ডাকাত
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আরও একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার পালাসুতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, পালাসুতা, কাজিয়াতল, শুশুন্ডা, বাখরাবাদ, কেওট গ্রামসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে একসপ্তাহ যাবত ডাকাতের উৎপাত বেড়ে গেছে। তাই গ্রামের লোকজন রাতভর বাড়ি পাহারা দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কেওট গ্রামে ডাকাতি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালাসুতা গ্রামের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় ডাকাতরা। বিষয়টি পাহারারত গ্রামবাসী দেখে ফেলেন এবং ওই ঘর থেকে তিনজন ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে গণপিটুনি দেয়।
১৯ নং দারো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, ডাকাতদের কারণে মানুষ রাতে বাড়ি পাহারা দেয়। এছাড়া শুক্রবার জনতার হাতে তিনজন আটক ও গণপিটুনি খেয়েছে। পরে পুলিশ এসে তাদের চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার গণপিটুনিতে দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডাকাতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। লাশ কুমেক হাসপাতালে আছে। আহত একজন চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: যশোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, গণপিটুনি
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন চোর নিহত
কক্সবাজারে ডাকাতদের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক খুন
কক্সবাজারের রামুতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে খুন করে দু’টি গরু লুট করেছে ডাকাত দল। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতদের চিনে ফেলায় ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মীর কাশেম ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।
লুট হওয়া গরু দু’টির মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, রাত ৩টার দিকে তার গোয়াল ঘরে থাকা সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাত দল। তার মেয়ে রাতে দেখতে পান গোয়ালঘর খালি। এসময় বাড়িতে থাকা জামাই ফারুকসহ পরিবারের সদস্যরা ছুটাছুটি শুরু করে। প্রধান সড়কে গিয়ে দেখতে পান ডাকাত দল সাতটি গরু গাড়িতে তুলতে শুরু করে। এসময় তারা গরুগুলো কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তখন ডাকাতরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তা লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান ফারুক।
তিনি আরও জানান, নিহত মীর কাশেম তার ভাতিজা। রাতে ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয়রা মীর কাসেমের মৃতদেহ পাশ্ববর্তী সবজি ক্ষেতে দেখতে পান। রাতে ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলায় ডাকাতরা তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে সেখানে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ
গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন মোহাম্মদ আলী।
সকালে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তার ছেলে তারেক ও মেয়ে শামীমা আকতার অভিযোগ করেন যে ডাকাতি চলাকালে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ১ ঘন্টারও বেশি সময় পরে। অথচ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। দেরিতে আসার পরও পুলিশের এক কর্মকর্তা বাড়ির সদস্যদের ৯৯৯-এ কল করায় তাদের বকাঝকা করেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, চুরি হলে আমরা কি করবো, ডাকাতি হলে আসতাম। এসময় স্কুলছাত্রী শামীমাকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তুমি ক্লাস নাইনে পড়, নাইন বানান জানো?
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা জানাতে পারেননি। সকাল ১০টায় থানায় যোগাযোগ করতে বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম জানান, রাতে গরু ডাকাতির সময় মীর কাশেম দেখে ফেলে। মীর কাশেম মানসিক ভারসাম্যহীন। সে অপরিচিত লোকজন দেখলে চিল্লাচিল্লি করে। তাছাড়া গভীর রাত হওয়ায় সে হয়তো চিৎকার দিতে চেয়েছিল। এজন্য ডাকাতরা তাকে মারধর করে এবং হাত-পা-মুখ বেঁধে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
মোহাম্মদ আলীর জামাই ফারুক জানান, গরুগুলো গাড়িতে তোলার সময় দুজন ডাকাত তাকে মারধর শুরু করে এবং তাকেও বেঁধে রাখার চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি একজনকে ধরে রাখলে আরও চারজন ডাকাত এসে তাকে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও তিনি প্রাণে রক্ষা পান। পরে বড়সড় দুটি গরু নিয়ে ডাকাতরা গাড়িযোগে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, যে মারা গেছে সে মানসিক রোগী। গরু ডাকাতি হয়েছে রাতে, আর তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে সকালে। বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, রামুতে সাম্প্রতিক সময়ে গরু ডাকাতির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচদিন পূর্বে রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার নুরুল হকের বাড়িতেও ডাকাত দল হানা দিয়ে চারটি গরু লুট করেছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক বাসায় ডাকাতির পর ৭৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃদ্ধ মনসুর আহমেদের ছেলে সারওয়ার আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খাজে দেওয়ান রোডের ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাবাকে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মনসুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
এর আগে রাত ৯টার দিকে সারোয়ার ও মনসুরের পরিবারের অন্য সদস্যরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেও অসুস্থ ৭৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ বাড়িতেই থেকে যান।
মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে মনসুরের ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখতে পান সারোয়ার ও অন্যরা। তারা দরজা ভেঙে মেঝেতে রক্তাক্ত মনসুরকে পান।
সারওয়ার অভিযোগ করেন, ডাকাতরা বাড়িতে লুটপাট করার আগে তার বাবাকে ইনজেকশনে কোনো ওষুধ দেয় এবং পরে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, সবকিছু লুটপাট করা হয়েছে, বাড়িতে রাখা সমস্ত নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট হয়েছে। তবে তিনি সঠিক পরিমাণ জানাতে পারেননি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
মুক্তিযোদ্ধাদের খুনিদের বিচার এই মাটিতেই হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুষ্টিয়ায় ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তারের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে আটক করার দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন- মাগুরার আজমপুর গ্রামের লোকমান মুন্সীর ছেলে মো. কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুরের সালথার ভর কামদিয়া গ্রামের মৃত সাদেক খানের তিন ছেলে মো. মাসুদ খান (৩৪), মো. মাসুম খান (৩২) ও মো. বাচ্চু খান (৩০), ফরিদপুরের নগরকান্দার ছাগলদিঘী গ্রামের মো.মজিবর রহমানের ছেলে মো. শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারীর হরিহরনগর গ্রামের মো. সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালক হত্যা: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান,২৩ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে বগুড়ার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে বিভিন্ন রং ও আকৃতির সর্বমোট সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্য মানের আটটি গরু কিনে কয়েকজন বেপারী তাদের ভাড়া করা একটি ট্রাকে করে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া ব্রিজ পার হয়ে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল এসে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গরুবোঝাই ট্রাক থামিয়ে স্লাইরেঞ্চ ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে তাদের কাছে থেকে সর্বমোট ৭টি মোবাইল ফোন,নগদ ৭৯ হাজার টাকা,একটি ট্রাক ও সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ডাকাতরা গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ডাকাতির বিষয়টি জানালে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান,আটক হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণে বর্ণিত আসামিদের মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে প্রাথমিকভাবে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বগুড়ায় জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে অজ্ঞাত নামা এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার ভোরে মডেল থানার ভাগনা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি ডাকাত দল ভাগনা এলাকায় সেতুর কাছে রাস্তায় মাছ ও কাঁচামাল পাইকাদের গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করার সময় ব্যাবসায়ীদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পাঁচ ডাকাত পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
একজনকে আটক করে গণপিটুনি দিলে অজ্ঞাত নামা এক ডাকাত মারা যায়।
পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সকাল ১১ টায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদান্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে করে জানান, তার পরিচয় উৎঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির জানায়, নিহত ব্যাক্তির কোন পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি
এব্যাপারে বেলা তিনটায় শতাধিক অজ্ঞাত নামা আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থামায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
২ স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক
বরিশালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্য ও তাদের সহযোগী দুই স্বর্ণব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দুপুরে নগরীর বটতলা এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা।
গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা হলো- জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন শরীফ, খোকন শরীফ, হালিম শরিফ, মামুন ডাকুয়া, স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার ও শ্যামল কুমার দাস।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, ২০ সেপ্টেম্বর নগরীর বন্দর থানার চাঁদপুরা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে সাত থেকে আটজনের একটি দল ডাকাতি করে। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে চারজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করা হয়।
এদের সবার বাড়ি জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। এছাড়া সবার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এই চক্রটিকে ডাকাতির সহায়তা সহ লুটের মালামাল ক্রয় করে গোবিন্দ সরকার ও শ্যামল কুমার দাস নামে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পরে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। নগরীর কালিবাড়ি রোড থেকে গ্রেপ্তার হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকারের উত্তম অলংকার ভবন নামে একটি স্বর্ণের দোকান আছে। একই এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার দাসের দোকান আছে এসডি গিনি হাউজ নামে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম জানান, এই ঘটনায় লুট হওয়া দুই ভরি স্বর্ণ, ৩৫ হাজার নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি রেইঞ্জ, শাবল, স্ক্রু ড্রাইভার ও একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ: ৪ জনের স্বীকারোক্তি, ৬ জন রিমান্ডে
এছাড়া ডাকাত দলের অন্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আল আমিনের নামে তিনটি মামলা, খোকন শরীফের নামে আটটি মামলা, হালিম শরীফের নামে দুটি ও মামুন ডাকুয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
আরও পড়ুন: ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির মালিককে খুন, ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
বরিশালে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গৌরনদী থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ডাকাত দলের সর্দার বরগুনার দেলোয়ার হোসেন দিলু (৪৭) তার সহযোগী বরিশালের রবিউল ইসলাম পারভেজ (২০), পটুয়াখালীর মোতালেব মীরা পনু (৩৯), বরগুনার হারুন ওরফে তৈয়ব আলী (৫৩) ও একই এলাকার আমিনুল ফকির (২৪), পটুয়াখালীর ছগির সিকদার সবুজ (২৫) এবং ডাকাতিকালে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার কেনাবেচার সহযোগী নোয়াখালীর শাহীন আলম (৩১) ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসচাপায় নিহত ২
তিনি জানান, গৌরনদী থানাধীন কেফায়েতনগর এলাকার একটি বসত বাড়িতে গত ১১ জুন মধ্যরাতে ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় তারা বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ওই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং বাড়ির সকল সদস্যর হাত-পা ও মুখ কাপড়ের ওড়না দিয়ে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে স্বর্নালংকার ও মোবাইল ফোন, এবং নগদ টাকা লুন্ঠন করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই বাড়ির বাসিন্দা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গৌরনদী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
দু’জন ডাকাত সদস্য ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বোর্ডে অনুপস্থিত ৯০৭ পরীক্ষার্থী,বহিষ্কার ৬
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কাশেম বাহিনীর ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সরাবদী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১'র সদর দপ্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-অধিনায়ক মেজর সানরিয়া চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০-১২ জন সদস্যের একদল সশস্ত্র ডাকাত হাইজাদী ইউনিয়নের সরাবদী ও উদয়দী গ্রামের আটটি বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যাবান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় মামলা হলে পুলিশের পাশাপাশি অভিযানে নামে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে এই ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি হওয়া স্বণালংকারসহ বেশ কিছু নগদ টাকা। জব্দ করা হয় সাতটি ককটেল, পাঁচটি টেঁটা ও তিনটি ছোঁড়াসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও মাদকের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এই ডাকাত দলের সর্দার কাশেমের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুক্তিপণের টাকাসহ ‘অপহরণকারী’ গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির খান গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল জব্দ
চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের হিলছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে পাঁচ থেকে ছয়জনের ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে ওই এলাকার বাদল চৌধুরী ও তার ছেলেকে মারধর করে। এসময় তারা বাদল চৌধুরীর স্ত্রীর কান থেকে স্বর্ণের দুল ছিঁড়ে নেয় এবং আলমারি ভেঙে ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে কিন্তু ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় সবজি ব্যবসায়ী নিহত
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসী একজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে। সোমবার সকালে পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড্রামট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীতে ৬ ‘ডাকাত’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর টয়েনবি সার্কুরার রোড থেকে অভিযান চালিয়ে হাতকড়া ও ডিবির নকল জ্যাকেটসহ সন্দেহভাজন ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদ উদ্দিন (৫০), পারভেজ (৩৫), সাইফুল ইসলাম ওরুফে নাদিম (৩০), সফিকুল ইসলাম ওরুফে বাবুল (৫০), জসিম (৩৪) ও মোহাম্মদ নাসির (৩৮)।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, তিনটি নকল হাতকড়া, তিনটি খেলনা পিস্তল, একটি খেলনা ওয়াকি-টকি, পাঁচটি চেক বই ও পুলিশের একটি স্টিকার জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার ২
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই ডাকাতরা গ্রাহকের ছদ্মবেশে ব্যাংকে গ্রাহকদের অনুসরণ করত।
মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করে এমন নিরাপদ মানুষকে টার্গেট করত এবং লক্ষ্য করা ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাদের সহযোগীদের অবহিত করত এবং তারা ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ওই ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করতেন।
এক পর্যায়ে তারা ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করার পর তাকে মাইক্রোবাস থেকে একটি পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেয়া হতো।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।