সিলেট
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এই দুই জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নদীর তীর উপচে নতুন করে সিলেট নগরীরর বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বন্যাকবলিত পরিবারগুলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের আশঙ্কা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বন্যা, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি
সিলেটে ফের বন্যা, ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে আবারও সিলেটের পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ।
গত কয়েক দিনের মতো বুধবার ভোর থেকেও অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানি ক্রমশ বাড়ছে।এরই মধ্যে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে। গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।এদিকে সুরমা নদীর তীরবর্তী সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে ইতোমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কালিঘাট ও মহাজনপট্টির নদী তীরবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবারো পানি ঢুকেছে।
আরও পড়ুন: ছাতকে বন্যায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
এছাড়া নগরীর সোবহানীঘাট, ঘাসিটুলা, উপশহর ও ছড়ারপাড়সহ বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে।গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে সবকটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এই উপজেলার সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীর গাও, রুস্তমপুর, তোয়াকুল, লেংগুড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান জানান, এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।তিনি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।এদিকে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম, চতুল, সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে কানাইঘাট পৌর শহরের পূর্ব বাজারে পানি প্রবেশ করায় অনেক দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আগাম বন্যা, পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
সিলেটে দেশের প্রথম আর্টস কলেজের যাত্রা শুরু
দেশের প্রথম এবং একমাত্র আর্টস কলেজ হিসেবে সিলেট আর্টস কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার বিকালে সিলেট শহরের কুমারপাড়া এলাকায় এই কলেজের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
এ সময় মন্ত্রী বলেন, শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় সিলেটের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য রয়েছে। সিলেটের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মকে সংস্কৃতিবাণ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে সিলেট আর্টস কলেজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ড. মোমেন বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানে পৃথক আর্ট কলেজ রয়েছে, এমনকি সঙ্গীত, নৃত্যচর্চার পৃথক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু সিলেট আর্টস কলেজে একই সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় পড়ানো হবে। সেদিক থেকে এটিই দেশের প্রথম আর্টস কলেজ।
পরে তিনি সেখানে সিলেট আর্ট অ্যান্ড অটিস্টিক স্কুল এবং শাহ আলম গ্যালারি অব ফাইন আর্টস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি সংকট: সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট আর্টস কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট আর্ট অ্যান্ড অটিজম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বেলাল ও সিলেট আর্টস কলেজের অধ্যক্ষ হেরল রশিদ।
আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রয়াত আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ।
শনিবার সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পারস্হ হাফিজ কমপ্লেক্সে সাবেক অর্থমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের চেহলাম অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দরিদ্র একটি দেশ থেকে আজ বিশ্বের দরবারে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে। সর্বক্ষেত্রে একজন সফল মানুষ হিসেবে দেশের উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
এসময় বড় ভাই এএমএ মুহিতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিত ভাই ছিলেন একজন জিনিয়াস টেলেন্টেড (মেধাবী প্রতিভাবান) ব্যক্তি। তার চিন্তা ও চেতনায় সবসময় ছিল মানুষের কল্যাণ, দেশের টেকসই উন্নয়ন। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ করে দিয়েছেন, এজন্য তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নিজ এলাকার মানুষের পাশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
এর আগে শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগ সিলেটের আয়োজনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যরা, জাতীয় সংসদ সদস্যসহ সিলেটের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ তার কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির সোনার বাংলা গড়ার মিশন নিয়েছেন। যেখানে ধনী-দারিদ্র্যের আকাশসম পার্থক্য থাকবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরতলীর খাদিমনগরের যেহীন আহমদ মিলনায়তনে ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি) আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগানো গেলে সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই, দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, অতিদারিদ্রের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের নিচে নামলে দেশ দারিদ্রমুক্ত বলে গণ্য হয়। আমাদের দেশে এখন অতিদারিদ্রের সংখ্যা সাড়ে ১০ শতাংশ। করোনার কারণে দারিদ্র্যের হার কমছে না। তবে, আমরা লক্ষ্য বাস্তবায়নে সফল হবো।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কুয়েত, রোমানিয়াসহ ইউরোপের বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিতে আগ্রহী। আমরা সেভাবে লোকবল পাচ্ছি না। অনেক স্কলারশিপও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে জানে না বলে আবেদন করেন না।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর বঙ্গবন্ধু উচ্চশিক্ষা বৃত্তি-২০২১ চালু করা হয়েছে। এজন্য মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত তিন জন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দুই জন শিক্ষার্থীকে আগামী চার বছর প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এফআইভিডিবি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ সাফওয়ান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, এফআইভিডিবির নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তফা রাজী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, এফআইভিডিবি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
সিলেটে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সিলেটে সরকারি সফর করেছেন। এ সময় তিনি চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দোরাইস্বামী সিলেটের চালিবন্দরে উমেশ চন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত পাঁচতলা মহিলা হোস্টেলটির উদ্বোধন করেন।
ভারত সরকারের ৪.৩৫ কোটি টাকার আর্থিক অনুদানে উমেশ চন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রবাস ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত অলাভজনক এই মহিলা হোস্টেলে ১৬০ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
এছাড়া বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
পারাবত ট্রেনে আগুন, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ বন্ধ
ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনের এসি বগিতে আগুন লেগেছে। এতে ঢাকা-সিলেট রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগরের বিমানঘাঁটির পাশে পৌঁছালে ট্রেনটির এসি বগিতে আগুন লেগে যায়।
আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেসে থাকা যাত্রী সুখেন দাশ প্লাবন সাংবাদিকদের জানান, আমি ট্রেনটির এসি বগিতে বসেছিলাম। হঠাৎ বগিতে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সামনে এগিয়ে দেখতে পাই ট্রেনটিতে আগুন ধরে গেছে, পরে আমরা ট্রেনের দায়িত্বরত টিটিকে জানালে তিনি ট্রেনটি থামানোর উদ্যোগ নেন। এখন পর্যন্ত ট্রেনটির তিনটি বগি আগুনে পুড়ে গেছে, অন্যান্য অক্ষত বগিগুলোকে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া বগিগুলোতে থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনের দায়িত্বরতরা ধারণা করছেন ট্রেনটির এসির কোন ত্রুটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রীমঙ্গল থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর শমসেরনগর গিয়ে পারাবত এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
শমসেরনগর স্টেশন মাস্টার শাখওয়াত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। এ ঘটনায় ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ঘটনাস্থলে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসেছে। আশপাশ থেকে আরও ইউনিট ডাকা হয়েছে।
শমসেরনগর রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর বলেন, হঠাৎ ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ট্রেনের এসি কেবিনসহ তিনটি কেবিন আগুনে পুড়ে যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে দেয়ায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক ঘন্টা পর পুড়ে যাওয়া তিনটি বগি রেখে ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার হাবিদুর রহমান বলেন, ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
কুমিল্লায় বগি লাইনচ্যুত: ৩ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, সিলেটে যুবক গ্রেপ্তার
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ায় আইসিটি আইনে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জৈন্তাপুর মডেল থানা-পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট নগরের সোবহানিঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মনির আহমদ (৩৮)। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কারগ্রামের বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আইডির পরিচিতিতে তিনি নিজেকে জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত ৯ জুন মনির আহমদ তার ফেসবুক আইডি থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে একটি স্ট্যাটাস দেয়। ওই স্ট্যাটাসে মনির শতাধিক ব্যক্তিকে ট্যাগ করেন। শুক্রবার মনির আহমেদের ফেসবুক আইডিতে ওই পোস্ট আর পাওয়া যায়নি। তবে ওই ফেসবুক পোস্টের একটি স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে। সেই পোস্টে লেখা ছিল, ‘মন্ত্রী ইমরান আহমদ-এর ভয়ে শ্রীপুর আলুবাগানের আবদুল হান্নান-এর অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই, এদিকে আবদুল হান্নানের ছোট বইনের জামাই বেড়াতে আসছে শ্বশুরবাড়িতে, তাই অন্যায়ভাবে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ ধরে নিয়ে চালান করলো সিলেট আদালতে।’
এ ঘটনায় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা সাব্বির আহমদ রানা (২৬) বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় সাইবার সিকিউরিটি ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর জৈন্তাপুর মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম সিলেট শহরের সোবহানিঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
মামলার বাদী সাব্বির আহমদ বলেন, ‘মনির একটি গোষ্ঠীর মদদে মন্ত্রীর দীর্ঘদিনের অর্জিত সম্মান নষ্ট করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় আনতেই মামলা দায়ের করি।’
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ‘প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারায় মনির আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় মনিরকে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আরএসআরএম গ্রুপের এমডি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
সিলেটের বিশ্বনাথে ডবল মার্ডারের দুই মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত তিন জন ও মামলার প্রধান আসামিসহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাদির পশ্চিম গাঁওয়ের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১০ আসামির মধ্যে পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মনাফ (৪৬) ও তার ছেলে সুহেল আহমদ (৩৩) ও ইলিয়াস আলীকে (৩৮) ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দশঘর গ্রামের ধন মিয়াকে (৪৫) তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মতিন (৩৫), ইসলাম উদ্দিন (৩০), আলম (২৯), রেজাউল করিম (৩০) ও ছাতকের কাদিপুরের রুবেল আহমদকে (২৮) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া আসামি পক্ষের আজমান আলীর দায়ের মামলায় বাদী নুর উদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী (৫৫) ও আকবর আলীকে (৪৫) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথের সিংগেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী এবং আব্দুল মনাফ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবারক আলীর পক্ষের আব্দুল খালিক (৪৮) ও আব্দুন নুর (৪৬) নিহত হন। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর নিহত আব্দুল খালিকের ছেলে নুর উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল মানফসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । অন্যদিকে এ ঘটনায় আব্দুল মনাফ পক্ষে আজমান আলী বাদী হয়ে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বলেন, আদালতের এই রায়ে তারা হতবাক হয়েছেন। কারণ ডবল মার্ডারের ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কোনো বিধানে।
সেজন্য বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তারা।
সিলেটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
সিলেটে মাদক মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিলাল আহমদ ইমন জকিগঞ্জ উপজেলার দিঘলীগ্রাম এলাকার উত্তরকূল গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ২টার দিকে এস আই (উপপরিদর্শক) মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জকিগঞ্জের আটগ্রাম বাসস্ট্যান্ড থেকে বিলাল আহমদ ইমনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩৯ বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় এস আই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইমনকে একমাত্র আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
এ মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এর বিচারক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া আসামি বিলাল আহমদ ইমনকে অবৈধ মাদক বহন ও বাজারজাত করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড.শিশির কুমার রায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা ও জজ ৩য় আদালত এর এপিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড