জামিন
টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
রাজধানীর শাজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলায় আসামি তৌফিক হাসান বাবু ওরফে বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুর জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভূঁইয়া।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভূঁইয়া বলেন, আসামি তৌফিক হাসান ওরফে বাবু ওরফে বিডি বাবুর দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সুতরাং সে জামিন পেতে পারে না। আর মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন।
গত বছরের ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে সঙ্গীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু।
এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
টিপু ও প্রীতি হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে।
পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই গত বছরের ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান।
পুলিশ সদর দপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলো থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন। এরপর ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেপ্তার করে।
পরে গত ৯ জুন বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।
১০ জুন মুসার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফেরানোর পর একাধিক দফায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন মুসা। কিলিং মিশনে কার কী ভূমিকা ছিল সেটি তার বক্তব্যে উঠে আসে।
মুসার তথ্য যাচাই করতে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। এর মধ্যে টিপু হত্যা পরিকল্পনায় টিটু, রবিন ও সোহেল সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলে।
চারজনের মধ্যে টিটু সবচেয়ে দুর্ধর্ষ। আসামিদের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্র দীর্ঘদিনের। যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কির সঙ্গে এক সময় তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
নিহত টিপু সরকারি নানা দপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
ওমর ফারুক যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক ছিলেন টিপু, যেখানে তিনি নিয়মিত বসতেন।
গত বছরের ১৬ আগস্ট দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেল চালক শামীম হোসাইন ওরফে মোল্লা শামীম (৩৫), তৌফিক হাসান ওরফে বাবু (৩৪), সুমন হোসেন (৩৫), এহতেশাম উদ্দিন চৌধুরী অপু (৩৭) ও শরিফুল ইসলাম হৃদয়কে (২৭) গ্রেপ্তারের কথা জানান।
এরপর গত বছরের ২৮ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত বাবুর জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আলোচিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে তিন মামলায় আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট। এছাড়াও তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন কেন নয়: হাইকোর্ট
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তিন মামলায় এ সাবেক কাউন্সিলর আগাম জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাগুলো হলো-চাঁদাবাজি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের (ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় পরিচালনা) মাধ্যমে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৯ টাকা উপার্জন, ৫১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ও ৬৮ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বিদেশে পাচারের অভিযোগে সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইমের উপপরিদর্শক মো. সোহানুর রহমান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৩০ মে মামলা মতিঝিল থানায় দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় আরেকটি মামলা করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পুলিশ পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত।
মামলাটি তদন্ত করে নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক জায়েদ আলী জাহিদ।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হলরুলে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বর্ণিত সংঘবদ্ধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
অপরটি ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নামে সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাসিনো পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ চার কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকা অর্জন করেছেন।
মামলাগুলোতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানান।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পুলিশের দায়ের করা চারটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ১০২ জন নেতাকর্মী।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী ইদ্রিস আলী জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) হাইকোর্ট ডিভিশনের সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ এর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এর ব্রাঞ্চ ৬ সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে বাধা, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪০
আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ.জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামান, এডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, এডভোকেট ওসমান চৌধুরী, এ.কে.এম খলিলুল্লাহ কাসেম, গোলাম মুক্তাদী উজ্জ্বল প্রমুখ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে যাবার সময় পুলিশের বাধা পেয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীরা। এসময় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ২০ জনকে আটক করে। পুলিশসহ অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়। ওই দিন রাতে পুলিশ দেড় থেকে দুইশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশ সংর্ঘষ: শাহাদাতসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
হাইকোর্টে বিএনপির সালাম-এ্যানির অন্তবর্তী জামিন
রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতে বিএনপির এ দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৮ ডিসেম্বর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই থেকে বিএনপির এসব নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমান মারা গেছেন
বিএনপি নেতা এ্যানির দুর্নীতি মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: স্মৃতিকে জামিন দিলেন আপিল বিভাগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ী মহিলা দলনেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে (৩৫) হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
আদালতে স্মৃতির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।
পরে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, আপিল বিভাগ রাজবাড়ীর স্মৃতির হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন। তার জামিনের ওপর চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর ফলে স্মৃতির মুক্তিতে বাধা নেই।
গত ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে স্মৃতির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। রাজবাড়ীর ১নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কায়ছুন নাহার সুরমা এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর স্মৃতিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি সাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে গত ২ নভেম্বর স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আজ এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
গত বছরের ৪ অক্টোবর মধ্যরাতে শহরের ৩নং বেড়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বামীর নাম মো. খোকন মিয়া। তিনি প্রবাসী। সোনিয়া আক্তার স্মৃতি শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমের মামলার তদন্ত চলবে: আপিল বিভাগ
ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন চেয়ে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের নামে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় গত বছরের ১২ মে বিচারিক আদালত রায় দেন। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার তিনশ’ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
ওই মামলায় মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করেন।
আর ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজের পর মোহাম্মদ হোসেন হাইকোর্টে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
বিএনপির আসলাম চৌধুরীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
একইসঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ৫ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে (আসলাম চৌধুরী) জামিন দেন। আমরা সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করি। আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার জজ আদালত সেই জামিন স্থগিত করেছেন।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যের সঙ্গে ভারতে আসলাম চৌধুরী বৈঠক করেছেন। এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর আসলাম চৌধুরীকে ২০১৬ সালের ১৫ মে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। মামলায় অবৈধভাবে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বাতিলে আসলাম চৌধুরীর আবেদন খারিজ
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিত
ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের মামলায় তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তাহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
বুশরা এই মামলায় প্রায় দুই মাস ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। যদিও তদন্ত সংস্থাগুলো ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গে তার যুক্ত থাকার প্রমাণ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গে বুশরার কোনো সম্পর্ক নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন তারা।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পরপরই ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর বুশরাকে ঢাকার বনশ্রীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ৩৮ দিনের তদন্ত শেষে ১৪ ডিসেম্বর ডিবি প্রধান বলেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে ফারদিনকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একা ঘুরতে দেখা গেছে। ফারদিন খুন হননি, বরং হতাশার কারণে গত ৪ নভেম্বর সুলতানা কামাল সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর ফারদিনের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই দিনই ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূরের মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার
ফারদিনের মৃত্যুতে বুশরার যোগসূত্র নেই, আদালতকে অবহিত করবে ডিবি: হারুন
ফারদিন নূরের মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের ‘অপমৃত্যুর’ মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের দিন রবিবার (৮ জানুয়ারি) ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে বুশরার জামানের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। পরে সন্ধ্যায় জানানো হয় যে বিচারক রবিবার জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন।
এদিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা বলেন, এটি চাঞ্চল্যকর মামলা। ডিবি, র্যাব তদন্ত করে জানিয়েছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টও এসেছে আত্মহত্যার বিষয়। বুশরা মেধাবী শিক্ষার্থী। বিতর্ক করার সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। দুই তদন্ত সংস্থা তন্ন তন্ন করে দেখেছে, ঘটনা কী। বুশরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় মর্মে তদন্তে জানা গেছে।
তারা আরও বলেন, বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তাদের (ফারদিন ও বুশরা) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা মানবিক কারণে এসেছি জামিন চাইতে। দয়া করে, তাকে জামিন দিন।
বাদীপক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, বুশরা এজাহারনামীয় আসামি। মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় আসামি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। এজন্য তার জামিনের বিরোধিতা করছি।
আরও পড়ুন: ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
শুনানিকালে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা আদালতে হাজির হন।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তিনি এখনও কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন আত্মহত্যা করেছে: ডিবি
ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের শুনানির ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার আদালতে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
আদালত আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিএনপির দুই নেতাকে আদালতে তাদের জামিন মুচলেকা জমা দিতে দেয়া হবে না।
বিএনপির দুই নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনের শুনানি করায় তাদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার জানা যাবে।
এর আগে এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিনের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, আজ সকালে সরকার সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চে আবেদনটি করে।
এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গেল বছরের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় ৪৫০ জন, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর