সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপ্রার্থীদের ডিজিটাল পাস চালু আপিল বিভাগের
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ডিজিটাল পাস চালু করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়, এন্ট্রি পাস না দেখিয়ে কোনো বাদী আপিল বিভাগ ও বেঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এই পাস সংগ্রহ করে আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারপ্রার্থীরা।
কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা ওয়েবসাইটের মেনুতে প্রবেশ করে তারিখ, মামলা নম্বর, বাদীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর টাইপ করে ডিজিটাল পাস পাওয়া যাবে। পরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে পাস প্রিন্ট করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই পাসের মুদ্রিত কপি বা স্ক্রিনশট বা ডাউনলোড করা কপি দেখিয়ে মামলাকারীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এ পাস সংগ্রহ করেই বিচারপ্রার্থীরা আপিলে প্রবেশ করতে পারবেন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
যে কোনো বিচারপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এন্ট্রি লিস্ট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। কিউআর কোড স্ক্যান করে বা পর্যায়ক্রমে প্রবেশের তারিখ, মামলার নাম্বার, বিচারপ্রার্থীর নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ন্যাশনাল আইডি নাম্বার টাইপ করতে হবে। এরপর নিবন্ধনে বাটনে ক্লিক করে পাস প্রিন্ট করা যাবে।
এ পাসের প্রিন্ট কপি অথবা স্ক্রিনশট বা ডাউনলোড কপি দেখিয়ে প্রবেশ করা যাবে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ক্রমাগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে প্রবেশ পাস ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।
আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে আগ্রহী বিচার প্রার্থী সংযুক্ত ব্যবহার বিধি অনুসরণপূর্বক স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রবেশের তারিখ ও মামলা নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে আপিল বিভাগের ডিজিটাল পাস সংগ্রহ করতে পারবে।
উক্ত প্রবেশ পাস ডিজিটাল অথবা প্রিন্টকপি ব্যবহার করে আপিল বিভাগের এজলাসে প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আপিল বিভাগের এজলাস ও এজলাস সংলগ্ন স্থানে কোনো বিচারপ্রার্থী প্রবেশ পাস প্রদর্শন ব্যতিত ঢুকতে বা অবস্থান করতে পারবেন না।
এ আদেশ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
প্রধান বিচারপতি পদক পেলেন ৫ বিচারক
অধস্তন আদালতের বিচারকদের সততা, মেধা-যোগ্যতা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজন বিচারককে ও দলগতভাবে একটি জেলার আদালতকে ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন পদকপ্রাপ্তরা।
আরও পড়ুন: রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
ব্যক্তিগতভাবে পদক পাওয়া পাঁচ ক্যাটাগরির বিচারকরা হলেন- জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা, অতিরিক্ত জেলা জজ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইলের মুখ্য বিচারিক হাকিম সাউদ হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারি জজ মোসা. রেশমা খাতুন এবং সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে রংপুরের সহকারী জজ মো. হাসিনুর রহমান মিলন।
এদিকে, দলগতভাবে পদক পেয়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ। এ জেলার পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন পদক গ্রহণ করেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধান বিচারপতি পদক চালুর ঘোষণা দেন।
সে অনুযায়ী এপ্রিলে আপিল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে হাইকোর্ট বিভাগের আরও পাঁচ বিচারককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
কমিটি গঠন সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিনকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
সদস্য হিসাবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর এবং বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান।
এ কমিটি ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি পদকের জন্য ব্যক্তি বাছাইয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়। পরে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রবিবার পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ তিনজনসহ আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো নয় জন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইনমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।
আজ বিকাল চারটায় তাদের শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এতথ্য নিশ্চিত করেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
বর্তমানে আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াবে নয়জনে।
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ হাইকোর্টের
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
রিটে ভারতে কম দামে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
এছাড়া রিটে পর্যটন করপোরেশনকে ইলিশ মাছ কেন্দ্রিক পর্যটনের বিকাশে কাজ করতে নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম চালানে ভারতে গেল ৮ মেট্রিক টন ইলিশ
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই নোটিশ পাঠানোর সাতদিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রিটটি করা হয়।
রিটটি শিগগিরই হাইকোর্টে শুনানির চেষ্টা করা হবে বলে জানান আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
ওই আইনজীবী জানান, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জনসাধারণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। অপরদিকে জনগণের স্বার্থে সর্বদা নিয়োজিত থাকা বিবাদীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
তাই রিটে বলা হয়, দেশের বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ধ্বংস করেছেন এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন। এছাড়া রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানি যোগ্য পণ্য নয়। তাই রিট মামলায় এই ইলিশ মাছ স্থায়ীভাবে রপ্তানি বন্ধের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
রিটে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ, অথচ বর্তমানে ইলিশ মাছের অত্যধিক দামের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই মাছ কেনার চিন্তাও করে না। দেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দরিদ্র কৃষকরা দুই মণ ধান বিক্রি করেও এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন না। এছাড়া ইলিশের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু হলো পদ্মা নদীর ইলিশ। ইলিশ মাছের দাম ১৬০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের এই ইলিশ ভারতে মাত্র ১০ ডলার (প্রায় ৯৫০ টাকা) কেজি দরে রপ্তানি হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ইলিশ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধরা পড়ছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা
মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
ড.এ কে আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মোস্তাফিজুর বলেন, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ২১ আগস্ট আব্দুল মোমেন ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ।
আরও পড়ুন: আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
তিনি বলেন, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়েছে।
ড. মোমেনকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায় স্থগিত
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পূর্বানুমতির বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগও সরকারকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল আবেদন করতে বলেছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মুরশিদ সরকারের আপিলের বিরোধিতা করেন।
বুধবার, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক হাইকোর্টের রায় স্থগিত করতে অস্বীকার করেন এবং বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য আপিলটি তার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করেন।
২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৮’- এর বিধান বাতিল করে এটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বর্ণনা করেন।
আদালত জানান, ‘দেশের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী আইনের চোখে সবাই সমান।’
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, ‘সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পূর্বানুমতি পাওয়ার বিধান করে একটি ধারাকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে, যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ ধারার পরিপন্থি ও সাংঘর্ষিক।’
৪১ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি মামলায় একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি প্রয়োজন।
২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর আইনের ৪১ (১) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছিল।
অলাভজনক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী সারোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাস উদ্দিন ভূইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিটটি করেন।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ নম্বর ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রিট আবেদন করেছিল।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকারকে ব্যাখ্যা করতে বলেছে যে কেন পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্টের ধারা ৪১ (১) কে ‘অবৈধ ও ধারা ২৬ (১) এবং (২), ২৭ ও ৩১ এর সঙ্গে পরিপন্থি হিসেবে ঘোষণা করা হবে না।’
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
সব মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, ১৯ আগস্ট বিকালে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত বিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান। ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে তিনি তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্মকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছি। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গি পাড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার ব্যাখ্যায় ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।
আরও পড়ুন: মিডিয়াকে সহনশীল হওয়ার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘর সংলগ্ন বিশ্রামাগারটি উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্রামাগার শেডে বিচারপ্রার্থীদের বসতে অর্ধশতাধিক আসন বসানো হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ শেডের পাশের ভবনে টয়লেট ও একটি স্টেশনারি দোকান রয়েছে। উচ্চ আদালতের পাশাপাশি এখন জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও ‘ন্যায়কুঞ্জ’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ হাইকোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হলেন বজলুর রহমান