া একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই আজিরের মৃত্যু হয়।
সিলেট অঞ্চলে ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সড়কে বিপজ্জনক বাঁক, রোড মার্কিংয়ের অভাব, ফিডার রোড (পার্শ্ব রাস্তা) এবং সড়কে সিএনজি অটোরিকশার দাপটে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার মূল কারণ।
এ চারটির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গাড়ি চালানো, অতিদ্রুত বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, গতিসীমা অনুসরণ না করা, মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন করা, রোড সাইন, মার্কিং ও ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে ধারণা না থাকা বা ধারণা থাকলেও তা মেনে না চলা, ওভারটেক, সামনের গাড়ির সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চালানো, চালকের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে গাড়ি চালানো, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না নিয়ে অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় একটানা গাড়ি চালানো, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিক্ষার স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত ট্রেনিং ও অনভিজ্ঞতাও দুর্ঘটনার কারণ।
আরও পড়ুন: মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে দেড় ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে একই রেল লাইনে দুটি ট্রেন আসার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি কন্টেইনার ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে একই রেললাইনে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আখাউড়া স্টেশনে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও আজমপুরে স্টেশনে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা আটকা পড়েছিল।
আরও পড়ুন: বগি লাইনচ্যুত: গাজীপুরে ৮ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
জানা যায়, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস দাঁড়ানো ছিল। একই সময়ে প্রায় একশ গজ দূরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ৬০৪ নং কন্টেইনার চলে আসে।
ট্রেনের সহকারি চালক আবু তালহা জানান, সিগন্যাল পেয়েই আখাউড়ায় প্রবেশ করছিলেন। এ সময় সামনে ট্রেন দেখে জরুরি ব্রেক ধরে ট্রেন থামিয়ে ফেলেন।
স্টেশন কেবিন মাস্টার খায়রুল ইসলাম বলেন, 'চালক সিগন্যাল অতিক্রম করেছে। কেন সেটা তিনি করলেন সেটা আমি জানিনা।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিফ হোসেন সিকদার জানান, সৃষ্ট সমস্যার সমাধান শেষে সবগুলো লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এতে আটকে পড়া ট্রেনগুলো তাদের নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ক্রেন উল্টে লাইনে: ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ
দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু
সিলেটে ৩১ অক্টোবর থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা
পাথর উত্তোলন করার সুযোগ না দিলে আগামী সোমবার (৩১ অক্টোবর) থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। দাবি মানা না হলে সমগ্র সিলেট বিভাগে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি শুরুর হুমকি দিয়ে আন্দোলনে নামছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান- সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারীগুলো থেকে স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত, বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছেন। গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের দাবি, পাথর উত্তোলনের নামে বিরানভূমি সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে কোয়ারিগুলোর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন; কিন্তু এতে ‘আতে ঘা’ পাথর রাজ্যের লর্ডদের। তারা গরিব শ্রমজীবীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে রাখার পাশাপাশি চালাচ্ছেন নানামুখী তৎপরতা।
ট্রাক মালিক সমিতির নেতা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেছেন, ‘এর আগে আমরা গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করি। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিলেটের পাথরকোয়ারি খুলে দেয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টা এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সকল প্রকার পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার