জেলা প্রশাসক
কুসিক নির্বাচন: অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১০ জনকে কারাদণ্ড
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগে বুধবার ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিদার হোসেনকে সাত দিনের, সদর দক্ষিণ উপজেলার একজনকে তিন দিনের, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজনকে তিন দিনের, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজনকে তিন দিনের, বড়পুকুর এলাকায় দুজনকে ৭ দিনের এবং হোচ্ছামিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে আরেকজনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টায় জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে, কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটিং মেশিনে কারিগরি ত্রুটি এবং ধীরগতির ভোটগ্রহণের মধ্যে বুধবার সকালে শুরু হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
পড়ুন: শান্তিপূর্ণভাবে চলছে কুসিক নির্বাচন
সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ আশ্রয়কেন্দ্র
সিলেটে বন্যা কবলিতদের জন্য ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় জেলায় ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আর কেউ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি।
তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য আরেক দফায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০০০ প্যাকেট শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১২৯ মেট্রিক টন চাল ও ১০০০ শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
এছাড়া সিলেট সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৩ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে ১শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বুধবার সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেনের সিলেট যাওয়ার কথা রয়েছে। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
পাউবো বলছে, ২০০৪ সালের পর নদীর পানি কখনও এতোটা বাড়েনি। ১৮ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
ইউএনও’র গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচাপায় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার রাতে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
কমিটির অপর দুজন হচ্ছেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম ও নাটোর বিআরটিএর সহকারি পরিচালক।
তদন্ত কমিটি আজ থেকে তদন্ত শুরু করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ মে) সকালে সিংড়া উপজেলার নিঙ্গুইন এলাকায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে নিহত হন স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ইউএনও’র জিপের ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত
নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু
এবার বিধবাপল্লীতে ‘সৌরজায়া স্মৃতিসৌধ’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বিধবাপল্লীতে এবার নির্মিত হলো ‘সৌরজায়া স্মৃতিসৌধ’। শনিবার দুপুরে কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের বিধবাপল্লীতে স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ।
এসময় তিনি বলেন, বিধবাপল্লীর উন্নয়নে ধাপে ধাপে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হলো।
এসময় তিনি সেখানকার শহীদ পরিবারের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আগামী এক বছর সদস্যদের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে নব-নিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
এদিন তিনি প্রত্যেক বীর জায়াদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি মশুর ডাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি চিড়া, এক লিটার ভোজ্যতেল ও নুডলস তুলে দেন।
উদ্বোধনকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াছমিন, জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বছরের প্রচেষ্টায় তিন শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছে সৌরজায়া স্মৃতিসৌধটি। যার সামনের রাস্তার জন্য স্থানীয় দুই ব্যক্তি এক শতক জায়গা দিয়েছেন। স্মৃতিসৌধে স্থান পেয়েছে ৮৮ জন শহীদের নাম। এছাড়া পাশের ফলকে লেখা হয়েছে বিধবাপল্লীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হওয়ায় বিধবাপল্লীর বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোহাগপুর গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় ৬ ঘণ্টা তান্ডব চালায়। ওইদিন গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ১৮৭ জন পুরুষকে হত্যা করে। ওই সময় ৬২ নারী বিধবা হন এবং তাদের মধ্যে ১৪ জন নির্যাতনের শিকার হন। এরপর থেকেই সোহাগপুর গ্রামটি বিধবাপল্লী নামে পরিচিতি লাভ করে।
বাগেরহাটে শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতের রাতে ছিন্নমূল, অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের শালতলা, মেইন রোড, সোনাতলা, দশানী, কাড়াপাড়া ও নাগেরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ বছর শীতের শুরুতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। কম্বল হাতে পেয়ে শীতার্ত নারী-পুরুষরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, শীতে যাতে কোন মানুষ কষ্ট না পায় এজন্য ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়েছে। শীতে প্রকৃতপক্ষে যে সব মানুষ কষ্টে ছিলেন গভীর রাতে তাদেরকে খুঁজে কম্বল দেয়া হয়।
বাগেরহাট ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আড়াই হাজার ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জেলা পরিষদের উদ্যোগে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: বাগেরহাটে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় জেলায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, সামজিক অনুষ্ঠান এবং জনসভাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, ধর্মীয়, রাজনৈতিক এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত জেলার সর্বত্রই এই নির্দেশনা বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, জেলার সর্বত্রই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশদারে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। নো-মাস্ক নো-সর্ভিস শতভাগ বাস্তবায়ন করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাসমান জনগোষ্ঠীকে দেয়া হবে জনসনের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৩৯.৮৬ শতাংশ। এই সময়ে জেলায় ১৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় এপর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত হাজার ৪২১ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছে ১৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ৯৪২ জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের হার ৩৯.৮৬ শতাংশ। জেলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালসহ ২৪টি কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজারের উপরে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ হলে ১০ দিনের আইসোলেশন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার নয়: তথ্যমন্ত্রী
আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে গুজব, অপপ্রচার রটিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়। একই সঙ্গে সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তৎপর থাকাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকদের মাঠ প্রশাসনের প্রাণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্রে। তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা যদি গত আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটনা হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে, তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচারনীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যালেনর মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় আইপিটিবির মাধ্যমে এখনও কোন কোন জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যালেনের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না। যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।’
দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, (ইউএনবি)- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন ক্ষমতার অপব্যবহার না করার নিশ্চয়তা। তাই দায়িত্ব পালনকালে সচেতনভাবে ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যকার পার্থক্য বজায় রাখতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান নেতৃত্বের কথা কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ আমি রাষ্ট্রপতি, আপনারা সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক হয়েছেন, এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিন। এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা জনগণের টাকায় আমাদের সংসার চালাই। তাই সরকারি সেবা প্রদান কোনো দয়া বা কল্যাণের বিষয় নয়।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ কর্মসূচির সুফল প্রকৃত দরিদ্রদের কাছে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবশ্যই নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে, সামাজিক সুরক্ষা ও জনগণের ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে আপনাদের।
তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তবে ভূমি রেকর্ডের সময় একদল অসাধু কর্মচারী স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা অনিয়ম করছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
তিনি কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে কঠোর হতে এবং যেকোনো অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে এবং জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
দুর্নীতিকে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মাঠ পর্যায়ে জনগণের জন্য গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাগীর হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণদের মানবতা ও জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ডিসি’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ফোন
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করেছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ডিসির নম্বরটি ক্লোন করে রাজশাহীর তিনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করেছে।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর, পবা ও বাঘার ইউএনওকে ফোন করে প্রতারক চক্র।
বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমাকে ফোন করা হয়। ফোন করে একটা মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। বলা হয়, এটা ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার নম্বর। এই নম্বরে যেন যোগাযোগ করি। কিন্তু কণ্ঠস্বর এবং কথা শুনেই আমি ডিসি স্যারের নম্বর ক্লোন করার বিষয়টি বুঝতে পেরে লাইন কেটে দেই। নইলে আমার নম্বরও ক্লোন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।’
আরও পড়ুন: নবীনগর ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, রাজশাহীর তিন ইউএনও এ ধরনের ফোন পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে কেউ প্রতারিত হননি। অন্য কেউ প্রতারিত হয়েছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি রাজশাহীর পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানিয়েছেন। পুলিশ প্রতারককে খুঁজে বের করবে।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানানোর পর থেকেই এই প্রতারক চক্রটি ধরতে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই চক্রটি ধরতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এসপি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ইউএনও’র ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ
দিনাজপুরে ওসির নম্বর ক্লোনিং করে চাঁদা দাবি
বাগেরহাটে অসহায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
বাগেরহাটে গভীর রাতে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা ছিন্নমূল ও অসহায় হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহরের কেবি বাজার, দড়াটানা ব্রিজ, বাসস্ট্যান্ড, মুনিগঞ্জ কাঠেরপুল, খানজাহান (রহ.) মাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় হতদরিদ্রদের বাড়িবাড়ি গিয়েও কম্বল তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। রাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে অসহায় রোগীদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ২০০ শীতার্ত মানুষের শরীরে জেলা প্রশাসক কম্বল জড়িয়ে দেন। কম্বল পেয়ে এসব নারী-পুরুষ খুশির কথাই জানালেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, শীতে যাতে কোন মানুষ কষ্ট না পায় এজন্য ছিন্নমূল, অসহায় এবং দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। শীতে প্রকৃত পক্ষে যে সব মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন গভীর রাতে তাদেরকে খুঁজে কম্বল দেয়া হচ্ছে।
এভাবে অসহায় শীতার্তদের কাছে গিয়ে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
কম্বল বিতরণের সময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, সহকারি কমিশনার নূরে আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ও এসিল্যান্ড রাশেদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’