সুপ্রিম কোর্ট
শপথ নিলেন স্থায়ী হওয়া ৯ বিচারপতি
দুই বছর আগে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নয়জন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ থেকে তারা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হলেন।
স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল, বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এ সময় নয় বিচারপতির স্ত্রী-সন্তানরা জাজেস লাউঞ্জে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির জন্য বোর্ড: হাইকোর্টে সাবেক তিন সচিবের নাম দাখিল
এই নয় বিচারপতি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর আগে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। শপথের দিন থেকে তাদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই নয় বিচারপতিকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এই নয়জনকে নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ১০০ জনে। প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি রয়েছেন সাতজন।
পড়ুন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, বিএফইউজের নির্বাচনে বাধা কাটল
৮টি অর্থপাচার মামলার তথ্য হাইকোর্টে দাখিল করেছে সিআইডি
বিচার প্রশাসন ইনস্টিটিউটের নতুন মহাপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানাকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে বুধবার তার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগরের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালের বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইনের ১১ (২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানাকে তার যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করলেন।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: ছাতকে প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী
উক্ত পদে কর্মরত থাকাকালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের প্রাপ্য বেতন–ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা দেশের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন এবং ধাপে ধাপে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করলে ২০০০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই তিনি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ৭ জুলাই অবসরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান
এবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রথম নারী মহাপরিচালক হিসেবেও নিয়োগ পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় প্রথম নারী সাংবাদিক আফরোজা ভাষা সৈনিক কার্জন আলী পদক পেয়েছেন
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামীকাল ২০ মে শেষ হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন ছয় সংগঠন ও এক ব্যক্তি।
রবিবার ওই ৬ সংগঠন ও এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী সংগঠন ও ব্যক্তি হলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত: আরও ৫ সংগঠনের রিট
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১৯ মে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। এর আগে গত ৬ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে গাছ কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠান তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে এ রিট দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
এদিকে, আদালতের আদেশ অমান্য করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য গাছ কাটায় সরকারের এক সচিবসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
আদেশে আদালত এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। সেগুলো হলো-
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাষণের স্থান।
১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণের স্থান।
১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থান।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের স্থান।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান।
১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণের স্থান এবং স্মৃতিফলক/জয় স্থাপনা ও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিদ্যমান সব ধরনের স্থাপনা অপসারণ করে কমিটির চিহ্নিত স্থানগুলোতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও বিবেচনাপ্রসূত দৃষ্টিনন্দন ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ, তবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখের আগের কোনো স্থাপনা এবং বিদ্যমান মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত স্মারক, ভাস্কর্য, স্মৃতিফলক বা জয় এই আদেশের আওতাবহির্ভূত হবে। অন্যসব স্থাপনা ব্যতিক্রমহীনভাবে অবিলম্বে অপসারণ করাসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
আদালতের রায় উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেস্টুরেন্ট/দোকান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ ধ্বংস করে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা রায়ের সম্পূর্ণ পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন মনজিল মোরসেদ।
লকডাউনে জামিন-অন্তর্বর্তী আদেশের মেয়াদ বাড়ল আরও ৪ সপ্তাহ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
রবিবার (২ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে- সেসব মামলার জামিন ও সকল প্রকার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা আগামী চার সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে সব আসামিদের নির্দিষ্ট মোদে দেয়া অন্তবর্তীকালীন জামিন ও আদেশের মেয়াদ দুই সপ্তাহ করে বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। করোনাকালে আদালতের কার্যক্রম সীমিত করায় এ ধরণের আদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সব মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট
গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
লকডউনে ৮ কার্যদিবসে ১৬৭ কারাবন্দি শিশুর জামিন
করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে ভার্চুয়ালি শুনানি নিয়ে গত আট কার্যদিবসে সারাদেশের শিশু আদালত থেকে ১৬৭ জন কারাবন্দি শিশু জামিন পেয়েছেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত শিশু আদালতসমূহ থেকে ৩২টি শুনানি এবং ১৭ জন শিশু মুক্ত হওয়ার তথ্য আমরা পরে পেয়েছিলাম। যা মোট তথ্যের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে এবং তাতে জামিন পাওয়া শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭ জন।
আরও পড়ুন: সব মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি আরও বলেন, এছাড়া গত আট কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতগুলো ২৬ হাজার ৮৪৮টি আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৫ হাজার ২১৭ কারাবন্দির জামিন মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে, গত বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল সারাদেশের অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৩ হাজার ৩২টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি হয় এবং তার মধ্যে ১ হাজার ৫৯২ জন হাজতি জামিন পান।
চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ওই ঘটনা নজরে আনেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, রবিবার একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
তখন আদালত বলে, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তারা আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আদালতের কাছে উপস্থাপন করি।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আসতে হবে।
রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
সেসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেন? আমরা প্রশাসনের লোক। ১০০ বার আপনার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইতে পারি।’
এরপর চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।’
তখন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমিও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি?’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমি শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বলেই তোমরা পুলিশ হয়েছ।’
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করেননি।’
চিকিৎসক জেনি গাড়িতে উঠতে উঠতে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তখন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘কোনো ডাক্তার হয়রানি হচ্ছে না।’
এরপর গাড়ি রাস্তার একপাশে নিয়ে তিনি (চিকিৎসক জেনি) কেন খারাপ ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই-তুকারি করতে পারেন না। জীবন আমরাও দিচ্ছি। আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা কি ভাইসা আসছি?’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’
তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রোন আছে। তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে তুই পুলিশ
চিকিৎসক জেনি দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশকে সরি বলতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সরি বলেছে কি না, তা জানা যায়নি।
চিকিৎসক-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে চলমান ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সব মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবে চলমান লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন মামলায় পাওয়া সব আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
রবিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয়েছে- সেসব মামলার জামিন এবং সব ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে সব আসামিদের জামিন ও অন্তবর্তীকালীন আদেশের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১৪ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
প্রায় দুই দশক আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলের পাশে বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ মামলার যাবতীয় নথি সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছানোর পর এটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিরা যদি আপিল করে থাকেন তা একসাথে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন-মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদ খাঁ, সরোয়ার হোসেন মিয়া, তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোসহাব মোড়ল, শেখ মোহাম্মদ এনামুল হক, মোসাহেব হাসান ওরফে রাশু, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক। তারা হলেন আজিজুল, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল ও মোসাহেব।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৮০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী। এ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
অপরদিকে, হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে ২৩ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়।
করোনা আক্রান্ত আব্দুল মতিন খসরু আইসিইউতে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার রাত ১২টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
মো. মহিন জানান, আব্দুল মতিন খসরুর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো আছে। অক্সিজেনের লেভেলও ঠিক আছে। তবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কিছুটা কমে গেছে।
উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
দুই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা লড়তে আইনজীবী হিসেবে দুইজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।