জামিন
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরপর সোমবার তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, পরে ৩১ মার্চ সাংবাদিককে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ০১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়।
একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এক যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআরে এই আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আসামির মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে জামিন পেয়ে আদালত থেকে বের হয়ে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জালাল আড়াইহাজার থানার একটি জালিয়াতি মামলার আসামি।
গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আড়াইহাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর আদালতে হাজির করে। এ সময় আসামি পক্ষের উকিল জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
জামিন পাওয়ার পরই আদালত প্রাঙ্গণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জালাল। পরে তার ছেলে পুলিশের সহায়তায় তাকে শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আসামিকে আড়াইহাজার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।
তিনি আরও বলেন, পরে বের হয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে তার ছেলের সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও লেগুনা ঠিক করে দেই। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল
ধর্মীয় সমাবেশে রাষ্ট্রবিরোধী বা উসকানিমূলক বক্তব্য না দেয়ার শর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চারটি মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী ওরফে শিশু বক্তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
রফিকুল ইসলামের আইনজীবীরা জানান, এই আদেশে রফিকুল ইসলামের মুক্তির পথে সব বাধা দূর হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ ২ জনের বিচার শুরু
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোণার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
পরে ওই বছরের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রফিকুলইসলামকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেওয়া হয়।
নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুরের সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম গাছায় ওয়াজ মাহফিলে ‘উস্কানিমূলক'বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তিনি নেত্রকোনার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাখা যুব জমিয়তের সহ-সভাপতি।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ওয়াজে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে মাদানীকে জামিন
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। এই আদেশের ফলে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এসব মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাইবাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই।
তবে রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনবিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন শর্ত দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানী হলফনামায় সই করেন।
হলফনামায় তিনি লেখেন, কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো বক্তব্য প্রদান করব না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ও জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য ওয়াজ মাহফিলে দেব না।
পরে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ -এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
জামিন পেলেন মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির পর এবার তার স্বামী রকিব সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মারামারি মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রকিব সরকারের আইনজীবীরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিয়াজ মাখদুম এর আদালতে তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে হুইল চেয়ারে চড়ে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসানুল হক বলেন, রকিব সরকারের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে দুই মামলায়ই তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। একই মামলার আসামি তার স্বামী রকিব সরকার সেদিন দেশে না এসে পরদিন রবিবার সকালে দেশে ফেরেন।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়ে তিনি সোমবার তার স্ত্রী মাহিয়া মাহিকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে যান জামিন নিতে।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর মাহি বলেন, আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অনন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।
রকিব সরকারের আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার বলেন, রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলাসহ দুইটি মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। পরবর্তী পুলিশ প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত এই জামিন বহাল থাকবে।
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল। আর অপর মামলাটির দিন ধার্য হয়েছে ২৫ মে তারিখে।
পুলিশের দেয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় নায়িকা মাহি ও তার স্বামী আসামি হয়েছেন।
মাহিয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশ কমিশনারের দেড়কোটি টাকা লেনদেনের কথা বলে পুলিশ বিভাগ, পুলিশ কমিশনার ও তার পারিবারিক ভাবমূর্তি ও মর্যাদা দারুন ভাবে ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছেন জিএমপি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে জামিন দিয়েছেন গাজীপুরের একটি আদালত।
শনিবার (১৮ মার্চ) গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাহিয়া মাহি দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এর আগে ফেসবুক লাইভে গিয়ে ‘পুলিশের মানহানি’ করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামী রাকিবের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া।
বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার আসামি স্বামী রাকিব সরকার দেশে ফেরেননি। পরে গাজীপুরের আদালত মাহিকে কারাগারে পাঠায়।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে আসার পরপরই ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গাজীপুর পুলিশের একটি দল মাহিকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মারধর, ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় আরেকটি মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ফেসবুকে লাইভে যাওয়ার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে পুলিশ ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বিবৃতি অনুযায়ী, মাহি তার ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার ভোরে লাইভে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।
লাইভে তিনি বলেন, ‘ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকার তাদের লোকজনের মাধ্যমে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের কাছে মাহির মালিকানাধীন সনি রাজ কার প্যালেস নামের একটি গাড়ির শোরুমে হামলা চালায়।’
এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ঘুষ নিয়ে ‘হামলাকারীদের সমর্থন’ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী ও তার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, মক্কা থেকে দেশে ফেরার পর গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে মাহিয়ার স্বামী রাকিব অভিযোগ করেন, পুলিশ গাড়ির শোরুমের নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গাজীপুর শহরের ইটাহাটা এলাকায় রড বাইন্ডিং কারখানার মালিক ও একটি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন অভিযোগে বলেন, গত ১০ বছর ধরে ওই এলাকায় জমি কিনে কারখানা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার রাকিব ও মাহিয়ার পক্ষে কয়েকজন মিলে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানান তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জমি দখলের চেষ্টাকালে তারা কারখানায় পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ফেসবুকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মিথ্যা কথার মাধ্যমে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছেন।
ব্যবসায়ী ইসমাইলের দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলায় মাহি ও তার স্বামী প্রধান আসামি (হুকুমের আসামি) ছিলেন বলে জানান কমিশনার নজরুল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় ডিবি পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন অব্যাহতির আবেদনের ওপর নারাজির বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানার নারাজির বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। তবে এদিন বাদীপক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ হওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব মামলার ফটোকপি চেয়ে আবেদন করেন। নারাজির দিতে সময়ও প্রার্থণা করেন তিনি। আদালত তাদের সার্টিফাইড কপি নিতে বলেন। সময় আবেদন মঞ্জুর ১৬ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
অপরদিকে একই আদালতে ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরার আইনজীবী জামিন স্থায়ীর আবেদন করলে শুনানি শেষে আসামির জামিন স্থায়ীর আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব এসব তথ্য জানান।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি’র চূড়ান্ত প্রতিবেদন
ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বাগেরহাট বিএনপির ১৫ নেতা
বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এমডি সেলিম এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা শাহেদ আলী রবি, সোহেল তরফদার, শহিদুল ইসলাম, এমডি সাইদ শেখ, রফিকুল নকিব, মো. আবুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মো. ফিরোজ বিশ্বাস, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন, আমিরুল শেখ ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, নিম্ন আদালতে নেতাকর্মীদের জামিন না হওয়ায়। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করি। বিচারপতি এমডি সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ আমাদের ১৫ নেতাকর্মীকে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
এর আগে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাসভবন এবং পুরাতন বাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে নাশকতার মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই থেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে আটক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নিম্ন আদালতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হারুনের করা আপিল এক বছর পর শুনানির জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন শুনে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শাহীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় নিম্ন আদালতে হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তিন মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পরে আপিল বিভাগও তার জামিন বহাল রাখেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত বছরের ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত হারুন-অর-রশিদকে সাজা কমিয়ে চার বছরের দণ্ডদেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
এই সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন সাবেক এই সেনা প্রধান। একই সঙ্গে তিনি জামিনের আবেদনও জানান।
গত বছরের ৯ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাবেক সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালত থেকে তার মামলার নথি তলব করেন।
পরে গত বছরের ২৯ জুন ৪ বছরের হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই বছরের ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। রবিবার ওই জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় মোট চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাত ও পাচারের মামলাটির বিচার শেষ হলও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলাটি এখনও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় রংপুরের সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভূঁইয়া।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল।
রংপুরের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানিয়েছিলেন, গত বছরের ২২ এপ্রিল ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন।
মামলাটি আদালতের আদেশে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তবে বাদী প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন।
রফিক হাসনাইন বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইসঙ্গে বাদীর নারাজির আবেদন আংশিক মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি