নির্বাচন
সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টানা কয়েকদিন ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও ভোটের মাত্র চারদিন আগে সিলেট বিভাগের একে একে ৪জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমন প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায়, বিভিন্ন চাপ, হুমকি, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়া, টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটছে ইত্যাদি।
তবে নির্বাচন কমিশন সবসময় আশ্বস্ত করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই লক্ষে ভোটগ্রহণের আগে ও পরের কয়েকিদন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদেরকে শাস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তারা প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। তাছাড়া প্রার্থীরা লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগও দিচ্ছেন না; তাই প্রার্থীদের এ ধরনের ঘোষণা ব্যক্তিগত।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বলছেন, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানান অজুহাত খুঁজছেন ও অভিযোগ দিচ্ছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্ন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিং করে ভোট থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর মাত্র একদিন আগে হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
বর্জনের কারণ হিসেবে প্রার্থীরা যা বলছেন-
নির্বাচনকে পাতানো ফাঁদ উল্লেখ করে শেষ মুহূর্তে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণার কারণ হিসেবে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী শামছুল আবেদীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’
‘সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কেউই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। এটি একটি পাতানো ফাঁদ। তাই এই ফাঁদ থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।’
হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মুনিব বাবুকে সমর্থন করায় তার সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন।’
হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তির প্রভাব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ জিলুফা সুলতানাকে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন যেসব অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ওই প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন এসব বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তিনি যা বলছেন ওই প্রার্থীর উচিত ছিল একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া। তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখতাম কিংবা অ্যাকশন নিতাম। ওই প্রার্থী মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করে নাই। ওনি যা বলেছেন ওনার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ওনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।’
গাজীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যশোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী নির্বাচন চালিয়ে যেতে পারবেন: হাইকোর্ট
গাজীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি আলম আহমেদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিমির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এদিকে, যশোর-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বহাল রেখে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ফলে, এনামুল হক বাবুলের প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইকালে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন।
১৩ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে আলম আহমেদের প্রার্থিতা বৈধ করার আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। এরপর তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রিট খারিজ করে দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালত আলম আহমেদকে নিৰ্বাচনে অংশ নিতে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
এদিকে, এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল।
এ ছাড়া এনামুল হক বাবুলের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিত কুমার রায় আপিল করেছিলেন।
শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এনামুল হক বাবুল হাইকোর্টে রিট করেন। ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
১৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত তার প্রার্থিতা ফেরত দেন। পরে নির্বাচন কমিশন ওই আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। যে আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নির্বাচন করতে পারছেন না শাম্মী আহমেদ ও সাদিক আবদুল্লাহ
বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে দায়ের করা আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে শাম্মী আহমেদ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এদিকে, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ'র আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ প্রার্থিতা বাতিল আদেশ বাহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য শাম্মী আহমেদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার বিচারপতির আদালত শুনানির এ দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটির শুনানি হয়।
আদালতে আজ শাম্মী আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, শাহ মঞ্জুরুল হক, মোতাহার হোসেন সাজুসহ এক ডজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। পরে ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ।
১৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
পরে ২২ ডিসেম্বর সকালে প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবারও আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেন বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ।
ওই দিন শাম্মীর আইনজীবীরা চেম্বার আদালতে বলেন, ‘শাম্মী আহমেদের নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন গ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সবদিক বিবেচনা করে শাম্মী আহমেদকে নির্বাচনের মাঠে থাকার সুযোগ দিন।’
তখন চেম্বার বিচারপতি বলেন, ‘আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আপনারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এসব বিষয়ে তো আমি একা সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। আগামী ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগের সব বিচারপতি মিলে শুনব।’
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থীতা বৈধা ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক।
১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
তার করা রিটের শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর মনোয়নপত্র বৈধতা পায়।
পরদিন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন জাহিদ ফারুক। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতির আদালত।
এর ফলে সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচন আটকে যায়। পরে সাদিক আব্দুল্লাহ চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। যে আবেদনের ওপর আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
নাটোর-১ আসন: নৌকা ও ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরীপুরে নাটোর-১ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের দু’টি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুবৃত্তরা।
সোমবার দিবাগত ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, ভোররাতে কে বা কারা গৌরীপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধড়িয়ে দেয়ে।
এত ক্যাম্প দু’টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় গোয়ালন্দ জাপার সভাপতিসহ ২ নেতাকে অব্যাহতি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা কমিটির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী-১ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা জাপা সভাপতি আইনজীবী খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু।
দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী
সভাপতি খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান মোমিন ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
এতে বলা হয়, রাজবাড়ী-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালালেও হামিদুল হক বাবলু ও মো. মনির হোসেনকে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাসের পক্ষে তারা নিয়মিত প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
যা সম্পূর্ণভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ২৬ ডিসেম্বর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হামিদুল হক বাবলু ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতির জন্য জাতীয় পার্টির সুপারিশ কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীর হামলার অভিযোগ
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৪ নারী কর্মীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সখোপাড়া গ্রামে হামলায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।
গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সাফিনুর নাহার, যোগীপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য ও মহিলা লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইশরাত জাহান বিউটি, কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক এমপির ভাতিজি পাপিয়া জাহান, শারমিন আক্তার এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শাহজাহান আলী।
এদের মধ্যে সাফিনুর নাহার, বিউটি ও শাহজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৪ আসনে সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল, জরিমানা
পুলিশ ও আহতরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রচার চালাতে দুইটি সিএনজি নিয়ে সখোপাড়া গ্রামে যান ৬ জন নারী। তাদের সঙ্গে সেখানে যোগ দেন আরও কয়েকজন নারী। এ সময় তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থক খোরশেদ আলমের সামনে নারীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের প্রচারপত্র বিলি করছিলেন।
তারা আরও জানান, এ সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সাফিনুরের উপর হামলা করে। এ সময় বিউটি ঘটনা ভিডিও করতে গেলে তার ওপরও হামলা চালিয়েছে। নারী ও পুরুষ মিলে তাদের পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সিএনজি চালক তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
সাফিনুর নাহার অভিযোগ করেন, ‘খোরশেদ আলম গিয়ে আমাদের বলে- তোরা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছিস কেন? এ এলাকায় নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকের ভোট চাওয়া যাবে না। আমি তার কথার প্রতিবাদ করলে প্রথমে খোরশেদ আলমসহ তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ও কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগ করেন, ‘নৌকার প্রার্থীর ক্যাডার বাহিনী প্রতিনিয়ত কাঁচির সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর করে যাচ্ছে।’
এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার চান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে দ্বিতীয় বারের মতো শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
তাকে আজ মঙ্গলবারের (২ জানুয়ারি) মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আসনটিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল সোমবার শোকজ নোটিশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
কমিটির সহকারী শরীফ খন্দকার রুবেল জানান, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে উক্ত প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত লিফলেটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান ব্যবহার করেছেন।
উল্লেখ্য, রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নির্বাচনী সভা করার জন্য গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তাকে শোকজ করা হয়েছিল। যথাসময়ে তিনি এর জবাব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রকে শোকজ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফরিদপুর-৪ আসনের কাজী জাফর উল্লাহকে শোকজ
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশ মেনে নেবে না।
নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, তাদের একদিন উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কেউ আমাদের বিষয়ে নাক গলাতে এলে আমরা তা গ্রহণ করব না। অতীতে বাংলাদেশ এটা গ্রহণ করেনি।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা টুঙ্গিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভা ও কোটালীপাড়ায় সমাবেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই শক্তিগুলো ব্যর্থ হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের দেখাব যে আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিজয় অর্জন করতে পারি।’ ইনশাল্লাহ, দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে ধনী দেশগুলোর চেয়ে কম শতাংশে নামিয়ে এনে বাংলাদেশকে গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশের অগ্রগতির স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য নতুন ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজ থেকে এসেছেন এবং যারা প্রথমবার ভোটার হয়েছেন, তাদের প্রথম ভোট নষ্ট করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, 'যারা নতুন ভোটার হবেন, তাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরও এগিয়ে যেতে, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে অগ্রগতির বর্তমান গতি বজায় রাখতে এবং আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল বিশ্বাস করে যুবশক্তি মানেই বাংলাদেশের অগ্রগতি।
তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা একটি দক্ষ ও স্মার্ট যুব সমাজ গড়ে তুলব।’
বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা শুরু করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
তিনি বলেন, 'যারা জনগণকে পুড়িয়ে মারে, ক্ষতি করে বা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে তাদের যথাযথ শাস্তি দিন, আমি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান ও জায়গা থেকে তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভোট দেওয়া জনগণের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই আজ ভোট ও খাদ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে কেউ এ দেশ ও এ দেশের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ তন্ময় এমপি, শেখ জুয়েলের স্ত্রী শেখ শাহানা ইয়াসমিন চম্পা, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে ৩৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
খাগড়াছড়িতে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য, বিজিবি 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' এর অধীনে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সারা দেশে ১১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১২তম অবরোধ: সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১১ দফায় অবরোধ: সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
নির্বাচনের আগে সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে: র্যাব
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সারাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা সব সংসদীয় আসনে মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তারা ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট গণনায় ভূমিকা রাখবে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুটি করে টহল দল মোতায়েন করা হবে এবং প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দুটি করে টহল দল রাখা হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৭০০টির বেশি টহল দল দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিজস্ব সুইপিং ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল প্রস্তুত রাখা হবে।
এছাড়া, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে।
র্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্সের বিশেষ বাহিনী যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
৭টি জোনে বিভক্ত র্যাব ফোর্সেস হেড কোয়ার্টার্সের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
ডগ স্কোয়াডের ১০টি দলকে র্যাব ফোর্স হেড কোয়ার্টারে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে: র্যাব
রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার: র্যাব