ওসি
সিলেটে কনস্টেবলের মিস ফায়ারে ওসি আহত
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কনস্টেবলের মিস ফায়ারে আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা (পিপিএম)।
দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীর শটগান থেকে অসাবধানতাবশত এ গুলি বের হলে তিনি আহত হন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সাতমাইল নামক স্থানে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)।
তিনি বলেন, এটা বড় কিছু নয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট বিএনপির নেতা পংকী ও আশফাক গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
চট্টগ্রামে ইউএনও-ওসির উপর হামলার ঘটনায় ২মামলা, আসামি ৪০০
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ চলাকালে দখলদারদের হামলায় ইউএনও ও ওসি সহ ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দুইটি মামলা করেছে পুলিশ।
দুটি মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৪০০ জন নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বাদী হয়ে দুইটি মামলা দুটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীতাকুণ্ড থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দুইটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক আইনে এবং আরেকটি পুলিশের কাজে বাঁধা, হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব মামলায় ঘটনার দিন আটক সাগর, মুকবুল এবং মনোয়ার বেগম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূলের ২নং সমাজের বড়ইতলা এলাকায় ১নং খাস খতিয়ানের বি,এস ৩৬০ এবং ৩৬১ দাগের ১০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেরার পথে অবৈধ দখলদারদের হামলায় আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদসহ ১০ জন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ইউএনও’র মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলা ও আহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন বলেন, হার্ট ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া একটি জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদাররা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আছেন। তাদের বেশ কয়েকবার নোটিশ করলেও কিন্তু তারা দখল ছাড়েননি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে রেলগেটে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত: গেটম্যানকে আসামি করে মামলা
তিনি আরও বলেন, ওই স্থান থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে ১০ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বিকালের দিকে উচ্ছেদ শেষে ফেরার পথে অবৈধ দখলদারদের হামলায় গুরুতর আহত হন ইউএনও, ওসিসহ বেশ কয়েকজন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত তোফায়েল আহমেদ জানান, হামলার সময় রক্ষা পেতে পুলিশ ৪৬ রাউন্ড গুলি চালায়। হামলাকারী এক নারীরসহ সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরিচালিত এই অভিযানকালে উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর মৌজার বি.এস ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বি.এস ৩৬০ ও ৩৬১ দাগের পাহাড় শ্রেণির এই জমিতে থাকা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে রেললাইনে থেমে যাওয়া গাড়িতে ট্রেনের ধাক্কায় ৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সীতাকুণ্ডে প্রাইভেটকারকে কন্টেইনার লরির চাপা, অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেল ৫ যাত্রী
সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও ইপিজেড থানার ওসিকে বদলি করা হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় এই বদলি আদেশে সই করেন।
রদবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি বলেন, নিয়মিত বদলীর অংশ হিসেবে চার থানায় ওসি পদসহ ১১ জন পুলিশ পরিদর্শক পদে রদবদল হয়েছে। এ ছাড়াও সিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সাতটি পদে রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
বদলি আদেশে দেখা গেছে, ডবলমুরিং থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেনকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগে, তার স্থলে পদায়ন করা হয়েছে সিটিএসবির পরিদর্শক ফজলুল কাদের পাটোয়ারীকে। পাহাড়তলীর ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিটিএসবিতে বদলি করে পাহাড়তলী থানায় আনা হয়েছে হালিশহরের ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দীনকে, হালিশহরে পদায়ন করা হয়েছে বাকলিয়ার ওসি তদন্ত মো. কায়সার হামিদকে।
এ ছাড়া ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিমকে সিটিএসবিতে, তাঁর স্থলে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোসাইনকে ওই থানার ওসি, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অভিযান) আরমান হোসেনকে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত), তার স্থলে সিটিএসবির পরিদর্শক নুরুল বাশারকে, অপরাধ শাখার পরিদর্শক আল মামুনকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শহিদুর রহমানেক বাকলিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত পদে রদবদল করা হয়।
একই আদেশে কোতোয়ালির ওসি (অপারেশন্স) মো. আরমান হোসেনকে একই থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, সিটিএসবির মো. নুরুল বাশারকে বদলি করে কোতোয়ালীর ওসি (অপারেশন্স), অপরাধ শাখার পরিদর্শক মো. আল মামুনকে বায়েজিদের ওসি (তদন্ত) এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. শহিদুর রহমানকে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণা শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ফিরোজ কবিরকে রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা দিতে না পারলে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী তা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন।
তাদের ব্যাংক হিসাবে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় অভিযোগ দাখিল করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ৩ জনকে দুদকে তলব
প্রায় আড়াইঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয় ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদকে তলব
যুবলীগ নেতাকে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি প্রত্যাহার
যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ৮ ঘণ্টা পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অভিযুক্ত ওসির নাম কামাল হোসেন।
পুলিশ সুপার বলছেন, প্রশাসনিক কারণে ওসি কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রত্যাহারের অর্ডারে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাকি চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা
প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা থেকে সদর থানার ওসি কামাল হোসেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যায়ভাবে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ এনে বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা আদালতে ওসি কামলাসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক।
মামলায় আসামি করা হয়- সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেবকে।
মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দীনকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এছাড়াও সিভিল সার্জনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
আদালতে দাখিলকৃত আবেদনে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসির কার্যালয়ে পুলককে লাঠি দিয়ে পেটান ওসি কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব। পরদিন সকালে পুলিশ ১৫১ ধারায় একটি মামলা দিয়ে পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।তবে ওসি কামাল হোসেন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল বৈশাখী মেলায় তারা অশালীন আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। উপস্থিত জনতা তাদের মারধর করেছে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ওসি রায়হান হয়ে নিরবের অভিযান
ছবিতে পুলিশের পোশাক পরে নিরব হোসেনকে দেখে মনে হতে পারে কোনো নতুন সিনেমার লুক। তবে এমনটা আদতে নয়, চিত্রনায়ককে এই চরিত্রে দেখা যাবে একটি বিজ্ঞাপনে। এই বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের একটি ছবি এটি।মঙ্গলবার (১৩সেপ্টেম্বর) একটি পত্রিকার বিজ্ঞাপনের শুটিং মানিকগঞ্জে রয়েছেন নিরব। সেখান থেকে ইউএনবিকে জানান, অনন্য মামুনের নির্দেশনায় বিজ্ঞাপনটিতে ওসি রায়হান চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন:'হেই সামালো' দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ১বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ হচ্ছে পাঁচটি গল্প নিয়ে। যেখানে সমাজের বিভিন্ন পেশার পাঁচটি চরিত্র উঠে আসবে। সেখানকারই একটিতে দেখা যাবে নিরবকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের গল্পটা ভিন্নধর্মী। এখানে আমি ওসি রায়হানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যিনি একটি অভিযান চালান। আর কাজটি বেশ উপভোগ করছি।’এই বিজ্ঞাপনে আরও রয়েছেন ফারুক আহমেদ, মাসুম বাশার, বড়দা মিঠু প্রমুখ।উল্লেখ্য, ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ শিরোনামে নতুন এক সিনেমা সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নিরব। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন নিপুণ আক্তার ও ইয়ামিন হক ববি।
আরও পড়ুন:শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল সিসিমপুর
কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও ফেনী কারাগারে বন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কক্ষে ফেনী থানার ওসি কর্তৃক তল্লাশির অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
তবে কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নিজাম উদ্দিন।
বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, তাকে (বাবুলকে) মানসিক চাপে রাখতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে। কারাগারের অভ্যন্তরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রবেশ করে কিভাবে একজন হাজতির কক্ষে তল্লাশি চালান তা বিস্ময়কর।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: নিজের মামলায় ফের জামিন না মঞ্জুর বাবুল আক্তারের
তিনি জানান, বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করেন। কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। জেল কোড অনুসারে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের সুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।
আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।
এদিকে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি বাবুল আক্তরের কক্ষ তল্লাশি করতে যাইনি। এটা আমার এখতিয়ারেও পড়ে না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কারাগারে গিয়ে কোন কোন আসামির কক্ষ আমি তল্লাশি করতে পারি না।
তবে তিনি জানান, অন্য একটা মামলার বিষয়ে গতকাল তিনি ফেনী কারাগারের জেল সুপারের অফিসে গিয়েছিলেন, সেটা বাবুল আক্তরের বিষয় ছিল না।
আরও পড়ুন: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন
স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
নেত্রকোণার মদনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, এএসআই খোরশেদ আলম, পুলিশ সদস্য আজিজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম, রিপন, বুলবুল আহমেদ, রোকন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ, সাগরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির আহত সাতজন নেতাকর্মীকে স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চানগাও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে দু-পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।’
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩
মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ জানান, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের ওপর ইট ছোঁড়া হয়। আমাদের সাত জন নেতাকর্মীকে আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন কালে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সাত নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালন করার খবর পেয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেতেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইট,পাটকেল ছোঁড়ে। এতে আমি ও আমার দুই জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
সোনাগাজীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত ৭