বাণিজ্য
সিলেটে প্রথম বর্ডার হাটের উদ্বোধন, বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা
কয়েকদফা পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে জেলার প্রথম বর্ডার হাটের। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে এই হাটের উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই ক্রয়বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
হাটের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেটে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল। এসময় দু-দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এমন হাটের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ভারতের মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস ও কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত এই বর্ডার হাট প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার দুই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এখানে ভারতের ২৬টি ও বাংলাদেশের ২৪টি স্টল থাকবে। হাটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হবে এবং হাটের ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, আবেদনকারী বিক্রেতাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ২৪ জন বিক্রেতা বাছাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য আবেদনকারী বিক্রেতাদেরকে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে।
এদিকে আবেদনকারী ক্রেতাদের মধ্যে বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ভিজিটর কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, একজন ক্রেতা একদিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলারের সমমান টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রবেশ ফি বাবদ কার্ডধারী একজন ক্রেতাকে দৈনিক ৩০ টাকা ও বিক্রেতাকে দৈনিক ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে এই হাটের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
বর্ডার হাটের ক্রয়বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্ব ভালোবাসেন। এজন্য ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপন করেছেন। এতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ বর্ডারহাট পরীক্ষামূলক। এখান থেকে ভালো কিছু আসলে পরবর্তীতে সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আরও হাট বসানো হবে।
আরও পড়ুন: বর্ডারহাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিক খুলে দিয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যানমন্ত্রী বলেন, এ হাট পরিচালনার ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিকে আরো তৎপর হতে হবে। বর্ডার হাট ব্যবসার জন্য, স্মাগলিংয়ের জন্য না। এখানে আড্ডার জন্য যাওয়া যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, বর্ডার হাটে কেউ খারাপ কোনো উদ্যেশ্য নিয়ে যেতে পারে। কেউ যাতে ভিতরে গিয়ে কোনো অপকর্ম করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল বলেন, সিলেট থেকে যেসব পণ্য তৈরি হবে সেগুলো বর্ডার হাটে বিক্রি করতে পারবেন। ভারতের যারা তারাও বিক্রি করবে। এতে দুদেশের লাভ হবে।
তিনি বলেন, যাদের আত্মীয় স্বজন ভারতে আছেন বর্ডার হাটে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের ভিসা লাগবে না। সিলেটে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট হবে। সুনামগঞ্জে একটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিজোরামের বাণিজ্য বাড়াতে সাজেকে বর্ডার হাট
সিলেটের জেলা প্রশাসক সিলেট মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি ছিলেন, ভারতের সহকারী হাই কমিশনার (সিলেট) নিরাজ কুমার জয়শওয়াল, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরুল হাসান। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বর্তমান ১৩টি বর্ডার হাটের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আরও ৩টি বর্ডার হাট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে সীমান্ত হাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বাংলাদেশ এবং ভারতের জিরো পয়েন্ট (ভারত অভ্যন্তরে) এক একর জায়গার উপর প্রস্তাবিত এই বর্ডার হাটের কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট ফের চালু
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছে এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা চেয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রেস, প্রকাশনা ও প্রচার বিষয়ক বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি শোভন ইসলাম এবং বিজিএমইএ’র বাণিজ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
প্রতিনিধি দলটি ভারতে বিজিএমইএ এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত সোর্সিং মিট এবং রোডশোতে অংশ নিতে ৯-১২ ফেব্রুয়ারি ভারতে গিয়েছিল।
তারা বাংলাদেশ-ভারত বর্তমান বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা পেতে একে অপরকে সমর্থন করতে পারে।
তিনি বলেন, ভারত রাসায়নিক ও অন্যান্য কাঁচামালসহ মানবসৃষ্ট ফাইবারভিত্তিক কাপড়ের সম্ভাব্য উৎস, যেখানে দেশটি বাংলাদেশ আরএমজি রপ্তানির গন্তব্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অশুল্ক বাধা অপসারণে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা কামনা করেন, যাতে সহজে আরও বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হয়।
রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তিনি স্থলবন্দরের সমস্যা সমাধানে হাইকমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
ফারুক হাসান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য কনস্যুলার পরিষেবা সহজ এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা সহজতর করার জন্য হাইকমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আলোচনা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য অভিন্ন। উভয় দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিগুণ কর এড়ানোর চুক্তি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে।
প্রতিমন্ত্রী ৩ ফেব্রুয়ারি প্রিটোরিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যান্ডিথ মাশেগো ডলামিনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার বিজনেস ইউনিটি সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সংগঠনটি বাংলাদেশি চেম্বারগুলোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পারস্পরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী সম্ভাবনার মূল্যায়ন ও ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন চেম্বারের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা বিজনেস কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলামিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য ও জনসাধারণকে হয়রানির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং কর্মসুচি পালন করেছেন।
সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসের সামনের সড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ সনু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রেস ব্রিফিং।
এসময় বক্তারা বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী তার বিভিন্ন অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে জনরোষের শিকার হয়েছেন। অথচ তিনি ঘটনার দায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিবে না।
কারণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার চালালে মুক্তিযোদ্ধারা আগামীতে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সেই সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত সাব-রেজিস্টার ইউসুফ আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি বিকালে বিভিন্ন অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় আহত হন শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী।
এ ঘটনায় বুধবার বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়।
কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
ডিমলায় ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মার্কিন সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু পৌঁছেছেন; খোলামেলা আলোচনা করবে ঢাকা
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সন্ধ্যায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে, অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এবং শ্রম ও মানবাধিকারের বিষয়ে কথা শুনতে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত অবস্থানকালে সহকারী সচিব লু বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার প্রাতঃরাশের বৈঠকের কথা রয়েছে।
সহকারী সচিব লু রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন যেখানে জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম এবং মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সহ অগ্রাধিকারের একটি পরিসীমা রয়েছে।
শনিবার ভারত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা) নায়েম উদ্দিন আহমেদ লু কে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ: মোমেন
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস টুইট করে বলেছে, ‘বাংলাদেশে স্বাগতম, সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু। ঢাকায় থাকাকালীন, সহকারী সেক্রেটারি লু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।’
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ভারত সফর করেছেন।
ভারতে সহকারী সচিব ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ফোরাম এ অংশগ্রহণ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের সহযোগিতার উপায় আরও প্রসারিত করতে ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি লু।
এর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেছিলেন যে তিনি সহকারী সচিব লু’র সফরকে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ব্যস্ততার অংশ হিসেবে দেখছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, শুধু নির্বাচন ও মানবাধিকার বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে না।’
তিনি বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে এবং মার্কিন পক্ষের বাংলাদেশ থেকে কিছু প্রত্যাশা থাকতে পারে। ‘আমরা খোলাখুলি আলোচনা করব।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ ঘনিষ্ঠ ও গভীর সম্পর্ক উন্নীত করার সুযোগ দেখছে
এফএস জানিয়েছে, ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশল রয়েছে।
মাসুদ বলেন, ‘এটা এমন নয় যে আমরা কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপে যোগ দিচ্ছি বা না। আমরা বঙ্গোপসাগর এবং এর বাইরে কীভাবে দেখতে চাই তার কিছু উপাদান প্রস্তুত করছি।’
এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে এবং দেশে ইতিবাচক ভূমিকা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক আলোচনায় অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘র্যাব এখন অনেক বেশি পরিপক্ক। আমাদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে তারা (মার্কিন) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ইস্যু তুলব। তারা তাদের ইস্যু তুলবে। কিন্তু অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর দরকার নেই। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে প্রোথিত।’
আরও পড়ুন: ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট: খাদ্য, জ্বালানি, সারের ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান
বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
ইরানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মেহেদি সাফারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতি, জ্বালানি, রাসায়নিক সার ও খাদ্য নিরাপত্তায় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
শাহরিয়ার তাকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আরও সফরের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আন্তঃসরকারি সংস্থার অধীনে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
শাহরিয়ার এবং মেহেদী আইওআরএর অধীনে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
শাহরিয়ার আইওআরএ-তে তার অংশগ্রহণের জন্য উপমন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইতালি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা - এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতালির তৈরি শিল্প কল-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং মেডিকেল মেশিনারিজ বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে।
ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্ট(এফডিআই) এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পারস্পরিক দেশ সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পরেন। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে। বিশ্ববাজারে মেড ইন বাংলাদেশ ভালো ব্রান্ড। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ইতালিতে বেশ জনপ্রিয়।
ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশের পর্যটক বিনিময় হতে পারে। ইতালি সরকার পর্যটনের বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এখন উভয় দেশের চলমান বাণিজ্যের পরিমান দুই লাখ ২৬ হাজার দুই দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে এক লাখ ৭০ হাজার আট দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন প্রত্যাশাও করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সরবরাহ চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই সিইপিএ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও চেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশনের জন্য সিইপিএ-এর আলোচনা দ্রুত এবং যথাসময়ে সম্পন্ন করতে উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থল বন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর যানজট নিরসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
হাইকমিশনার সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং উপকূলীয় শিপিংয়ের মাধ্যমে উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীকরণ এবং মাল্টি-মডেল সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) এর একটি প্রতিনিধি দল, যা পরিদর্শনের জন্য ঢাকায় রয়েছে, এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই
কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নব উদ্যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে পথচলার শুরুতেই দেশজুড়ে থাকা ইভ্যালির লাখো গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘ধন্যবাদ উৎসব’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ‘ধন্যবাদ উৎসব’ শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের নামীদামী আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে থাকছে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
এতে আরও বলা হয়, পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এখন ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করা যাবে।
এছাড়াও ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন সময় চমকপ্রদ অফার দেবে ইভ্যালি।
ধন্যবাদ উৎসব সফল করার আহ্বান জানিয়ে ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অতীতের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি। ইভ্যালি এখন এমন একটা ব্র্যান্ড যা এই জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের এখন দুইজন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।
শামীমা আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখন থেকে আমরা আর লসে পণ্য বিক্রি করব না। তবে ইভ্যালির গ্রাহকরা আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না, তা নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহার করে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও, গতানুগতিক বাজারের তুলনায় গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো আমরা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি এবং গ্রাহক সেবার দিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব।
শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পূর্বের সকল অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইভ্যালির হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব। আমাদের গতি বেগবান করতে ও ইভ্যালিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের প্রাক্তন সিইও রাসেলের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল জামিন পান শামীমা।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা