ম্যাজিস্ট্রেট
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত ৪১ জনকে জরিমানা করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ অমান্য করায় সিলেটে ৯২ যানবাহন জব্দ
এদিকে দ্বিতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিন বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। তবে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষ নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে। অলিগলিতে চলছে মানুষের আড্ডা।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলায় ১১টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চালাকালে ৪১ জনকে অর্থদন্ড এবং ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন এবং মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিধিনিষেধ না মানায় কুমিল্লায় ২৭৯ জনকে জরিমানা
ভোলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে
ভোলার চার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনেকেই এসেছেন ভোট দিতে। তবে বৃষ্টির কারণে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল তূলনামূলক কম। কেন্দ্রের বাইরে মাঠে ভোটারদের লাইন না থাকলেও ভেতরে অবস্থান করছেন ভোটাররা। পুরুষদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি। তবে বৃষ্টি কমলে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ৬ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে
এদিকে ভোটারদের অনেকেই মানছেন না স্বাস্থবিধি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভোলা জেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, সদস্য পদে ৪০১ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সকাল ৮টা থেকে এসব ইউনিয়নে ১৪১টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৮ টি কক্ষে ২ লাখ ২৭ হাজার ৬১ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩০ জন পুরুষ ভোটার ও নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩১ জন।
আরও পড়ুন: করোনার ঝুঁকি নিয়েই বরিশালে চলছে ভোটগ্রহণ
এদিকে, ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ৫টি ও বোরহানউদ্দিনের একটি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না। তবে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হচ্ছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪ প্লাটুন বিজিবি, মনপুরায় ২৫ জন কোস্টগার্ড সদস্য, প্রতি উপজেলায় র্যা বের ২টি করে টিম, ৩২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত আনসার ও পুলিশ সস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ ও জেল-জরিমানা করে রেকর্ড গডেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিছুর রহমান। এমন কৃতিত্ব অর্জনের জন্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে একাধিক সম্মাননাও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা ঠাকুরগাঁওয়ের স্কুলছাত্রীর
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও আনিসুর রহমান ২০১৭ সালের শেষের দিকে সিরাজগঞ্জে যোগদান করেন। তিনি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধসহ জেল জরিমানা করেছেন। এরমধ্যে চৌহালীতে ৩৪টি, সদর উপজেলায় ২১৬টি ও বেলকুচিতে ১০০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং জেল জরিমানা করেন। সেইসাথে তার নেতৃত্বে এসব এলাকার বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডেও জেল জরিমানা করা হয়েছে। বিশেষ করে এই তিন উপজেলার অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলছাত্রীদের বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে তিনি জেলা প্রশাসনসহ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
ইউএনও আনিসুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ। এতে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার বেড়ে যায় এবং নারীর ক্ষমতায়ন কমে যায়। এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে সিরাজগঞ্জে কনের মা-চাচার কারাদণ্ড
এ সময় তিনি শিগগিরই বেলকুচি উপজেলাকে বাল্য বিয়েমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ
চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসমে পাহাড় ধসের আশংকায় পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে নগরীর ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডের বায়েজিদ অংশ থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
প্রথম দিনের অভিযানে বায়েজিদ লিংক রোডে অবৈধভাবে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ২ রোহিঙ্গা নিহত
এর আগেও কয়েক দফা পাহাড়গুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও সেখানে আবারও বসতি গড়ে তোলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, বায়েজিদ লিংক রোডের দুই পাশে অবৈধ যেসব স্থাপনা আছে সব উচ্ছেদ করা হচ্ছে। লিংক রোডের কাট্টলী, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড অংশে ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪। এগুলোর বাইরেও সিডিএর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার ৮ পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার অভিযোগে তমা গ্রুপকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা
পরিবেশবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। আর ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।
অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া পরিবেশ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
মোংলা পোর্ট পৌরসভায় ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
বাগেরহাটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মোংলা পোর্ট পৌরসভা এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলবে।
বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৯২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার জেলায় ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫০ জন। এসময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক হাজার ৫০০ জন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ ক্রমশ্য বাড়তে থাকায় মোংলা পোর্ট পৌরসভা এলাকায় সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে ঈদের পরে বেড়েছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
তিনি জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোংলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি সেখানে কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে জেলায় গণপরিবহন এবং হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করলে অর্থদণ্ড করা হচ্ছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গোটা জেলায় নমুনা পরীক্ষা অনুসারে শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে শতকরা ৩৮ ভাগ। জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সাবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করা গেলে সংক্রমণের পরিমাণ কমে আসবে বলে সিভিল সার্জন জানান।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, ১ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র মোংলা উপজেলায় ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৪ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এসময়ে মোংলায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
চিকিৎসকের সাথে বাকবিতণ্ডা: সেই ম্যাজিস্ট্রেটের বরগুনায় যোগদান
লকডাউন চলাকালে ঢাকায় এক চিকিৎসকের গাড়ির কাগজপত্র দেখা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদ বরগুনায় যোগদান করেছেন।
১৬ মে তিনি বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের যোগদান করেন।
গত ২২ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করেছিলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তাকে ঈদের আগে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পদায়ন করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে ঈদের আগে বরগুনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি গত ১৬ মে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদকে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ মো. মামুনুর রশিদ ও নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ কাইয়ুমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী নানা আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর গত ২২ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।
ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করল হাইকোর্ট
সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি না হয়েও রিট দায়ের করায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, শখের বশে কোনো মামলা (রিট) করবেন না। এ ধরনের রিট করলে খারিজ করে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে। জরিমানা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
রাজধানীতে সম্প্রতি এক নারী ডাক্তারের সাথে এক ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে রিট ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।
তখন আদালত বলেন, মিস্টার আকন্দ আপনি শখের বশে মামলা করবেন না। চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় রিট করার আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) আপনার নেই। এটা আগেই বলেছি। এ ধরনের রিট রিজেক্ট করলে বড় অঙ্কের জরিমানা (হেভি কস্ট) দিয়ে রিজেক্ট করব। প্রস্তুত থাকবেন।‘
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এর আগে সোমবার লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এই আইনজীবী। রিটে চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মামুনুর রশিদ ও সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া ওইদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
এদিকে গত ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। দুটি রিটই দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
আলোচিত বিষয় নিয়ে রিটকারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত বছরের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গুরুতর আদালত অবমাননা হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আপিল বিভাগ।
এ ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তাকে তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করেন আদালত। এছাড়া এর আগে রিট করে জরিমানাও গুণেছেন এই আইনজীবী।
চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ওই ঘটনা নজরে আনেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, রবিবার একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
তখন আদালত বলে, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তারা আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আদালতের কাছে উপস্থাপন করি।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আসতে হবে।
রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
সেসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেন? আমরা প্রশাসনের লোক। ১০০ বার আপনার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইতে পারি।’
এরপর চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।’
তখন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমিও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি?’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমি শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বলেই তোমরা পুলিশ হয়েছ।’
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করেননি।’
চিকিৎসক জেনি গাড়িতে উঠতে উঠতে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তখন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘কোনো ডাক্তার হয়রানি হচ্ছে না।’
এরপর গাড়ি রাস্তার একপাশে নিয়ে তিনি (চিকিৎসক জেনি) কেন খারাপ ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই-তুকারি করতে পারেন না। জীবন আমরাও দিচ্ছি। আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা কি ভাইসা আসছি?’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’
তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রোন আছে। তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে তুই পুলিশ
চিকিৎসক জেনি দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশকে সরি বলতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সরি বলেছে কি না, তা জানা যায়নি।
চিকিৎসক-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে চলমান ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
লকডাউন: সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ জনকে জরিমানা
সিরাজগঞ্জে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় তিন দিনে ৪৬ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ নিয়ে জেলায় ৫৩৯ জনকে জরিমানা করা হলো।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে মাস্ক পরিহিত না থাকা, লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, কারণ ছাড়া বাইরে বের হয়ে জটলা পাকানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
এসব মামলায় ৪০ জনকে বিভিন্ন পরিমাণে মোট ১৩ হাজার ২০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি, প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব।
তিনি বলেন, সুন্দরভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ করব। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে এবং তারা সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে। কোনো সমস্যা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার ‘নতুন ধরনের’ ১০ রোগী শনাক্ত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গুজব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনীকে যাতে ফেসবুকে নেতিবাচক গুজব না ছড়ানো হয় সেটি দেখতে। তারা বলেছে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। পরীক্ষার প্রশ্ন নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করবে তারা।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী