সুপ্রিম কোর্ট
টিএইচ খানের মৃত্যু: আজ বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খানের (টিএইচ খান) মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট) বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী টিএইচ খান রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য টিএইচ খান জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
সপ্তাহে ৪ দিন ভার্চুয়ালি চলবে চেম্বার আদালত
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে চারদিন ভার্চুয়ালি চলবে। বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার আড়াইটায় শুধু তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদির শুনানি গ্রহণ করবেন।
গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করায় আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চুয়ালি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আদালত চলাকালীন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ১০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বগুড়ার তুফান
আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
হাইকোর্টের চার জন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৯ জানিয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার কর্তৃক স্বাক্ষরিত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফ.আর. এম নাজমুল আহাসান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
সরকার বিচার প্রক্রিয়ায় কখনই হস্তক্ষেপ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে সরকার কখনই দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, আমরা কখনই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করিনি, কাউকে তা করার সুযোগ দেইনি। আমরা পথ পরিষ্কার করেছি যাতে সবাই ন্যায়ের পথে চলতে পারে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ শীর্ষক মুজিব স্মারক গ্রন্থ এবং ‘ন্যায়কণ্ঠ’ শীর্ষক মুজিববর্ষের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে দেশ মাথা উঁচু করে থাকবে। আমরা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ নেতা জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরের দুঃখজনক দিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার চাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেয়ায় আওয়ামী লীগকে মামলা করতে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, তখন গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের রক্ষকরা কোথায় ছিলেন? আমরা যদি টিকে না থাকতাম বা ক্ষমতায় আসতে না পারতাম, তাহলে এই বিচার কখনই শেষ হতো না...। এটাই বাস্তবতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকত।’
বঙ্গবন্ধুর দুই স্বঘোষিত খুনিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার আমেরিকা খুনি রাশেদকে আশ্রয় দিচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর আমি যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে দণ্ডিত অপরাধীকে ফেরত দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমি জানি না, গণতন্ত্রের ব্যাপারে সোচ্চার আমেরিকা কেন একজন খুনিকে আশ্রয় দিচ্ছে!
তিনি আরও বলেন, কানাডা আরেক স্বঘোষিত খুনি মেজর নূরকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের তাদের কাছ থেকে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সবক নিতে হয়,এটাই অবাক লাগে।
জাতির পিতাকে হত্যার বিষয়ে তার আরও একটি দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যারা পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করা। এটি একদিন বের হবে…এতে কোন সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: ছাতকে যুবক গ্রেপ্তার
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে ৯০ কার্যদিবসে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে পাওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির আদেশে বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দেশের সব অধস্তন ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে প্রাপ্তির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হলো। এই সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে তার কারণ উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদারে কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত সুপ্রিম কোর্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভাতা বাড়ানোর বিল পেশ
এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত বছরের ১১ মে থেকে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম চালু হয়। তবে হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং কয়েকটি বেঞ্চ ভার্চুয়ালে চলছিল। এখন ১ ডিসেম্বর থেকে সব আদালত শারীরিক উপস্থিতিতে চলবে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
বিচারকদের ভাতা বৃদ্ধি: ২টি বিল পাস
প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভাতা বাড়ানোর দুটি বিল রবিবার সংসদে পাস হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুযোগ-সুবিধা) আইন ২০২১, এবং 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন ২০২১,-বিল দুটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর সংসদে দুটি বিলই কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুযোগ-সুবিধা) আইন ২০২১ বিদ্যমান ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশের বদলে প্রতিস্থাপিত হবে। আর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন ২০২১ বিদ্যমান ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশের বদলে প্রতিস্থাপিত হবে।
আরও পড়ুন: সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
পাবলিক আমাদের সরকারের ‘দালাল’ বলে: সংসদে জাপা মহাসচিব
প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভাতা বাড়ানোর বিল পেশ
প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের ভাতা বাড়ানোর জন্য শনিবার সংসদে দুটি বিল পেশ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২১' এবং 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন, ২০২১'- এই দু’টি বিল পেশ করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে পেটেন্ট বিল পেশ
১৯৭৮ সালের বিদ্যমান অধ্যাদেশকে বাতিল করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২১, যেখানে ১৯৭৬ সালের বিদ্যমান অধ্যাদেশকে বাতিল করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ভ্রমণ ভাতা) আইন, ২০২১ খসড়া উত্থাপন করা হয়।
আদালতে বসতে পারবেন না সেই বিচারক
৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নিতে পর্যবেক্ষণ দেয়া সেই বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা: কামরুন্নাহারকে রবিবার (১৪ নভেম্বর) সাড়ে ৯টা থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বেগম কামরুন্নাহারকে ফৌজদারী বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ নভেম্বর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে খালাস দেন বেগম কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না, পুলিশ যেন ৭২ ঘণ্টা পর কোনো ধর্ষণের মামলা না নেয়।’
আরও পড়ুন: পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
প্রথমবার জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন বাংলাদেশি ৪ নারী বিচারক
হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসি: রায় শুনে আদালতে ভাঙচুর, বিচারককে গালাগাল
যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কাজী জিনাত হক, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌস।
বুধবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ৫৯১৬/২০০৮-এ ১৪/০৫/২০০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রদত্ত রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে কমিটি গঠন করা হলো।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১০৪ শিশু, ১৩৬ নারী নির্যাতনের শিকার: মহিলা পরিষদ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ে বলা হয়, ‘কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচ জন সদস্য থাকবেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে।’ এ বিষয়ে সচেতনতা ও জনমত তৈরির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গ সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা বই আকারে প্রকাশ করতে হবে।’
হাইকোর্টের রায়ে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় বলা হয়, শারীরিক ও মানসিক যে কোনো ধরনের নির্যাতনই যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে। প্রায় এক যুগ আগে দেয়া হাইকোর্টের ওই রায় বাস্তবায়ন করলো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে’