টেলিভিশন
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকেরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নেতাদের পর বিএনপিপন্থী চিকিৎসকেরাও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।তিনি বলেছেন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির শিখিয়ে দেয়া বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা।সচিবালয়ে সোমবার কেবল অপারেটরদের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কালকে (রবিবার) আমি টেলিভিশনে দেখেছি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার (খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে) বিবৃতি দিয়েছেন। ড্যাবের দপ্তর সম্পাদক ফখরুজ্জামান সাক্ষরিত আরেকটি বিবৃতি ছিল। আরেকজন ডাক্তার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এর সবাই বিএনপির দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং ড্যাবের শীর্ষস্থানীয় নেতা।
আরও পড়ুন: আইন-আদালত মানে না বলেই বিএনপি দায়িত্বহীন কথা বলে: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তার যেভাবে কথা বলেছেন, শুধুমাত্র ইউকেতে চিকিৎসা আছে। আর চিকিৎসা আছে জার্মানিতে আর ইউএসএতে। উনি ক্যাটাগরিক্যালি বলেছেন, ভারতে তো (চিকিৎসা) নেইই, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককেও নেই। এখন ইউরোপের অনেক মানুষ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করতে আসে। আমেরিকার অনেকেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করতে আসে। সারা দুনিয়া থেকে ব্যাংককেও অনেক মানুষ চিকিৎসা করতে আসেন।’কয়েকটি দেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেই এটা ওই ডাক্তাররা কীভাবে বলেছেন সেই প্রশ্নে তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র তারেক রহমান যেখানে আছে সেখানে চিকিৎসা আছে ইউকেতে, পাশের দেশ জার্মানিতে আর ইউএসএতে চিকিৎসা আছে। উনাদের বক্তব্যের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে উনারা যা বলেছেন তা বিএনপির শেখানো বক্তব্য।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেসব ডাক্তার বিবৃতি দিয়েছেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের বেশিরভাগই বিএনপির দলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। এখন বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতিটা বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে তারা ডাক্তারদের মধ্যেও নিয়ে গেছেন, গতকালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটিও প্রমাণিত হয়েছে।’বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশে বিশৃঙ্খলা না চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে হবে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব যদি এ কথা বলে থাকেন এ জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে বলে আমি মনে করি। কারণ উনি যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। উনারা অতীতে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, দেশের মানুষ তাদের আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দিবেন না।
দর্শক, কেবল অপারেটরদের সুবিধার্থেই ডিজিটাল পদ্ধতি: তথ্যমন্ত্রী
দেশে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে টেলিভিশনের দর্শক, মালিক, কেবল অপারেটরসহ সকলেই উপকৃত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো এবং কেবল ডিস্ট্রিবিউটর ও অপারেটরদের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে একথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী এসময় বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বাস্তবায়ন এবং কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করতে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করার জন্য কেবল অপারেটরদের ধন্যবাদ জানান। ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বাস্তবায়িত হয়েছে। অপরাপর সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য আজকের এ বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে এবং গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ সকল আদি জেলা শহরে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিভি কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’
আরও পড়ুন: ক্লিনফিড সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না: তথ্যমন্ত্রী
‘কেবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সময় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, তারা ইতোমধ্যেই তাদের প্রান্তে ডিজিটাল-হেড স্থাপন করেছেন, এখন গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স নিতে হবে’ জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত শহরগুলোতে গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স না থাকলে টেলিভিশন দেখার ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হবে। সহজ কিস্তিতে সুলভ মূল্যে কেবল অপারেটরা গ্রাহকদের সেট-টপ বক্স সরবরাহ করবে। এটকো প্রতিনিধিবৃন্দ এবিষয়ে সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে বলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেবল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ডিজিটাল হলে সবার জন্যই সুবিধা। গ্রাহকরা আরও ভালোভাবে টেলিভিশন দেখতে পাবে। ডিজিটাল না হওয়ায় সরকার প্রতি মাসে ১শ’ ২৫ থেকে দেড়শ’ কোটি টাকার ভ্যাট হারাচ্ছে। কেবল অপারেটররাও যে ফিড অপারেটরের কাছ থেকে গ্রাহকসংখ্যার ভুল হিসেবের ফলে বঞ্চিত হচ্ছে। টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষও তাদের দর্শকসংখ্যা জানতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: ২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। দেখা যাচ্ছে, যে সমস্ত চ্যানেল কেবল নেটওয়ার্কে মাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়া দেখা যাচ্ছে না, সে সমস্ত চ্যানেল অনেক ক্ষেত্রে ওটিটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এটিও আইনের বরখেলাপ এবং নীতিমালার আলোকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মকবুল হোসেনের পরিচালনায় এটকো’র সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন, সদস্য আব্দুস সামাদ বাবু, আহমেদ জোবায়ের, হুমায়ুন কবীর বাবলু, ডিস্ট্রিবিউটর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, অপারেটর প্রতিনিধি এসএম আনোয়ার পারভেজ, সৈয়দ মোশারফ আলী, এবিএম সাইফুল হোসেন, মো: ফখরুদ্দিন মিয়া, মো: এনামুল হাফিজ ছোটন প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
চুয়াডাঙ্গায় ৬টি স্বর্ণের বারসহ নারী আটক
চুয়াডাঙ্গায় টেলিভিশনের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ছয়টি স্বর্ণের বারসহ এক নারীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত এলাকা হরিহরনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণসহ ওই নারীকে আটক করে পুলিশ।
আটক নারী চায়না খাতুন (৪০) উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আব্দুল হান্নানের বাড়িতে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণের বারের বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং বাড়িটি ঘিরে ফেলে। রাত ৯টার দিকে তল্লাশি চলাকালে হান্নানের স্ত্রী চায়না খাতুনের দেয়া তথ্য মতে তাদের বসতবাড়ির শোবার ঘরের টেলিভিশনের নিচে বিশেষ উপায়ে লুকানো অবস্থায় ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এসময় হান্নানের স্ত্রী চায়না খাতুনকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ছয়টি স্বর্ণের বারের ওজন ৫৯ ভরি ১৪ আনা, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৫০ টাকা।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ঘটনার বিষয়ে জীবননগর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান মামলা শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) চায়না খাতুনকে আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৮০টি স্বর্ণের বারসহ নিরাপত্তারক্ষী আটক
তাইওয়ানে ভবনে আগুন: নিহত ২৫
দক্ষিণ তাইওয়ানের একটি ভবনে বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কাওসিউং শহরের দমকল কর্মকর্তারা জানান, ১৩তলা ভবনে বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে আগুন ধরে যায়। দমকল দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডটি ‘ভয়াবহ’ এবং এতে অনেক তলার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি চিং-হসিউ সাংবাদিকদের বলেন, কমপক্ষে ১১ টি লাশ সরাসরি মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্য ১৪ জন যাদের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই তাদেরসহ ৫৫ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ৭০ দোকান
লি বলেন, মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে যেতে পারে, কারণ অগ্নিনির্বাপক বাহিনী বিকেল পর্যন্ত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবে।
তাইওয়ানের টেলিভিশনে দেখানো ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকলকর্মীরা রাস্তায় পানি ছিটানোর সময় ভবনের নিচ তলা থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া বের হচ্ছে। এছাড়া দিনের বিরতি শেষে তাদের উঁচু প্ল্যাটফর্ম থেকে এখনও ধোঁয়াটে ভবনের মাঝের তলায় জল ছিটাতে দেখা গেছে।
দমকল বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অস্পষ্ট।
আরও পড়ুন: নিজের বাইকে আগুন দিলেন ক্ষুব্ধ রাইড শেয়ারিং চালক
প্রত্যক্ষদর্শীরা তাইওয়ানের গণমাধ্যমকে জানান, তারা ভোর ৩টার দিকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
উল্লেখ্য, ভবনটি প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো এবং এর নিম্ন স্তরের দোকান ও উপরে অ্যাপার্টমেন্ট। ভবনটির নিচের তলাগুলো পুরোপুরি কালো হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ২৩ যাত্রী নিয়ে রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত
বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
আইন অনুযায়ী দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিনফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নে পয়লা অক্টোবর থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন প্রয়োগে এ ব্যবস্থার কথা জানান মন্ত্রী।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের এবং ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোনতথ্যমন্ত্রী জানান, ‘যারা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমতি পেয়েছে ক্লিনফিডের ব্যাপারে তাদের সাথে আগস্ট মাসে বৈঠক করে আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন প্রয়োগ করবো। দিনের পর দিন তারা সময় নেবে, কালক্ষেপণ করবে, এটি হয় না। ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কেউ দেখাতে পারে না। আর আমাদের দেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিনফিড পাঠাচ্ছে না, এই অজুহাতে এখানে ক্লিনফিড চালাবে না এটা হয় না।’ পয়লা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ক্লিনফিড সম্প্রচার কার্যকর করার বিষয়টি সম্প্রতি দিল্লী সফরকালে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসিতত্ত্বাধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি’র দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন প্রশাসনের ওপর সরকারের আসলে কোনো কার্যকারিতা থাকে না। বিএনপি এ ধরণের কথা গত সাড়ে ১২ বছর ধরে বলে আসছে, গত নির্বাচনের আগেও বলেছিল, পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের এটা নতুন কিছু নয়। তবে একটি রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন হচ্ছে দলের মধ্যে প্রাণসঞ্চালনের একটি বড় সুযোগ। নিজের শিরা-উপশিরাকে শুকিয়ে বিএনপি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যাবে কি না, সে সিদ্ধান্ত বিএনপিই নেবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রীতথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেব সম্পাদিত ‘উন্নয়নে উজ্জীবনে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় মন্ত্রী গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনার জন্য সৌমিত্র দেবকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বিস্ময়কর নেতৃত্বের উদাহরণ। সেকারণেই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে ‘কেইস স্টাডি’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
তথ্যচিত্রে সালমানের জীবন
রুপালি পর্দায় অভিষেকের তিন দশক পরেও সালমান খান বলিউডের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারদের একজন। তার জীবন এমন যা কিনা একটি বই, একটি বায়োপিক বা একটি তথ্যচিত্র দাবি করে।
প্রকৃতপক্ষে, সালমান তাঁর বলিউড ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মিডিয়ার লাইমলাইটকে অনেকটা ছাপিয়ে গেছেন। সেটা তাঁর ম্যাকো লুকের জন্য, নায়িকাদের সাথে সম্পর্কের গুজব বা ‘বিয়িং হিউম্যান’ অফ -স্ক্রিন ইমেজের জন্য।
বলিউডে তাঁর ৩৩ বছরের দীর্ঘ যাত্রা এখন একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি সিরিজের মাধ্যমে দেখানো হবে। যেটা কিনা তাঁর সুপারস্টার হওয়ার পেছনের পরিচিত ঘটনাগুলো নিয়ে নয় বরং ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন বিয়য়ের ওপর আলোকপাত করবে।
শীর্ষস্থানীয় ফিল্ম পোর্টাল 'বলিউড হাঙ্গামা' অনুসারে, তাঁর পরিবারের সদস্য, তাঁর বর্তমান এবং প্রাক্তন সহ-অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ডকু-সিরিজটি তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: মানসপটে সালমান শাহ ও কিছু বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি বনে যাওয়া
পোর্টাল জানিয়েছে, এই ডকুমেন্ট-সিরিজ নির্মাতারা ইতোমধ্যেই এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের প্রিমিয়ার করার জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা করছে।
১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে আবদুল রশিদ সেলিম সালমান খান নামে জন্ম নেয়া এই সুপারস্টার তার ৩৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৮০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি বলিউডের তৃতীয় ধনী অভিনেতা, যার আনুমানিক সম্পদের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রোমান্টিক নায়ক থেকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়াও সালমান একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
‘বিবি হো তো এইসি’ সিনেমায় একটি সহায়ক ভূমিকার মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে বলিউডে কর্মজীবন শুরু করেন সালমান। কিন্তু তাঁর আসল সাফল্য এসেছে এক বছর পর রোমান্টিক ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-তে অভিনয়ের পর। এই সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: বলিউডে অভিষেক হচ্ছে শাহরুখ কন্যা সুহানার!
অ্যাকশন থ্রিলার করণ অর্জুন (১৯৯৫), কমেডি চলচ্চিত্র বিবি নং ১ (১৯৯৯) এবং পারিবারিক সিনেমা হাম সাথ-সাথ হ্যায় (১৯৯৯)বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা সফল সিনেমা ছিল।
২০০০ এর দশকে তার ক্যারিয়ারে সংক্ষিপ্ত পতনের পর দাবাং (২০১০), এক থা টাইগার (২০১২), কিক (২০১৪) এবং সুলতান (২০১৬) এর মতো অ্যাকশন ফিল্মে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আরও বেশি গৌরব অর্জন করেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা টেলিভিশন উপস্থাপনা এবং একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
কিন্তু তাঁর জীবনের একটি অন্ধকার দিকও রয়েছে। তাঁর একজন প্রাক্তন বান্ধবী তার বিরুদ্ধে সম্মানহানীর অভিযোগ এনেছেন এবং তাকে ২০১৮ সালে ভারতের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকাভুক্ত দুটি কৃষ্ণ হরিণ হত্যার জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমনের প্রত্যাবর্তন
বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে ‘চাঁদের জমি’ উপহার দিলেন স্বামী
বিয়ে বার্ষিকী আরও স্মরণীয় করে রাখতে খুলনায় স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে উপহার দিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার ওই দম্পতির ষষ্ঠ বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রী ইসরাত টুম্পার হাতে জমির দলিল তুলে দেন স্বামী এমডি অসীম।
ওই দম্পতি খুলনা মহানগরীর মর্ডান মোড় এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। স্বামীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়, পেশায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগের প্রতিনিধি। আর স্ত্রীর বাবার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামে, পেশায় চিকিৎসক। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৪ সন্তানের মা হলেন লাক্সমিয়া
স্বামী অসীম বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে স্পেশাল কিছু উপহার দিব। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এরপর আমাদের বিয়ে বার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'
তিনি বলেন, 'গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি৷'
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছে কাশফুলের খোঁজে: গন্তব্য যখন শরতের শ্বেতশুভ্র স্বর্গ
স্ত্রী ইসরাত টুম্পা বলেন, ‘চাঁদের দেশে এক টুকরো জমি উপহার পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। গত বছর ভারতের একটি ঘটনা দেখে আমার স্বামী ইচ্ছা পোষণ করেছিল। এবার বিয়ে বার্ষিকীতে সে আমাকে সত্যিই সারপ্রাইজ গিফট দিতে পেরেছে। উপহারটি পাওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন স্বপ্নে চাঁদে চলে গেছি।’
উল্লেখ্য, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। যার বাংলা অর্থ ‘চন্দ্র দূতাবাস’। তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম একর প্রতি ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই হাজার ১৪২ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৬৫২ টাকা।
৫৯টি আইপিটিভি বন্ধ করেছে বিটিআরসি
৫৯টি অনিবন্ধিত ও অবৈধ ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপিটিভি) বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রবিবার বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইপিটিভি সেবাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করতেই এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেলিভিশনে প্রচারিত কনটেন্ট ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রচার করার প্রক্রিয়া হলো আইপিটিভি। বিটিআরসি কেবল লাইসেন্সধারী আইএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা) প্রতিষ্ঠানকে আইপিভিত্তিক ডেটা সার্ভিসের (যেমন স্ট্রিমিং সেবা, আইপিটিভি, ভিডিও অন ডিমান্ড) অনুমোদন দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: জুনের পর অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বন্ধ: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বিটিআরসির আইপিটিভি সেবার অনুমোদন পেয়েই আইএসপি অপারেটররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার শুধু তাঁদের গ্রাহকদেরই প্রদর্শন করতে পারবেন। তবে প্রতিটি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান বা কন্টেন্ট প্রচারে প্রয়োজনীয় চুক্তি/ অনুমোদন/ ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করতে হবে।
বিটিআরসি আরও বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা করা যাচ্ছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ডোমেইন ক্রয়/ ফেসবুক/ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জনগণকে আইপিটিভি প্রদর্শন করছে, যার কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া সম্প্রচার অনৈতিক ও টেলিযোগাযোগ আইনের ব্যত্যয়। এজন্য ইতোমধ্যে এ ধরনের ৫৯ টি অনিবন্ধিত অবৈধ আইপিটিভি কমিশন থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এ সকল কার্যক্রমের সাথে বিটিআরসির আইপি ভিত্তিক ডাটা সার্ভিসের জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
আরও পড়ুন: অবৈধ আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দেশে রাত ১২ টার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা গরম করে কথা বলেন, তাদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।'
শনিবার বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ব্রজগোপাল টাউন হলে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি 'সিরিজ মিটিং' করে বলেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু নির্বাচন তো কোন সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ থাকার মকোনো প্রমাণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে চর ফ্যাশনে অবতরণের পরই সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সেখানে শেখ রাসেল শিশুপার্কে স্মারক বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন নির্বাচন হয় তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারের অধীনে থাকেন না, তাদের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যায়। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। সরকার তখন ডিসি, এসপি, ইউএনও কাউকেই বদলি করতে পারে না। সব নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যায়।’এর আগে তথ্যমন্ত্রী এমপি জ্যাকবের বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমগ্র দেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করে। সারা দেশের উন্নয়নের মধ্যেই জাতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন নিহিত। সে কারণে দেশের প্রতিটি প্রান্তে যাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে, সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সবসময় পেছনের দরজা খোঁজে: তথ্যমন্ত্রীএদিন চর ফ্যাশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিদর্শনকালে ভোলার ডেপুটি কমিশনার মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন্দ, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মোর্শেদ প্রমুখ মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘সরকার অবশ্যই যে কোনো কারণে হিসাব তলব করতে পারে, ব্যাংক হিসাবও তলব করতে পারে। তবে আমি মনে করি এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নাই।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আমিও পত্রিকা দেখে খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি। যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তাদের আমি চিনি ও জানি। তাদের অনেকের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আমি জ্ঞাত।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রেসক্লাবের
সাংবাদিকরাই গণমাধ্যমের নানা বিশৃঙ্খলা দূর করে শৃঙ্খলা আনার দাবি জানিয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি সাংবাদিকদের একজন হয়ে সেই চোখ দিয়ে বিষয়গুলো দেখার এবং সাংবাদিকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে বিশৃঙ্খলা দূর করার চেষ্টা করি। অনেক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা এসেছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) মোল্লা জালাল ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন এবং ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সভাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রীড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম নিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা ছিল, ‘কেবল অপারেটরদের কাছে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে ধর্ণা দিতে হতো। এখন সম্প্রচার শুরুর তারিখ অনুযায়ী চ্যানেলগুলো দেখানো হয়। পয়লা অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলো যাতে অনুমতি ছাড়া কোনো বিজ্ঞাপন দেখাতে না পারে সেজন্য আমরা দেশে প্রচলিত আইন কার্যকর করতে যাচ্ছি।’ আমি সেটি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও অবহিত করেছি। কারণ ভারতের প্রচুর চ্যানেল এখানে প্রদর্শিত হয়, যেগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেটি আইন বহির্ভূত। আইপি টিভি’র ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি, রেজিস্ট্রেশন দেয়ার কাজ খুব সহসা শুরু হবে।’সংবাদপত্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানেও নানা অনিয়ম বিশৃঙ্খলা আছে। ডিএফপিতে পত্রিকার যে প্রচার সংখ্যা, সেটি যুগ যুগ ধরে একটি অবাস্তব সংখ্যা। অনেক সেটিকে ভৌতিক প্রচার সংখ্যা বলেন। পত্রিকা বের হয় তিন হাজার কিন্তু প্রচার সংখ্যা এক লাখ, পত্রিকা বের হয় পাঁচ হাজার প্রচার সংখ্যা দুই লাখ। আমরা সেখানেও একটি শৃঙ্খলা আনবো। চারশ’ পত্রিকা গত দুইবছরে একটি সংখ্যাও ডিএফপিতে জমা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ঘরানার হাজারো অ্যাক্টিভিস্ট সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়: তথ্যমন্ত্রীমন্ত্রী জানান, ‘ইতোমধ্যেই ১২০টির মতো পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। কারণ এই পত্রিকাগুলো বের হয় না। কিন্তু বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। যেদিন বিজ্ঞাপন পায়, সেদিন ছাপায়। আর এতে করে যে পত্রিকাগুলো সত্যিকারের অর্থে প্রকাশিত হয় তারা বিজ্ঞাপন বঞ্চিত হয়। বিজ্ঞাপন বঞ্চিত হওয়ার কারণে সেই পত্রিকার সাংবাদিকরা বেতন থেকে বঞ্চিত হয়। সাংবাদিকরা সেখানে শৃঙ্খলা আনার দাবি জানিয়েছেন, সেই দাবি আমাকে সাহস জুগিয়েছে, আমি সেখানে শৃঙ্খলা আনবো।’ড. হাছান বলেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশ ছাড়া এই উপমহাদেশে কোথাও সাংবাদিকদের এককালীন সাহায্য দেয়া হয়নি। ২০২০ সালে যখন করোনা দেখা দিলো তখন সাংবাদিকদের এককালীন সহায়তা দেয়ার জন্য আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বরাদ্দ না পেয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে বরাদ্দ দিয়ে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিককে করোনাকালীন সহায়তা দেয়া হয়েছে। এরপর ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জেনে ১০ কোটি টাকা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছেন। এই সাহায্য চলমান রয়েছে।’এই কল্যাণ ট্রাস্ট প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাই স্থাপন করেছেন এবং এখন শুধু সাংবাদিক নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও চিকিৎসা কিংবা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য নীতিমালার খসড়া হয়েছে যা চূড়ান্ত হলে সাংবাদিকদের পরিবারও উপকৃত হবে, জানান মন্ত্রী।এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি দেশের সকল মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী এ ধরণের আইন আছে, আরো কঠিন আইন আছে। একজন সাংবাদিকের বা একজন গৃহিনীর বা যে কারোর চরিত্র ডিজিটাল মাধ্যমে হনন করা হলে তিনি এই আইনে প্রতিকার পাবেন। সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন। একইসাথে এই আইন যেন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধক না হয়, সেটি দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রীতথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে, তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আমার স্বাধীনতা যেন অপরের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা আছে, অনেক উন্নয়নশীল দেশেও এরকম স্বাধীনতা নেই। দুর্নীতি, অনাচার প্রতিরোধে, সমাজে শৃঙ্খলা আনতে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার জন্য, অবহেলিত ব্যক্তির প্রতি সমাজ, রাষ্ট্র, সরকারের দৃষ্টিপাতের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সংবাদপত্র, টেলিভিশন বা অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ এখনও সমগুরুত্বে প্রকাশ হয় না।’