নির্বাচন
বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনী ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে।
তিনি বলেন, এ কারণে বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তাদের এ ভীতি অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীকালে উপ-নির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনসহ মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটিও জানে, সে কারণেই তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পর ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। এর বাইরে আর কোনোকিছু নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।
এর আগে সেমিনারের বিষয়বস্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ড. হাছান বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ঘটনা তদন্তে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থীর রিট
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
তদন্তের জন্য কমিটি করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়ার আর্জি জানিয়ে রবিবার রিটটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থী।
সোমবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের একজন এবং বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে ১৫ মার্চ আবেদনকারীদের, আইনজীবী ও সাংবাদিকদদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এভাবে পুলিশি তাণ্ডব আর না চালানো হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটের নির্ধারিত দিন ছিল। সমিতির এই নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটি গঠন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে সমিতির আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক এবং সমমনা আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
শুরুতেই এই সাব-কমিটি গঠন নিয়ে মতৈক্য থাকলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরীকে প্রধান করে সাত সদস্যের সাব-কমিটি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গঠন করা হয়।
কিন্তু সাব-কমিটি নির্বাচনে ভোট মেশিনে গণনা করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল তাতে রাজি না হওয়ায় অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় ১৪ মার্চ বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ১৫ মার্চ সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান।
এক পর্যায়ে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন। এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। পরে একতরফা ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থক ১৪ প্রার্থীই বিজয়ী হন।
এ নিয়ে গতকাল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার জন্য আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।
একইসঙ্গে নির্বাচন পরিচালনায় নতুন একটি সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে, সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ‘একতরফা হয়নি’- বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি।
এর আগে দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে। যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল বিএনপি সমর্থকরা।
নির্বাচিত হলেন যারা- আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির তিন হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি ও মো. আবদুন নূর দুলাল তিন হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতির দুটি পদে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ পদে এম মাসুদ আলম চৌধুরী, দুটি সহ-সম্পাদক পদে এ বি এম নূর-এ-আলম উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ জয়ী হয়েছেন।
সাতটি সদস্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন- মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।
সমিতির দক্ষিণ হলে নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী সমর্থকদের গঠিত সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি দাবি করেন, দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে আট হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে চার হাজার ১৩৭টি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এবার নির্বাচন নিয়ে সরকারি কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না: ফখরুল
লোক দেখানো জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকার আবারও পুরনো ফাঁদ পাকাচ্ছে অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জেগে উঠেছে বলে এবার কোনো চক্রান্ত কাজ করবে না।
রবিবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সামন্তবাদী বৈশিষ্ট্যের কারণে ভিন্নমতাবলম্বীদের সহ্য করতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (সরকার) নির্বাচন নিয়ে খেলা খেলতে এবং প্রহসনের একটি অশুভ পরিকল্পনা করছে যাতে তারা আবার নির্বাচিত হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আর সেই ফাঁদে পা দেবে না। আপনি বারবার মানুষকে বোকা বানিয়েছেন, কিন্তু এবার সফল হবেন না।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, তাদের দল চায় ক্ষমতায় না গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে। ‘আমরা চাই প্রত্যেক জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করুক এবং যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে এবং এভাবে একটি নির্বাচিত সংসদ গঠিত হবে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকার মনে করে দেশের মানুষ কিছুই বোঝে তাই তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ‘আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসছি। আমরা জীবন উৎসর্গ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের ১৭ জন জীবন উৎসর্গ করেছে এবং আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমরা শিগগিরই জয়ী হব: ফখরুল
তিনি সর্বস্তরের জনগণকে বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে এবং তাদের অধিকার আদায়ে আরও জেগে ওঠার এবং সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে খুব অল্প সময় আছে। কারণ, তারা (সরকার) বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফাঁকি দেয়ার জন্য নির্বাচনের নামে একটি শো করার ষড়যন্ত্র করছে… তারা এখন আমাদের আগের মতো সভা করতে বাধা দিচ্ছে না। এটা তাদের কৌশল।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সর্বব্যাপী দুর্নীতি অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে: মেনন
ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, আমরা এবার নির্বাচন করবো। আমরা আমাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবো।
বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে শনিবার বিকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেনন বলেন, ‘আমি আপনাদের বরিশালের সন্তান। দুই দুইবার আমি এই বরিশাল থেকে নির্বাচিত হয়েছি। ৭৩’ সালেও আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম, কিন্তু আমার বিজয়কে ছিনতাই করা হয়েছিলো। আমি তারপরও ঐক্য করতে পিছিয়ে থাকিনি। পরের তিনবার আমি ঢাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, ওই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এমন খেলেছে, অনুগ্রহ করে আপনারাও (আ. লীগ) খেলবেন না। সব খেলার শেষ আছে।’
আরও পড়ুন: ১৪ দলের চিঠির জবাব দেয়া হবে: মেনন
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ) বলেন খেলা হবে’ কিসের খেলা? খেলা একটাই জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। সেই ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে এবং যারা নির্বাচিত হবেন তারাই ক্ষমতায় যাবেন।’
মেনন বলেন, হেফাজত, জামায়াত ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের সঙ্গে কোলাকুলি করবেন? কেউ আপনাকে একটা ভোট দেবে না। এমনকি যে সংখ্যালঘুদের ভোটকে আপনারা আপনাদের ভোট ব্যাংক মনে করেন, সেই সংখ্যালঘুরা আজকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা ভোট কোথায় দিবে। সুতরাং এই সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি আমার আহ্বান ১৪ দলের ঐক্যকে আরও শক্ত করুন।
তিনি আরও বলেন, আর যদি তা না করেন তাহলে মনে রাখবেন ১৯৯৬, ২০০১ ও ১৯৯১ সালের কথা। আমি অংক করে দেখিয়ে দেবো। ৭৩ সাল বাদে একক কোনও নির্বাচনে আপনারা (আ.লীগ) বিজয় লাভ করেননি। নির্বাচনে বিজয় লাভ করতে গেলে বামপন্থীদের আপনাদের সঙ্গে লাগবে, পাশে লাগবে। যদি ভুল করেন তাহলে সেই ভুলের খেসারত আপনারা না, জাতি দেবে। তখন এই জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, টিএম শাহজাহান।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়।
এর আগে বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে লাল পতাকা মিছিল নিয়ে সমবাশেস্থলে জড়ো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে: মেনন
মন্ত্রী হলে কি মেনন এমন কথা বলতেন: কাদের
বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র চলে নির্বাচনের হাত ধরে। বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কুমিল্লার কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করতে পারবে না সরকার। এছাড়া সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে কারণ তারা ক্ষমতার পরিবর্তন চায়।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা লুটপাট করে হারাম উপার্জন করে, আজ বাংলাদেশ তাদের বাড়ি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন ‘রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে লুটপাট। প্রকাশ্যে লুট করা হচ্ছে দেশের সম্পদ, পাচার করা হচ্ছে বিদেশ। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার লুট করে ফেলেছে।’
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ।
অভিযুক্ত নির্মলেন্দু দে সুমন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৯নং ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দে’র ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। এরই মধ্যে বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নং কক্ষে প্রবেশ করে নির্মলেন্দু দে সুমন গোপনকক্ষ থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যায় চলে যায়। গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা কর্ণপাত করেনি ওই যুবলীগ নেতা। পরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি উদ্ধার করে কেন্দ্রে ফেরত দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ইউপি নির্বাচন: এমপি বেলালের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
জেকেজি চেয়ারপার্সন সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
আ.লীগ ‘তথাকথিত’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে: ফখরুল
পুলিশ ও বহিরাগতদের ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতার স্বার্থে ‘তথাকথিত’ হিংসাত্মক নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের দাবি করেছে।
শুক্রবার এসসিবিএ নির্বাচনের ফল ঘোষণার একদিন পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এমন একটি দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী হতে পুলিশ ও বহিরাগতদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা খুবই লজ্জার বিষয়।’
আরও পড়ুন: বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হলে উ. কোরিয়ার মতো স্বৈরাচারী হতে পারে বাংলাদেশ: ফখরুল
ফখরুল বলেন, তাদের দল চায় প্রধান বিচারপতি এগিয়ে এসে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
আইনগতভাবে নির্বাচন না হলেও ভোটের নামে নাটক সাজিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফাভাবে’ নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে তথাকথিত নির্বাচন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের প্যানেল বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে।
হট্টগোল, সহিংসতা, সংঘর্ষ, পুলিশের তৎপরতা এবং ব্যালট চুরি ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগের মধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি
কুমিল্লার এক উপজেলাসহ ৩ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ
কুমিল্লার লালমাই উপজেলাসহ তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশকে কুপিয়ে জখম, ভোট গ্রহণ বন্ধ
নয়টি ইউনিয়নের ৫৭ কেন্দ্র, বরুড়ার শিলমুড়ি উত্তর ও দক্ষিণ, দাউদকান্দির বারপাড়া ইউনিয়ন, চান্দিনা এবং চৌদ্দগ্রামের একটি করে ওয়ার্ডসহ ২৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
লালমাই উপজেলা পরিষদ, বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি উত্তর ও শিলমুড়ি দক্ষিণ এবং দাউদকান্দির বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহন শুরু হয় সকাল সাড়ে ৮ টায়।
এছাড়া নির্বাচনের ভোট গ্রহন সুষ্ঠু করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব, আনসার ব্যাটালিয়ন নিযুক্ত আছে।
নির্বাচনে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সকাল পৌনে ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে
ভোলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে
নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা জানেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের সম্ভাবনা নেই। সেজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও কোনও কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎবাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হবো না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যেতে চাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনও সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। ইসির অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “ড. কামাল হোসেন সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ‘হায়ার’ করেছিল। তিনি ‘হায়ারে’ খেলতে গিয়ে ভালো খেলেন নাই এবং সেখানে মাত্র ৭টি আসন বিএনপি পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা আনুবিক্ষণিক দলগুলো, যারা রাজনীতির টোকাই তাদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে আপনারা ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।”
সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল; একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ ও হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।”
মন্ত্রী হাছান আরও জানান, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। সেখানে যদি প্রশাসন বা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সে ব্যাপারেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারে আওয়ামী লীগের আপত্তির একটাই কারণ, তারা জানে যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন হয়, তাদের কারও জামানত থাকবে না।
সোমবার (১৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁয়ের নিজ বাড়িতে জেলা বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পঞ্চগড়ের সহিংসতা সরকারের পাতানো ঘটনা। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আসল আসামিদের আড়াল করতেই বিএনপি’র ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আর এর সঙ্গে তো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার: ফখরুল