লিটন দাস
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬৫
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংস ৩৬৫ রানে শেষ করেছে বাংলাদেশ। ইনিংস শেষে ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
২৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়কর শুরুর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ এই স্কোর করতে সমর্থ হয়।
মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের অষ্টম ওভারে কাসুন রাজিথার বলে ১৪১ রান করে মাঠ ছাড়েন লিটন।
লিটনের আউটের পর তাইজুল ইসলাম ৩৭ বল খেলেন। কিন্তু বাকি দু’জন- খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন অপরাজিত মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে রাজিথা পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।এছাড়া অসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন চার উইকেট।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন: শুরুতে ফিরলেন লিটন-মোসাদ্দেক
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬১ রানের জয় পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে লিটন দাসের অর্ধশতক ও নাসুম আহমেদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ভর করে আফগানদের ৬১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এ জয়ের ফলে সিরিজে ১-০ এতে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করতে না পারলেও লিটন দাসের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন লিটন দাস। তিনি ৪৪ বল খেলে দুই ছয় ও চার চারের মারে এ রান করেন। এছাড়া আফিফ হোসেন ২৫ রান এবং মুনিম শাহরিয়ার করেন ১৭ রান।
আরও পড়ুন: প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের হয়ে ফজল হক ফারুকি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া রশিদ খান নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশের দেয়া ১৫৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৭ ওভার চার বলে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারীরা।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। এছাড়া আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২০ রান এবং মোহাম্মদ নবী করেন ১৬ রান।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বৃহস্পতিবার, আফগানদের হারাতে চায় বাংলাদেশ
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। চার ওভার করে ১০ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন তিনি। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
এছাড়া শরিফুল ইসলাম তিনটি এবং সাকিব আল হাসান দুটি উইকেট নিয়েছেন।
এ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি একই ভেন্যুতে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
ড্র নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করল বাংলাদেশ
ক্রাইস্টচার্চে লিটন দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও নিউজিল্যাঞ্জের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ছিল বাংলাদেশের সেরা টেস্ট ফলাফল। এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে মোট ৩২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি। তবে প্রথম টেস্টে কিউইদের আট উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ।
বিদেশে বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট জেতার স্বপ্ন ছিলো উল্লেখ করে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘জেতাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভবিষ্যতেও বিদেশে সিরিজ জিতব আমরা। আমাদের এখন সেই প্রয়োজনীয় বিশ্বাসটুকু আছে। এই সিরিজের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক ছিলো এটা। তবে আমাদের এখনও অনেক কিছু করার আছে।’
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জিততে মরিয়া টাইগাররা
যদিও দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ১১৭ রান ও ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে, নিউজিল্যান্ড ছয় উইকেটে ৫২১ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে কিউ অধিনায়ক টম ল্যাথাম ডাবল সেঞ্চুরি এবং ডেভন কনওয়ে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
জবাবে, ইয়াসির আলীর সর্বোচ্চ ৫৫ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো: এবাদত
মুমিনুল বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে আমরা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ম্যাচে আমাদের বোলিংও প্রত্যাশা মতো হয়নি। প্রথম ইনিংসে সোহান (নুরুল হক), ইয়াসির (আলি) ভালো করেছে, দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন অসাধারণ ছিল।’
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৭৮ রানে অলআউট হয়।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিটন ১১৪ বলে ১০২ রান করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়েছে সফররত পাকিস্তান। এর ফলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে।
ম্যাচের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৩ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট। মাত্র নয় রানের জন্য দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি মিস করেন পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলী। তিনি এই টেস্টে ২২৪ রান করে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেন। অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিকও পাকিস্তানের নতুন টেস্ট ওপেনার হিসেবে জোড়া-ফিফটি করে লাইমলাইটে এসেছেন।
২০২ রানের লক্ষ্য দিলেও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছে। আবিদ এবং আবদুল্লাহর ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
এই টেস্টের বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে ছিল। প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের সঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের উপর ভর করে ৩৩০ রান করে স্বাগতিকরা। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করলে বাংলাদেশ ৪৬ রানের লিড পায়। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে মুমিনুলের দল। চতুর্থ দিনে আরও ১১৮ রান করে মোট ১৫৭ রানে অলআউট হলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান।
চতুর্থ দিনে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে প্রথম সেশনে দুই ওপেনারকে (আবিদ আলী ৯১ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৭৩ রান) হারালেও বাবর আজম ও আজহার আলী জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মেহেদি ৩৮); হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪)
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১১৫.৪ ওভারে ২৮৬/১০ (আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮); তাইজুল ৭/১১৬, এবাদত ২/৪৭
বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ৫৬.২ ওভারে ১৫৭/১০ (লিটন ৫৯, ইয়াসির ৩৬*); শাহীন ৫/৩২, সাজিদ ৩/৩৩
পাকিস্তান (২য় ইনিংস) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩); মেহেদী ১/৫৯, তাইজুল ১/৮৯
ফল: প্রথম টেস্টে পাকিস্তান আট উইকেটে জয়ী।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়
পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিনে সোমবার বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৭ রান করেছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লিড নিয়েছিল ৪৪ রান। সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল মুমিনুলের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের পক্ষে লিটন দাস ৫৯ এবং ইয়াসির আলী ৩৬ রান করেন। শাহীন আফ্রিদির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়ার আগে ইয়াসির ভালোই ব্যাট করেছিলেন। বদলি হিসেবে নুরুল হাসান সোহানকে একাদশে যোগ করেছে বাংলাদেশ।
ইয়াসির মাঠ ছাড়ার পর মেহেদি হাসান ১১ এবং নুরুল হাসান ১৫ রান করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: ইয়াসিরের ‘কনকাশন সাব’ সোহান
এর আগে তৃতীয় তিন দিন শেষে ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে শেষ ছয় উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান যোগ করে তারা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ৪৪ রান, সব মিলিয়ে ২০২ রানের লিড পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন শাহীন। এছাড়া সাজিদ খান তিনটি ও হাসান আলী দুটি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের অভিষেক সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহীমের ৯১ রানের ওপর ভর করে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে আবিদ আলীর ১৩৩ রানের সুবাদে ২৮৬ রান করে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
চট্টগ্রাম টেস্ট: তাইজুলের ৭ উইকেটে ২৮৬ রানে অলআউট পাকিস্তান
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবার চট্টগ্রাম টেস্টে সাত উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বিনা উইকেটে ১৪৬ রান করা পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ একটি নাটকীয় কামব্যাক করেছে। তৃতীয় দিনের দুই সেশনে ১৪০ রানে তাদের সবকটি উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষে ৪৪ রানের লিড নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের বিরতি শেষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে তাইজুল ১১৬ রান দেন ৭ উইকেটে। টেস্ট ইনিংসে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সেরা বোলিং। তিনি ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে আট উইকেট শিকার করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
দিনের প্রথম সেশনে, তাইজুল চারটি উইকেট নিলে বাংলাদেশ চার উইকেট লাভ করে এবং লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে, তারা পাকিস্তানের বাকি ছয়টি উইকেট তুলে নিয়ে অলআউট করে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন আবিদ আলী এবং অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিক করেন ৫২ রান। কিন্তু পরের চার ব্যাটসম্যান মাত্র ২৩ রান করেন এবং আজহার আলী শূন্য রানে ফিরে যান।
এর আগে টেস্টে লিটন দাসের প্রথম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের সুবাধে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী পাঁচটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা
চট্টগ্রাম টেস্ট: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩০
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম দিনে চার উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন দাস ১১৩ এবং মুশফিকুর রহীম ৮২ রানে দ্বিতীয় দিনের ইনিংস শুরু করেন। তবে আজ মাত্র এক রান করেই লিটন ফিরে যান। মুশফিকুর রহীমও সেঞ্চুরির আগে (৯১ রান) রিজওয়ানের হাত ক্যাচ দিয়ে ফাহিমের বলে ফিরে যান। শেষের দিকে মেহেদী মিরাজের ৩৮ রানের সুবাধে দলীয় ৩৩০ রান করে টাইগাররা।
পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী ৫১ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
এর আগে গতকাল সকালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দিনের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার সাঈফ হাসান ব্যক্তিগত ১৪ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান। এরপর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় সাদমান ইসলামের পর ৪৭ ও ৪৯ রানের সময় যথাক্রমে অধিনায়ক মুমিনুল এবং নাজমুল শান্ত ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে টাইগাররা। সেখান থেকেই মুশফিক এবং লিটন দলের হাল ধরেন। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারালেও শেষ দুই সেশনে কোন উইকেট যেতে দেননি মুশফিক-লিটনরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশের ২১তম টেস্ট। এই ভেন্যুতে গত ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটিতে।
এই টেস্টের আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে ১০টিতে হেরেছে এবং অন্য ম্যাচটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্ট: লিটনের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম খেলা শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন শেষে লিটন দাসের অভিষেক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান সংগ্রহ করেছে।
দিন শেষে লিটন দাস ১১৩ এবং মুশফিকুর রহীম ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দিনের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ওপেনার সাঈফ হাসান ব্যক্তিগত ১৪ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান। এরপর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় সাদমান ইসলামের পর ৪৭ ও ৪৯ রানের সময় যথাক্রমে অধিনায়ক মুমিনুল এবং নাজমুল শান্ত ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে টাইগাররা। সেখান থেকেই মুশফিক এবং লিটন দলের হাল ধরেন। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারালেও শেষ দুই সেশনে কোন উইকেট যেতে দেননি মুশফিক-লিটনরা।
পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
এই ম্যাচে ইয়াসির আলীর হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ।দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন আবু জায়েদ এবং তার সাথে থাকবেন এবাদত হোসেন। স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
এদিকে পাকিস্তান টপ অর্ডার ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিককেও টেস্ট ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলে দুটি সেঞ্চুরি সহ ২৫৯ রান করেন। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার আগে শফিক তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদুল্লাহ’র বিদায়
সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নারী ক্রিকেটার শারমিন
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশের ২১তম টেস্ট। এই ভেন্যুতে গত ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটিতে।
এই টেস্টের আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে ১০টিতে হেরেছে এবং অন্য ম্যাচটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৮৫ ওভারে ২৫৩/৫ (লিটন ১১৩*, মুশফিকুর ৮২*), হাসান ১/৩৮, ফাহিম ১/৩৮।
সুপার টুয়েলভে দ্বিতীয় হার টাইগারদের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
বুধবার আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডকে ১২৪ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের হয়ে জেসন রয় ৬১ রান করে দলের জয়ে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ সাইফুদ্দিনের, স্থলাভিষিক্ত হলেন রুবেল
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৩০ বল খেলে এ রান করেন তিনি।তবে শুরুটা ভালো করলেও আবারও ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। মাত্র ৯ রান করে মঈন আলীর বলে ফেরেন তিনি। পরের বলেই নাঈমকেও ফেরান মঈন আলী।
এছাড়া তিন নম্বর উইকেটে খেলতে নেমে সাকিবও ব্যর্থ হন। সাত বলে খেলে স্কোরবোর্ডে মাত্র চার রান যোগ করেন সাকিব।
চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। এছাড়া নবম উইকেটে খেলতে নেমে ৯ বল খেলে ১৯ করেন নাসুম আহমেদ। তাঁর ব্যাট থেকেই দুইটা ছয় আসে।
আরও পড়ুন: আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে লাহিরু, লিটনকে জরিমানা
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন টাইমিল মিলস। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মাহমুদউল্লাহর দল।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৩০ বল খেলে এ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডে সাথে টসে জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
শুরুটা ভালো করলেও আবারও ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। মাত্র ৯ রান করে মঈন আলীর বলে ফেরেন তিনি। পরের বলেই নাঈমকেও ফেরান মঈন আলী।
এছাড়া তিন নম্বর উইকেটে খেলতে নেমে সাকিবও ব্যর্থ হন। সাত বলে খেলে স্কোরবোর্ডে মাত্র চার রান যোগ করেন সাকিব।
চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। এছাড়া নবম উইকেটে খেলতে নেমে ৯ বল খেলে ১৯ করেন নাসুম আহমেদ। তাঁর ব্যাট থেকেই দুইটা ছয় আসে। এছাড়া আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ছয়ের দেখা পাননি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ সাইফুদ্দিনের, স্থলাভিষিক্ত হলেন রুবেল
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন টাইমিল মিলস। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।