সিলেট
সিলেটে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে লিল মিয়া নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
নিহত লিল মিয়া (৩৫) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের আকলু মিয়ার ছেলে।
চার সন্তানের জনক লিল মিয়া পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
ওসি আরও বলেন, রেললাইনের পাশে লাশটি পড়ে থাকায় রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানায় মামলা হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ভুট্টাখেত থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার
সিলেটে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাংলা বাজার ব্রীজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান, নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল, নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ। তারা সকলেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রাইভেট কারে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তারাও মারা যান।
পরে রাতেই লাশগুলো হাসপাতাল থেকে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বার বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শান্তনা দেন।
এছাড়া দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। এছাড়া শতশত ছাত্রলীগ নেতা কর্মী হাসপাতালে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ফয়েজ আহমদ নামে অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক ফয়েজ আহমদ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাগ এলাকার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার একটি কলোনীতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জমি কেনা-বেচার মধ্যস্থতাকারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, সকালের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটা খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। লাশটির সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সুরমা নদীর তীর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের ঘরে বাক্স থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের (বরখাস্ত) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিউল হাসান সানী (২৯) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের ভালকি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরিরত ছিলেন। দুই মাস আগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল হক।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষক নিহত
সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শফিউল হাসান সানী মোটরসাইকেলযোগে গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে ওসমানীনগরের ব্রাহ্মণশাসন এলাকায় যাওয়া পথে বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি জানান, মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে কর্মবিরতিতে চা বাগানের শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ ৭ দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে। স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক মমতা রায় বলেন, ‘চা বাগানই আমাদের জীবন। আমরা চা বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না। ২ সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে পেটের তাগিদে আন্দোলন শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আত্মসাতের ৬ লাখ টাকাসহ দুই ‘ব্রাদার’ আটক
অপর শ্রমিক গীতা হালদার বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে কোনো বেতন ভাতা নাই। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করাতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই।’
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, ‘কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণে বার বার বেতন আটকে যাচ্ছে। এতে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বেতন না পাওয়ার কারণে সংক্রান্তি উৎসব পানসে হয়ে গেছে। আমরা অচলাবস্থার অবসান চাই। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।’
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, ‘গত ২ সপ্তাহ ধরে বাগান শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তিও আমরা পাচ্ছি না। অধিকার হারিয়ে, অধিকার পাবার দাবিতে ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে পাথর আমদানি বন্ধ
নির্বাচন ২০২৪: সিলেট বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি)দ্বাদশ সংসদের ৩০০টির মধ্যে ২৯৯টি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রাজশাহী বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
সিলেট বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
সুনামগঞ্জ-১ আসনে রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ সাদিক ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট-১ আসনে এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমেদ, সিলেট-৫ আসনে মোহাম্মদ হুসামুদ্দিন চৌধুরী ও সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: ময়মনসিংহ বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও মৌলভীবাজার-৪ আবদুস শহীদ জয় পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হয়েছন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রংপুর বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে আত্মসাতের ৬ লাখ টাকাসহ দুই ‘ব্রাদার’ আটক
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্সের ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালের দুই পুরুষ নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আটক দুই ব্রাদার হলেন সুমন ও আমিনুল। তাদের একজন হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে এবং অপরজন বহির্বিভাগে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
ব্রিগেডিয়ার মাহবুব দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামিমা প্রথমে তাকে জানান, সাদা পোশাকের একদল লোক সিনিয়র নার্স আমিনুলকে ধরে নিয়ে গেছে। এরপরই
ডিজিএফআই’র সংশ্লিষ্টরা তাকে ফোন করে জানিয়েছেন, অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৬ লাখ টাকাসহ তারা আমিনুল ও সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।
তিনি আরও জানান, একজন নার্সের এরিয়ার বিল সংক্রান্ত লেনদেনের সূত্র ধরে এদের আটক করা হয়। তবে আমিনুলকে আটক করা হলেও ওই গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য ছিলো, ওসমানীর নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আলোচিত সমালোচিত ইসরাইল আলী সাদেক সেখানে লেনদেন করার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি না গিয়ে সেখানে অন্যদের পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারসহ আটক ৩
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুব আরও জানান, হাসপাতালটিকে জিম্মি করতে বিভিন্ন দালাল চক্র সক্রিয়, এটা সবাই জানেন। তবে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। গোয়েন্দা সংস্থাটি এখন এ বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি জানান, ছয় লাখ টাকাসহ আটক আমিনুল ও সুমনের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বোর্ড গঠন করে পুরো বিষয়টি তদন্ত করবেন।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাসিক প্যানেল মেয়র আটক
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে পাথর আমদানি বন্ধ
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক মতবিনিময় সভা থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থতি বাংলাদশে শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসেসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে বর্তমানে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ক কর প্রত্যাহাররে দাবিতে সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে উভয় দেশে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৩ ডলার এসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারে দাবিতে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুল্ক কর না কমানো পর্যন্ত তারা পাথর আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জারাবো কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোন, স্টোন চিপস এবং লাইমস্টোন পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্ক মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ৪ জানুয়ারি এক চিঠিতে ৮ জানুয়ারি থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় দুটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি সড়কে টায়ার ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একদল লোক। এ সময় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় শতাধিক ব্যক্তি। পরে পুলিশ এসে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাশাপাশি অবস্থিত পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে শতাধিক ব্যক্তি হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি টায়ারে আগুন জ্বালান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ ভোট, মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে তাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ককটেল বিস্ফোরণ, শিশুসহ আহত ৪
এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, কেন্দ্র দখল করে ভোট ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালিয়েছিল একদল বিক্ষোভকারী। যদিও পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে তারা বিএনপির কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে দুটি ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৪৬ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমায় ট্রাকে অগ্নিকাণ্ড ও মহানগরের আম্বরখানা এলাকায় বিএনপির ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে মামলাগুলো করা হয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে সিলেট মহানগরের আম্বরখানা জামে মসজিদের সামন থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্বাচন বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও মিছিল শুরু করেন।
এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সাপ্লাই এলাকায় গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। এ সময় ধাওয়া করে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক জালাল খাঁন, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা আলী হায়দার মজনু, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নেতা জেবুল আহমদ ও সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
এসএমপি এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছে। আটক চারজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি আছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এছাড়া বিএনপির আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
এদিকে, শুক্রবার দিবাগত দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পের পাশে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী