সুপ্রিম কোর্ট
সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: জয়নুল আবেদীন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, সরকারের ‘মিথ্যা’ আশ্বাসে তাদের দল আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অহেতুক চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিএনপিকে আবার নির্বাচনে নিতে পারবেন, কিন্তু তা হবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল।
কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডার’ দের বিরোধী দলের নেতাদের ওপর অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় জয়নুল আবেদীন বলেন, শোনা যাচ্ছে সরকারের নীতি-নির্ধারকেরা নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছেন। ‘এটা কোনো নির্বাচনী রোডম্যাপ নয়। অনির্বাচিত সরকার কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পালাতে পারবে তার রোডম্যাপ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত শ্রীলঙ্কায় পরিণত হতে যাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার লোভে যারা দলের (বিএনপি) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। ‘দেশদ্রোহীরা বাংলাদেশে কোনো স্থান পাবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ তাদের সঙ্গে থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের দলকে ভাঙতে ও দুর্বল করতে পারবে না। আপনারা (সরকার) যতই চেষ্টা করুন না কেন, বিএনপিকে বিভক্ত করতে পারবেন না।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য এটা জনগণের আন্দোলন, কোনো ষড়যন্ত্র নয়। ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আপনারদের পতনের আন্দোলনে নেমেছে। ষড়যন্ত্রের কথা বলে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে নিন্দা জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করতে সিন্ডিকেট তৈরি করে সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত
‘বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস - ২০২২।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ায় তেঁতুলতলা মাঠ অধিগ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি
র্যালি শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে আইন ও বিচার বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লিগ্যাল এইড অফিসারের পদকে যুগ্ম জেলা জজ পদে উন্নীত করার পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে।
আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি জেলা পর্যায়ে এডিআর সেন্টার গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ তফাজ্জল হাসান হিরুসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যদ্রব্যে অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন
ফের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ, তার ক্ষমতাসীন সংসদ ভেঙে দেয়া এবং আগাম নির্বাচন আয়োজনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখান প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট টানা চারদিনের শুনানি শেষে এই রায় দেন।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগসাজশে রাজনৈতিক বিরোধীরা তাকে অপসারণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ
বিরোধী দল দাবি করছে, তাদের কাছে সংসদে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পর্যাপ্ত ভোট ছিল। তারা জানায়, ৩৪২ আসনের বিধানসভায় তাদের ১৭২ ভোট রয়েছে। কারণ ইমরান খানের নিজের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ বা জাস্টিস পার্টির কিছু সদস্য এবং তার সরকারের জোটের অংশীদার মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট ইতোমধ্যে বিরোধী দলে যোগ দিয়েছে।
খানের মিত্র ও দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত রায়ের পর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ‘এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত্।তিনি সতর্ক করে বলেন, অস্থিতিশীলতা বাড়বে এবং আমি এ সংকটের কোন শেষ দেখছি না।’
আরও পড়ুন: তেল আবিবে বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
রবিবার থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে চলবে সুপ্রিম কোর্ট
দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে আগামী রবিবার (৬ মার্চ) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মে মাস থেকে ভার্চুয়াল ও ক্ষেত্র বিশেষে শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম চলে আসছিল।
এর মধ্যে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হলেন বজলুর রহমান
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এরপর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হয়। এরমধ্যে করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৯ জানুয়ারি থেকে ফের ভার্চুয়ালি বিচার কাজ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর
সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হলেন বজলুর রহমান
সুপ্রিম কোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার জেনারেল হিসেবে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগের বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমানকে বর্তমান কর্মস্থল হতে বদলি করে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে তাঁর চাকরি প্রধান বিচারপতির অধীন ন্যস্ত করা হলো।’
উল্লেখ্য, সুপ্রিমকোর্টের বর্তমান রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অবসরে যাচ্ছেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান বর্তমান রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বুধবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় কমিটির চেয়ারম্যানের শূন্যপদে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এ বিষয়ে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর থেকে সুপ্রিমকোর্ট লিগাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়।
আরও পড়ুন: মেজর সিনহা হত্যা: ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
পুরান ঢাকায় কেমিকেল গোডাউনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধায় বসবে না সুপ্রিম কোর্ট
আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট) বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
রবিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
বুধবার থেকে ভার্চুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্ট
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে ফের সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে এ বিষয়ে পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জন্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
হাইকোর্ট বিভাগের জন্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার থেকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এতদসংক্রান্তে জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘চারদিকে করোনার সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও হয়ত ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।’
এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন,‘আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয় এবং একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজন আইন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
তখন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন,‘আমাদের হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি, স্টাফ এবং নিম্ন আদালতের বেশ কিছু বিচারকও আক্রান্ত হয়েছেন।’
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার প্রয়োজনীয়তায় একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপরে ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এরপর একই বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় (আপীল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ফের শারীরিক উপস্থিতিতে চালু করে কোর্ট প্রশাসন।
তবে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশের ওপরে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনা সংক্রমিত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ৬৭৬ জন। এরই মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে। এরপর বুধবার থেকে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বগুড়ার তুফান