নির্বাচন
আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহবুদ্দিন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে যে কোনো উদ্বেগ দূর করে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই বলছে যে এই নির্বাচন হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আসলে, কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের একটি সংবিধান এবং একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে।’
রবিবার তিনি তার লেখা একটি বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি তার দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোটগ্রহণের জন্য তার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অন্যদের চিন্তা করার দরকার নেই, কারণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইন এবং এটি পরিচালনা করার জন্য একটি স্বাধীন ইসি রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করছেন তিনি।
তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে তিনি এই বছরের শেষ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রথম বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’
সাহাবুদ্দিনের লেখা প্রথম বই 'এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ' প্রকাশ করেছে আগামী প্রকাশনী।
বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জীবনের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সংস্করণ। এতে আপনারা আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের গল্প খুঁজে পাবেন।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগামী প্রকাশনীর সিইও ওসমান গনি এবং বই নিয়ে আলোচনা করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলীম।
অধ্যাপক আলীম লেখাগুলো সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন ২৪ এপ্রিল
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজি নয় কারণ তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা অজুহাত হিসেবে সংবিধানের কথা বলে। একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এটা এখন জনগণের দাবি।’
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের নতুন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের জন্য লেখা হয়েছে, কিন্তু জনগণ সংবিধানের জন্য নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর মঈন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান সংশোধন করা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চাইলে ১০ বারও সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে। সংবিধান বাইবেল নয়।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিরাশ করতে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন: বিএনপি
জনগণের কল্যাণে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি স্মরণ করেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে সংসদে ১১ মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে। আসলে আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যা, দমন-পীড়ন ও গুম করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
তবে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করে।
অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে ড. মঈন দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড রহস্যজনক: বিএনপি
৫ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেন ৪১ প্রার্থী
গত ৩ এপ্রিল গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট এই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশালে এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ, কক্সবাজার পৌরসভা ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভায় ১২ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জন্য ঘোষিত একই তফসিল অনুসারে ২১ জুন বগুড়ার তালোড়া, টাঙ্গাইলের বাসাইল এবং নারায়ণগঞ্জের গোপালদী এই তিনটি পৌরসভা নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ সিটি নির্বাচনে সরকারের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল
নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রয়োজন নেই, পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই এবং তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে ব্যবস্থা রয়েছে তা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সংলাপের প্রয়োজন কেন? ক্ষমতায় কি পেছনের দরজা দিয়ে আসবে? মোটেই না। যেহেতু একটি ব্যবস্থা আছে তাই আলোচনার প্রয়োজন নেই এবং যারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের (বিএনপিসহ বিরোধী দল) এগিয়ে আসা উচিত।’
ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন মোমেনের- ‘নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং রিপাবলিকান পার্টি বা অন্যান্য দল কি আলোচনা করে? না, কখনোই না। কারণ, একটা সিস্টেম আছে। তারা সিস্টেম অনুসরণ করে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যাদের কথা বলছেন তারা বন্দুকের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। তারা ব্যালটে নয়, বন্দুকে বিশ্বাস করে।’
আরও পড়ুন: আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ: মোমেন
মোমেন বলেন, ‘তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রাখে এবং এ কারণেই তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়। কারণ আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি। আমরা একটি মডেল নির্বাচন চাই।’
তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ৩০ লাখ মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের রক্তে ভোটাধিকারসহ গণতন্ত্র রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় উল্লেখ করে বলেছে, বিশ্ববাসী বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন গত ১০ এপ্রিল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা তথা বিশ্ব বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি, যাতে তারা এই অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
মোমেন ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সার্ভিসকে বলেন, ‘আমি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে একমত। আমি খুব খুশি যে তিনিও এমন একটি মডেল নির্বাচন চান যা সারা বিশ্বে চিত্রিত হতে পারে। আমিও চাই এবং আমরা সকলের সমর্থন চাই।’
মোমেন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে আন্তরিকতা ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রদর্শন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তার দল আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, অভ্যুত্থান বা বুলেটের মাধ্যমে নয়। গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের যে আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার রয়েছে তার দিক থেকে অন্যরা আমাদের কাছাকাছিও নেই।’
মোমেন বলেন যে বিএনপি যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাহলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। বিএনপি অতীতে নির্বাচন বর্জন করেছে এবং নির্বাচন বানচাল করতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। আমরা সেই পরিস্থিতি আর দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন যে তিনি ব্লিঙ্কেনকে যত বেশি সম্ভব নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রেরণের অনুরোধ করেছেন। তবে পক্ষপাতদুষ্ট পর্যবেক্ষকদের এড়ানোর জন্য তাদের স্বাধীন হতে হবে এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হওয়া যাবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লুকানোর কিছু নেই। কারণ আমরা গত ১৪ বছরে একটি চমৎকার কাজ করেছি এবং আমরা নিশ্চিত যে গল্প বানানো হলেও মানুষ আমাদের ভোট দেবে এবং সেই সব গল্প তারা বিশ্বাস করবে না।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোমেন
জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বলেছেন, ক্ষমতায় আসা বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া জাতীয় পার্টি কখনো নির্বাচন বয়কট করেনি এবং ভবিষ্যতেও বয়কট করবে না।
সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তার সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেত্রী এসব মন্তব্য করেন।
সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সংসদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় গঠনমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কখনই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জাতীয় পার্টি দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ও সংসদের বাইরে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আগুন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসাবধানতা, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বে অবহেলার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও উপযুক্ত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংসদকে সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতির পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক আলোচনা-সমালোচনায় সংসদ সমৃদ্ধ হয়।
এটি জনগণের প্রত্যাশা ও আশা পূরণকেও প্রতিফলিত করে। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। সংসদের কাজ জনগণের পক্ষে কাজ করা। জনস্বার্থের বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং আইন প্রণয়নে ভূমিকা পালন করা।
এছাড়া সংসদে এসব কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। বিরোধী দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সংসদ। জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এবং জনমত ও প্রত্যাশাকে ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ আশা করে যে সংসদ নাগরিক জীবনের জরুরি ও জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় সংসদকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাজের সকল স্তরের নাগরিক, বিভিন্ন দল, দল, সংগঠনের দাবি ও স্বার্থ সমন্বয় করতে হবে।
রওশান বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা ও মতাদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে না। তাই জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে সংসদকে কার্যকর করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি। এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ব্যালট পেপার নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নয় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘সব দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
আরও পড়ুন: সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ: সিইসি
সিইসি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা।
'ব্যালটের চেয়ে ইভিএম বেশি নিরাপদ' উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি বন্ধ করা সহজ। কিন্তু ব্যালট বা ইভিএম দিয়ে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আগাম নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি
ইউএনআরসি'র সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অব্যাহত সহযোগিতার ওপরও জোর দেন, যার মধ্যে জাতিসংঘের বিশেষ কার্যপ্রণালী ম্যান্ডেটধারীদের সাম্প্রতিক সফরও রয়েছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (ইউএনআরসি) গুয়েন লুইস সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনসহ জাতিসংঘে আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ইউএনআরসি জানায়, এসডিজি বাস্তবায়নে বিশেষ করে বাংলাদেশ কর্তৃক নির্ধারিত কিছু অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দিতে আগ্রহী।
বৈঠকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান জানান।
জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ২০২৩ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের সম্ভাব্য উপায় ও অর্থ নিয়েও আলোচনা হয়।
মোমেন ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রমে জাতিসংঘের আরও সম্পৃক্ততা কামনা করেন।
ইউএনআরসি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
গুয়েন লুইস সম্প্রতি দোহায় সমাপ্ত এলডিসি-৫ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ইস্যুতে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
নির্বাচন যখনই হোক বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না: কাদের
জাতীয় নির্বাচন হলেও বিএনপি আর ক্ষমতায় আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঠিক করবে এবং এ বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। নির্বাচন যখনই হোক, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের ধরন দেখে বিএনপি নেতাকর্মীরাই হতাশ। তারা গণঅভ্যুত্থানের কথা বলছে, অথচ তাদের সমাবেশে এক হাজার মানুষও হয় না। শুধু নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসা যায় না। যে আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই, সে আন্দোলন কখনই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে প্রতি দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, তারাই সরকারের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। এটা সত্য যে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় গণমাধ্যমের সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকারই সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ভুল কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু অপরাধ করে ভুল লে পর পাওয়া যাবে না।
'চাইল্ড এক্সপ্লয়েটশন' কোনো ভুল নয়, এটা একটি অপরাধ উল্লেখ করে কাদের বলেন, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে ওই পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল করা হত। কিন্তু শেখ হাসিনা তা করেননি।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী ইয়াসির ইনান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদন এবার আপিল বিভাগে খারিজ হয়েছে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে রিট আবেদন দুটি নিয়ে আপিল বিভাগে যান রিটকারী দুই আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন এম এ আজিজ খান।
গত ১৪ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি।
তার আগে গত ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট।
এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন।
বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি।
এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।
তারও আগে গত ৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।
রিট দায়ের করার কারণ প্রসঙ্গে ওই সময় আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই সঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪ এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ বক্তব্য সঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করেছি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট আবেদনটিও প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত বিএনপির
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা সামান্য বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি, এটাই চূড়ান্ত। বরং সেই পরিকল্পিত প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। দলীয় ফায়দা হাসিলে মত্ত হয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে লুট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শোষণ চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ স্বৈরশাসকের জুলুমের ফলে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার স্বেচ্ছাচারিতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর তার খেসারত স্বরূপ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। এই নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশ ও জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: দমন-পীড়ন ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের নীরবতার নিন্দা ফখরুলের