পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হয়।
রবিবার রাতে তথ্য অধিদপ্তর এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
রবিবার সকাল ৬টার দিকে সেতুর গেট খুলে দেয়া পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শত শত বাস, ট্রাক, গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
এছাড়া পদ্মা সেতুতে যানবাহন থামানো, হাঁটা ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
রবিবার রাতে ব্রিজ পার হওয়ার সময় ইউএনবির সাংবাদিকরা দেখতে পান, যানবাহন নিয়ম না মেনে এবং টোল প্লাজার সামনে এলোমেলোভাবে একে অপরকে অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল। আর এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি দায়ী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন দ. এশীয় নেতারা
যানবাহন চালক ও মোটরবাইক চালকদের এলোমেলো আচরণের কারণে সেনা সদস্যদের শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছিল।
ব্রিজের দুপাশে শত শত মোটরসাইকেলও ছিল যারা শুধুমাত্র দেখার জন্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন দ. এশীয় নেতারা
পদ্মা সেতু সফলভাবে সম্পন্ন ও উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক বার্তা অনুযায়ী, দেশগুলো হলো-পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ তার বার্তায় বলেছেন, ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সেতুটির উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার দৃঢ় সংকল্পেরও প্রমাণ।’
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তার চিঠিতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ টাকার বেশি টোল আদায়
পদ্মা সেতু ঢাকা ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং এর বাইরে সংযোগ বিস্তৃত করে বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিঃসন্দেহে অনেক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা বয়ে আনবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বহুল প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতুর সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে আপনার গতিশীল নেতৃত্ব, নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারের প্রমাণ।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেও শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও শিল্পের অগ্রগতি বিকশিত করে এই অর্জন ইতিবাচকভাবে বাংলাদেশের সংযোগ ও অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে।
বাংলাদেশের জনগণের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও ব্যক্তিগত মঙ্গল ও অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দেউবা বলেন, ‘এই নতুন মেগা প্রকল্পের সমাপ্তি আপনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিপুল আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে তা প্রতিফলিত করে।’
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, ‘আপনার এই ধরনের উদ্যোগ নেয়ার অঙ্গীকার থেকে আমরা অনুপ্রাণিত।’
এই বিশেষ উপলক্ষে ডা. শেরিং বাংলাদেশের চির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
পদ্মা সেতু: প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ টাকার বেশি টোল আদায়
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রবিবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু পার হওয়া যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আজ (রবিবার) দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮২ লাখ ১৯ হাজার টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
তিনি বলেন, এ সময়ে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ যানবাহন সেতুটি অতিক্রম করেছে।
বিবিএ জানায়, আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে যাবে বলে আশা করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় বিবিএকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং তা ৩৫ বছরের মধ্যে এক শতাংশ সুদের হারে পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন থামানো, হাঁটা ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়া সেতু পার হওয়ার সময় সবাইকে টোল দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
ঢাকা, ২৬ জুন (ইউএনবি)- নিউইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা যোগ দেন বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মিশন।
পদ্মা সেতুর সাফল্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের বিস্ময়। আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, গৌরব, ও সক্ষমতার প্রতীক। কারণ এটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে। এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় এক অনন্য মাইলফলক। এ অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অগ্রযাত্রায় আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আর এর সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে।’
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
পদ্মা সেতু ঘিরে গড়ে ওঠা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগসহ এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নানা দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারিসহ প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শিত হয়।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বাংলাদেশকে নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অভিনন্দন
বহুল প্রতিক্ষীত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীতে অভিনন্দন জানিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ বলেছেন, সেতুটির সফল সমাপ্তি বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারের প্রমাণ।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেছেন, আইকনিক রোড-রেল কাঠামো বাংলাদেশ এবং এর বাইরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও শিল্প অগ্রগতি অবদান রাখবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্থলভাগকে, নদীর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
ওয়াশিংটন ডিসিতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপিত
পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত: মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে কয়েকশ’ যানবাহন
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের একদিন পর রবিবার সকাল ৬টায় বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ইউএনবির মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, প্রথমবার সেতু পার হওয়ার জন্য রাত থেকেই সেতুর মাওয়া পয়েন্টে মানুষের ভিড় দেখা যায়। এসময় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাগামী মোটরসাইকেল, বাস ও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনকে সেতু পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী আমিনুল ইসলাম (৩৫) মাওয়া পয়েন্টে টোল দিয়ে প্রথমে সেতু পার হন।
তিনি জানান, আরও ১০০ জন মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তিনি সেতু পার হওয়ার জন্য এখানে আসেন।
তবে ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে মাওয়া পয়েন্টে টোল আদায় বিলম্বিত হয়েছে।
রবিবার টোল আদায়ের জন্য ছয়টির মধ্যে পাঁচটি বুথ খোলা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, আজ প্রথম দিন হওয়ায় টোল আদায় প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতির।
পরবর্তীতে প্রক্রিয়াটি দ্রুত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শনিবার সকাল ৯টায় হাই কমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে বাণিজ্যিক সেমিনার
দিবসটির স্মরণে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাণী পাঠ করা হয়।
বক্তৃতায় ইমরান বলেন, পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের পথে আমাদেরকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির আত্ম-মর্যাদার প্রতীক, এদেশের মানুষের সাহস, সংকল্প ও সক্ষমতার প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতীক।
আরও পড়ুন: অ্যানজাক দিবসে নিহতদের প্রতি ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের শ্রদ্ধা
পরে দূতাবাসের কর্মীরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরাসরি যুক্ত হন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করে।
পদ্মা সেতু: টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগ সহজতর করার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতু দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সেতুটি জিডিপিতে ৪২ হাজার ৩৬২ দশমিক ২১ কোটি টাকা যোগ করবে; যা মোট জিডিপির ১.২ শতাংশের সমান।
সরকারের সেতু বিভাগ অর্থ বিভাগ থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা এক শতাংশ সুদসহ ৩৬ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে এই টোল আদায় করা হবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এ জন্য সরকার বছরে এক হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা টোল আদায় করতে চায়।
সরকার ইতোমধ্যে যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুতে দুই ধরনের টোল আদায় হবে। এর মধ্যে একটি হল সরাসরি টোল পরিশোধ করা যায়। চালকরা অগ্রিম রিচার্জ করে কার্ড দেখিয়ে টোল পরিশোধ করতে পারবেন। এর জন্য টোল প্লাজায় যানবাহন থামাতে হবে না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য উপযুক্ত জবাব: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু দেশের জনগণের টাকায় নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘উদ্বোধনের পর সেতুটির টোল আদায় করবে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন এবং চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। সরকার ইতিমধ্যে তাদের নিয়োগ দিয়েছে।’
টোল আদায়ের পাশাপাশি কোম্পানিগুলো সেতুর ঋণ পরিশোধ করবে এবং ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে তারা।
শফিকুল বলেন, সেতুটি নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে পরিশোধিত হবে।
তবে আনুমানিক টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে অর্জিত হলে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সেতুর পুরো খরচ আদায় করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: উচ্ছ্বসিত জনতার অভিবাদনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ওয়াশিংটন ডিসিতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় দীর্ঘদিনের লালিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস শনিবার রাতে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব এবং এটি আমাদের গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্ব-অর্থায়নে সেতুর কাজ শেষ করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বের পাশাপাশি দৃঢ় সংকল্প ও মনোবলের কারণে দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য উপযুক্ত জবাব: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে এবং এ অঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াবে।
শনিবার সেতুটি উদ্বোধনকারী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই নতুন মেগা প্রকল্পের সমাপ্তি আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিপুল আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে, তা প্রতিফলিত করে।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোকে সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ও অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
তিনি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশিদের একটি বড় অর্জন: অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত