সিলেট
জকিগঞ্জে ৮০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের জকিগঞ্জে আটশ’ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার বাউরভাগ দক্ষিণ এলাকার জলাল আহমদের ছেলে বাবুল আহমেদ (২৮) ও নিজ বাউরভাগ পর্ব এলাকার আব্দুস শুকুরের ছেলে এবাদুর রহমান (২২)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেরোইন-ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জকিগঞ্জের শাহগলি বাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে বাবুল আহমেদ ও এবাদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ আট হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, শনিবার জকিগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও দেড় লাখ ইয়াবা জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
সিলেটে পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জের রানাপিং এলাকায় পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গোলাপগঞ্জ উপজেলার চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও উত্তর চক্রবানী গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান (৭২), তার স্ত্রী জেলি বেগম (৬০) ও জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের তোপখানা গ্রামের সুনা মিয়ার ছেলে ইউনুস মিয়া (২৮), তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭৩৯: প্রতিবেদন
তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে চারখাই থেকে ছেড়ে আসাসিলেটগামী সিএনজি অটোরিকশা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বিয়ানীবাজারগামী পিকআপের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসামাত্র মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
এছাড়া স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
দেশকে শক্তিশালী ভিত্তি দিতে জাতির পিতা সবকিছুই করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফেরার পর দেশকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তা করে গেছেন। জাতির পিতা হিসেবে যা যা করার তিনি তার সবকিছুই করে গেছেন৷
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন। মাত্র আড়াই মাসের মাথায় বন্ধুপ্রতিম দেশের সৈন্যদের ফেরত পাঠিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই জাতিসংঘসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সকল সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশকে শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে মাত্র নয়মাসের মাথায় একটি অপূর্ব শাসনতন্ত্র (সংবিধান) তৈরি করে দিয়েছেন।’
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রামীর গল্প’ শীর্ষক বইয়ের কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট সিটি কর্পোরেশন, চন্দ্রাবতী একাডেমির সহযোগিতায়, ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বঙ্গবন্ধুকে পড়’ প্রতিপাদ্যে আগস্ট মাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয়-সবক্ষেত্রে কাজ করে গেছেন। কৃষি ক্ষেত্রে যেসব পলিসি, স্ট্রাটেজি বঙ্গবন্ধু রেখে গিয়েছিলেন সেগুলো এখনো আমাদের চলার পথে পাথেয়। বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্র বিষয়ক অপূর্ব একটি নীতি আমাদের দিয়ে গেছেন, আমরা এখনো সেটা অনুসরণ করি, আর সেটা হলো- ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়।’
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর এসব অর্জনের কথা শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জন্য বই পড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রামীর গল্প’ বইয়ের লেখক, বিশিষ্ট সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন।
সেলিনা মোমেন তাঁর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রামীর গল্প’ শীর্ষক বইটি লেখার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সহজ ভাষায় শিক্ষার্থীদের জানানোর তাগিদ থেকে এই বইটি লিখেছি। শিক্ষার্থীরা যদি জানতে পারে যে, বঙ্গবন্ধু কী ধরণের মানুষ ছিলেন, ছোট বেলায় তিনি কী করতেন, কীভাবে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসতেন-এগুলো যদি সহজ ভাষায় শিক্ষার্থীদের জানানো যায়- তাহলে তারাও দেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত হবে।’
তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন-তোমরাও সেভাবে দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখো।’
বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে উল্লেখ করে সেলিনা মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলার অর্থ হলো-এদেশের মানুষ যেন ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত জীবন পায়, দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হয়-আর এটাই বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে। আর সোনার মানুষ হতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁকে অনুসরণ করতে হবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
পড়ুন: শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গোয়াইনঘাটে স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সোনাটিলা এলাকার নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাদিয়া আক্তার (১০) উপজেলার সোনাটিলা গ্রামের শাহনআলম মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় গুচ্ছগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মা তাদের সন্তানদের রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটিকে একা ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই যুবকের আত্মহত্যা
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বাথরুমে ঝুলছিল স্কুলছাত্রের লাশ
সিলেটে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙাটিকর দারোগা বাড়ির নিজ ঘরের বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাছুম আহমদ (১৮) জেলার কুয়ারপাড় ভাঙাটিকর এলাকার রুসেল মিয়ার ছেলে ও আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ জানান, সন্ধ্যার দিকে বাসার বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে মাছুমের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলে স্বজনরা লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) রমাকান্ত অন্যান্য পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, মরদেহের সুরতহাল অনুযায়ী স্কুল পড়ুয়া তরুণ আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজনও বলতে পারছে না মাছুম কি কারণে আত্মহত্যা করল। তবে এর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জৈন্তাপুরে নৌকা দিয়ে বালু শ্রমিকদের ব্যতিক্রমী অবরোধ!
সিলেটের জৈন্তাপুরের বড় নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু, পাথর উত্তোলন বন্ধ, বোল্ট গেট দিয়ে বালু-পাথর পরিবহন বন্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরকারি রয়েলটি আদায়ের দাবিতে নৌকা দিয়ে নদীপথ বন্ধ করে অবরোধ পালন করেছে বালু শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সারী নদীর ইন্দারজু এলাকায় নৌকা বন্ধন করে শ্রমিকরা নদীপথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়৷
অবরোধ পালনকারী সারী নদী নৌকা শ্রমিকের সভাপতি আমির আলীর সহ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সম্প্রতি সারী নদীর তৃতীয় অংশের মামলাভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি দাগগুলো ইজারা দেয় সরকার। কিন্তু উল্লেখিত দাগগুলোতে বালু-পাথর না থাকায় মামলাভুক্ত দাগ থেকে অবৈধ ভাবে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও স্থানীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবহার এবং বোল্ট গেট নৌকা ব্যবহার করে বালু-পাথর পরিবহন করা এবং স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে তারা এই অবরোধ পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি চা বাগান
শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে সচেতনতা। দেশে খাদ্যের মান যাচাইয়ের জন্য বিএসটিআই আছে। তবে খাদ্যের প্যাকেটের ওপরে লেভেল লাগিয়ে দেয়ার মধ্যেই যেন তা সীমাবদ্ধ না থাকে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিৎ খাদ্যের মান যাচাই করে তা বাজারকরণ করা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
উপাচার্য বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে একটি বিভাগ আছে। তারা দেশ ও বিদেশে খাদ্য নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে খাদ্য সামগ্রীতে যে বিষাক্ত কেমিকেল মিশানো হতো তা থেকে আমরা অনেকটা বেরিয়ে এসেছি। আশাকরি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজালমুক্ত খাবারের ক্ষেত্রে আরও বেশি নজরদারি বাড়াবে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি ২০১৯ সালেই বৃদ্ধি করা উচিৎ ছিল: গবেষক আশ্রাফুল
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্মসচিব মো.রেজাউল করিম এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, পরিচালক ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খান।
সিলেটে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার২
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাড়ে ১২শ' পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রণকেলী উত্তর গ্রামের রকলিছ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার লগাটি গ্রামের আব্দুল মন্নান ফারুকের ছেলে ফাহিম আহমদ (২৯)।জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পার্থ সারথি দাসের নেতৃত্বে রণকেলী উত্তর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এক হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে আটক ৩, ইয়াবা জব্দ
এছাড়াও অভিযুক্ত ফাহিম আহমদকে ১০ পিস ইয়াবা ট্যবলেট সহ গ্রেপ্তার করা হয়।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও তিনজন পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আসামিসহ পলাতক আরও তিনজনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়।মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ২
কক্সবাজারে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র
বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সিলেট থেকে ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। সোমবার সকাল ৭টায় নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।
এই যাত্রায় তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ-এই চার জেলা আংশিক বা সম্পূর্ণ অতিক্রম করবেন।
২৮৫ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছাতে তার প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছের এই মুক্তিযোদ্ধা।
সিলেট জেলা নৌপুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আহমদ জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশসহ সিভিল সার্জনের একাধিক টিম তার সঙ্গে আছে। পানিতে অবস্থানকালীন সময়ে তার যাতে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না হয়, বা হলেও যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে ব্যাপারে সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করবে।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য বলেন, যেহেতু সিলেটে তিনি অবিরাম সাঁতারে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেহতেু এখান থেকে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে চান। তবে এখন পানি কম থাকায় এ অভিযানে খানিকটা অসুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
তিনি বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ২০১২ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করলেও এখনো কনসালট্যান্ট হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধিনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছি। ছাত্রজীবন থেকে সাঁতার আমার নেশা। আমি একজন অবিরাম শৌখিন সাঁতারু।
তিনি বলেন, ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতারে সফল হলে বয়স্ক সাঁতারু হিসেবে এটা একটা বিশ্বরেকর্ড হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটা ব্যাপার হবে।
ক্ষিতীন্দ্র ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলেটের এমসি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি অবিরাম সাঁতারু। একাধিক জাতীয় রেকর্ডের পর অবিরাম সাঁতারু হিসেবে বিশ্বরেকর্ডও করেছিলেন। তবে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় একজন মার্কিন সাঁতারু। এখন আবার প্রায় ৭০ বছর বয়সে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে সাঁতারে নেমেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু আ. মালেককে কেউ মনে রাখেনি
গত শনিবার দুপুরে নগরের মেন্দিবাগস্থ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য বলেন, ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটানা ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং ১৯৭৬ সালে ১০৮ ঘণ্টা পাঁচ মিনিট অবিরাম সাঁতার কেটে জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করি। ২০১৮ সালে ১৮৫ কিলোমিটর দূরপাল্লার সাঁতার কাটি যা ছিল আরেকটি স্থানীয় রেকর্ড। ১৯৭৪ সালে সেই রেকর্ডের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে রূপার নৌকা দিয়ে সম্মানিত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আমি দূরপাল্লার বা অবিরাম সাঁতারের সঙ্গে জড়িত। সেবার নিজের থানা নেত্রকোণার মদনে টানা ১৫ ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলাম। তারপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ১৯৭৩ সালে সিলেটের এমসি কলেজের পুকুরে টানা ৮২ ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলাম।
আরও পড়ুন: বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৪০ সাঁতারু
এছাড়াও সিলেট নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন পুকুর, ধোপাদিঘীতে, সুনামগঞ্জ এবং ছাতকেও দীর্ঘসময় অবিরাম সাঁতার কেটেছেন বলে জানান তিনি।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি চা বাগান
টিলাঘেরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সবুজ ক্যাম্পাসের দুটি টিলায় শুরু হয়েছে চা নিয়ে গবেষণা। দুই একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম এই অর্থকরী ফসলের চাষ ও গবেষণা চলছে। গত তিন বছর ধরে এই চা বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম. সাইফুল ইসলাম।
সকালের সোনালী আলোতে চা বাগানে ঢুকতেই উঁচু নিচু সবুজ ল্যান্ডস্কেপ মনকে তরতাজা করে দেয়। এই ভাদ্র মাসে ছায়াগাছ দিয়ে আবৃত চা বাগান কচি কশিলয়ের ঘ্রাণে মো মো করছে। বোঝাই যাচ্ছে চায়ের পাতার তোলার উপযুক্ত সময় চলছে। ছায়াগাছের গোড়ায় গোড়ায় লাগানো গোলমরিচ ও খুলনা বিভাগের বিখ্যাত চুই ঝাল গাছ লতে বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে।
শুধু চা নয় কফি গাছেরও দেখা মিলল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি চা বাগানে। পানীয় ফসলের এই বাগানে আরও রয়েছে লেমন ঘাস ও তুলসি। অধ্যাপক সাইফুল জানিয়েছেন এগুলো চায়ের মূল্য সংযোজন করে। আরও রয়েছে কাজু বাদাম। এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে চা নিজেই ওষধি গাছ। তুলসী, বাদাম এবং লেমন ঘাস এর ঘ্রাণ ও মানের সাথে ওষুধি গুণাগুণও বাড়িয়ে দেবে।
চা গাছে যেমন কচি পাতা এসেছে, কফি গাছেও এসেছে থোকায় থোকায় ফল। কফি এরাবিক ও কফি রোবাস্তা এই দুই জাতের কফির গবেষণা চলছে এখানে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কফির চারা সংগ্রহ করা হয়। চাষ ব্যবস্থাপনা, জাত নির্বাচনের তারতম্যে কফি উৎপাদনে কী প্রভাব পড়ছে সেটি দেখাই মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও ফল সংগ্রহের সময় এবং বেকিং টইম কম বেশি করে কফির উৎপাদন ও মান বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলছে।
ড. সাইফুল বলেন, ‘পাট শিল্প, চিনি শিল্প ইতোমধ্য নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে, চা শিল্পের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে। গ্রাম থেকে শহর আবাল-বৃদ্ধবনিতা প্রিয় পানীয় চা। বাংলাদেশে দিনদিন এর চাহিদা বেড়েছে কিন্তু উৎপাদন সে অনুপাতে বাড়েনি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারকে ২০১৫ সাল থেকে বাইরের দেশ থেকে চা আমদানি করতে হচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৫ মাস খরার সময় বাংলাদেশে চা পাতা তোলা যায় না। তাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চা বাগানে ড্রট টলারেন্ট ভ্যারাইটি বা খরা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া চলছে।’
পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
তিনি জানান, একজন পিএইডি ছাত্র তার সাথে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গবেষক দলটি দেশ বিদেশের বিভিন্ন বাগানের সেরা সেরা চায়ের চারা সংগ্রহ করেছে। সেচের পরিমাণ কমিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে চা গাছ টেকানো যায় কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইট (পাতার রস খেয়ে ফেলে এক ধরণের ক্ষুদ্র পোকা) এবং অন্যান্য পোকা চা পাতার কি কি ক্ষতি করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মাইট ও পোকা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দুই প্রকার চায়ের চাষ হয়। একটি চীনের চা বা ক্যামেলিয়া সাইনেসিস, আরেকটি আসামের চা বা ক্যামেলিয়া আসামিকা। সিলেট এক সময় ভারতের আসাম অঞ্চলেরই অংশ ছিল। সিলেট ও আসামের ভূপ্রকৃতি এবং আবহাওয়া প্রায় একই রকম। তাই সিলেটের উপত্যকায় আসামিকা চায়েরই উৎপাদন বেশি। স্ট্রং মল্ট ফ্লেভার এবং বড় দানার জন্য এর চাহিদা ব্যাপক। আসামের টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্র থেকে আনা হয়েছে বিশেষ প্রজাতির ৯টি জাত। তবে গবেষক ড. সাইফুল মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-২ চা কে এগিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বিটি-২ এর পপুলেশন ডেনসিটি (স্থান অনুযায়ী গাছের আধিক্য) সামান্য বাড়িয়ে দিলেই মোট উৎপাদন বেড়ে যায়। তিনি প্লান্ট স্পেসিং (এক গাছের থেকে আরেক গাছের দূরত্ব) কমিয়ে বিটি-২ চাষ করতে চা বাগান মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাতা বড় দেখে অনেকে আসামিকা জাত চাষ করে থাকেন। কিন্তু মানের দিকে বাংলাদেশি জাতগুলোই সেরা।
উৎপাদন বাড়াতে তিনি একশ বছরের বুড়ো চা গাছগুলোকে রিপ্লেস করার জন্য টি স্টেটগুলোকে অনুরোধ করেছেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চা বাগানে ৯ প্রজাতির ভারতীয় টোকলাই প্রজাতির চা গাছ ছাড়াও, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-১ থেকে বিটি-২২ পর্যন্ত ক্লোনগুলো চাষাবাদ হচ্ছে। সাথে রয়েছে একটি বাইক্লোনাল ভ্যারাইটি ও ৪টি বাংলাদেশি বাগানের ক্লোন। ল্যাটিন স্কয়ার ডিজাইনের এই গবেষণা মাঠ থেকে প্রতিদিন ২৪টি প্যারামিটারে তথ্য সংগ্রহ চলছে।
পড়ুন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
চা শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে গবেষক ড. সাইফুলের কিছু আক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৩০টিরও বেশি বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি, চা উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় চা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন লোক নেই। বাগানগুলোতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ হচ্ছে না বিধায় আজ চা শিল্পের বেহাল দশা। চা উৎপাদনশীলতা, চা গাছের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েট লাগবে।’
সঠিক জায়গায় সঠিক মানুষ না থাকলে একসময় এ শিল্পটি মুখ থুবরে পড়তে পারে বলে এই গবেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিটি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কৃষিবিদ নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, ক্যাম্পাসের এই ছোট্ট চা বাগানটি প্রাথমিক অবস্থায় এনএটিপির প্রজেক্ট ছিল। পরবর্তীতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এখন বড় একটি জার্মপ্লাজম স্থাপিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগ ও কীটতত্ত্ব বিভাগ এই গবেষণায় সরাসরি যুক্ত হয়েছে। প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. সাইফুল ইসলাম ছাড়াও এই গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মালেক এবং রশীদুল হাসান।
পড়ুন: রাজধানীতে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ