সংক্রমণ
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়াল।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার ৮৯৯ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৯২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার ৮৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭৯ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১,১৬১
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আট কোটি ৯৭ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৯ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দেশেটিতে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৪১৭ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ৬৫০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে এক হাজার ৯৯৮ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৪ কোটি ৯০ হাজার ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে: আইসিডিডিআর,বি’র সমীক্ষা
রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সাব ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ এর সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়ছে। ওমিক্রনের এই সাব ভেরিয়েন্টটিকে অতীতের চেয়ে অধিক সংক্রামক মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিআর,বি) ঢাকায় ওমিক্রন সাব-ভেন্টিয়েন্ট বিএ.৫ এর দ্রুত বিস্তারের কথা জানায়।
গত ছয় সপ্তাহ (চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ২৪ জুন) এই সাব-ভেরিয়েন্টের বিস্তার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
আইসিডিআর,বি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানায়, এই সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জনই ওমিক্রনের বিএ.৫ সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। বাকি একজন বিএ.২ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।
আইসিডিআর,বির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্স-কোভ-২ ভেরিয়েন্টগুলো পরিবর্তিত হয়ে নতুন নতুন রূপ লাভ করে।
ভিন্ন আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ জন ওমিক্রন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৩৮ জন রোগী কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, ২১ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং একজন শুধুমাত্র টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।
এছাড়াও ৩৯ জন করোনা রোগীর হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ ছিল এবং একজনের কোনো উপসর্গ ছিল না। শুধুমাত্র একজনকে একদিনের জন্য হাসপাতালে ভতির্ থাকতে হয়। এতে বোঝা যায় এই সাব-ভেরিয়েন্টের তীব্রতা কম।
বিশেষজ্ঞেরা সকলকে করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা নেয়াসহ সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানান। এছাড়া এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের সকলকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি: কমলাপুর রেলস্টেশনে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের মহোৎসব
গত ১৯মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথমবার শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় এক হাজার ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও সাত জনের এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৪ মাস পর করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু
দেশে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে এক হাজার ১০৫ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬০ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ সাত হাজার ৯৯০ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৫ কোটি ছাড়াল
করোনা: জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ এনটিএসি’র
করোনা: জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ এনটিএসি’র
দেশে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধির পাওয়ায় এর বিস্তার রোধে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (এনটিএসি) ছয়টি সুপারিশ করেছে।
এনটিএসি’র সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সুপারিশগুলো হলো:
১. স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মিডিয়াকে অনুরোধ করা
২. সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি কার্যকর করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
৩. মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
৪. জ্বর, কাশি এবং সর্দিসহ করোনা উপসর্গ দেখতে পেলে লোকেদের করোনা পরীক্ষা করতে বলা।
৫. সকল শপিংমল, দোকান, মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁয় মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা বা আইনি ব্যবস্থা নেয়া।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ২ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ২
৬. মসজিদের ইমামদের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য এবং জুমার নামাজের সময় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য খুতবা দিতে হবে।
সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও মন্ত্রিসভা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে দুই হাজার ৮৭ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জনে পৌঁছেছে। এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৪৯২ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ সাত হাজার ৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়াল।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৮ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৮৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭১ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৭৬৬
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯০৩ জনে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে বুধবারে এপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে তিন দশমিক তিন মিলিয়ন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যা চার শতাংশ হ্রাস এবং সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ১৩৫ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৪ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৫৩৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ছয় হাজার ১০৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটিতে ৮৭৩ জন শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এর আগে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ মে।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩২ জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই দিন শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৮৯৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে শনাক্ত বেড়ে ৬.২৭ শতাংশ
একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৭৬৬
বিশ্ব করোনায় ৭৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃত্যু সংখ্যা ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল। আগের দিন শনিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৮ জন।
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৩ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ২৩৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৯ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৫ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তর। এ সময় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৪৩৩ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১জন এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৪ কোটি ২ লাখ ছাড়াল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ১২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
দেশে মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৭৫৮জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সংক্রমণ এভাবে বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে, আবারও হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসেও যেখানে করোনা সংক্রমণের হার এক শতাংশের নিচে ছিল, সেটি বর্তমানে দুই শতাংশে উঠে এসেছে।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীস্ত আইসিডিডিআরবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু দেশে এখন আবার করোনা বাড়ছে। গত একমাস দেশে সংক্রমণের হার ছিল দশমিক ৬ শতাংশ, এখন সেটি ২ শতাংশে উঠে গেছে। প্রতিদিন যেখানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হতো, এখন সেটি বেড়ে গিয়ে হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ জন।
তিনি বলেন, 'আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের যদি এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যাও আরও বেড়ে যাবে।'
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জন্য একটি ভালো বিষয় হলো আমাদের সমস্ত হাসপাতালেও এখন ২০ জনের বেশি রোগী নেই। কিন্তু আমরা যেভাবে অসতর্ক হয়ে চলাচল করছি, হাসপাতালে রোগী বাড়তেও সময় লাগবে না। তাই আমাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কাজ কর্ম করবেন, এটি আমরা আশা করবো।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। যারা বাকি আছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিবেন, সুরক্ষিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষে গবেষণার জন্য ১০ জন নারীকে গবেষণা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই সরকার ৩৫ লাখ টাকা করে দেবে।
পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১৬২
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৪ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশকে সচেতন থাকতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, এই অবস্থায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় নিপসম অডিটোরিয়ামে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায়। এটি আমাদের ধরে রাখতে হবে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে এতোদিন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই খাদ্যের অভাব হয়নি। আমাদের মাথাপিছু আয় সচল আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ মানুষকে টিকা দিয়েছি। শুধু যারা টিকা নিতে চায় না, তারাই টিকা নিতে বাকি আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিভাগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নতি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি সেবার উন্নয়ন হয়েছে।
সাত দিনব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২-এরও উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত আরও ২৪
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ১৯ শতাংশ কমেছে, মৃত্যু স্থিতিশীল: ডব্লিউএইচও
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ শতাংশ কমেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।
মহামারি নিয়ে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার মঙ্গলবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ১৬ মিলিয়ন নতুন করোনা সংক্রমণ এবং প্রায় ৭৫ হাজার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরই একমাত্র অঞ্চল যেখানে গত সপ্তাহে করোনা ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রায় ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ৩৮ শতাংশ এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
পড়ুন: দেশে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
রাশিয়ায় নতুন করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে এবং পূর্ব ইউরোপের অন্যন্য কিছু দেশে শনাক্ত দ্বিগুণ হয়েছে, যার অধিকাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতংকের মাঝে করোনার আলফা, বিটা এবং ডেল্টাসহ অন্যান্য সমস্ত রূপগুলোর হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্বের বৃহত্তম ভাইরাস ডাটাবেসে আপডেট করা চার লাখের বেশি করোনাভাইরাস সিকোয়েন্সের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি ছিল ওমিক্রন।
ডব্লিউএইচও জানায়, ওমিক্রনের বিএ.২ ধরন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে এর ব্যাপকতা বেড়েছে।
সংস্থাটির আফ্রিকার পরিচালক ড. মাতশিদিসো মোয়েতি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কম টিকা দেয়ার হার সত্ত্বেও আমরা ‘সুড়ঙ্গের শেষে আলোর পথে রয়েছি’ এবং আফ্রিকা এর তীব্র মহামারি পর্ব থেকে উত্তরণ করছে।’
পড়ুন: বিশ্বে করোনা সংক্রমণ সাড়ে ৪১ কোটি ছাড়িয়েছে