সিলেট
জাফলংয়ে প্রবেশ ফি: ৭ মাসে আয় ৪০ লাখ টাকা
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন জাফলংয়ের জনপ্রিয় ও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি থেকে গত সাত মাসে ৪০ লাখ টাকা আয় করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে জাফলংয়ে প্রবেশে চালু করা হয় ফি। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে জনপ্রতি এখন ১০ টাকা ফি দিয়ে টিকিটের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রবেশ করতে হয় জাফলংয়ে।
এদিকে, ফি চালুর পর থেকে অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। জাফলংয়ের টিকিট কাউন্টারে বৃহস্পতিবার (৫ মে) পর্যটকদের মারধরের ঘটনার পর আবারও টিকিটের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
আগে পর্যটকরা জাফলং জিরো পয়েন্টে যেতেন বল্লাঘাট এলাকা দিয়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন গুচ্ছগ্রাম এলাকা দিয়ে পর্যটক প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের ওঠানামার সুবিধার জন্য বানানো হয়েছে সিঁড়ি। আর গুচ্ছগ্রামে বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই বসানো হয়েছে টিকিট কাউন্টার।
প্রবেশ ফি চালুর বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘গত বছর জেলা পর্যটন কমিটির সভায় ফি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। এটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মীর মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ফি আদায় করে।’
তিনি বলেন, ‘জাফলং পরিষ্কার রাখাসহ পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য কিছু অস্থায়ী কর্মী রাখা হয়েছে। এই টাকায় ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হিসাবে তাদের বেতন দেয়া হয়। কর্মীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সর্বনিম্ন পাঁচ-ছয়জন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জন কাজ করেন।’
পর্যটকদের ওপর হামলাকারীদের সম্পর্কে তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক বলা হলেও আসলে তারা স্বেচ্ছাসেবক নন। সম্মানির বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। অন্যদের থেকে তাদের আলাদা করার জন্য অ্যাপ্রোন দেয়া হয়েছে।’
পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘১০ টাকার বিনিময়ে আমরা পর্যটকদের কয়েকটি সেবা দেই। পর্যটন এলাকায় ড্রেস চেঞ্জ করার রুম ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকরা এগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা। এ ছাড়া প্রবেশ ফি দিয়ে পর্যটন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখারও কাজ করা হয়। টিকিট দেখালে পর্যটকরা সহজে ও নির্ধারিত দামে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি পান।’
জমা হওয়া টাকার বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘টিকিট ফি থেকে প্রতিদিন সমান টাকা ওঠে না। একেক দিন একেক রকম হয়। আমি দিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা আদায় হতে দেখেছি। উপজেলা পর্যটন কমিটি নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ ফি জমা হয়। ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট প্রশাসনের নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকরা জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নারী ও শিশুসহ একদল পর্যটককে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুপুর ২টার দিকে টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক ঘটনাস্থলে যান। পরে হামলাকারী পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় আহত সুমন নামের এক পর্যটক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন। তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে আগামী সাত দিন পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টিকিট বাবদ টাকা আদায় করা হবে না। জাফলং সবার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য আগামী সাত দিন জাফলং উন্মুক্ত থাকবে।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবকসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাহমিলুর রহমান জানান, মূল হামলাকারী দুই স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং টোল কাউন্টারে নিযুক্ত থাকা দুই স্বেচ্ছাসেবককে সাথে সাথে বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, 'পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।'
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছে টোল কাউন্টারের স্বেচ্ছাসেবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে লাঠি নিয়ে শিশু, নারী ও পুরুষসহ ছয় পর্যটকের ওপর হামলা চালায় তারা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে একটি পরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে যান। টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সঙ্গে কাউন্টারের লোকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ছয় পর্যটকের ওপর হামলা চালায় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, 'পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।'
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে'।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ের ডাউকি নদী থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার
ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের পরদিন বুধবার সকাল দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র জনস্রোতে মুখর হয়ে উঠে।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ কাটাতে জাফলংয়ে ভিড় করেছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো জাফলং যেন লোকে লোকারণ্য। পিকআপ, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকযোগে যে যেভাবে পেরেছে পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ছিল পর্যটকবাহী যানবাহনের সারি। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের গুচ্ছগ্রাম থেকে তামাবিল পর্যন্ত দীর্ঘকায় যানযট ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকরা।
অপরদিকে পর্যটক স্বেচ্ছাসেবক ও জাফলংয়ে নিযুক্ত টুরিস্ট পুলিশদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যটন স্পটের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে সার্বক্ষনিক পর্যটক নিরাপত্তায় থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এমরুল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমানের সমন্বয়ে একাধিক টিমের টহল চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে ঈদ
পর্যটন পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখকে সাঁতার না জানা পর্যটকের উদ্দেশে হ্যাণ্ড মাইকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়।
এমনকি লাইফ জ্যাকেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
পর্যটক দম্পতি সোহেল মাহমুদ ও তামান্না ইসলাম বলেন, সারা দেশ এমনকি বহিঃবিশ্বেও জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। খুব ভালো এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি। পাহাড় টিলা সবুজের সমারোহ, স্বচ্ছ জলারাশি, দিগন্ত জুড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী হৃদয়ে বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়।
সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিলেট সিলেট নগরীর লালদীঘিরপার এলাকার হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মামুন পারভেজ বলেন, রবিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সাদিয়ার মৃত্যু
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
মার্কেটের সেক্রেটারি আব্দুস ছুবহান জানান, মার্কেটের ৫নং গলির বিসমিল্লাহ স্টোর নামের রেডিমেইড কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পরই অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে একটি সিগারেটের গুদামসহ মার্কেটের ৩, ৪ ও ৫ নং গলিতে ২০টি কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে। অনেকের দোকানের মালামাল লুটপাটও হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন
প্রসঙ্গত, টিন দিয়ে নির্মিত মার্কেটটিতে অন্তত তিন হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ৯০ ভাগই শাড়ি-লুঙ্গি ও রেডিমেইড কাপড়ের দোকান। এসব দোকানে পাইকারি ও খুচরা কাপড় বিক্রি হয়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
সাবেক অর্থমন্ত্রী, সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, ভাষাসৈনিক, বরেণ্য লেখক আবুল মাল আবদুল মুহিতের শেষ জানাযার নামাজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে।রবিবার (১ মে) বেলা ২টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ি। জানাযার পরে আলিয়া মাঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।জানাযার আগে মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। এসময় বক্তারা মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রীএর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ। সেখানে ফুল আর চোখের জলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের সিলেটবাসী।শহীদ মিনারে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে সেখানে সিলেটের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হন।আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে সেখানে কালো কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় শ্রদ্ধা নিবেদন মঞ্চ।প্রথমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) একটি চৌকস দল ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। পরে প্রয়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেনএরপর সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদসহ আরও অনেকে।শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জানাজার জন্য মরদেহ আনা হয় নগরের আলিয়া মাদরাসা ময়দানে।মরদেহ আসার আগেই মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশালাকারের মাঠ। সিলেটের সূর্য সন্তানের জন্য মানুষের ভালোবাসা আরেকবার প্রমাণিত হলো জানাজায় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। এ সময় জানাজার আগে মরহুমের স্মৃতি চারণমূলক বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।সেখানে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আবুল মাল আবদুল মুহিতের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরের রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। সেখানে তার বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ এবং মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। বেলা পৌনে ৩টায় দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোকএর আগে, শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মুহিতের লাশ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যান সিলেটের পথে রওয়ানা হয়ে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরের হাফিজ কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। সেখানে মরদেহ গ্রহণ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সেই রাখা হয় মরদেহ। সিলেটের মানুষ তাকে একনজর দেখে নেন শেষ দেখা। তবে মরদেহ আসার আগে থেকেই সেখানে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হন। মরদেহ আসার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়।এদিকে, সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে থেকেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ও প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ধোপাদিঘীরপাড় হাফিজ কমপ্লেক্সে ভিড় করেন। এসময় নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বাসার আঙ্গিনা।সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মরদেহ সিলেটে পৌঁছার আগে ২ দিনের কর্মসূচি হাতে নেয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।প্রসঙ্গত, আবুল মাল আবদুল মুহিত বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যের নানা জটিলতা ও লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। এরপর গত শুক্রবার রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।মুক্তিযুদ্ধে দেশের পক্ষে অনন্য অবদান রাখা দেশের এই কৃতি সন্তান ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ। মা-বাবা দুইজনই তৎকালীন সিলেট জেলার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৪ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে। শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শনিবার বেলা ২টায়। এর পরপরই সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওয়ানা করা হয়।বর্ণাঢ্য জীবনসংক্ষেপ :আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান তিনি। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত শিক্ষক।যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।সিএসপি হওয়ার পর মুহিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তিনি পরিকল্পনাসচিব হন। এর আগে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এটিই ছিল এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হলে সেপ্টেম্বরে তিনি হন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক।আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন এবং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন। শর্তটি ছিল, নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।এরশাদ কথা না রাখলে দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মুহিত। এরপর তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এ পদক দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জনপ্রশাসন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়ে মুহিত বই লিখেছেন ৪০টি।অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত মোট ১২টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন, যার ১০টি আওয়ামী লীগ সরকার আমলের।
সিলেটে পৌঁছেছে এএমএ মুহিতের মরদেহ
সাবেক অর্থমন্ত্রী, কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক এ এম এ মুহিতের মরদেহ শনিবার রাত ১০টার দিকে সিলেট পৌঁছেছে। এই সময় সেখানে গর্বিত এই সন্তানকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করে।
পরে শহরের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুর ২টায় সিলেট সরকারী আলিয়া মাদনাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে নগরীর রায়নগরস্থ পারিবারিক গোরস্তানে মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
এএমএ মুহিত, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থমন্ত্রীদের একজন। একমাত্র তিনি টানা ১০ বছর ধরে অর্থনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়ন যুগের এই স্থপতি শনিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গুলশান আজাদ মসজিদে মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শনিবার জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
মুহিত বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তার করোনা ধরা পড়ে, এরপর তিনি সুস্থ হয়েছিলেন। তারপর মার্চ মাসে বার্ধক্যে কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিত
সাবেক অর্থমন্ত্রী, খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আগামীকাল রবিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সড়কপথে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্সে তার মরদেহ আনা হবে। রবিবার দুপুর ১২টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন
পরে দুপুর ২টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার রায়নগরের ডেপুটি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দীর্ঘ অসুস্থতাজনিত কারণে মুহিত মারা যান বলে ইউএনবিকে জানান তার ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
২০২১ সালের ২৫ জুলাই এমএ মুহিত করোনা আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন। সবশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
ঈদে ৮ দিন বন্ধ থাকবে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুক্রবার থেকে আট দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমসের উপ-কমিশনার (স্থল শুল্ক স্টেশন) শাহেদ আরেফিন জাহেদি।
তিনি জানান, তামাবিল স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য কার্যক্রম ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৭ মে থেকে পুনরায় চালু হবে।
তবে স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস
সিলেটে ফুটবল সমর্থকদের লড়াই: হাসপাতালে আহত রেফারির মৃত্যু
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফুটবল ম্যাচ চলাকালে হামলায় গুরুতর আহত ২৭ বছর বয়সী রেফারি দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়জুল করিম জানান, নিহত আবু সুফিয়ান পৌরসভার রনকেলী নয়াগ্রামের বাসিন্দা।
১৮ ফেব্রুয়ারি রণকেলি টাইগার ক্লাবের আয়োজনে নয়াগ্রাম ও নুরুপাড়ার ৯নং ওয়ার্ডের নুরুপাড়া রাঙাই বিছড়া মাঠে সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে তারিফুর রহমান (২৫) নামে একজন নিহত হন এবং আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। মর্মান্তিক এই ঘটনার দ্বিতীয় শিকার হন আবু সুফিয়ান।
এ ঘটনায় রনকেলী নয়াগ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের তারিফুরের বড় ভাই তাহমিদুর রহমান বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের সময় ২ জনের মৃত্যু
তিনি জানান, এরপর পুলিশ চার জনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।