নৌকাডুবি
চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের মেঘনা নদীতে ফেরির ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে।
নিখোঁজ জেলে ছনু গাজী (৬০) সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ইউএনবি কে জানান, মঙ্গলবার ভোরে ফেরি গোলাম মাওলার ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। এসময় নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল। ওই নৌকায় থাকা সাত জেলের মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে যৌথ অভিযানে নেমেছে নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। বিকাল পযর্ন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মিলেনি।
দুর্ঘটনার শিকার অন্যতম জেলে ইব্রাহিম গাজী জানান, দূর থেকে তারা টর্চের আলো জ্বালিয়ে সংকেত দেয়ার পরও ফেরিটি তাদের নৌকার ওপর উঠে গেছে। এতে নৌকায় থাকা সাত জেলেই নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে সাঁতরে তিনিসহ ছয়জন তীরে উঠতে পারলেও বিকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ছনু গাজীর। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছয়জন জেলে কম-বেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৫ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৫ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ভেসে উঠেছে নারীর লাশ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার ভাটিতে আদর্শ বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ নালো বেগম (৪৯) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী তেলিয়ানীকুটি গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আবেদ আলী জানান, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ছোট বোনের বাড়ি ঘুরে মুড়িয়ার পূর্ব ঘাট থেকে অতিরিক্ত মাল বোঝাই একটি নৌকায় দুধকুমার নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছিল নালো বেগম। কিছু দূর এগিয়ে মালামাল ও যাত্রীসহ ডুবে যায় নৌকাটি। এর অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে পৌঁছে জীবন রক্ষা করতে পারলেও ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায় নালো বেগম।
আরও পড়ুন: সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর থেকে ডুবুরি দল এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করে ফিরে যায় ডুবুরি দল।
ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে দুধকুমারের ভাটিতে আদর্শবাজার সংলগ্ন এলাকায় ভেসে উঠে নালো বেগমের লাশ। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করা হয়। নিহতের ফুফাত ভাই ওছমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তামবীরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সেচপাম্পের ঘর থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সর্বশেষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বড়দিয়া ফেরিঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে এই নৌকাডুবির ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিহত মাহমুদ শেখ (৪৫) কালিয়া গ্রামের খালেক শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নবগঙ্গা নদী গর্ভে ১শ একর ফসলি জমি
জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাট থেকে ১৪-১৫ যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বাহিরডাঙ্গা ঘাটে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে যাওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় বাহিরডাঙ্গা গ্রামের ইমামুল মণ্ডলের মেয়ে ও উপজেলার বাবুপুর গ্রামের আ. জলিলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও তার ছেলে নাসিম (২) এর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন নিখোঁজ ছিলেন।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক মো. মাহবুব আলম বলেন, খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল শনিবার নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো নদীতে উদ্ধারকাজ শুরু করে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা দিকে বড়দিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে মাহমুদ শেখের লাশটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে নিখোঁজ চারজনেরই লাশ উদ্ধার করা হলো।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নবগঙ্গায় নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু
নবগঙ্গা নদী গর্ভে ১শ একর ফসলি জমি
নড়াইলে নৌকাডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এতে এই নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে। এখনও আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম।
রবিবার (১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা নিখোঁজ লাবুকে (৩২) উদ্ধার করে খুলনার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত লাবু কালিয়া বাবুপুর গ্রামের টুকু চৌকিদারের ছেলে। তিনি হামিদপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে জোকর চর গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে খানজে শেখ (৫৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন-কালিয়া উপজেলার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের এনামুল মন্ডলের ছেলে রয়েল মন্ডল (২৭), এনামুল মন্ডলের বড় মেয়ে জামাতা ও কালিয়া গ্রামের মৃত খালেক শেখের ছেলে মাহমুদ শেখ (৪১)।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমিম আলম বলেন, নিখোঁজ দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে ডুবরি দল।
তিনি আরও বলেন, লাশ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। নৌ পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-মা নাজমা বেগম (২৮) ও ছেলে তাছিম শেখ (২)।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪৭ দিনের মাথায় আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
নড়াইলে নবগঙ্গায় নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু
নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময়, পানিতে ডুবে আরও পাঁচজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালিয়া পৌরসভার বাগবাড়ি থেকে বাহিরডাঙ্গা যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাবুপুর গ্রামের নাজমা বেগম (২৫) ও তার ৩ বছর বয়সী ছেলে নাশিম।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফসিয়ার রহমান জানান, ছেলে নাশিমকে নিয়ে বাহিরডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন নাজমা বেগম। নৌকাটিতে যাত্রী বেশি থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাসমীম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালিয়া পৌরসভার বাগবাড়ি থেকে বাহিরডাঙ্গা যাওয়ার সময় ১৭ জন আরোহী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় অন্তত ১০জনকে উদ্ধার করা হয় এবং পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, ‘আমরা নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৪৭ দিনের মাথায় আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৪৭ দিন পর এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ৭১ জনের লাশ উদ্ধার হলো।
শুক্রবার করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমতি জয়া রাণীর (৪) বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়াপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের মেয়ে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশুর লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কয়েকজন পাথর শ্রমিক করতোয়া নদীর তাঈলিয়া ঘাট এলাকায় পাথর উত্তোলন করছিলেন। পাথর তোলার যন্ত্রে পানির নিচ থেকে লাশটি ভেসে ওঠে। এসময় শ্রমিকেরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করে।
উপজেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই শিশুর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়া বুধবার দুপুরে একই এলাকা থেকে ভূপেন্দ্রনাথ রায় ওরফে পানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সুরেন্দ্রনাথ (৬৫) নামে আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, ওই লাশের পরনের কাপড় দেখে পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেন। পরে তাদের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারা নদী থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার বারোঘরিয়ায় মহানন্দা নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাডুবিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শুকুদ্দি(৬৫) বারোঘরিয়া জামাদার পাড়ার আফতাব আলীর ছেলে।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ছাবের আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শুকুদ্দি মহানন্দা নদীতে একাই নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায়। এসময় হঠাৎ নদীতে জাল দেখার সময় পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
এরপর রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যমুনায় নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু
করতোয়ায় নৌকাডুবি: তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ধুম্রজাল
করতোয়ায় নৌকাডুবি: নিহত বেড়ে ৬৯
যমুনায় নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ সদরে সোমবার রাতে যমুনা নদীর একটি ক্যানেলে নৌকাডুবির ঘটনায় মা ও শিশু ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওই পরিবারের আরও তিন সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার পূর্ব মোহনপুর গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) ও তাদের ছেলে আরাফাত রহমান (৫)।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রাতে নির্মাণাধীন শিল্পপার্কের উত্তরপাশে সদর উপজেলার পূর্ব মোহনপুর গ্রামের খোকন শেখ তার স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে সাথে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত ৮টার দিকে নৌকাযোগে যমুনা নদীর ওই ক্যানেলটি পার হওয়ার সময় মাঝ পথে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু ছেলে আরাফাত পানিতে ডুবে মারা যায়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩ জনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও খোকন শেখের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল সচল
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবে নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে শুক্রবার বন্দর এলাকায় ফেরির ধাক্কায় নৌকা ডুবে তিন জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকার জিমি (২০), শাওন (১৬) ও রিফাত (১৭)। নৌকার আরও ১১ যাত্রী সাঁতরে নিরাপদে কুলে উঠতে সক্ষম হন। তবে কেউ নিখোঁজ হননি।
রাত ৯টার দিকে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ ফেরি ঘাট থেকে হাজীগঞ্জ ঘাটে যাওয়ার উদ্দেশে নৌকাটি রওয়ানা দেয়।
আরও পড়ুন: গড়াই নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
নৌকার সামনের অংশ অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে যাওয়ায় ফেরিতে ধাক্কা মারলে জাহাজটি কাত হয়ে যায়।
নৌকার সামনের অংশে যাত্রী বেশি থাকায় সামনের অংশটি দেবে ছিল। এরই মধ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি থেমে থাকা ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ জানান, নৌকাডুবির দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকা থেকে শাওন ও জিমির লাশ উদ্ধার করা হয়। মধ্যরাতে রিফাতের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
নারায়ণগঞ্জ সদরের নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ফোরকান (এসআই) জানান, দুর্ঘটনার পর নৌকায় ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়ার অপরাধ মাঝি আলমগীরকে আটক করা হয়েছে।
করতোয়ায় নৌকাডুবি: তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ধুম্রজাল
পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত দল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। রবিবার রাতে তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সোমবার জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি জানান।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, আপনাদের (সাংবাদিকদের) দেয়া যাবে না, এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনার জন্য খেয়াঘাটের ইজারাদারকে দায়ী করা, মাঝির অদক্ষতা, ধর্মীয় অনুভূতি, অসচেতনতার কারণ উল্লেখ করে বলেন ভৌগলিক পরিস্থিতি ও নদীকেন্দ্রিক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন নৌদূর্ঘটনা না ঘটে এজন্য তদন্ত কমিটি পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে উদ্ধার অভিযান
এদিকে পুরো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি না জানানোয় ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা ও প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তা নিয়ে আশংকাও সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি প্রকৃত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। কি আছে এই তদন্ত প্রতিবেদনে তা জানতে না পারায় সর্বমহলে এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর কুমার রায় জানান, এলাকার ভৌগলিক পরিস্থিতি এবং নদী কেন্দ্রীক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তদন্তে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসেরও তদন্ত টিম করা হয়েছে। তিনটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি (নৌকা চালক) জানান, নৌকাটি ছোট ছিল এবং পুরনো ছিল। ওই নৌকায় সবোর্চ্চ ৫০ জনের বেশি যাত্রী তোলা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রী উত্তোলন করায় চোখের সামনে নৌকাডুবে যাত্রীরা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
বধেশ্বরী মন্দির কমিটির সভাপতি নীতিশ কুমার বকশী ওরফে মুকুল বকশী জানান, অনুষ্ঠানের আগে ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির সকলকে ৬টি নৌকা ঘাটে রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইজারাদার তা করেননি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও বাকি নৌকাগুলো না আসায় একটিতেই উঠে পার হওয়ার চেষ্টা করেন পুণ্যার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘাটে সজাগ থাকলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
ঘাটে উপস্থিত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের আরও কঠোর হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে বাধা না দেয়ারও সমালোচনা করেন নিতিশ কুমার।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম (শামীম) জানান, নৌকাডুবির ব্যাপারে জেলা পরিষদ এবং ইজারাদার দায় এড়াতে পারেন না। ঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখানে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ বা আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যাবধানে শুধু মাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শুধুমাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সানিউল কাদের জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের হস্তান্তরিত ফেরীঘাটের ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভুত আয় বন্টন সম্পর্কে নীতিমালা ২০০৩ অনুযায়ী জানা এসব ঘাট পরিচালনা করা হচ্ছে। নদী বন্দরগুলোর জন্য বন্দর পরিদর্শক বা ফিটনেস দেখভালের জনবল রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে আইন রয়েছে তাতে এখানে এমন কোন নীতিমালা নেই। এজন্য প্রয়োজন আইনী কাঠামো। এটা হলে ঘাটগুলো কিভাবে চলবে। নৌযানগুলো কেমন হবে, কোন যন্ত্রের সাহায্যে চলবে, সবোর্চ্চ যাত্রী কত হবে, জনবল কাঠামো কেমন হবে এমন নানা বিষয় নির্দেশনা থাকতো। থাকতো ঘাট পরিদর্শক বা ফিটনেস পরীক্ষক। তাহলে নৌকার ফিটনেস যাচাই করা সম্ভব হতো।
জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, বধেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার পূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। তারা অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। তারা মাঝিকে নির্দেশ দিলে এত যাত্রী উঠত না। এত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত না। ওই নৌদুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর কুমার রায় এই কমিটির আহ্বায়ক।
তিনি জানান, তদন্তের পর দায় কার তা বোঝা যাবে।
এদিকে পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় দশম দিনেও সীমিত আকারে উদ্ধার অভিযান চলেছে। কিন্তু এখনো নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান আলী জানান, অভিযানে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নাই। মাটি এবং বালির নিচে লাশগুলো চাপা পড়ে যেতে পারে।
এ জন্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।