রায়
পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল সাঁথিয়া উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মুল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মুল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং ধান খেতে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনার ছয় দিন পর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লুকানো লাশ বের করে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হলো।
কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে ২০০৩ সালে এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবদুস সালামের ছেলে নুরুল আলম, জালাল আহমেদের ছেলে হেলালুদ্দীন ও টেকনাফ উপজেলার কাশেমের ছেলে মমতাজ মিয়া। আদালতে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করা হয়েছিল।
সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের ২০২১ সালের আদেশ অনুসারে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ হলো একজন অপরাধী ৩০ বছরের জন্য কারাগারের থাকতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কক্সবাজার আদালত উক্ত মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে খালাস দিয়েছেন কারণ তিনি বিচার চলাকালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
আদেশ অনুসারে, ২০০৩ সালে ৩ এপ্রিল তারিখে পাহাড়ি এলাকা থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ফেরার সময় ধর্ষণের শিকার হয় প্রায় ৯ বছর বয়সী শিশুটি। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধের বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
গত ১ জুলাই প্রধান আসামিসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিয়ায় চায়না খাতুন (১১) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার দায়ে চাচাসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির চাচা সাদ্দাম হোসেন (৩৩) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আকবর আলী (৪৪)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইদের ফাঁসাতে সাদ্দাম হোসেন তার আপন বড় ভাই জহুরুল প্রামাণিকের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বাকপ্রতিবন্ধী চায়না ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সাদ্দাম তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে হত্যা করেন। পরে বেড়া খারুয়া চরে নিয়ে চাকু দিয়ে চায়নার গলা কেটে সেখানেই লাশ ফেলে রেখে আসে। তার এ নৃশংস হত্যাকান্ডে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী সহযোগিতা করেন। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সকালে বেড়া খারুয়া চর থেকে চায়নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সাদ্দাম ইউপি সদস্য আকবর আলীর প্ররোচনায় আপন ভাতিজি চায়নাকে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এ নির্মম হত্যাকান্ডের অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন ও আকবর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা দু’জন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার ডুমুরিয়ায় স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মাহবুবুর মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার সিরাজ মোড়লের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মাহবুবুর মোড়লের সঙ্গে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। এর এক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। প্রায়ই মাহবুবুর স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।
২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আসামি মাহবুবুর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে রেশমা বেগম ও তাদের এক বছর বয়সী কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মাহবুব পালিয়ে যায়। আসামি মাহবুবুরের বাবা সিরাজ মোড়ল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেশমার বাবাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানান। তিনি তৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের লাশের সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত হয়নি: শুনানি ২৭ জুন
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র করা লিভ টু আপিলের ওপর ২৭ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অপরপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে রাজউকের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে ওই রুলের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ওই পকল্প এলাকার ভেতরে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ সহ চার দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ করেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, ‘প্রতিটি ফোটা পানি অতি মূল্যবান। পানির চেয়ে তথা সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোটা পানির দূষণ প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক।’
আরও পড়ুন: হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ: হাইকোর্ট
পানির অস্তিত্ব নিয়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘দেয়ার ইজ নো ‘প্ল্যানেট বি’। দ্বিতীয় কোন পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোন গ্রহে পানির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয় নাই। অথচ এ খরচের শতভাগের একভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহার যোগ্য রাখতে সক্ষম।’
হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নিয়ে উচ্চ আদালত বলেন, হাতিরঝিলের পানি এবং এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ অমূল্য সম্পদকে কোনোরূপ ধ্বংস বা ক্ষতি করা যাবে না।
রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা হলো-
১.সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদে রায় মোতাবেক রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকা যা ‘হাতিরঝিল’ নামে পরিচিত পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি তথা জনগণের জাতীয় সম্পত্তি।
২.‘হাতিরঝিল’ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি এবং অবৈধ।
৩. ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত সবহোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. এ রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
এছাড়াও হাতিরঝিলের বিষয়ে উচ্চ আদালত ৯ দফা সুপারিশ করেন।
সেগুলো হলো-হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং পরিচালনায় একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ তথা ‘হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন করা। নির্ধারিত দূরত্বে বিনামূল্যে সব জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা। পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা। পানির জন্য ক্ষতিকর হেতু লেকে সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা। হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা। হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ বাজেট থেকে বরাদ্দ করারও সুপারিশ করেন হাইকোর্ট।
তাছাড়া হাইকোর্ট এ রিট মামলাটিকে চলমান রাখেন। রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর গত ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর রাজউক হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলকে রক্ষা করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে
ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
সিলেটের বিশ্বনাথে ডবল মার্ডারের দুই মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত তিন জন ও মামলার প্রধান আসামিসহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাদির পশ্চিম গাঁওয়ের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১০ আসামির মধ্যে পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মনাফ (৪৬) ও তার ছেলে সুহেল আহমদ (৩৩) ও ইলিয়াস আলীকে (৩৮) ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দশঘর গ্রামের ধন মিয়াকে (৪৫) তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মতিন (৩৫), ইসলাম উদ্দিন (৩০), আলম (২৯), রেজাউল করিম (৩০) ও ছাতকের কাদিপুরের রুবেল আহমদকে (২৮) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া আসামি পক্ষের আজমান আলীর দায়ের মামলায় বাদী নুর উদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী (৫৫) ও আকবর আলীকে (৪৫) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথের সিংগেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী এবং আব্দুল মনাফ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবারক আলীর পক্ষের আব্দুল খালিক (৪৮) ও আব্দুন নুর (৪৬) নিহত হন। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর নিহত আব্দুল খালিকের ছেলে নুর উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল মানফসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । অন্যদিকে এ ঘটনায় আব্দুল মনাফ পক্ষে আজমান আলী বাদী হয়ে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বলেন, আদালতের এই রায়ে তারা হতবাক হয়েছেন। কারণ ডবল মার্ডারের ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কোনো বিধানে।
সেজন্য বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তারা।
ব্যতিক্রমী রায়ে ঘর ভাঙন থেকে বাঁচল ৪৫ দম্পতি
৪৫ দম্পতির বিচ্ছেদ ঠেকিয়ে সংসারের বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত প্রাঙ্গণ ছিল আনন্দ ও উল্লাসে ভরপুর। কারণ আজ ৪৫ দম্পতির মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে আবারও ভালোবাসার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে ফিরেছেন আপন ঘরে। শুধু তাই নয়, আদালতের এমন যুগান্তকারী এই রায় দুটো মানুষকে আবারও একসঙ্গে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দেয়ায় হাসি ফোটালো তাদের সন্তানদের মুখেও।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করেছিলেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৪৫ নারী। কিন্তু বিচ্ছেদ কোন প্রকৃত সমাধান নয়, তাই এই ৪৫ দম্পতিকে সুখী জীবনে ফেরানোর প্রয়াস নেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন। কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপোস করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহীন মন্ডলের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার তেলো পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই শাহিন মন্ডল স্ত্রী চম্পাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে ২০ জানুয়ারি তেলো পশ্চিমপাড়া এলাকার শাহিন মন্ডল তার নিজ বাড়িতে যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী চম্পা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় নিহত চম্পার বাবা আফসার মিয়াজী বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শাহিন মন্ডলকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার এই রায় দেন।
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আব্দুর রউফ সিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা। বর্তমানে তারা সবাই পলাতক রযেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিহত মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন সাতক্ষীরার লাবশা এলাকার শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রিপন। রাতে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরদিন তার ছোট ভাই জানতে পারেন লবণচরায় জমিতে এক জনের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তিনি খুলনায় গিয়ে ওহিদুর রহমানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থেকে মাহেন্দ্রসহ চার জনকে আটক করা হয়। পরে নিহত ওহিদুরের ভাই লবণচরা থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহেন্দ্র ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে খুলনায় আসার জন্য ৭০০ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু সাহেবের জমির কাছে পৌঁছলে আসামি মাসুদ ও রনি রশি দিয়ে ড্রাইভারের শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু না হলে নূর ইসলাম রিপনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে ফেলে আসামিরা মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানি পুলিশের চেকপোস্টে গিয়ে তারা ধরা পড়েন। এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
খুলনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন
খুলনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় দেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদ সরদার ওরফে আসাদউজ্জামান সরদার আরিফ বাগেরহাটের ফকিরহাটের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুরুল সরদারের ছেলে।
নিহত জেসমিন নাহার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ বাউন্ডারি রোড এলাকার বাসিন্দা রাশেদ মল্লিকের ছোট মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মো. আব্দুল হালিম গাজী, শেখ ফরহাদ আহমেদ, অনুপম মহলদার ও সৈয়দ ইমাম মোসাদ্দেকীন ওরফে মোহর।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর মায়ের নাকফুল মেরামত ও উপটান কিনতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেসমিন নাহার বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তীতে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি করে পরিবারের সদস্যরা। সম্ভাব্য সব জায়গায় খবর নিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর দুদিন পর সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বড় বয়রার দাসপাড়া এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে পলিথিনে মোড়ানো বস্তার মধ্যে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১০ জুন উল্লেখিত আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির এসআই পলাশ গোলদার।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস আগে আসাদ নামে এক যুবকের সঙ্গে নিহত ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর বিকালে আসাদের সঙ্গে দেখা করতে যায় সে। পরে তাকে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিয়ে যান আসাদ। ওইখানে তাকে বিয়ের আশ্বাসে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে সাড়া না দেয়ায় জেসমিনকে প্রথমে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা দেয়া হয়। আঘাত পেয়ে জেসমিন চিৎকার করলে আসাদ তার মুখ চেপে ধরে তার তিনবন্ধু জেসমিনের হাত ও পা চেপে রাখে। এরপর তার মৃত্যু হলে পলিথিন পেঁচিয়ে বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের কবরস্থানে ফেলে আসে আসামিরা। স্থানীয়রা লাশ দেখে থানায় খরব দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।