সাংবাদিক
সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, 'আমি যেহেতু এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এবারও এখানে এসেছি, তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বিজেডব্লিউটি গঠনের সময় তিনি নগদ টাকা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার নগদ টাকা দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ডের সূচনা করেন।পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে আরও অনুদানও দেন।
বিএফইউজের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা 'সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতিমালা-২০১২' এবং 'বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪' প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, এই আইনের অধীনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে কল্যাণ অনুদান হিসেবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সময়ের প্রথম পর্যায়ে বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে ২০২০-২১, ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার আওতায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৭২৭ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বিএনপির আসল চেহারা উন্মোচন করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'দায়িত্ব পালনকালে যারা আপনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের আসল চরিত্র আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে তাদের এখানে কোনো অধিকার নেই। তারা এ দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না এবং তারা জনগণের শত্রু।’
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক আহত হওয়ায় সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলাকারীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা সেদিন ছদ্মবেশে হামলা চালিয়েছিল, তারা মনে করেছিল তাদের শনাক্ত করা যাবে না এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে পারে। কিন্তু অবশেষে তারা ধরা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এভাবেই অপকর্ম করেছে। যারা সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যা করবে তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর বিএনপি হামলা চালানোয় তীব্র নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র।’
তিনি এই হামলার বিষয়ে নীরব থাকার জন্য রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা এখন কোথায়? আমরা তাদের দেখি না এবং তাদের কাছ থেকে কোনো কথাও শুনি না। তারা হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেল?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ‘কিন্তু আমরা তাদের কারো কাছ থেকে কিছু শুনি না।’
তিনি পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির হামলাকে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেন।
ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে, ঠিক সেভাবেই তারা (বিএনপি) এখানে একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি না তারা ইহুদিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে কি না।’
সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব মালিকদের। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে তারা এটি বাস্তবায়নের পরিবর্তে একটি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, দশম ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রস্তুতি অব্যাহত এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
তিনি ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের মজুরি বোর্ডের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নগদ অর্থ দিয়ে এই তহবিল গঠন করা হয়।
তিনি ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্পের আওতায় প্লট দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক সংবাদপত্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক উন্নত ও ধনী দেশেও সংবাদপত্রের সংখ্যা এত বেশি নয়। তিনি বলেন, দেশে ৩ হাজার ২৪১টি সংবাদপত্র রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ বিএফইউজের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিএফইউজের সাবেক নেতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবারের সহিংসতায় আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া মারা গেছেন
ঢাকার সেগুনবাগিচায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে মারা গেছেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতা এম আবদুল্লাহ জানান, বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার তিনি মারা যান।
ভূঁইয়া শনিবার বিকালে মাদারটেকের বাসা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাচ্ছিলেন। সেগুনবাগিচায় পৌঁছালে ওই এলাকায় চলমান সহিংসতা ও কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে তাকে বহনকারী রিকশাটি উল্টে যায়।
বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
রফিক ভূঁইয়া চট্টগ্রামের দৈনিক সমাচার পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলা: সম্পাদক পরিষদের নিন্দা-উদ্বেগ
পরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। তিনি কয়েকটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন। কানাডায় অবস্থানের সময়ও তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
রফিক ভূঁইয়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এবং জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) স্থায়ী সদস্য ছিলেন।
তার লাশ ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার দুই ছেলে বিদেশ থেকে ফেরার পর তাকে দাফন করা হবে।
১৯৫১ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় জন্মগ্রহণকারী রফিক ভূঁইয়া তার ছেলে, মেযে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ডিক্যাবের
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যেয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভয়ংকর অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি জানান, দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
পরিদর্শনকালে তারা শনিবার ঢাকায় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশের নামে হামলায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াতের নৃশংস হামলায় আহত সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য, দলীয় নেতা-কর্মীসহ চিকিৎসাধীন সকলকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি।’
তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও যাবেন বলে সে সময় জানান তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাংবাদিকরা নিউজ কাভার করতে গিয়েছিল, পুলিশ তার ডিউটিতে ছিল, সাধারণ মানুষ তার কাজে যাচ্ছিল, কিন্তু তারা আক্রমণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা বিএফইউজে’র
এই নৃশংস হামলা ক্ষেত্রবিশেষে বিএনপির ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দোষীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
পরে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ডিক্যাবের
আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে রাত ৯টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ শনিবার বিকালে সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, একটি হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আমাদের ৪ নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ডিক্যাবের
ঢাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
শনিবার(২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং গণমাধ্যমের তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
কয়েকজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ডিক্যাব নেতারা আহত সাংবাদিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ডিক্যাব।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিক্যাব।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের সভাপতি লোটাস, সেক্রেটারি কায়েশ
সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা বিএফইউজে’র
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
অবলিম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন সাংবাদিকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। তারা হামলে পড়েন সাংবাদিকদের ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির। তার ওপর হামলা করে বিএনপি কর্মীরা। রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করে জামায়াত-বিএনপির কর্মী। এসময় আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপার্সন আরিফুর রহমান। নাইটিঙ্গেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
আরও পড়ুন: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি বিএফইউজে’র
এতে আরও বলা হয়, এছাড়া আরামবাগ মোড়ে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপির কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। তিনি জানিয়েছেন যুবদল কর্মীরা তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের পোস্টার-ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়। নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপি কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক রাফসান জানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌঁড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যাতে কোনো ছাড় না পায় তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএফইউজে নেতারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীতে সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা এবং ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের
বিএফইউজে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
জলবায়ু সমস্যা, নিরসনের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মশালায় সাংবাদিকরা
জাতিসংঘ ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ: পুনরুদ্ধার থেকে সমৃদ্ধির যাত্রা’- শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করেছে। রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালায় ২০ জনের বেশি সাংবাদিক অংশ নেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক অফিস এ তথ্য জানায়।
কর্মশালাটির আয়োজন করেছে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইউএন উইমেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ শিল্পোন্নয়ন সংস্থা ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
এই কর্মশালা জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সরাসরি আলাপ-আলোচনার একটি সুযোগ করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপের বিষয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পেরেছেন, নীতি ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ ও উদ্যোগগুলোর বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
এসব বিষয়ের মধ্যে- জলবায়ু সহনশীলতা ও সবুজ উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক ও জলবায়ু অর্থায়ন সংস্কার, লিঙ্গপরিচয় সহনশীল পদক্ষেপ, রোহিঙ্গাদের জন্য জলবায়ু পদক্ষেপ এবং সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম।
জলবায়ু মোকাবিলায় পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম একটি দেশ। এখানে যথাযথ সংবাদ পরিবেশন ও জলবায়ু নিয়ে জনমানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য দিতে চাই, যাতে করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সম্ভব হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংকট দিনে দিনে বাড়ছে। কাজেই এখন নির্ভুল ও যথাযথ সংবাদ পরিবেশন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জরুরি। আমি কৃতজ্ঞ যে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করছেন। জলবায়ু পরিবর্তন টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রিন্ট, সম্প্রচার ও ডিজিটাল মাধ্যমের ২০ জনের বেশি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাটির আয়োজন করেছে- জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
এসব সংস্থার মধ্যে আছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইউএন উইমেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ শিল্পোন্নয়ন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে: জাতিসংঘ
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাইবার স্পেসে দুর্গাপূজা নিয়ে গুজব ছড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, পুলিশের একটি সাইবার ইউনিট এখন সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও অল্প সময়ের মধ্যে যারা গুজব ছড়ায় তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
কেউ রেহাই পাবে না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সব দিক থেকেই সতর্ক রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। যাতে দুর্বৃত্তরা অপকর্ম করতে না পারে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলা টিভির সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
বাংলা টিভির স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে।
রসাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আটক
পুলিশের এ ধরনের আচরণে ঢাকা জেলা প্রেস ক্লাব, কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব, নবাবগঞ্জ ও দোহার প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
এদিকে এ ঘটনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এরই মধ্যে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আনোয়ার হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিভাগীয় তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আহত সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
গণধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ, কুমিল্লায় ২ সাংবাদিককে মারধর