নির্বাচন
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ।
ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’
গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পরাজিত হলে, বাংলাদেশ হেরে যাবে।
তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে জিততেই হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল কাদের
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে ঢাকার মিরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য প্রধানমন্ত্রী কে?
তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংসদ ভেঙে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায় না।
বিএনপিকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মানুষ হত্যাকারী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধীরা আবার ক্ষমতায় এলে এক রাতেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।
আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ক্ষমতা দখল করতে পারলে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে গ্রাস করে দেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পরিণত করবে।
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শোক মিছিল করেছে বিএনপি: কাদের
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসংঘ: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে আজকের আলোচনা তা থেকে ভিন্ন। নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়।’
বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত এমপি উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির চাপে জাতিসংঘের কোনো মাথাব্যথা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই, নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে দেশে-বিদেশে তত গ্রহণযোগ্য হবে।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা তাদের (বিএনপিকে নির্বাচনে যোগ দিতে) বাধ্য করতে পারি না।
তিনি বলেন, অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে তাদের আগের বৈঠকগুলো মূলত নির্বাচন সংক্রান্ত হলেও আজকের বৈঠকটি ছিল একটু ভিন্ন। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও এসডিজিতে করণীয়।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সকল বড় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ বিএনপির শর্তের বিষয়ে কোনো কথা তোলেনি, তবে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের ভালো লাগবে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, নয়তো পাকিস্তানে যান: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর নির্বাচনে না আসলে তাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন একটি কথা, একটি কথা; তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমি বিএনপি নেতাদের বলছি যে পৃথিবীতে এখন একটি দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে, দল নিয়ে পাকিস্তানে যান। সেখানে একজন তত্ত্বাবধায়ক পাবেন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দেশব্যাপী ধারাবাহিক বোমা হামলার প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘একসময় তার (তারেক রহমানের) বাবা গর্ব করে বলতেন, টাকা কোনো সমস্যা নয়। বাবার মতো সেও বলে, আন্দোলন করো। টাকার অভাব হবে না। এই টাকা কোথা থেকে আসে?’
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিএনপি এখনও সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি করে। জেএমবির জন্য বিএনপিই বিশ্বস্ত দল যে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে ৫০০ জনকে নিয়েও সমাবেশ করতে পারবেন না।
‘আজ অবাক লাগে যখন মির্জা ফখরুল বলছেন, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছে। ফখরুল কি ইতিহাস ভুলে গেছেন? তখন কি তার জন্ম হয়নি?’
তিনি বলেন, ‘তারা পুরো বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি রক্তে ভেসে গেছে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রমুখ।আরও পড়ুন: বাংলার মানুষকে ১৫ আগস্টের নির্মম প্রতিদান দিয়েছে মোশতাক-জিয়াসহ অন্যান্যরা: সজীব ওয়াজেদ
সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি এটি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে রাজধানীতে জুমআর নামাজের পর গণমিছিল করবে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা দয়াগঞ্জ থেকে একটি মিছিল শুরু করবে, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর কর্মসূচির সূচনা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেট থেকে মিছিল বের করে বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী বাস স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং গণঅধিকার পরিষদের দুটি অংশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
এ ছাড়া সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সব মিথ্যা সাজা বাতিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশের নির্বাচনকে অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, চীন কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
তিনি বলেন,‘আমাদের নীতি সবসময় একই থাকে। চীন কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আমি নির্বাচনকে বাংলাদেশের বিষয় বলে মনে করি, বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এটাই আমাদের অবস্থান।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, তারা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
গত পাঁচ থেকে দশ বছরের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় বিশ্বাসী।
মান্নান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ চীনের উন্নয়নের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে। বাংলাদেশেও এর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন
এর আগে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য তাদের প্রত্যাশা জানিয়েছে।
তবে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশের জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সেভাবেই নির্বাচন হবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে, তবে ভারত সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’
ভারত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন রয়েছে। এ মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আশা করি শান্তি বজায় থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না। নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত: জ্যেষ্ঠ এমইএ কর্মকর্তা
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে।
এসময় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেঙ্গলির সঙ্গে বৈঠকে মোমেন এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় রেঙ্গলিকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন সুইজারল্যান্ডকে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে’ রূপান্তরের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
অন্যান্য অনেক প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আয় বেশি বলে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও সুইস বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
বাংলাদেশকে ‘সুযোগ ও প্রাণবন্ত অর্থনীতির দেশ’ উল্লেখ করে তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বিনিময়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
সুইস রাষ্ট্রদূত ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুইজারল্যান্ড সফরের কথা স্মরণ করেন।
গত বছর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে আরও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বাংলাদেশে সুইস বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে সুইস রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে তার সরকারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটে সহায়তার জন্য সুইস সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও সুইস সহায়তার প্রত্যাশা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকল ভারত
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত। বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে 'তৃতীয় পক্ষ' বা সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়কে অনুমাননির্ভর দাবি করে এ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে দেশটি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তৃতীয় পক্ষ বা সামরিক হস্তক্ষেপের মতো অনুমাননির্ভর বিষয়ে কথা বলতে চাই না। অবশ্যই এগুলো অনুমাননির্ভর।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্নটি দ্য হিন্দুর কল্লোল ভট্টাচার্য করেছিলেন। তিনি শুক্রবার ঢাকায় বিরোধী দলের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেশটির গণমাধ্যমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যদি তাদের মতভেদ নিরসন না করে তাহলে সম্ভাব্য 'সেনাবাহিনীসহ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ' সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার সময় বাগচী তার নোটবুক থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে প্রশ্নকর্তার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়েছিলেন।
তিনি পরে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এটিকে অনুমাননির্ভর দাবি করে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। বাগচি জানান, তিনি সপ্তাহের শুরুতে যা বলেছিলেন তার সঙ্গে তার নতুন কিছু যোগ করার ছিল না, তবে তারা আশা করে যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বাগচি আরও বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের কথা উল্লেখ করেন। ‘আমরা সত্যিই এটি সম্পর্কে মন্তব্য করিনি। ’সপ্তাহের শুরুতে বাগচী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে: ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে তবে ভারত করবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে তা ভারতকে প্রভাবিত করে।’
ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভারতের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি শান্তি থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না এবং নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে আসছে এবং বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারও বলছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মদদে নির্বাচনের নামে চক্রান্তের অংশ হিসেবে দুটি ‘অচেনা’ দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কতটা নির্লজ্জ... তারা দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। এই দলগুলোকে কেউ চেনে না। কেউ কি তাদের চেনেন? আপনারা কি জানেন কেন তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে? তাদের দ্বারা নির্বাচন নিয়ে একটি খেলা খেলতে চায়। এই খেলা এইবার খেলতে দেওয়া হবে না।’
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার গণমিছিলের উদ্বোধনকালে এ অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন তাদের অধিকার রক্ষা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ।
ফখরুল বলেন, ‘এবার আমাদের লড়াই জীবন রক্ষার জন্য। কোনো ভয়, কোনো জেল বা দমন-পীড়ন এবার আমাদের দমন করতে পারবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, ইসি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়।
বিবৃতিতে ইসি বলেছে, সর্বসম্মতিক্রমে দল দুটিকে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ফখরুল বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা বর্তমান ‘দানব’ সরকারকে পরাজিত করে শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন। ‘আমরা একটি নতুন সংগ্রাম শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে আমরা তাদের (সরকার) কাছে একটি বার্তা দিতে চাই যে তোমাদের দিন শেষ।’
ফখরুল সরকারের উদ্দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
অন্যথায় রাজপথে বিষয়টির মিমাংসা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার বিশাল মিছিল
খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্রমাগত নির্বাচনবিমুখতা এবং চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে ব্যক্তির লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হতে যাওয়া বিএনপি আজ খাদের কিনারে এবং আগামী নির্বাচন বর্জন করলেই পতন হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটা দল, যে দল করলে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন দূরে থাকুক, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনও করা যায় না। তাদের নেতা-কর্মীদের আমি জিজ্ঞাসা করব- যেই দল করলে কোনো নির্বাচনই করা যায় না, আপনাদের কী ঠ্যাকা পড়েছে সেই দল করে তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে থাকার!’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমান যতদিন নির্বাচন করতে না পারবেন, ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন মেম্বার নির্বাচনও করতে পারবেন না-এটিই এখন তাদের নীতি। বিএনপিকে বলব-গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেই তাদের লাভ। তাদের সিনিয়র নেতাদের বলব, আর কতদিন আপনারা চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন?’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় বলেন, 'বিএনপি দেখতে পেল, তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিদেশিরা কোনো সমর্থন জানালো না এবং তারা যা চেয়েছিল তার কিছুই হচ্ছে না। এখন তারা ভিন্ন সুরে কথা বলা শুরু করেছে। এখন তারা বলছে, ভারত কী বলল তাতে কিছু আসে-যায় না, যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ কী বলল তাতেও কিছু যায়-আসে না।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই দেশ বাংলাদেশের মানুষের, অন্য কারও নয়। যদি যেতে হয়, জনগণের কাছে যেতে হবে।'
এর আগে বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা ও তাদের পরিবারের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অসামান্য।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা দল এবং সংসার দুটোই সামলেছেন।’
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অসাধ্য সাধন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী