নির্বাচন
সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কৃত্রিম উপস্থিতি দেখাতে চায়: মঈন খান
রবিবারের নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার ভোটারদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও প্রতারণামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা সরকারের সব ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে 'প্রহসনের' নির্বাচনে বর্জন করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
ভোটের মাত্র দুই দিন আগে মঈন খানের গুলশানের বাসভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা চলছে। সরকার ডামি প্রার্থী ও ডামি দল তৈরি করে থেমে নেই, কারণ তারা এখন জোর করে ডামি ভোটার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬২টি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণি-পেশার ভোটার এবং দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক ইতোমধ্যে তথাকথিত নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে অবৈধ সরকার আসন বণ্টন ব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত 'অর্থহীন' নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে, তা নৈতিকভাবে গণবিরোধী ও রাজনৈতিকভাবে শিশুসুলভ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
তিনি বলেন, 'ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তাদের সব কৌশলের তালিকা এখন আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট।’
ড. মঈন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র মিথ্যা ও জাল ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসংখ্য অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
ভোটারদের ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারের এমপিরা হুমকি দিচ্ছেন যে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির লাখ লাখ সুবিধাভোগী ভোটকেন্দ্রে না গেলে তারা তাদের আর্থিক সুবিধা হারাবেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
মঈন বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন, যা সব সরকারের অধীনে একটি চলমান প্রক্রিয়া। এসব সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বলা হচ্ছে, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের ভাতা বাতিল করা হবে।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জোরপূর্বক কৌশল অবলম্বন করে অনেক জায়গায় সরকারি সুবিধাভোগীদের কার্ড জব্দ করতে শুরু করেছেন। সুবিধাভোগীদের ঘরে ঘরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে তারা যদি ভোটকেন্দ্রে না যায় এবং জনসমক্ষে ভোট না দেয় তবে তারা তাদের কার্ড ফেরত পাবে না। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
এছাড়া সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ সরকারি কর্মচারীকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার বেআইনিভাবে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচেষ্টা।’
ড. মঈন বলেন, অবৈধ সরকার ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ভোট গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ‘একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এক লাখের বেশি কর্মকর্তাকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের দিন আনসার ও ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাকযোগে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে পাঁচজন সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিট ও ব্যাটালিয়নকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর মিশনে নেমেছে।
তিনি বলেন, 'ঢাকার পুলিশ কমিশনার নিজে দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের ডেকে ভোটকেন্দ্রে যতটা সম্ভব ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এসপি ও ওসিরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রচারে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং জনগণকে ভোট দিতে বলছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর রাজনৈতিক দায়িত্ব পুলিশকে কে দিয়েছে? এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি কী?’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ভোটকেন্দ্রে না গেলে জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল ও বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
ড. মঈন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নানা কৌশল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জাল ভোট দিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
তিনি জনগণকে সাহসের সঙ্গে অবৈধ সরকারের হুমকি মোকাবিলা এবং যারা তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করছে তাদের নাম রেকর্ড রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা বলতে চাই, এই একদলীয় সরকারের সময় শেষ। সুতরাং তাদের অন্যায্য ও অবৈধ হুমকিনিয়ে চিন্তা করার আর কোনো কারণ নেই। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ শিগগিরই একদলীয় শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপানো এবং তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য যানবাহন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলছে, দেশ ও এর সব অর্জনকে ধ্বংস করছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান নির্বাচন বয়কটের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ধর্মঘট পালন ও নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছি। সেজন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দৃর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিকারপুর এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের নির্বাচনী ক্যাম্পের এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্যাম্পটির বেষ্টনীর একাংশ পুড়ে যায়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তদের আগুনে নির্বাচনী ক্যাম্পের সমিয়ানার বেষ্টনীর একাংশ পুড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনীর সোনাগাজীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন
নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
রাজধানীতে বিএনপির লাঠি মিছিল, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান
সরকারের পদত্যাগ ও রবিবারের 'একদলীয়' নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে লাঠি মিছিল করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
তারা নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
তারা 'অগ্রহণযোগ্য, প্রহসনমূলক ও ডামি' নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘লুটেরাদের এই 'অবৈধ' নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমরা বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ জনগণকে ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দল সত্য, ন্যায়বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে এবং ক্ষমতাসীন দল লুণ্ঠন, বিদেশে অর্থ পাচার এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে। আমরা যারা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াই তাদের জন্য বিজয় অনিবার্য।’
বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি। অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনের মাত্র দু'দিন আগে আজ একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
ফেনীর সোনাগাজীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন
ফেনীর সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়ের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আগুন জ্বলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসীরা। পরে পুলিশ ফায়াস সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়াতনের কক্ষটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ওই কক্ষে থাকা সব আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ সববিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে , চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৫৪ জন নারী-পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ বলেন, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। ভোটের সময় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাসনিম হোসাইন বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: নাটোর-১ আসন: নৌকা ও ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
নাটোরের বড়াইগ্রামে নাটোর-৪ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ শোভনের নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার হারোয়া এলাকার ওই ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় দুবৃত্তরা।
এ ঘটনায় ক্যাম্পের সামিয়ানাসহ টেবিল পুড়ে যায়।
বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনএম প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
নাটোর-১ আসন: নৌকা ও ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
বাংলাদেশের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত
ভারত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। অন্যদিকে চীন বলছে, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি- বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
নবনিযুক্ত মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ঠিক সেখানেই আছি। গত সংবাদ সম্মেলনেও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার আগে যিনি ছিলেন, তিনিও এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। সুতরাং বিষয়টি আমি এই অবস্থাতেই রেখে দিচ্ছি।’
অন্যদিকে চীন আশা করছে, নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি, এটি একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতার জন্য একটি মাইলফলক হবে।’
তিনি বলেন, তারা (চীন) আশা করছেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের পর বাংলাদেশ 'শক্তিশালী, আরও স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ' হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।
তিনি বলেন, 'আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা খুব নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।
মিলার বলেন, যে কোনো অগ্রগতিতে তারা কী পদক্ষেপ নিতে পারেন বা নাও নিতে পারেন সে সম্পর্কে তিনি কখনোই অনুমান করবেন না।
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া 'নিবিড়ভাবে' পর্যবেক্ষণ করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো ৩ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
নারায়ণগঞ্জে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মাঠে ছিলেন প্রার্থীদের স্ত্রীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তাদের স্ত্রীরাও মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ প্রচারণায় স্বামীর পক্ষে উন্নয়নের ফিরিস্তি ও নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোট চেয়েছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের টার্গেট করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে তাদের গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক। ফলে ভোটের মাঠে প্রার্থীদের স্ত্রীদের ভোট প্রার্থনা নতুন মাত্রাযুক্ত করেছে নির্বাচনী প্রচারণায়। তবে সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছে ভোটের দিন নারী ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো।
সরজমিনে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী করার জন্য প্রচারে নামেন তার স্ত্রী তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী।
গোলাম দস্তগীর গাজী একদিকে প্রচারণার গেলে অন্যদিকে গিয়েছেন হাসিনা গাজী। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে প্রচার
এ সময় তিনি ভোটারদের বলেন, তার স্বামী গত ১৫ বছর ধরে ৩ বারের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ এই সময়ে তিনি রূপগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উপজেলার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবারও তার স্বামী গোলাম দস্তগীর গাজীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই আসনে গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপি’র মহাসচিব ও দলের মনোনীত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন তার স্ত্রী ফারজানা হালিমা। তবে তিনি আলাদাভাবে প্রচারণায় না গেলেও প্রচারণার সময় স্বামীর পাশে থাকছেন।
আড়াইহাজার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী আড়াইহাজার উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও স্বামীকে বিজয়ী করতে ভোটের মাঠে নেমেছেন।
যদিও সরকারি কর্মকর্তা হয়ে স্বামীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে শোকজ করেছেন। তারপরও থেমে নেই তার প্রচার-প্রচারণা। নানাভাবে তিনি আড়ইহাজার উপজেলায় তার স্বামীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারে নারীদের নিয়ে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে সোনারগাঁ উপজেলা চষে বেড়িয়েছেন তার স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা। গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক করেছেন তিনি।
ভোটারদের তিনি বলেছেন, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্বামী এই আসনে সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছর সোনারগাঁয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই আবারও তার স্বামীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
একই আসনের দুই বারের নির্বাচিত জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে আবারও ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক করেছেন তার স্ত্রী সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির উপদেষ্টা ডালিয়া লিয়াকত।
গত ১০ বছরে সোনারগাঁয়ে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও তার স্বামীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন।
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে তার নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন তার স্ত্রী জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি। প্রতিদিন শিডিউল মেইন্টেন করে সকাল-বিকাল দুই বেলা গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন তিনি।
তার বক্তব্যে দু’টি দিক প্রাধান্য পেয়েছে। একটি হলো তার স্বামীর উন্নয়ন। দ্বিতীয়টি হলো ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানো।
সদর-বন্দর আসনে একেএম শামীম ওসমানের বড় ভাই দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের স্ত্রী নাসরিন ওসমানের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে নির্বাচনী মাঠে। তবে তিনি আলাদাভাবে কোনো প্রচারণায় যাননি। সেলিম ওসমানের সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রার্থীদের স্ত্রীদের প্রচার-প্রচারণায় নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে ভোট দিতে উৎসাহ বেড়েছে বলে জানান হেভিওয়েট প্রার্থীদের স্ত্রীরা। তাছাড়া নারী ভোটাররা প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি তাদের মতবিনিময় করতে না পারলেও তাদের স্ত্রীদের মাধ্যমে তাদের চাহিদা উপস্থাপন করতে পেরে বেশ আত্মতৃপ্তি অনুভব করেছেন।
প্রার্থীরাও তাদের স্ত্রীদের মাধ্যমে জেনে আশ্বাস দিয়েছেন নারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও চাহিদা বাস্তবায়ন করবেন নির্বাচিত হলে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে ৭ জানুয়ারি নারী ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করবে প্রার্থীদের স্ত্রীরা কতোটা উজ্জীবিত করতে পেরেছেন নারী ভোটারদের।
আরও পড়ুন: ফেনীতে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করায় লাঙ্গলের প্রার্থীকে শোকজ
নির্বাচনে যানবাহন চলাচলে ডিএমপি'র নিষেধাজ্ঞা
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উপলক্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল ডিএমপি
নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে:
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক বহনকারী যানবাহন।
২. জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ পণ্য ও সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন।
৩. বিমানবন্দর থেকে আত্মীয়-স্বজন বা আত্মীয়-স্বজনের নিজ বাসভবন বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণপত্র প্রদর্শন) এবং স্থানীয় পর্যায়ে ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত যানবাহন।
৪. নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও তার নির্বাচনী এজেন্টের জন্য একটি করে গাড়ি (জিপ, গাড়ি, মাইক্রোবাস ইত্যাদি) যথাযথ নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র প্রদর্শন এবং স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি পাবে।
৫. রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে জরুরি কাজে ব্যবহৃত সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া।
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি;
৭. প্রতিবন্ধী ভোটারদের সহায়তায় নিয়োজিত যানবাহন।
৮. ঢাকা মহানগরী বা এ জাতীয় সব সড়ক থেকে প্রস্থান বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও সংযোগকারী প্রধান সড়কে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র 'ঝুঁকিপূর্ণ': ডিএমপি কমিশনার
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাপা প্রার্থী
সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাকিব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে, শুধু বিশেষ সুবিধাভোগী কিছু লোক নির্বাচনের মাঠ গরম রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যাপক ছড়াছাড়ি হচ্ছে। কালো টাকার প্রভাবে কেন্দ্রে এখন এজেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট-৫ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী সাব্বির
এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বলে জানান এই প্রার্থী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক মহিউদ্দিন খোকন, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক নিজাম উদ্দিন খান, জেলা সদস্য মিনহাজুর রহমান বিন্তু, পৌর জাতীয় পার্টির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ্ উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর ভাণ্ডারী
শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য জাপানের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
জাপান সরকারের পাঠানো মিশনটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাস জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ ও গণনা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মিশনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে জাপানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাচ্ছে দেশটি।
বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন