জামিন
জামিনের পর কারামুক্ত বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী
পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন পাওয়ার একদিন পর বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাই শহরের একটি কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু পর্নোগ্রাফিক ফিল্ম তৈরি ও আপলোড করার অভিযোগে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৯ জুলাই রাজকে গ্রেপ্তার করে। গত সপ্তাহে মুম্বাই পুলিশ এই মামলায় ১৪ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অনুপ্রেরণাদায়ক পোস্টে শিল্পা লিখেছেন,‘সবসময় এমন কিছু মুহূর্ত থাকে যা আপনাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এইরকম সময়ে, আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনি যদি সাতবার পড়ে যান, তাহলে নিজেকে শক্ত করে তুলুন যাতে আপনি অষ্টম বারের মতো উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হন।’
১৯ জুলাই কয়েক ঘণ্টার জেরার পর পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজকে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্নোগ্রাফি সিনেমা তৈরির অভিযোগে শিল্পা শেঠির স্বামী গ্রেপ্তার
মুম্বাই পুলিশের মতে, রাজের সিনেমা প্রযোজনা সংস্থা ভারতে পর্নোগ্রাফিক ছবিগুলো তৈরি করে এবং তারপর যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানির মাধ্যমে ব্রিটেনে স্থানান্তরিত করে।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চ মুম্বাইয়ে পর্নোগ্রাফিক ফিল্ম তৈরি করা এবং কিছু অ্যাপের মাধ্যমে প্রকাশ করার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। রাজ কুন্দ্রাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ তিনি এর মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করছে পুলিশ।
যদিও ৪৫ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যবসায়ী জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি নির্দোষ।
২০১৩ সালে, দিল্লি পুলিশ স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাকে জেরা করেছিল, যা দেশের বহু মিলিয়ন ডলারের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি রাজস্থান রয়্যালস দলের সহ-মালিক।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ ‘বলি’: অভিনব চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
২০০৯ সালে শিল্পা ও রাজ গাঁটছড়া বাঁধেন। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
মোদী বিরোধী বিক্ষোভ: ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনের জামিন
গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতার জন্য আটক হওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনকে ঢাকার একটি আদালত জামিন দিয়েছেন। রবিবার ভার্চুয়াল শুনানির সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস জামিনের এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, এমডি নয়ন, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিসান, মো. সোহেল আহমেদ, শেখ খায়রুল কবির, শোভন হোসেন, গোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম এবং কাজী বাহাউদ্দিন মনির।
আরও পড়ুন: ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আকরাম গ্রেপ্তার
২৫ মার্চ, মোদির সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ যখন নেতাকর্মীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তখন পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে। তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরদিন পুলিশ এই সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে।
আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর আগাম জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল হকসহ বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি মো: মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক কেয়ার চেয়ারম্যানের জামিন, সন্তানদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসাইন রাশেদ। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে বিএনপিপন্থি ১১ আইনজীবীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল হককে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ওসমান গনি মল্লিক মাখন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রশিদ তামান্না, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম সোহাগ, অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তফাজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ আনার, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার।
সস্ত্রীক কেয়ার চেয়ারম্যানের জামিন, সন্তানদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তাঁর স্ত্রী নাসরিনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নিহত মিতুর বাবার করা মামলায় ভোলাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে ভোলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হাসিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
মিজানুর রহমান জানান, ভোলা এসপি বাবুল আক্তারের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে কারামুক্তি পান। বাবুল আক্তার গ্রেপ্তারের পর তার শ্বশুর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় আগাম জামিন চাইলে আদালত তাকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন। চার সপ্তাহ পর অবশ্যই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। খুনিরা মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসপি বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে এ দুইজনের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুছার নাম উঠে আসে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করে বলে জবানবন্দিতে বলা হয়। মুছা ও ভোলা এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এরপর পুলিশ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। পরে মুছার ভাই সাইদুল ইসলাম সাক্কু এবং মো. শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম রাশেদ ও নুরুন্নবী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ওইবছর ৫ জুলাই তারা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান ভোলা।
স্ত্রী মিতু হত্যার ঘটনা জেরে পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয়েছে বাবুল আক্তারকে। ওই হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। এনিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গতবছর জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই’র তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তা উঠে আসে। এরপর বাবুল আক্তারের শশুর বাদী হয়ে গত ১২ মে বাবুলকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তার এখন কারাবন্দি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
আর মূল পরিকল্পনাকারী মুছাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ধুম্রজাল রয়েই গেছে। পুলিশ বলছে মুছা পলাতক। তার সন্ধানদাতাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষনা দেয় পুলিশ। তবে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার ওইবছর ৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, ওই বছর ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মুছাকে গ্রেপ্তার করে।
পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাহ শহিদুল আলম।
এ বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
জামিন: পরীমণির তো হলো, অন্য দুজন মেয়ের কথা কে বলবে?
সারা দেশ কাঁপিয়ে পরীমণির জামিন হলো। বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। বিভিন্ন টকশো, ওয়েবিনার, আলোচনা সভায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার সাহসের কথা বলছেন। আমরাসহ সবাই খুশি। কিন্তু আর দুজন পিয়াসা আর মৌ, তাদের কথা কি হারিয়ে গেছে? তাদের কথা কে বলবে? পরীমণি চর্চার মাঝখানে আমরা কি তাদের ভুলে গেছি?
কোনো আলাদা অপরাধ নয় তাদের
তাদের যে অপরাধ সেটা একই-মদ, ইয়াবা, ব্ল্যাকমেইল… তাদেরই প্রথম ‘রাতের রানী’ নাম দেয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এরা দিনে ঘুমায় আর রাত ভর পার্টি করে। তারা বড়োলোকের ছেলেদের সাথে ফষ্টি নষ্টি করে, ছবি তোলে, তারপর ব্ল্যাকমেইল করে’ ইত্যাদি। তাদের বেশি দিন রিমান্ড হয়নি, পরে সেখান থেকে জেলে। তাদের জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি, তাদের কোটি কোটি সমর্থক নাই। সেই কারণেই কি তাদের জামিনের জন্য কেউ হাইকোর্টে রিট করেনি?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র কেবল পরীমণির জন্য রিট করলো কেন? তারা তো দেশের নামজাদা আইন সহায়ক ও নারী অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, কি হতো আর দুই-তিনটা নাম জুড়ে দিলে?
জামিনের অধিকার সবার আছে। তবু সবার কথা তুলছি না, পিয়াসা আর মৌয়ের কথা বলছি। কারণ তারাও কারো না কারো কন্যা, যে কোনো কারণেই হোক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তবে বিচার হয়নি এখনো। তাই জামিন চাওয়াটা কি অপরাধ? পাওয়াটা কি অন্যায়?
তাদের মুক্তি-জামিন হয়তো কোনো রাজনৈতিক বিজয় হবে না। হয়তো তারা কাউকে ‘বিচ’ বলবে না, পত্রিকা হেডলাইন করবে না, টকশো হবে না কিন্তু রাষ্ট্রের যে শক্তি তাতে তাদের জামিন দেয়াটা কিছুই নয়। সেই কারণেই বলছি।
আমাদের আন্দোলন ব্যক্তির জন্য হয়ে গেলে, যে উদ্দেশে এতো সব কথা, লেখা, মানববন্ধন সবই দুর্বল হয়ে যাবে। পরীমণির জামিন লাভে অনেকে রাজনৈতিক অর্জন খুঁজে পেয়েছেন, কেউ পেয়েছেন আদর্শগত বিজয়। সবার জামিন হলে সমাজের তেমন কোনো লাভ হবে না হয়তো। তবে প্রমাণ হবে গ্রেপ্তার হওয়ার বেলায় সব অপরাধী যেমন সমান, জামিন পাওয়ার ব্যাপারেও তাই। ওদের জামিন দিন।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন ও ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
পার্থ গোপালের জামিন বাতিল, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
সিলেটের সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিককে ঢাকার নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এসব আদেশ দিয়েছেন।
আদেশে ঢাকার বিশেষ জজ মো. ইকবাল হোসেনকে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মামলাটি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ কে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলাটির বিচার শেষ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র বাসায় হামলা: ১২ আ’লীগ নেতাকর্মীর জামিন
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পার্থ গোপাল বণিকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির বিপ্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে হাইকোর্টে দু’বার পার্থ গোপাল বণিকের আবেদন খারিজ হয়। ওই সময়ে হাইকোর্ট পৃথক আদেশে প্রথমে ৬ মাসের মধ্যে ও পরে একবছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পরও নির্ধারিত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। এ অবস্থায় পার্থ গোপাল বণিক গত ১৯ জুন জামিন পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন আদেশ নিয়ে তার পরদিনই তিনি জেল থেকে বের হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতার জামিন
পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেয়ার ও কারামুক্তির বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। এছাড়া তার জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত ২৮ জুন হাইকোর্ট বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে কোন যুক্তিতে ওই বিচারক পার্থ গোপালকে জামিন দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চান। এছাড়া এ জামিনের বিষয়ে চ্যানেল-২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ওই জামিনের ব্যাপারে ভুল স্বীকার করে ব্যাখ্যা দাখিল করে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা চান। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি করে হাইকোর্ট রায় দেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পার্থ গোপাল বণিককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এতে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮০ লাখ টাকা উপার্জন করে পাচারের উদ্দেশে বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন বলে প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন: পার্থ গোপাল বণিকের জামিন: বিচারকের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
এতে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে তিনি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপমহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তার এই বেতন স্কেলের সঙ্গে এত টাকা অর্থ উপার্জন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গত বছরের ৪ নভেম্বর পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
ইউএনও’র বাসায় হামলা: ১২ আ’লীগ নেতাকর্মীর জামিন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে এই মামলায় আরও ৯ আসামির জামিন হয়। এনিয়ে এ মামলার ২১ আসামির জামিন আবেদনই মঞ্জুর হলো।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার জেনারেল রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির জামিন চেয়ে গত ২৯ আগস্ট আবেদন করা হয়। তখন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. আনিছুর রহমান। তিনি জামিন আবেদন গ্রহণ করেন, ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। আজ শুনানি শেষে আবেদন করা ১২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে গভীর রাতে প্রশাসন ও আ'লীগের সমঝোতা
জামিন প্রাপ্তরা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, রূপাতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু, লিটন ঘোষ, মো. রাকিব, শুভ হাওলাদার, শাহিনুল ইসলাম শাহিন, শুভ ঘোষ, মো.অলিউল্লাহ, মিরাজ গাজী ও হারুন অর রশিদ।
আরও পড়ুন: বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস জানান, এর আগে ২৫ আগস্ট দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এতে ইউএনও ও পুলিশের করা হামলা ও মামলায় গ্রেপ্তার ২১ আসামির মধ্যে দুই জন ছাড়া অন্য সবাই জামিন পেয়েছে। বাকী দুইজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তারা জামিন পাননি।
মুক্তি পেলেন পরীমণি
মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি। সাদা পোশাক ও সাদা স্কার্ফ পরিহিত পরীমণি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
সকাল সাড়ে নয়টার পর পর কারাগার থেকে বের হয়ে একটি সাদা গাড়িতে চড়ে তার খালু ও আইনজীবীর সঙ্গে কারাগারের প্রধান ফটকে আসেন পরীমণি। এসময তিনি গাড়ি থেকে একটু বের হয়ে উপস্থিত ভক্তদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এবং ভক্তদের সাথে সেলফি তুলেন।
চিত্র জগতের নায়িকা পরীমণির মাথায় এ সময় সাদা ওড়না বাঁধা ছিল। তার চোখে মুখে ছিল খুশির ঝিলিক। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান।
আরও পড়ুন: পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
এর আগে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জানান, গতকাল জামিন মঞ্জুর হলেও জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছাতে রাত হয়ে যাওয়ায় রাতে আর বের হওয়া সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন আদেশ দেন। তিন কারণ বিবেচনায় পরীমণিকে জামিন দেয়া হয়েছে। যেহেতু পরীমণি একজন চিত্রনায়িকা এবং একজন নারী।
তাছাড়া সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রীতিলতা নামক একটি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের শিডিউল চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন আদালত।
গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।