পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে তিন দিনে ১১ কোটি টাকা টোল আদায়
পদ্মা সেতু দিয়ে পার হওয়া যানবাহন থেকে তিন দিনে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা টোল আদায় করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ টাকা আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
এই সময়ে পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৭৪ হাজার ২২২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন এবং পরদিন সকালে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড
পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড
পদ্মা সেতু দিয়ে শুক্রবার রেকর্ড পরিমাণ ৩১ হাজার ৭২৩টি যান পারাপারে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়। সেতুতে যান চলাচল শুরু পর এদিনই সর্বোচ্চ টোল উত্তোলন।
তিনি জানান, এই সময়ে মাওয়া প্রান্তে ১৯ হাজার ৬৬৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন করা হয় ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০টাকা। জাজিরা প্রান্তে ১২ হাজার ৫৬ টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন করা হয় ১ কোটি ৭১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০টাকা।
এর আগে সর্বোচ্চ ১ জুলাই সেতুতে ৩ কোট ১৬ লাখ টাকারও বেশি টোল আদায় করা হয়েছিল।
গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন এবং পরদিন সকালে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিদিনই টোল আদায় আগের দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানান ডা. মাহমুদুর রহমান।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
বাসের ধাক্কায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল বুথ ক্ষতিগ্রস্ত, আহত ১
বাসের ধাক্কায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল বুথ ক্ষতিগ্রস্ত, আহত ১
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজার ২ নম্বর বুথে শনিবার যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় একজন টোল আদায়কারী আহত হয়েছেন। আপাতত কর্তৃপক্ষ এই বুথে টোল আদায় বন্ধ রেখেছেন।
আহত টোল আদায়কারীর নাম মো. রিপন হোসেন (২২)।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, শনিবার সকালে ‘শরীয়তপুর পরিবহন’-এর একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুথটিতে আঘাত করলে একজন টোল আদায়কারী আহত হন। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাসের ধাক্কায় ২ নম্বর বুথের ভেতরের কম্পিউটার ও বুথে প্রবেশের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শনিবার বেলা ১১ টা থেকে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাসটি আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।
তবে বুথটি সচলের চেষ্টা চলছে এবং অন্য চারটি বুথে টোল আদায় স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
৬ষ্ঠ দিনে পদ্মা সেতু থেকে রেকর্ড ৩.১৬ কোটি টাকা টোল আদায়
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতু
অবশেষে ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কাক্ষিত কালুরঘাট রেল সেতু। পদ্মা সেতুর মত দ্বিতল ডিজাইনে কালুরঘাট সেতুর ওপরে দুই লেনের সড়ক ও নিচে ট্রেন চলাচল উপযোগী করে নকশা প্রণয়ণের কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রড ও মিটার গেজ ট্রেন চলাচল উপযোগী রেল লাইন বসানো হবে।বুধবার দুপুরে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের সদর দপ্তরের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক।সভায় জানানো হয়, নতুন ডিজাইনে সেতুটি নির্মাণের জন্য আগের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ব্যয় করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই কালুরঘাট সড়ক কাম রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরালবৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের জানানো হয়েছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই ডাবল লাইন হবে। রেল ডাবল লাইন হবে, সড়কও ডাবল লাইন। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দুটিই হবে ডাবল লাইনের। ফলে ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মাসে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফাইনাল ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইডিসিএফ ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। টেন্ডারের পর সেতুটি নির্মাণের প্রায় চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের খরচ ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো বলা হয়েছে।’প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ইউশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কোণ উক পার্ক, কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গোলাম মোস্তফা, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ারুল হক, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. রিয়াজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
এক হাজার পদ্মা সেতু করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না আ.লীগ: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ রেখে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আপনার (সরকার) প্রতি জনগণের কতটা আস্থা আছে তা দেখার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করুন। আইয়ুব খান পাকিস্তান আমলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন। গণতন্ত্র ও জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি না থাকলে হাজার হাজার পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো মানে হয় না। যদি তাদের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার না থাকে।’
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থা থাকায় জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিচ্ছে বলে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোট কারচুপি করে এবং জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার কীভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে?
আগামী নির্বাচনে তাদের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
‘বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার আবশ্যক। অন্যথায়, স্বর্গ থেকে নির্বাচন কমিশনার আনলেও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা অসম্ভব,’ বলেন তিনি।
এই সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ফখরুল তাদের দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের ফলাফল তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সরকারের অবহেলায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে: বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনে হয় সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘এটি মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
‘বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা মনে করেন, সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ‘তারা মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে সরকারের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই’।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঘর নির্মাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই সারাদেশে ৬ষ্ঠ জনসংখ্যা ও গৃহায়ন শুমারি সঠিকভাবে হয়নি বলে স্বীকার করায় তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমান সরকারের আমলে সব ধরনের জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়… ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সব তথ্য-উপাত্তের ওপর আস্থা রাখতে পারে না।
হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সারাদেশে মানুষ ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছে। ‘ঘন ঘন বিদ্যুত কেটে যাওয়া প্রমাণ করেছে যে শতভাগ বিদ্যুতের কভারেজের বিষয়ে সরকারের মন্তব্যগুলি কেবল বাগাড়ম্বর।
তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে নিজেদের পকেট ভারী করার মূল লক্ষ্য নিয়ে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশ একটি ভঙ্গুর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
ফখরুল বলেন, তাদের বৈঠকে দেখা গেছে যে প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। কারণ রিজার্ভ থেকে সাডে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) নামে সরকারের উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে।
তারা বলেছে যে এগুলি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলির দেয়া বাধ্যতামূলক ঋণ এবং আইএমএফ এই পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে আরও বলা হয়েছে, এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
সরকার শুধু নিজের ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালীদের স্বার্থে অর্থনীতির সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে দেশের এই ভয়াবহ ক্ষতি করছে।
তিনি বলেন, প্রভাবশালীরা ইডিএফ ঋণের নামে দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ‘অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন যে এই ধরনের ঋণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব সামাজিক অর্থনীতি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দেবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের বৈঠকে ইডিএফ ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হতো না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য সম্ভাবনা’- শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় তারা পেয়েছে কি শিক্ষা নিলো। তারা অর্থায়ন না করা আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমনি বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল
পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাসিমুখের একটি ছবি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেলফিটি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুল।
মামুন আল মাহতাব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, পদ্মা সেতুতে বঙ্গবন্ধু পরিবার।
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো ছবি আর কী হতে পারে! সজীব ওয়াজেদ জয় তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে।’
সিলভিয়া পারভেন লেনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কী সুন্দর ছবি?’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
ছবিটি শেয়ার করে আদনান শরীফ লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ছবি।’
ছবিটি শেয়ার করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এই সুখের মায়ায় ভরে উঠুক।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ‘পদ্মা সেতু’ লিখে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন।
তিনি এর আগে বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। পদ্মা সেতু শুধু একটি প্রকৌশলগত মাস্টারপিস নয়, বরং এটি বাংলাদেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। এ দেশের সব মানুষ সমানভাবে এই গৌরবের অংশীদার।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসে উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে সোমবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে পৌঁছে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া করেন।
ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাধিতে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যায় অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও দোয়া করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মা সেতু থেকে রেকর্ড ৩.১৬ কোটি টাকা টোল আদায়
পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
গত মাসে উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে সোমবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে পৌঁছে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া করেন।
ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাধিতে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যায় অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও দোয়া করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও বলেছেন, সদ্য উদ্বোধন করা পদ্মা সেতু দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি (পদ্মা সেতু্) একটি বিশাল মাইলফলক।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী আবারও কিছু দেশীয় অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিন্দা জানান। যারা বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পটি কার্যকর হবে না এবং ব্যয় (সেতু নির্মাণের) টাকা উঠে আসবে না।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এখন কি দেখা যাচ্ছে? সেতুটি অবশ্যই মানুষের জীবন ও জীবিকা পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো পদ্মা বহুমুখী সেতুও দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গেম চেঞ্জার হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু চালুর পর খুলনায় ট্রেনের যাত্রী অর্ধেক
কিছুদিন আগেও ভিন্ন চিত্র ছিল খুলনা রেল স্টেশনে। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য যুদ্ধে নামতে হতো যাত্রীদের। টিকিট পেতে তদবির করতে হতো প্রভাবশালীদের মাধ্যমে। তবে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর পর সেই চিত্র আর নেই। ২ জুলাই পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
খুলনা শহরের মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা আশরাফী চুমকি বলেন, ‘এখন বাসে অল্প সময়ে ঢাকায় পৌঁছানো যায় এবং পদ্মা সেতুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। আগে ট্রেনের টিকিট পেতে অনেক ভোগান্তি ছিল।’
খুলনা রেলস্টেশনের বুকিং সহকারীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা বেশ কমে গেছে। এখন সড়কপথে যাতায়াতে সুবিধা হওয়ায় ঢাকাগামী যাত্রীরা আর আগের মতো ট্রেনে আসছেন না।
পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকায় আসা-যাওয়া করছে মানুষ। সেতু চালুর দিন থেকে মোটামুটি এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন পরিবহন। যাত্রী বাড়ায় নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি নামিদামি কোম্পানি এই রুটে চালু করেছে তাদের বিলাসবহুল বাস।
গ্রীন লাইন পরিবহনের রয়্যালের মোড়ের কাউন্টারের বুকিং সহকারী রিপন হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় খুলনা-ঢাকা রুটে যাত্রীর তিন চার গুণ চাপ বেড়েছে।
খুলনা রেল স্টেশনের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর শামীমুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ভালো হয়ে গেছে। যার কারণে ঢাকায় যাওয়ার সময় কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ট্রেনের ওপর। ট্রেনে প্রায় ৫০ শতাংশ যাত্রী কমেছে।’
পড়ুন: ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মা সেতু থেকে রেকর্ড ৩.১৬ কোটি টাকা টোল আদায়
পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী