খাগড়াছড়ি
দেশের অখণ্ডতা রক্ষা ও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী কাজ করছে
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের অখণ্ডতার রক্ষা ও পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনী পাহাড়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষকে অলিক স্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করছে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
খাগড়াছড়ি জোনের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের কাজ পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রক্ষা করা। পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কাজ করতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি, শৃঙ্খলা,নিরাপত্তাসহ পাহাড়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনসহ দেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্ধ পরিকর।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এই অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
এসময় খাগড়াছড়ি ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার কর্নেল সর্দার ইশতিয়াক আহমেদ, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, জিটুআই মেজর জাহিদ হাসান, খাগড়াছড়ি সদর জোনের উপ-অধিনায়ক রিয়াদুল ইসলাম,খাগড়াছড়ির দৈনিক অরন্যবার্তা পত্রিকার সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী আতাউর রহমান, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়াসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তকর্তা ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন ।
৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা ও এর আনুষঙ্গিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশের ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নাজিবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড। তারপরও অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য রিট করেছিলাম।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আজ পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ১৩০টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এসব ইটভাটার মালিকদের রিুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে হাইকোর্টে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে ২৫টি, খাগড়াছড়িতে ৩৫টি ও বান্দরবানে ৭০টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন তিন জেলায় মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানান, এই তিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ জেলায় অবৈধ ইটভাটা ৩১৯, একেবারে বন্ধ ৯৫টি
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ
খাগড়াছড়িতে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের সময় বিদেশি পিস্তল, বুলেট ও ম্যাগাজিন জব্দের দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
আটক স্বপন চাকমা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকার সন্তোষ বিকাশ চাকমার ছেলে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৩০ বীর খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন রাফিদ-ই-মাওলা সাকিবের নেতৃত্বে পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড বুলেট, একটি ম্যাগাজিন, নেশা জাতীয় ওষুধ ও আদায়কৃত চাঁদার ৩৭৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।ি
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
স্বপন চাকমা ২০১৬ সাল থেকে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন) মূল দলের সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কোন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের স্থান নেই। এ অঞ্চলের মানুষ যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সে লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে তিনি পাহাড়কে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর করে মন্তব্য করেন।
অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ মূল দলের চিফ কালেক্টর স্বপন চাকমাকে আটক এর সত্যতা নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই আবু হানিফ ও মো. সালেহ উদ্দিন জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী বাবরের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো: পুলিশ
খাগড়াছড়িতে কৃষককে গুলি করে হত্যা!
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সাতভাইয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিহারী চাকমা (৫৫) একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় কৃষক।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ জানান, দুর্বৃত্তরা বিহারীকে ঘরের সামনে গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩ মাসে ১৫ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত তিনমাসে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ৩ মাসে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ১১৪ জন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া শিশু রোগী ভর্তি হয়। তার মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে খাগড়াছড়িতে শিশুদের রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তিনি এই ঠান্ডায় শিশুদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে তিনজন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র এক জন। যার কারণে শিশু রোগী বাড়লে এক জন ডাক্তারের পক্ষে সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক ছাড়া নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেললেন নার্স-আয়া
সিরাজগঞ্জে মস্তকবিহীন নবজাতকের লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
খাগড়াছড়ির গুইমারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক পাহাড়ে ধাক্কা দেয়ায় দু’জন নিহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার বুদংপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় আরও দুই জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-মানিকছড়ি উপজেলার গোদারপাড় এলাকার জীবন মজুমদার (৫৫)ও তার ছেলে রাতিফ মজুমদার (১৪)।
পুলিশ জানায়, সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির দিকে আসছিল। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি পাহাড়ে ধাক্কা দেয়। ট্রাকটি তাতে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
জানা যায়, ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ট্রাকের বডি কেটে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের মাটিরাঙ্গা ইউনিটের কর্মীরা।
এসময় চালক মেহেদী প্রকাশ লাভলুসহ আরেকজনকে গুরুতর আহত আরও এক জনকে উদ্ধারের পর মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
যুবলীগ নেতা অপহৃত: খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থেকে অপহৃত যুবলীগ নেতা ইমান হোসেনের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে সড়ক অবরোধ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে সকাল-সন্ধ্যার এই সড়ক অবরোধ দুপুরেই তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সংশ্লিষ্টরা জানান, অবরোধের কারণে সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এই সময় বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া আতঙ্কের কারণে কিছু কিছু দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে।
এদিকে, অপহৃতকে উদ্ধারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মানিকছড়ি থেকে বড়বিল নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ইমান হোসেন (২৭) অপহরণের শিকার হন। তিনি মানিকছড়ি তিনটহরী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মামুনুলের আগমন ঠেকাতে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ
পরিবারের দাবি, আঞ্চলিক একটি পাহাড়ি রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে।
এ ব্যাপারে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর আলম জানান, অবরোধ চলেছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অপহৃতকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সেনাবাহিনীর ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে চিকিৎসা সেবা প্রদান
খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুইমারা কলেজ মাঠে প্রায় পাঁচ শতাধিক দরিদ্র মানুষকে মানবিক সহায়তা হিসেবে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
একই সাথে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৬০ জন অভাবগ্রস্থ মেধাবীকে বৃত্তি হিসেবে নগদ অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তা পেল ফরিদপুরের ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ
সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মানবিক সহায়তা ও বৃত্তি তুলে দেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আবদুল মালেক, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন।
খাগড়াছড়ির পাহাড়ি সড়কে মরণ ফাঁদ ‘বেইলি সেতু’
খাগড়াছড়িতে ৮০ এর দশকে নির্মিত বেইলি সেতুগুলো এখন পাহাড়ি সড়কের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব সেতুতে পাঁচ টনের বেশি মালামাল নিয়ে চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ধারণ ক্ষমতার ৫ গুণ বেশি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করছেন চালকরা। এতে অনেক সময় সেতু ভেঙে দুর্ঘটনা হয়। বন্ধ হয়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগও। তবে সংকট সমাধানের পর্যায়ক্রমে সব বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জন পথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় ঝুঁকিপুর্ণ বেইলি সেতুর সংখ্যা ১০টি।
পর্যটন ও কৃষি অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে পাহাড়ি সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। পাহাড় থেকে কাঠসহ বিভিন্ন ভারি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করে।
চালকরা জানান, তাদের বাধ্য হয়ে ধারণ ক্ষমতার বেশি মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনা রোধে বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: পাথরবোঝাই ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি সেতু
তারা জানান, এ সব ব্রিজে পাঁচ টনের বেশি মালামাল নেয়া নিষেধ। কিন্তু আমাদের খালি গাড়ির ওজনই ৯ টন। মালামালসহ হয় ২২ টন। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি চালাই। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পাকা সেতু হলে আমাদের দুর্ভোগ দূর হত।
খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কর্মাস এর সহসভাপতি মো. কাশেম বলেন, খাগড়াছড়ির বেইলি সেতুগুলোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। পাহাড়ে বনজ, কৃষি ও পর্যটন অর্থনীতি বিকাশের কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। এখন এসব সেতুর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পাহাড়ি সড়কে যানচলাচল বাড়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, গত কয়েক বছরে খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৭০টি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বেইলি সেতুগুলোতে পাকা সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বেইলি সেতুর বদলে পাকা সেতু নির্মাণের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্প পাস হলে পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ল দীঘিনালা বেইলি সেতু
সুনামগঞ্জে বেইলি সেতু ভেঙে ট্রাক খাদে, নিহত ২
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
শরতের সাদা মেঘ দিয়ে আকাশ ক্যানভাসে আঁকিবুকি করার কোন দিন, অথবা শীতের কোন রৌদ্রস্নানের দিন! দীঘিনালা ছাড়িয়ে রাঙামাটির ছাদের খোঁজে কেউ এলে, রুইলুই ও কংলাক পাড়ার লুসাই, ত্রিপুরা বা পাংখোয়ারা এখন আর অবাক হয়না। যে কোন বইপোকার কাছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি হয়ত শুধুই একটি স্থানের নাম। কিন্তু ভারতের মিজোরাম সীমান্ত ঘেষা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচু সাজেক ভ্যালির মেঘ ছোঁয়ার জন্য কোন পর্বতপ্রেমীর ছেলেমানুষী কোন কিছু দিয়েই তুলনা করা যাবে না। সেই পর্বতপ্রেমীদের জন্যই সাজেক ভ্যালির এই ভ্রমণ গাইড।
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক নৈসর্গ
লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী স্রোতকে অনুসরণ করে এগোলে দেখা মিলবে সাজেক নদীর। আর সেই সাথে হৃদয়ঙ্গম হবে নৈসর্গিক এই উপত্যকার নামকরণের সার্থকতা। চান্দের গাড়ি চড়ে পাহাড়ী রাস্তা ধরে এগোনোর সময় আদিবাসী শিশুদের সঙ্গে স্বাগতম জানাবে পাহাড়ের ঢালের সবুজ বন। প্রবেশদ্বারের রুইলুইপাড়া থেকে সাজেকের শেষ প্রান্ত কংলাকপাড়ার মাঝে চোখ জুড়াবে উপত্যকা গ্রাম, হাজাছড়া ঝর্ণা, কমলক ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও বনবিহার আর দুরের নিস্তব্ধ নীলিমা। বিজিবি ক্যাম্পের হেলিপ্যাড থেকে মেঘের সমুদ্রে প্লাবিত সূর্যোদয়ের দৃশ্য যে কোন সতর্ক দৃষ্টিকে ভুলিয়ে দিবে যে সে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্পে। সূর্যাস্তের সময় আবার সেই রাজকীয় অগ্নিকুণ্ডের আত্মবিসর্জনে পুরো সাজেককে মনে হবে এক অপার্থিব তোরণ। রাতের আকাশে কোটি তারার লন্ঠন ছায়াপথ জুড়ে জমিয়ে রাখা মহাজাগতিক চলচ্চিত্রের বায়োস্কোপ দেখাবে।
মধ্য আগস্টের সকাল থেকে শুরু করে প্রথম নভেম্বরের প্রথম কুয়াশা; যে কোন দিন হতে পারে পর্বতপ্রেমীদের জন্য এমন স্বপ্নের দিন।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক