সাংবাদিক
শেরপুরে বিএনপি’র সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ আহত ২১, আটক ১৬
শেরপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে দলটির সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শহরের রঘুনাথবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সংঘর্ষের পর আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপি ও পুলিশ সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা তাঁতীদলের সমাবেশ শেষে ১৫ নেতাকর্মীকে আটকের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রঘুনাথবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এসময় বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
সংঘর্ষে ছয় পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপির প্রায় ১০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
পুলিশের দাবি, বিএনপির মিছিল থেকে কোনরকম উসকানি ছাড়াই পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
বরিশালে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিচ্যুত সার্ভেয়ার এমএম মোতালেব হোসেনের দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় বরিশালে ছয় সংবাদকর্মীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলার আবেদন গ্রহণ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন। এজাহারে ছয় জন সাংবাদিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে মোতালেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া ভূক্তভোগী দম্পতিকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ডাকাতি মামলা ৪ আসামিকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানিয়েছেন, মামলা তদন্তের নির্দেশনাবলী সম্বলিত কোন কাগজ এখনও হাতে পাইনি। কাগজ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার আসামিরা হলেন, এমএম মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগকারী ইসমাত সায়লা ও তার স্বামী জাহিদ হোসেন সুরুজ মোল্লা, বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার শিকদার মাহাবুব, বিডি ক্রাইম টোয়েন্টিফোরের প্রকাশক-সম্পাদক রিপন হাওলাদার, বরিশাল ক্রাইম ট্রেস পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক মো. অনিক, বিএইচএস টিভি অনলাইন ডটকমের নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক সাব্বির, ঢাকা পোস্ট ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক সৈয়দ মেহেদী হাসান ও দৈনিক মতবাদ-এর ফটো সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম খান রাসেল।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫টি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ইসমাত সায়লা তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই ভূমিদস্যু মোতালেব আমাকে ও আমার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। এর বিচার চাই।’ এমএম মোতালেব হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী যে কারণে ইসমাত সায়লার এই লেখায় তার সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশিত সংবাদ ওই নারীর স্বামী তার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, নিউজ পোর্টালগুলোতে মোতালেব হোসেনের ছবি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমির কাগজ নিজের নামে করে এবং সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেই জমি দখলের অভিযোগে চলতি বছরের ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সিএন্ডবি পুল সংলগ্ন মীরা বাড়ির বাসিন্দা ইসমাত সায়লা। এরপরে তাকে ও তার ভাই বরকত হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এমএম মোতালেব।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ইসমাত সায়লা। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর এলাকাবাসী অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেনের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সদর রোডে মানববন্ধন করেন এবং জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, বিরোধপূর্ণ জমির সন্ধান পেলে নিজেই তদবির করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে নেন বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস এলাকার বাসিন্দা এম মোতালেব হোসেন। তিনি সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাংকর সিমেন্ট কোম্পানিতে কিছুদিন সার্ভেয়ার পদে চাকরি করলেও অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত হন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসে নারীকে রুমে আটকে সাদা কাগজে সই, পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরে বিস্ফোরক আইনে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিক ঝুমুরের মায়ের মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ(ডিক্যাব) -এর সদস্য ও একাত্তর টিভির বিশেষ সংবাদদাতা ঝুমুর বারীর মা সুফিয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ডিক্যাব ।
শুক্রবার ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন এক শোক বার্তায় ঝুমুর বারী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার নিজ বাসায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুফিয়া খাতুন(৬৫)।
মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে, আত্মীয়স্বজন এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক কবরস্থানে সুফিয়া খাতুনকে দাফন করা হয়।
সম্প্রতি বাবাকেও হারিয়েছেন সাংবাদিক ঝুমুর।
আরও পড়ুন: অনিতা চৌধুরী’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন আর নেই
সড়ক দুর্ঘটনায় গীতিকবি ও সাংবাদিক বিশালের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় গীতিকবি ও সাংবাদিক বিশালের মৃত্যু
ঢাকা, ৭ নভেম্বর (ইউএনবি)-সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন গীতিকবি ও সাংবাদিক ওমর ফারুক বিশাল (৩২)। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে প্রাণ হারান তিনি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন ওমর ফারুক বিশাল। তার সঙ্গে থাকা ইমাম হোসেন সজল নামে এক যুবক আহত হয়েছেন।
নিউজজিটোয়েন্টিফোর.কম-এ কর্মরত ছিলেন বিশাল। তার আগে তিনি বাংলানিউজের বিনোদন বিভাগে কাজ করতেন।
বিশালের মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে জি নিউজ-এর বার্তা সম্পাদক সুমন মোস্তফা বলেন, ‘বিশাল তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সোমবার কর্মস্থলে তার যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ফেরা হলো না।’
বিশালের নামাজে জানাজা বিকেল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় ধুকুন্দী স্কুল মাঠে হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিকতার পাশাপাশি গীতিকবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন ওমর ফারুক বিশাল। ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী অনুপম রায়, বাংলাদেশের তাহসান খান, সাব্বির নাসিরসহ আরও অনেকেই কণ্ঠ দিয়েছেন তার লেখা গানে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ময়মনসিংহ ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
বগুড়ায় দুর্বৃত্তের হামলায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীর মৃত্যু
সাংবাদিকদের আয়কর কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের নবম ওয়েজবোর্ডের গ্র্যাচুইটি ও আয়কর সংক্রান্ত মস্ত্রিসভার সুপারিশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ‘আয়কর’ ও ‘আনুতোষিক’ সংক্রান্ত দুটি সুপারিশের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রবিবার রায় দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদীর বেঞ্চ।
এর ফলে সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর আগের মতোই কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আকতার হামিদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দিদারুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। পরে আইনজীবী দিদারুল আলম জনান, এ রায়ের ফলে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক-কর্মচারীদের আয়কর আগের মতোই মালিকপক্ষকে দিতে হবে। আর বছরে মূল বেতনের সমান দুটি গ্র্যাচুইটি পাবেন সাংবাদিক-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: খুলনার বার সমিতির সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়। পরে বিচারপতি নিজামুলহক ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করে সরকার।
সে প্রজ্ঞাপনের সপ্তম অধ্যায়ের ৩ নম্বর শর্তে বলা আছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদের বেতনের ওপর আরোপিত আয়কর সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেয় হবে। ’
একই অধ্যায়ের ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীরা প্রত্যেক বছরে অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর অধিক সময় চাকরির জন্য সর্বেশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত দুই মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ গ্র্যাচুইটি হিসেবে প্রাপ্য হবেন। ’
অথচ প্রজ্ঞাপনে ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, কার্যকরণ ও প্রয়োগ’ শিরোনামের দ্বাদশ অধ্যায়ের ৪ নম্বর শর্তে মন্ত্রীসভা কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, সাংবাদিক, কর্মচারীদের নিজেদের আয় থেকে আয়কর পরিশোধ করবেন এবং বছরে মূল বেতনের সমান একটি গ্র্যাচুইটি পাবেন।
নবম ওয়েজবোর্ডের মন্ত্রীসভা কমিটির এই সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুজ্জামান। তখন রিটটির প্রাথমিক শুনানির পর ২৫ নভেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলে আয়কর ও গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তথ্য সচিব ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জাবাব দিতে বলা হয়। সে রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর সুপারিশ দুটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিপিসির এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা: ৬ আসামির যাবজ্জীবন
এক যুগ পর সিলেটের সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা মামলায় ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের বিশেষ জেলা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. কাশেম আলী (২২) সাদ্দাম, সুমন, স্বপন, রাসেল ও শাহ আলম।রায়ে আসামিদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় জৈন্তাপুর থানার আদর্শগ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. কাশেম আলী (২২) ছাড়া অপর আসামিরা পলাতক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী তার বন্ধু আব্দুল মালেককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ শাহ মীর (র:) মাজারের সামনের রাস্তায় পৌঁছামাত্র ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফতেহ ওসমানী ও তার বন্ধু আব্দুল মালেক আহত হন ও ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত ফতেহ্ ওসমানীর ছোট ভাই আল-ফরহাদ মতিন বাদী হয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সাদ্দাম ওরফে টাইগার সাদ্দাম ও কাশেমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সিলেট বিশেষ জেলা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এর পিপি অ্যাডভোকেট মো. মফুর আলী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সোর্স প্রকাশ না করতে সাংবাদিককে আইন সুরক্ষা দিয়েছে: হাইকোর্ট
সাংবাদিককে তার সংবাদের উৎস (সোর্স) প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া এক রায়ে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে দেয়া আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার সবারই আছে।’
রায়ে আদালত আরও বলেছে, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা। বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য নয়। সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
৫১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভারতের উচ্চ আদালতের রায়ের উদাহরণ তুলে ধরে আদালত বলেছে, ‘আমাদের বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংবাদিকরা তাদের সংবাদের সোর্স প্রকাশে বাধ্য নন। সংবিধান ও আইন তাদের সুরক্ষা দিয়েছে।’
গত বছরের ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত রুল জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র তলব করেন। পাশাপাশি প্রতিবেদককে তার তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় রবিবার শুনানিতে দুদক আইনজীবী ইনকিলাবের প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’বলে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ চান। অন্যদিকে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষের আইনজীবী সংবিধানে থাকা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার বিষয় সামনে আনেন। এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতির কথা তুলে ধরেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রুল নিস্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। সে রায়টি শনিবার প্রকাশিত হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রকৌশলী আশরাফুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে দুদক। একই সঙ্গে তদন্ত করে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে দুদককে। আদালতে ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: জিয়ার শাসনামলে সামরিক বাহিনীর ৮৮ জনের দণ্ড কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সাংবাদিক রায়হান চৌধুরী মারা গেছেন
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সিনিয়র সদস্য ও ডেইলি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সিনিয়র নিউজ কনসাল্টেন্ট রায়হান এম চৌধুরী মারা গেছেন।
শনিবার দুপুর ২ টায় রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে রায়হান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)।
আরও পড়ুন: সাবেক পুলিশ কমিশনার গোলাম মোর্শেদ মারা গেছেন
ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম এক শোক বার্তায় শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে আক্তান্ত ছিলেন। রায়হান এম চৌধুরী মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এশার নামাজের পর ঢাকার শান্তিনগর নিজবাসভবনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘মার্ডার শি রোট’ তারকা অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবেরি মারা গেছেন
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমান মারা গেছেন
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ আটক ৭
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমা পারভিন। তারা গাজীপুর, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুর জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে-এমন অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে জানান তারা সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার জন্য এসেছেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকাও নেন। আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন,যা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
একইভাবে উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান। তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায় তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় এসে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে।
পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
বগুড়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার সকালে দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেখানে রাখা হয়, যেখানে লোকজন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বেলা ১টার দিকে খানের কফিন জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকরা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রথম আলো, দৈনিক জনকণ্ঠ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন
বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খান গত শনিবার ৮৭ বছর বয়সে ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
খান ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বলিষ্ঠ কণ্ঠের ভূমিকাও পালন করেন এই প্রবীণ সাংবাদিক।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠানটি নিয়মিত প্রচারিত হয়। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর তিনি নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক