চুক্তি
ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ব্রুনাই থেকে এক থেকে দেড় মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পেতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছরের চুক্তি হতে পারে।’
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপমন্ত্রী ইয়াং মুলিয়া দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি মাতসাতেজো বিন সোকিয়াও তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ান উভয়েরই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই থেকে বকেয়া পরিশোধে গড়ে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন চুক্তি সই হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে উভয় দেশ জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পরিধি বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে ব্রুনাই থেকে তিন লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রুনাই ভিত্তিক সাপ্লাই কোম্পানি পিবি ট্রেডিং সেন্ডিরিয়ান বেরহাদ থেকে একটি শর্তের কারণে ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হয়নি। শর্তটি হলো- নিজস্ব শোধনাগার থাকতে হবে।
আরও পড়ন: ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
উল্লেখ্য, এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানের ঢাকা সফরের সময় ১৬ অক্টোবর ঢাকা ও বন্দর সেরি বেগাওয়ানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ী সচিব ইয়াং মুলিয়া আজহার বিন হাজি ইয়াহিয়া, জ্বালানি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম বিন হাজি ইসমি, পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষের পরিচালক আদ্রিয়ান ওং কোয়াই মিং, জ্বালানি বিভাগের জ্বালানি সমন্বয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাজি মোহাম্মদ জাকি বিন হাজি হাসান আসশারি ব্রুনাইয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ চৌধুরী এবং ব্রুনাইতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান।
আরও পড়ুন: শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
রোনালদোর গায়ে দেখা যাবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মঙ্গলবার জানিয়েছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ক্লাবটি ছেড়ে যাবেন। তার পরনে থাকছে না আর ক্লাবটির জার্সি।
৩৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বিশ্বকাপের প্রাক্কালে ক্লাবটির ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ ও মালিকদের সমালোচনা করে এক সাক্ষাৎকার দেন।
গত সপ্তাহে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বলেছিল যে তারা রোনালদোর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যথাযথ পদক্ষেপ শুরু করেছে।
ক্লাবটি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পারস্পরিক চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে যাচ্ছেন এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ক্লাব ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে তার অপরিসীম অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানায়। যেখানে তিনি ৩৪৬টি ম্যাচে ১৪৫ গোল করেন।’
ভবিষ্যতের জন্য তার ও তার পরিবারের মঙ্গল কামনাও করেছে ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: কোয়ারেন্টাইনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
করোনাভাইরাস: জুভেন্টাস থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বেতন নিবে না রোনালদোরা
ম্যারাডোনা সর্বকালের সেরাদের একজন: রোনালদো
সৌদির সঙ্গে নিরপত্তা ইস্যুতে ২ চুক্তি সই করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ এবং কিংডম অব সৌদি আরব (কেএসএ) নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং ‘রুট টু মক্কা’ পরিষেবা সংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করবে যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নারী পুলিশসহ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় সৌদি উপ-অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি নতুন চালু করা। আমাদের নারী পুলিশরা ভালো করছে। এটা (এ ধরনের সহযোগিতা) ভালো।’
উভয় পক্ষ শ্রমিক সমস্যা এবং কেএসএ থেকে কম দামে এলএনজি আমদানি নিয়েও আলোচনা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
ঢাকা-রিয়াদ নিরাপত্তা সহযোগিতা ও রুট টু মক্কা উদ্যোগের দুটি চুক্তি সই করবে।
মোমেন বলেন, আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপমন্ত্রী অভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য সৌদি আরবের আগ্রহের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ শিগগিরই সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে।
সৌদি উপমন্ত্রী তার ব্যস্ততার মধ্যেও তাকে গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমর্থনের জন্য সৌদি বাদশাহ, যুবরাজ ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই রবিবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বিমান পরিষেবা চুক্তিসহ চার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি ও স্মারক সই হয়।
চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
বাংলাদেশের ৩০ হাজারেরও বেশি পোশাক শ্রমিকের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বাড়াতে আয়াত এডুকেশন এবং ইন্টিগ্রাল গ্লোবালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
ফেসবুকে পোস্টে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশি সংস্থা আয়াত এডুকেশন বৃহস্পতিবার বলেছে যে ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন কারখানা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত এবং করোনার ঝুঁকি কমিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের সুস্থতা ও উৎপাদনশীলতা জোরদার করা।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
আয়াত এডুকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুসরাত আমান, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান এবং আইজির পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা নাবিল আহমেদ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ত্রি-পক্ষীয় অংশীদারত্ব আয়াত এডুকেশন পাঁচটি পোশাক কারখানার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা, করোনা টিকা (দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ) সম্পূর্ণ করতে তাদের অনুপ্রাণিত করা এবং সহায়তা করা এবং সেরা কারখানা পরিচালনার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাসহ একটি ডিজিটাল টুলকিট (ওয়েবসাইট) প্রস্তুত কবরে।
কর্মকর্তা-কূটনীতিকদের ভিসা মওকুফে চুক্তি সই করল বাংলাদেশ ও কসোভো
বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে সরকারি কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকদের জন্য ভিসা মওকুফের একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ এবং কসোভো।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং কসোভোর সফররত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং প্রবাসী ক্রেশনিক আহমেতি দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে এই চুক্তি সই হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলোচনার সময় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতে মারাকেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ
বৈঠকে সফররত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কসোভোতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বেশ কিছু সম্ভাব্য চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অন্যান্য সুযোগের বিকল্পগুলো খুঁজতে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন ক্রেশনিক আহমেতি।
সোমবার, আহমেতি এফবিসিসিআই এবং ডিসিসিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
কসোভোর সঙ্গে ২০১৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এরপর ২০২০ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। যা ২০২১ সালে তা বেড়ে এক দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বাংলাদেশি আইটি পেশাদার, প্রকৌশলী এবং দক্ষ জনশক্তির জন্য একটি ভাল গন্তব্য হতে পারে কসোভো। বাংলাদেশ থেকে পোশাক এবং ওষুধ পণ্য আমদানি করতে পারে দেশটি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বাধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘শিখো’র সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মের রাইডাররা আরও সহজে শিখোর দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্সগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।
এ চুক্তির আওতায় ফুডপ্যান্ডার রাইডাররা শিখোর বিভিন্ন ধরনের কোর্সে বিশেষ ছাড় পাবেন। এ কোর্সগুলোতে মাইক্রোসফট অফিস, রিজিউমি বিল্ডিং ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর মতো দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ফলে যেসব শিক্ষার্থী রাইডার হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তাদের জন্য এ কোর্সগুলো প্রাসঙ্গিক হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা বলেন, ‘বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং নিজেদের এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রযুক্তি বিপ্লবে বাংলাদেশকে প্রস্তুত করার জন্য আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষা এবং রিমোট লার্নিং এর সমান সুযোগ পায় না। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার- শিখোর এ লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সমর্থন দিতে পারায় আমরা উচ্ছ্বসিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
বিশেষ ছাড়ে এ কোর্সগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার পর রাইডারদের সম্মাননা হিসেবে ও স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট দেবে শিখো। যা তারা তাদের পরবর্তী কর্মজীবনে ব্যবহার করতে পারবেন।
এ চুক্তি প্রসঙ্গে শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও শাহির চৌধুরী বলেন,‘ফুডপ্যান্ডার রাইডারদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়ার জন্য এ চুক্তির ফলে আমরা উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত।’
শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর খন্দকার আন্দালিব হাসান মাসনুন, হেড অব লজিস্টিকস মোহাম্মদ তাবরিজ খান, অপারেশনস ম্যানেজার সাহিদা ফাতেমা, পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আমবিরীন এস জামান, শিখো’র হেড অব বিজনেস স্কিলস প্রফেশনালস ইয়ানুর ইসলাম পিয়াস ও প্রজেক্ট ম্যানেজার জায়েদ রহমান।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
স্বপ্ন ও ফুডপ্যান্ডার গ্রোসারি ডেলিভারি সেবা প্যান্ডামার্ট’র যাত্রা শুরু
খালি হাতে ফিরিনি, তেল-গ্যাসের নিশ্চয়তা বড় অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
ভারত সফরে বাংলাদেশের অর্জন বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেন, তার সাম্প্রতিক প্রতিবেশী দেশ সফর কোন অর্জন ছাড়াই সমাপ্ত হয়নি।
বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ কী অর্জন করেছে, তা নির্ভর করে একজনের উপলদ্ধির ওপর।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ঢাকা-দিল্লির ৭টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারত থেকে তেল পেতে যাচ্ছে। ভারতের আসামের নুমালিগড় থেকে আমাদের উত্তরাঞ্চলের ডিপোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করবে। পাইপলাইনটি নির্মাণও করবে ভারত। এই তেল সরবরাহ শুরুর ম্যধদিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।’
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও যোগ করেন যে ভারত থেকে এলএনজি আমদানির জন্যও বাংলাদেশ আলোচনা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুলনা অঞ্চল ক্ষণে ক্ষণে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে। আমরা ভারত থেকে ওই অঞ্চলে গ্যাস আমদানির কথা ভাবছি, যাতে ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সরাসরি সুবিধাভোগী হতে পারেন।’
ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে তেল ও গ্যাস পাওয়ার আশ্বাসকে তার সাম্প্রতিক ভারত সফরের বড় অর্জন বলে অভিহিত করে
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চারদিনের ভারত সফরের ফলাফল বিষয়ে বুধবার বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বুধবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দেশটিতে চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন এবং পৃথকভাবে দেমটির রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে দেখা করেন।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা-দিল্লি সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেন।
অন্যান্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণা প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, বিচার বিভাগ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ লাইন অব ক্রেডিট-এলওসি’র আওতায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম চুক্তি সই করেছে। ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে এটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ বলে মনে করছে।
মঙ্গলবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন , আমি মনে করি এই সপ্তাহের শুরুতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) অধীনে প্রথম চুক্তি সই হয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনারা নিবিড়ভাবে দেখেছেন, ‘সামান্য পরিমাণ’ হলেও এটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তা-এলওসি হতে পারে। তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কাঠামোরও একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বন্ধনকে ‘নিবিড়করণে’ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে বলেন, তারা এলওসি’র অধীনে প্রকল্পগুলোর দ্রুত চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে, যা দু’দেশের জন্য লাভজনক হবে।
ভারত এই বিষয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর যানবাহন ‘প্রাথমিক ক্রয় পরিকল্পনা’ চূড়ান্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য আগ্রহী।
বৃহত্তর সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একটি উপকূলীয় রাডার ব্যবস্থা প্রদানের ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারকটি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নে তাদের অনুরোধ পূনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
আগস্টে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বাংলাদেশ-ভারত বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে, ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোর জন্য সহযোগিতা সহায়তার(এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় উভয় পক্ষ।
সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উদ্যোগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান এবং ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এই সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিরক্ষা শিল্প এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহযোগিতার বিভিন্ন দিক বিস্তারিত আলোচনায় উঠে এসেছে।
উভয় দেশ প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, সহ-উন্নয়ন এবং যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতার সম্ভাবনায় সম্মত হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য হিন্দু জানিয়েছে যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি সামরিক প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেমগুলো ভারত থেকে সংগ্রহ করতে একটি চাহিদাপত্র দিয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সামরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ার কিছু অগ্রগতি চিহ্নিত করে।
এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ভাসমান ডক, লজিস্টিক জাহাজ এবং তেলের ট্যাঙ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকেএক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত তিনটি আইটেম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এলওসি-এর আওতায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে পাঁচটি ব্রিজ লেয়ার ট্যাঙ্ক (বিএলটি-৭২); প্রায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সাতটি বহনযোগ্য ইস্পাত সেতু এবং টাটা গ্রুপ থেকে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১১টি মাইন প্রোটেক্টিভ ভেহিকেল।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রয় প্রস্তাবনার অন্যান্য সরঞ্জামগুলো হলো- মাহিন্দ্রা এক্সইউভি৫০০ অব-রোড যানবাহন; আনুমানিক ২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মাহিন্দ্রা থেকে হার্ড টপ যান, ভারী উদ্ধারযান, সাঁজোয়া প্রকৌশলী উদ্ধারযান এবং বুলেটপ্রুফ হেলমেট।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি লজিস্টিক জাহাজ, ভাসমান ডক, তেল ট্যাংকার এবং একটি সমুদ্রগামী টাগ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’