সংক্রমণ
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৯,৬৩২
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬৬ জনের। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৯ হাজার ৬৩২ জনের।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮,৮৫১জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩০ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩১.০৫ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৪ শতাংশ। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৩৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬০ জন, খুলনা ও চট্টগ্রামে ৩৩ জন করে, রংপুরে ১২ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেটে ৮ জন, রাজশাহীতে ৭ জন এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনায় ঈদ উদযাপন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবার সারা দেশের মতো খুলনায়ও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৮টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। এছাড়া কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদের জামাতে খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের ৭৫৫টি মসজিদে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় দুই হাজার নয়শত ৯৩টি মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হয়।
কিশোরগঞ্জে করোনায় ৫ মৃত্যু, আক্রান্ত ১২৪
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৪১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭৫০৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের এ তালিকায় জেলার সদর উপজেলায় ৩৮ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ০৭ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ০২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ০৬ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ২২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১০ জন, ইটনা উপজেলায় ০৩ জন ও মিঠামইন উপজেলায় ০১ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৫৯ জন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনায় আরও ৫২ মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৫
আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯০৬ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। বাকিরা আইসোলেশন কিংবা হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার হয়ে এ জেলায় ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
গেল এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩৫ লাখ বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসের তথ্যমতে, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে অতিরিক্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ লক্ষে।
পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বর্তমান অবস্থা গত মে মাসের মতো রূপ ধারণ করায়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিশ্বজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন যে, মহামারি করোনার আরেকটি ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বর্তমান বিশ্ব।
বার্তা সংস্থা তাস গত এক সপ্তাহের বিশ্ব করোনার একটি বিশ্লেষণ ভিত্তিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ
নতুন সংক্রমণের বৃদ্ধিগত বসন্তকালের সময় থেকেই যেসব দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ কমে এসেছিল, সেসকল দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ হাজারের অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে, যা গত মে মাসের পর থেকেই নিম্মগামী ছিল। এমনকি গত জুনে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে নেমে এসেছিল।অপরদিকে রাশিয়াতে, পুরো জুন মাস জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে যায়নি। কিন্তু গত দুইদিন ধরে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক পরিলক্ষিত হচ্ছে।এদিকে পশ্চিম ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ৫০ হাজারের অধিক এবং নেদাল্যান্ডে ১০ হাজারের অধিক সংক্রমণ ধরা পড়ছে।এছাড়া ইতালি এবং জার্মানির করোনা পরিস্থিতি প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ফ্রান্সের করোনা সংক্রমণের হার ১.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পর করোনায় চলে গেলেন সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন
নতুন সংক্রমণের হ্রাসপরিসংখ্যান অনুযায়ী, ল্যাটিন আমেরিকায় চলা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ কমছে। ব্রাজিলে টানা দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার কমে চলেছে, যা বর্তমানে দৈনিক ৪০ হাজারের কম।ব্রাজিলের প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনাতে করোনার সংক্রমণ প্রায় ২.৭ গুণ হারে হ্রাস পাচ্ছে।অপর দিকে কলম্বিয়াতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ করোনা সংক্রমণ কমেছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে।পৃথিবীর আরেক প্রান্তের দেশ সাউথ আফ্রিকাতেও করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। দেশটিতে গত সপ্তাহেই সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা গেলেও, বর্তমানে সংক্রমণের হার কমে আসছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২০৪, শনাক্ত ৮৪৮৯
মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিপরিসংখ্যান অনুসারে গত সাত দিনে বিশ্বে প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কারণে মারা গেছেন, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২ হাজার ৫শ’ বেশি।ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, যা গুরুতর অবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার ইঙ্গিত করছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত শুধু ব্রাজিলেই প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২’ মানুষ মৃত্যুর রেকর্ড দেখা গেছে।অপরদিকে রাশিয়াতও প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে গত শুক্রবার প্রায় ৮০০ জন করোনা রোগী মারা যায়।তবে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়াতে মৃত্যুর সংখ্যা আশানুরূপভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেন
আর কিছুদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এ সময় কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কোরবানির সময় সতর্কতা মেনে চলতে হবে। এ রকম একটা উৎসবে অনেক মানুষের সমাগম থাকাটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পশু কোরবানির আগে ও পরে সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই চলুন, কোভিড সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় সতর্কতার জন্য জরুরি পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে জেনে নেই।
কোভিড সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় সতর্কতা-
কোরবানির জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করুন
পশু কোরবানির স্থানটি বসতবাড়ি থেকে একটু দূরে এবং খোলামেলা হওয়া দরকার। যে স্থানটি নির্বাচন করবেন, সেটি অবশ্যই আগে থেকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে রাখবেন। এতে এলাকা জুড়ে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকে এবং পরিবেশ দূষণ রোধ হয়। তাছাড়া কোরবানি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ময়লা নিষ্কাশনেও বেশ সুবিধা হয়। কোরবানির সকল কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে পুরো জায়গাটি স্যাভলন মেশানো পানি অথবা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে স্যানিটাইজ্ড করে নিন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
কসাই-কোরবানির সরঞ্জাম স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনুন
কসাইদের কাজ শুরুর আগে দেখে নিন তারা হ্যান্ড-গ্লাভস, মাস্ক এবং জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরছে কিনা। তাদের সাথে যারা কোরবানিতে অংশ নিবেন ও মাংস কাটবেন তাদের ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা প্রযোজ্য। পশু ধরার আগে ও পুরো কাজ হওয়ার পর সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। পশু কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আগে থেকেই স্যানিটাইজ্ড করে রাখুন। যে পাত্রে মাংস রাখাবেন তা আগে থেকেই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রাখুন। মাংস কাটার সময় নিজেদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব রেখে বসুন।
পশু কোরবানি ও চামড়া ছাড়ানোর সময় কোন অবস্থাতেই হাঁচি-কাশি দেয়া যাবে না। মাংস আলাদা করে যেখানে রাখা হবে তার আশপাশেও হাঁচি-কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকুন। শুধু কোরবানির সাথে সম্পৃক্তরা ছাড়া অন্য কাউকে আশেপাশে ভীড়তে দেবেন না। আর কেউ এলেও তাকে অবশ্যই কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব রেখে দাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির হাটে মহিষের আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু
একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশুর বর্জ্যগুলো ফেলুন
গ্রামাঞ্চলে কোরবানির আগে থেকেই খোলা মাঠে বা কোন পরিত্যক্ত স্থানে গর্ত করে রাখতে পারেন। আর শহরের ক্ষেত্রে কাছাকাছি একটি ডাস্টবিন ঠিক করে রাখুন। ডাস্টবিনটি রাস্তার কাছাকাছি হলে বর্জ্যের গাড়ি পৌঁছাতে সুবিধা হবে। আর গোলির ভেতরে হলে বর্জ্য একটি ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। খেয়াল রাখবেন- কুরবানির পশুর গোবর ও অন্যান্য আবর্জনা যেন ড্রেনে ফেলা না হয়। এক্ষেত্রে ড্রেন বন্ধ হয়ে ময়লা উপচে পড়বে।
আগে থেকে ঠিক করা জায়গায় মাংস কাটার কাজ শেষ করুন। এ সময় উচ্ছিষ্টগুলো ছিটিয়ে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। অতঃপর সব উচ্ছিষ্ট একসাথে করে পূর্ব নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলুন। গ্রামাঞ্চলে গর্তে রেখে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে পারেন। দ্রুত বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
যত দ্রুত সম্ভব চামড়া ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করুন
চামড়া ছাড়ানো হয়ে গেলে সাথে সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করুন। এছাড়া মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং, মসজিদ বা এতিমখানায়ও দান করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন
মাংস সংরক্ষণে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
মাংস বাড়িতে নেয়ার আগে থেকেই হাত, রান্নাঘর বিশেষ করে মাংস রাখার পাত্রগুলো সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাংস এমনভাবে রান্না করুন, যেন মাংসের প্রতিটি অংশ বেশ ভালোভাবে সেদ্ধ হয়। রান্নার কাজ শেষ হলে কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে আসা সব কিছু আগের মত করে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। রেফ্রিজারেটরে কাঁচা মাংস রাখার সময় ছোট ছোট প্যাকেটে মুখ বন্ধ করে মাংস রাখুন। রেফ্রিজারেটর থেকে মাংস বের করে রান্নার পূর্বে ভালো করে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আসতে দেওয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শেষাংশ
যেহেতু করোনা মহামারি চলাকালীন দ্বিতীয়বারের মত ঈদুল আজহা পালিত হতে যাচ্ছে, তাই কোরবানি পরবর্তী সতর্কতা মেনে চলার উপর আরো বেশি জোর দিতে হবে। এর ফলশ্রুতিতে আপনি নিজে সুস্থ থাকার পাশাপাশি আপনার পাশের জনকেও কোভিড সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন।
বরিশালে করোনায় একদিনে আরও ১৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৬
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১৩ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে নয় জন এবং করোনা ওয়ার্ডে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ৩
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৫৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৪ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৬৯ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৮ কোটি ৯৫ লাখ
বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, মোট আক্রান্ত ২৫ হাজার ২৮৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৭শ ৫০ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আগুন
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১০৪ জন নিয়ে মোট ১০ হাজার ৭৮৮ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১০ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ১৩৭ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৮ জনসহ মোট ২ হাজার ৫২৫ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন শনাক্ত না থাকায় মোট ৩ হাজার ৪৬৮ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ১ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ১৫৬ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২১৩ জনে।
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ১২, ১৪৮
করোনা মহামারির ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৪৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭, ৪৬৫ জন। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৮. ৯৬ শতাংশ।
এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে করোনায় আরও ১২ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৩৫
দেশে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন, সুস্থতার হার ৮৪.৩৬ শতাংশ।
কুষ্টিয়ায় করোনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলায় মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ছাড়াল
এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২১৯ জন।
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৩৫ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৬১ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৬৭৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৩৩৫ জন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
জেলায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৭৬ হাজার ৯৮১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭২ হাজার ৯৯৬ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫৯ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৬৩৫ জন।
করোনা: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ সপ্তাহ পর মৃত্যু নেই
ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত কোনও রোগীর মৃত্যু না হলেও নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, জুলাই মাসের প্রতি দিনই কোনও না কোনও করোনা সংক্রমিত রোগী মারা গেছেন। গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই জেলায় মোট ৮১ জন করোনা রোগী মারা যান। ১৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোন রোগীর মৃত্যুর খবর নেই। তবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ জন। জেলায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত শনাক্ত ৫০৩৩।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৩৯ জনের। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
সদর উপজেলাতেই প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এই দিন ৮৯ জন নতুন শনাক্ত রোগীর মধ্যে সদরেই রয়েছেন ৪৯ জন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলে আগুন দেয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট ৫০৩৩ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ৩৩৭০ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়া ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলায় বিভিন্ন কর্মহীন মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
১৫ থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল, ঈদের পর ফের কঠোর
চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ মেয়াদ আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে।
সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক তথ্যবিবরণীতে এই তথ্য জানিয়ে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ১৫ জুলাই থেকে চলবে ট্রেন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লকডাউন দিয়েছে। গত ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে নতুন করে আরোপ করা লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।