জামিন
করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপরোক্ত বেঞ্চে দায়িত্বপালনকারী রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
তিনি জানান, করোনা সনদ জালিয়াতির মামলায় গত বছরের ৩১ মার্চ হাইকোর্টের জামিন চেয়ে আবেদন জানায় সাহেদ। আজ আদালত আবেদনটি নট প্রেস রিজেক্ট করেছেন।
জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত। অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিলেও পরবর্তীতে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেন। করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার হোতা সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশত মামলা রয়েছে। এর বেশিরভাগই প্রতারণার অভিযোগে করা। সাহেদ কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারি: শাহেদের সহযোগী গ্রেপ্তার
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় এলডিপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদের জামিন বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
গত ৯ মার্চ দেয়া এই নির্দেশনার রায়ের অনুলিপি গতকাল বুধবার প্রকাশ পেয়েছে। রায়ে মামলা বাতিল চেয়ে তার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলাটির বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বিশেষ জজ আদালতের বিচারককে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রমের ওপর ২০০৮ সালে দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর রমনা থানায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দুই কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সম্পদ ও এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৮ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৭ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছর মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন রেদোয়ান আহমেদ। তখন হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: গুলির ঘটনায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ানের জামিন নামঞ্জুর
মানহানির ২ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
মানহানির অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ দুটি মামলায় তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
পরে কায়সার জানান, রুল নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে এই দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী। ২০১৯ সালে ১৮ জুন এ দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাস করে জামিন দেন হাইকোর্ট। সে সময় হাইকোর্ট এ দুটি মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে রুল দিয়েছিলেন। সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। তবে তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। মামলার নথি (রেকর্ড কল) তলব করেছেন। এছাড়া আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য আইজিপি ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ডেসটিনি এমডির জামিন শুনানি শেষ, আদেশ ২৭ সেপ্টেম্বর
চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা। এরমধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন সাবেক এই সেনা প্রধান। পাশাপাশি জামিনও চান।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকের জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ হাইকোর্টের
ডেসটিনির দুই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
জামিন পেলেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালতে তোলা হলে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত শর্তসাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ফজলে এলাহী রাঙামাটি থেকে প্রকাশিত দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
রাঙামাটি জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে সাত কার্য দিবসের মধ্যে উপস্থিত হওয়ার শর্তে আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা বলেন, আসামির সামাজিক মর্যাদা ও সাংবাদিকতার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হলে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
পড়ুন: রাজধানীতে ডিবিসি নিউজের প্রডিউসারের মরদেহ উদ্ধার
অবৈধ চাল মজুত: স্কয়ারের এমডির আগাম জামিন
অবৈধভাবে চাল মজুদের অভিযোগে করা মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
গত ১ জুন দিনাজপুর সদরে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে প্রশাসন। তবে ওই মিলের মাত্র ৩১২ টন অনুমোদন রয়েছে। সে হিসাবে চার হাজার টনের বেশি চাল বেশি মজুত ছিল। এ ঘটনায় করা মামলায় মিলের ইনচার্জকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওইদিন দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদ জানান, উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে কোম্পানিটির ছয়টি গুদামে গত ৩১ মে বিকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এ সময় ছয়টি গুদামে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল পাওয়া যায়। তবে অনুমোদন ছিল মাত্র ৩১২টন।
এ সময় কাগজপত্র ও মিলে চাল মজুতের হিসাব চাওয়া হলে মিলের ইনচার্জ জায়েদ হোসেন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মিলের কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে উদ্ধার করা চাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
তিনি জানান, এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে একটি অভিযোগ দেন এবং মিলের ইনচার্জকে পুলিশে দেয়া হয়। তাছাড়া চালের পরিমাণ বেমি হওয়া এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব না, তাই অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠানো হয়। এ ছাড়া মিলের ইনচার্জ জায়েদকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
জব্দ চালের বাজার মূল্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা।
ঢাবিতে সংঘর্ষ: ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকসহ ৩৫ জনের আগাম জামিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে শাহবাগ ও পল্টন থানায় করা পৃথক দৃই মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ ৩৫ জনের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে ওই সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তারা সশরীরে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বুধবার আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মুহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে প্রথম দফায় গত ২২ মে এবং দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ মে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পরবর্তীতে ২২ মে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় এবং ২৭ মে দিবাগত রাতে ঢাবির শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। এসব মামলায় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি করা হয়-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন এবং সদস্যসচিব মো. আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাটের করা আবেদনটি ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ফলে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ওই মামলায় ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ সম্রাটকে জামিন দেন। এই জামিন বাতিল চেয়ে ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। এর শুনানি নিয়ে ১৮ মে হাইকোর্ট সম্রাটকে দেয়া জামিন বাতিল করে তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে সম্রাট আপিল বিভাগে আবেদন করেন; যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে সম্রাটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ক্যাসিনোকান্ডে ধরা খাওয়ার পর দায়ের হওয়া চার মামলার সব কটিতেই জামিন পাওয়ায় ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট। তিনি এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন। গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পর সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব।
সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে মামলা করে। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এই মামলায় আগামী ৯ জুন অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই
সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিনের আদেশ বৃহস্পতিবার
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় অভিযুক্ত চার আসামির করা পৃথক আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার শুনানি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে এদিন আদেশ দেবেন। জামিন আবেদনকারী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলেন-এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল এবং ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন মানিক।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ২৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেয়। পরবর্তীতে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে সস্ত্রীক সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের আরও মামলা
হাইকোর্টে জামিন পাননি দুদকের সাবেক পরিচালক বাছির
ঘুষ গ্রহণের মামলায় আট বছরের দণ্ডিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির হাইকোর্টে জামিন পাননি।
বৃহস্পতিবার তার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট তার জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় খালাস চেয়ে করা তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি। জামিন আবেদনের ওপর অনেকক্ষণ শুনানি শেষে তার আইনজীবীরা আবেদন ফেরত (টেক ব্যাক) নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে আপিল করেছিলেন একই মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান। ৬ এপ্রিল হাইকোর্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন।
রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে৷
তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেয়া হয়নি।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়।