রাজশাহী
রাজশাহীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কিশোর নিহত হয়েছে।
রবিবার(১৪ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সারেংপুরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের নাম শহীদ আহমেদ সূর্য(১৭)। গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সুলতানগঞ্জ এলাকার ইলিয়াস আলীর ছেলে সূর্য।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন সূর্য। সারেংপুর মসজিদের কাছাকাছি চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যায় সে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনার পর বাস নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সিএনজির ৩ যাত্রী নিহত
রাজশাহীতে ট্রলির ধাক্কায় নিহত ১
রাজশাহীর বাঘায় ট্রলির ধাক্কায় আশরাফুল ইসলাম বিপুল নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার সুলতানপুর-বিলমাড়িয়া সড়কের মহারাজপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রূপসায় ইটবাহী ট্রলির ধাক্কায় কলেজের অধ্যক্ষ নিহত
নিহত আশরাফুল ইসলাম বিপুল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতান গ্রামের আক্কাছ মিয়া ছেলে। পাঁচ মাস আগে অবসরে যান আশরাফুল।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল রবিবার মোটরসাইকেল নিয়ে মহারাজপুরে পৌঁছালে পাওয়ার ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রলির ধাক্কায় অজ্ঞাতপরিচয় নারী নিহত
কুড়িগ্রামে ট্রলির ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, চালক আটক
রাজশাহীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামে প্লাস্টিকের ক্যারেট গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালের দিকে তেপুকুরিয়া এলাকায় আলিফ ট্রেডার্সে এই অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে এবং নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি স্টেশনের সদস্যরা ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৯ দোকান
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- প্রতিষ্ঠানটির অংশিদার ইসলাম, আয়ুব আলী মুনসুর রহমা, ইনছার আলী, ইয়াজুল, রেজাউল করিম, আমিরুল ইসলাম ও সবুজ রানাসহ আরও অনেকে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হুমাইয়া জেরিন।
বাঘা উপজেলা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় পর্যন্ত বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি আরও বলেন, এর নের্তৃত্ব দিয়েছেন রাজশাহী ফায়ার সাভিসের উপপরিচালক ওহিদুল ইসলাম। বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আইনজীবী লায়েব উদ্দিন লাভলু সেখানে গিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: খুলনার সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বগুড়ায় ওষুধের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজশাহী নগরীতে ট্রাক্টর-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর মতিহার থানার খড়খড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে লোকমান আলী।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ জানান, সকালে বাগমারা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে রাজশাহী শহরে আসছিলেন লোকমান আলী। পথে খড়খড়ি এলাকায় একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লোকমান আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এছাড়া দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ওসি জানান, আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত লোকমান আলীর লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজশাহীতে জ্বর হয়ে ৪ দিনে দুই বোনের মৃত্যু, মা-বাবা আইসোলেশনে
রাজশাহীতে জ্বর হয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে বড় মেয়ে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যায় এবং ৪ দিন আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ছোট মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শিশু ২ জনের নাম মুনতাহা মারিশা (১ বছর ১১ মাস) ও মুফতাউল মাশিয়া (৪ বছর ৯ মাস)।
তাদের বাবা মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।
ভাইরাসজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণ করছেন চিকিৎসকরা। তবে কোন ভাইরাসে তারা আক্রান্ত হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেননি। এমন অবস্থায় দুই শিশুর মা ও বাবাকে কোথাও যেতে না করে দিয়ে হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বিভাগের চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে- বাচ্চা দুটো নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও তাদের বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা খেজুরের রস খায়নি। তবে কুড়িয়ে পাওয়া বরই না ধুয়ে খেয়েছিল। এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোনো ভাইরাসও হতে পারে। হাসপাতালে মারা যাওয়া মারিশা এবং তার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে আইসিইউতে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। এরপর শিশুদের বাবা-মাকে আর হাসপাতাল থেকে যেতে দেননি চিকিৎসকরা। তাদের রামেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশুদের মা পলি খাতুন বলেন, ‘১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে গৃহকর্মী কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে বরই কুড়িয়ে এনে দুই মেয়েকে খেতে দেয়। না ধুয়েই তারা খেয়েছিল। সে দিন তারা ভালোই ছিল, খেলাধুলা করেছে।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
তিনি আরও বলেন, পরদিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বার বার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। তখন মেয়েকে নিয়ে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে (সিএমএইচ) যাচ্ছিলেন। সিএমএইচে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, সে আর নেই।
পলি খাতুন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের বাড়িতে মাশিয়ারও জ্বর আসে। শুরু হয় বমি। দ্রুতই তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহীতে সিএমএইচে আনা হয়। রাতে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোট কালো দাগ উঠতে শুরু করে। তা দেখে সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুতই আইসিইউতে ভর্তি নেন। বিকালে মাশিয়াও মারা যায়।’
ছোট মেয়ে মাশিয়ার শরীরেও ছোপ ছোপ কাল দাগ উঠছিল জানিয়ে পলি খাতুন বলেন, ‘মারিশার একই রকম কাল দাগ উঠতে শুরু করে মৃত্যুর আগের রাতে। এ রকম দাগ আমি আগে কখনও দেখিনি। গরম তেল শরীরে পড়লে যে ধরনের দাগ হয়, তা অনেকটা সে রকমের। অসুস্থ হওয়ার পরে দুই বোনই বার বার পানি খাচ্ছিল।’
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ বছর এ পর্যন্ত রাজশাহীতে কেউ নিপাহ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা সঠিক যে বাচ্চা দুটো কোনো একটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে। অসুস্থ হওয়ার আগে এটা বোঝা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই বাচ্চা দুটোর বাবা-মাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা টেস্ট থেকে বাদ সাইফ হাসান
রাজশাহীতে বখাটের ঘুষিতে আনসার সদস্য নিহত
রাজশাহী রেল স্টেশনে যাত্রীবেসে বখাটের ঘুষিতে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত আনসার সদস্য মাইনুল ইসলাম (৪৫) জয়েন উদ্দীনের ছেলে। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাঙ্গনপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে দায়িত্বরত ছিলেন।
স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, রাত ৯টার দিকে বিনা টিকিটে ঢুকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে কয়েকজন যুবক ঘোরাঘুরি করছিলেন। ওই সময় আনসার সদস্য তাদের বের হয়ে যেতে বললে তারা তর্কাতর্কিতে জড়ান।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ছোট ভাইয়ের কিল-ঘুষিতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু!
এক পর্যায়ে ওই যুবকরা মাইনুলকে ঘুষি মারেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কুমার বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা পালিয়েছেন। তবে এরা স্থানীয় বখাটে বলে মনে হচ্ছে।
সেখানে কি ঘটেছে বা কীভাবে মাইনুলের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরাও দেখা হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ওসি।
তিনি আরও বলেন, লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চাচার ঘুষিতে ভাতিজার মৃত্যুর অভিযোগ!
ফরিদপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের কিল-ঘুষিতে বাবা নিহত
ভাঙা রেললাইন মেরামত, রাজশাহীর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রাজশাহীতে রেললাইন ভাঙা থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর এক ঘণ্টা পর রেললাইন মেরামত করে পুনরায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
জানা গেছে, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে রাজশাহীর নন্দনগাছী স্টেশন এলাকায় রেললাইন ভাঙা থাকায় দুর্ঘটনায় পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসীর দেখানো লাল পতাকায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
এছাড়া লাইনে কাজ চলার কারণে কিছু সময় থেমে থাকতে হয়েছে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন।দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, নন্দনগাছী স্টেশনে পৌঁছার আগে ওই এলাকায় রেললাইনের পাত ভাঙা থাকায় সেখানে থাকা কয়েকজন লোক লাল নিশানা টানিয়ে ট্রেনটি থামায়। পরে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙা স্থানটি পরীক্ষা করে।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
তিরি আরও বলেন, রেললাইনের একটি পাত কোনোভাবে ভেঙে গিয়েছিল। খবর পেয়ে তাদের প্রকৌশলীরা নিজস্ব টিম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন মেরামত করেন। তাতে দূরে থাকা ট্রেনগুলোর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে ওই পথ দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়।
অসীম কুমার বলেন, লাইন মেরামতের কাজ শেষ হলে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে রাজশাহীর সঙ্গে গোটা দেশের রেলপথ যোগাযোগ আবারও স্বাভাবিক হয়।
তবে কীভাবে রেলের পাত ভেঙেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন খুলনায় স্থায়ী অস্ট্রেলিয়ার চিত্রশিল্পী ম্যালকম কেইথ
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বজরপুর ত্রিমোহনী মৌসুমী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী পবা উপজেলার তালগাছি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সামসুল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত তিন
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছের আলী বলেন, রবিবার সকালে উপজেলার বজরপুর ত্রিমোহনী মৌসুমী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন সড়কে নওগাঁ দিক থেকে আসা গরুবাহী অবৈধ বড় স্টিয়ারিংয়ের ভটভটি মোটরসাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত একটি ফোন ও একটি বাজাজ ১০০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। যার রেজি নম্বর- রাজশাহী-হ ১৪-০৫৬৪।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতের কারণে আজ (২১ জানুয়ারি) ও আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২১ জানুয়ারি রাজশাহীর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী। সন্ধ্যায় রাজশাহী শিক্ষা কর্মকর্তারা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ২১ ও ২২ জানুয়ারি রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে। ফলে এ দুইদিন রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, রবিবার একদিনের জন্য পাঠদান বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে অফিস খোলা থাকবে।
রবিবার আবহাওয়া দেখে আবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে একদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার কুয়াশার মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে কুয়াশা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। শনিবার আবার ঘন কুয়াশা পড়েছে। ফলে তাপমাত্রাও কমে গেছে। পুরো জানুয়ারিজুড়েই এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত
রাজশাহীর মোহনপুরে বাসের ধাক্কায় ভ্যানের যাত্রী এক শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের সইপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভ্যানচালক সিরাজ (৫০) ও যাত্রী শিশু আব্দুল্লাহ (১২)।
আহতরা হলেন- নিহত শিশুর বাবা আব্দুল কুদ্দুস (৪০) এবং তার বোন নাফিজা (১৪)। তারা সবাই ওই উপজেলার বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিদাস মণ্ডল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রাজশাহী থেকে নওগাঁগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানের যাত্রী এক শিশুসহ ভ্যানচালক নিহত হন।
তিনি আরও জানান, বাসটির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। নিহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদেরও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।