নির্বাচন
কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে চারজনসহ ১৭৯ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার সকালে খুলনা শহরে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, সকালে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়।
তিনি বলেন, আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবার আগে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা।
তিনি জানান, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় চার প্রার্থীই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তাদের দলীয় প্রতীক পেয়েছেন-আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা) জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আউয়াল (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপ)।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের লটারির মাধ্যমে প্রতীক দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর ওয়ার্ডে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং এর মধ্যে ১৬১টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে।
৩ হাজার, ৫৬৭ পুলিশ সদস্য ৩০০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং ৬৫৭ জন আনসার সদস্যসহ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে আট হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।
এছাড়া ভোটের দিন পুলিশসহ অন্যান্যদের সঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। ১০ থেকে ১৪ জুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১০ জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী
একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে, ২৮৯টি কেন্দ্রে এবং এক হাজার ৭৩২টি বুথের আগে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন ঢাকায় তার সদর দপ্তর থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে ইতোমধ্যে ১৬টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার এবং তাদের মধ্যে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন মহিলা এবং বাকি পুরুষ ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ
শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো সহিংসতার খবর ছাড়াই জিসিসি-এর ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
সকাল ১০টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও তার মায়ের সঙ্গে একই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ৭৯ জন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার হলো-১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো- পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৪ জন এবং নারী ভোটার হলো- পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং হিজড়ার সংখ্যা ছিল ১৮ জন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ২০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
নতুন ভিসা নীতি শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য ‘শুধুমাত্র তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সাহায্য করার উপায়’।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, তারা অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে নতুন ভিসা নীতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশি জনগণ, বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে যারা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থনে তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে তারা এটি (ভিসা নীতি) করেছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠকটি তাদের নিয়মিত বৈঠকের অংশ। ‘আমরা ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন।
আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে তাদের জন্য ভিসা সীমিত করার নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’
সরকার আশা করে অগণতান্ত্রিক শক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি; যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের অবলম্বন করে, তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে উন্নয়নের সুফল টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকার প্রশংসা করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর টেকসই প্রতিশ্রুতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আচরণে আপস করার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার দ্বারা কোনো বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য সরকারি যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সকল স্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
এর ফলে ২০০৬ সালের মাথাপিছু দারিদ্র্য ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং একই সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংসে নেমে এসেছে।
এখন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ একটি ‘আন্তর্জাতিক রোল মডেল’, ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে।
গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণেই এসব অর্জিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন।
এতে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট হরণ করে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার নজির নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে এবং এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে।
সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সমিতির স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সমস্ত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রয়েছে।
প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ১০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন জাল ভোটারের প্রতিক্রিয়ায় ছবিসংবলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।
ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে তার কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।
এ আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে সম্পূর্ণ নির্বাহী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে তারা নির্দেশিতভাবে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করতে পারে।
নতুন ভিসা নীতি: রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হাসের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের জন্য ভিসা সীমিত করার নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।’
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ একটি বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা অবস্থায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট কারচুপি চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী দিনে নির্বাচনী কারচুপি বন্ধে একটি বড় বার্তা।
খসরু বলেন, জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার না করে ক্ষমতাসীন দল আবারও ভোট কারচুপিতে লিপ্ত হলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘আমাদের প্রতিবেশি দেশসহ অন্যান্য দেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। মার্কিন ভিসা নীতি শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং এর নির্দিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ‘এই নীতির অধীনে আমরা কোনো ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ভালো ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান জিসিসি নির্বাচনে ভোট দিয়ে বলেছেন, ফলাফল যাই আসুক না কেন তিনি তা মেনে নেবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় জনগণের মতামতকে সম্মান করি এবং আজ যেই নির্বাচিত হোক না কেন, আমি ফলাফল মেনে নেব।’
মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে এবং ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখে অনুমান করা যায় যে গাজীপুরে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু
তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং আপনারা (জনগণ) দেখেছেন যে আমি যখন নির্বাচনী প্রচারণায় বের হয়েছি, তখন একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জায়েদা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমি নির্বাচনে আমার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
তিনি ভোটারদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত: জিএমপি কমিশনার
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আশা করি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকলের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এবং ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন মঙ্গলবার (২৩ মে) পর্যন্ত মেয়র পদে ১১ জনসহ মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ১১ জন, সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে ৮৯ জন ও সাধারণ (পুরুষ) ওয়ার্ডে ২৮৭ জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২৭ দিনে মেয়র পদে মোট ১১ জন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা করেন ৩৭৬ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১১ জন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনের জন্য চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম।
এছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন দাখিল করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শাহজাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতে এক উৎসবমুখর হয়ে উঠে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় প্রাঙ্গন। সকাল থেকেই শুরু হয় মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া। এ সময় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আসেন। এ সময় দলের ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মীকে সেখানে উপস্থিত দেখা গেছে। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান এবং তাদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটির ভোট। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ২৩ মে। ২৫ মে মনোনয়ন ফরম বাছাই এবং ১ জুন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আগামি ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল স্টেশনকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে সব রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার অপরিহার্য।
বুধবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রয়োজন নেই, পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে: মোমেন
তিনি বলেন, যদি তারা (সব রাজনৈতিক দল) এমন অঙ্গীকার দেয়, তবেই আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করতে পারি।
বাংলাদেশের নির্বাচনী বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এক ধরনের ‘পরিবর্তিত’ সুর উল্লেখ করে সরকার কোনো আলোচনায় পৌঁছেছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এ মন্তব্য করেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন এবং নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অন্য দেশের কোনো পরামর্শের প্রয়োজন নেই।
মোমেন বলেন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নির্বাচনে দুর্বলতা দেখেছে তখন সকলেরই বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদান নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ১২-১৩ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনের বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
বাংলাদেশিরা অন্য দেশে চলে যাওয়ায় রোমানিয়া অসন্তুষ্ট: মোমেন