ডাকাত
বিদেশি রিভলবারসহ ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার: ডিএমপি
অস্ত্রসহ আন্তজেলা ‘ডাকাত দলের’ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। রাজধানীর মৌচাক ফ্লাইওভার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানিয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা মহানগরী, সাভার ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, জলিল মোল্লা, রিয়াজ ও দীপু।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৩
এ সময় তাদের হেফাজত থাকা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি বিদেশি রিভলবার, ৫০ রাউন্ড গুলি, দুটি মোটরসাইকেল ও এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২৮ আগস্ট একজন ব্যবসায়ী মতিঝিলের নিহন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে গাড়ি যোগে রওনা দেন। ছয় জন ডাকাত মোটর সাইকেলযোগে উক্ত ব্যবসায়ীর গাড়ি অনুসরণ করে দুপুর আনুমানিক এক টা ২০ মিনিটের দিকে মৌচাক ফ্লাইওভারের ওপর গাড়িটির গতিরোধ করে। ডাকাতরা আতংক সৃষ্টির জন্য দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং হাতুড়ি দিয়ে গাড়ির দরজার গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় ডাকাতরা গাড়ির ব্যাকডালা খুলে ভিতর থেকে একটি কালো ব্যাগে রক্ষিত ৬০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রতারণার অভিযোগে গাড়ি আমদানিকারক গ্রেপ্তার
এই ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
তিনি আরও বলেন, উক্ত ডাকাত দল গত ৪ সেপ্টেম্বর অপর এক ব্যবসায়ী মতিঝিল থেকে একটি ব্যাগে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তিনটি মোটরসাইকেল যোগে তাকে অনুসরণ করতে থাকে। ওই ব্যবসায়ী দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পৌঁছামাত্র ডাকাত দলের সদস্যরা তার গতিরোধ করে ২৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিক পথচারীরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে ডাকাতরা পথচারীদের লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়।
এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের ১০ নারীকর্মী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের হেফাজত থাকা অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
সিলেটে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণের পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মানোয়ার হোসেন (২৪), একই এলাকার আতিব আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০), বকু মিয়ার ছেলে আরমান আহমদ (৩০) ও মনন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ (২৭)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নৈশকোচে ডাকাতি : গ্রেপ্তার আরও ৩
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাড়ির গেট ভেঙ্গে ৫-৬ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল স্থানীয় জ্ঞান সেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবাইকে বেঁধে ফেলে। জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেন (৪০) বাঁধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে মালামাল লুটপাট চালায়। ডাকাতরা ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা, ক্যামেরা, ১ হাজার কানাডিয়ান ডলার, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে ডাকাতি শেষে ভোররাতে ডাকাতদল পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদে আশ্রয় নেয়। এসময় মসজিদের ইমাম বিষয়টি স্থানীয় মহল্লাবাসীকে অবগত করলে স্থানীয়রা চারপাশ থেকে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন আহত হন। এক পর্যায়ে বাকি ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসী এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ওই ডাকাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ডাকাতি শেষে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার মারধরে এক ডাকাত মারা গেছেন। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুট করা কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ডাকাতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ডাকাতির ৪৩ লাখ টাকার সুতাসহ গ্রেপ্তার ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩টি নৈশকোচে ডাকাতি, আহত ১০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সোনাজল এলাকায় ঢাকাগামী তিনটি নৈশকোচে ডাকাতির ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ডাকাতরা যাত্রীদের টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে ছিনিয়ে নেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ৬
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলাহাট থেকে সাথি পরিবহন, জমজম ট্রাভেলস ও চাঁপাই ট্রাভেলসের তিনটি নৈশকোচ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে রাত ৮টার দিকে উপজেলার সোনাজল এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় ১২ জনের ডাকাত দল হাসুয়া লাঠি নিয়ে হঠাৎ একটি বাসে হামলা চালিয়ে গাড়ি থামায়। এসময় একে একে তিনটি বাসে কয়েকজন ডাকাত দ্রুত উঠে পড়ে যাত্রীদের মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ভোলাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ডাকাতের মারধরে বাস চালকের সহকারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পাঁচ জন ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়াও এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও ট্রাকে ডাকাতির ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ১১ দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
ডাকাতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মাহবুব।
পুলিশ সুপার আবদুর রকিব জানান, সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তিনটি ঢাকাগামী বাসে ডাকাতি হয়েছে। ১২ জনের ডাকাত দল টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এসকল ঘটনা ছাড়াও আরও দুই একটা ঘটনা থাকতে পারে।
উখিয়ায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা `ডাকাত’ নিহত
উখিয়ায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক অভিযুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাতের নিহত হবার ঘটনা ঘটেছে।
ক্যাম্পের কলিমুল্লাহ ডাকাত গ্রুপের প্রধান করিম ডাকাত ওরফে কলিমুল্লাহ (৩২) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দু’টি বন্দুক ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১
সোমবার ভোররাতে কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত কলিমুল্লাহ লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মীর আহমেদের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ উখিয়া ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২: অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার
র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান জানান, কুতুপালং ক্যাম্প এলাকায় একটি রোহিঙ্গা ডাকাত দল অবস্থান করছে এমন খবরে র্যাব ঘটনাস্থালে অবস্থান নেয়। র্যাবের অবস্থান টের পেয়ে ডাকাত দল গুলি চালালে, আত্মরক্ষার্থে র্যাবও গুলি চালায়। পরে তল্লাশি করে দু’টি বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি ও ডাকাত সর্দার করিম উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
ডাকাতির সময় নারীকে ধর্ষণ, শিশু হত্যার অভিযোগ
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ডাকাতি করতে এসে এক নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই নারীরর তিন মাসের শিশুকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার প্রথম প্রহরে রাত আড়াইটায় পাঙ্গাশিয়া গ্রামের এক অটোরিকশা চালকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভোলা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণ, প্রভাবশালীর ভয়ে বোনকে শেকলে বেঁধে রাখে ভাই
পুলিশ, নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ভোলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে বুধবার প্রথম প্রহরে রাত আড়াইটায় রিকশা চালকের ঘরের দরজা খুলে চার ডাকাত প্রবেশ করে। তাদের সকলের শরীর কালো পোশাক দিয়ে ঢাকা ছিল।ঘরে প্রবেশ করার বিষয়টি টের পান রিকশা চালকের স্ত্রী। এক পর্যায়ে ডাকাতরা তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে মেঝেতে ফেলে ধর্ষণ করে। এসময় ওই নারীর তিন মাসের ঘুমন্ত শিশু মারিয়া সজাগ হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এদিকে ওই নারী আলমারির চাবি দিতে দেরি করায় ডাকাতরা শিশু মারিয়াকে ঘরের পেছনের ডোবায় ফেলে দেয়। এর মধ্যে ওই নারীরর স্বামী ও তার মা সজাগ হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল : শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এসময় তারা ১ ভড়ি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ হাজার ৩শ' টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর স্বামী-শাশুড়ির সহায়তায় ওই নারী মুক্ত হয়ে ডোবা থেকে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। এমন নির্মম ঘটনায় সন্তান হারা মায়ের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের তৈরি হয়।এই ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ মর্গে পাঠায়। ওসি এনায়েত হোসেন জানান, দস্যুরা ওই বাড়িতে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে। তার মেডিকেল পরীক্ষায় প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ধর্ষণ, হত্যা ও দস্যুতার একটি মামলা করেছেন।
খুলনায় দুই ভাই আটক, অস্ত্র উদ্ধার
খুলনায় ডাকাত সন্দেহে দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে সোনাডাঙ্গা আবু বক্কর খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব ।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে র্যাবের সাথে ‘গোলাগুলিতে ’ যুবক নিহত
আটক দুই ভাই হলেন, সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার মো. হেলাল শিকদার (২৩) ও জেল্লাল (১৯)।
র্যাব-৬ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার রাতে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানী) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, সোনাডাঙ্গা আবু বক্কর খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কতিপয় ব্যক্তি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ওই স্থানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে হেলাল ও জেল্লালকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টঙ্গীতে ‘হত্যা মামলার আসামি’ নিহত
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশে তৈরি হাসুয়া উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও ভারতীয় রুপিসহ আটক ২
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মহনগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় পেনাল কোডের ১৮৬০ সালের ৩৯৯ ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব জানায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে আটক ৬, অস্ত্র উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে জেলার কানসাট-চৌডালা
আঞ্চলিক সড়কের পুসকুনি এলাকা থেকে চারজন এবং রবিবার ভোরে
ধোবড়া বাজার এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে দলবেঁধে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
আটক ব্যক্তিরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে লালু
(২৩), একই এলাকার সফিকুল ইসলাম ওরফে কালুর ছেলে সেলিম (২৪), গোলাপ বাজারের নজরুল ইসলামের ছেলে সাকিল (২০), মিরাতালুক গ্রামের নওশাদের ছেলে
বাবু (২৮), বিনোদপুর ইউনিয়নের আবদুল আলিমের ছেলে ফাহাদ আলী (৩০) ও বড় হাদিনগর গ্রামের আমান উল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫)।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ২ ডাকাত নিহত
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, শনিবার গভীর রাতে কানসাট-চৌডালা আঞ্চলিক সড়কের পুসকুনি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজন ও রবিবার ভোরে ধোবড়া বাজার এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীতে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ২ ডাকাত নিহত
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন দুই ডাকাত নিহত হবার ঘটানা ঘটেছে।মঙ্গলবার রাত ৮টায় বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি-বড়চর সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহত একজনের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।নিহতরা হলো- রায়পুরা উপজেলার লোচনপুর গ্রামের আতর মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে নাদিম মিয়া (৩০)।বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ‘গণপিটুনিতে’২ ডাকাত নিহত
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে রায়পুরা উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়চরগামী সড়কে প্রায়ই ডাকাতি ও ছিনতাই সংঘঠিত হয়।মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ৩/৪ জন ব্যক্তি ওই সড়কে ঢুকে। এসময় তাদের গাড়িতে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের আর্তচিৎকারে দড়িকান্দি ও বড়চর এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে দুই দিক থেকে সন্দেহভাজন ডাকাতদের অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতরা নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
এসময় উত্তেজিত জনতা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাংচুর চালালে সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। নিহত দুইজনের মধ্যে জুয়েলের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।নিহত জুয়েলের বোন পরিষ্কার বেগম সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ফোন করে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কে বা কারা কী কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
সিরাজগঞ্জে ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়ায় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
সিরাজগঞ্জ থেকে গো-খাদ্য বোঝাই ছিনতাই হওয়া ট্রাক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চর রূপপুর গ্রামের খেরুমালের ছেলে নাছিম আল মাল ওরফে রাজু (২১), পাবনা জেলা সদরের তিনগাছা রাজাপুর গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা ওরফে রকিব (১৯), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার তারা সোনিয়া গ্রামের মৃত রহমত মোল্লার ছেলে ইমরান আলী মোল্লা (৫০), একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মো. রাব্বানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৮), একই গ্রামের মৃত সেকেন প্রামাণিকের ছেলে শাহাবুল ইসলাম (৩০), গাছের দিয়ার (টলটলিপাড়া) নাসির উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান (২৩) ও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানগড়া জগাইর মোড় মহল্লার নূর ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ (২৮)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ১১ দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা বন্দর থেকে ৪০৫ বস্তা গো-খাদ্য বোঝাই একটি ট্রাক ১৮ মে রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কাজিপুর মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে রেখে চালক ও হেলপার ঘুমিয়ে পড়লে ডাকাতেরা ট্রাকে উঠে চালক-হেলপারকে মারপিট করে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের সার্কিট হাউজের পেছনে নামিয়ে দিয়ে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। চালক ও হেলপার ১৯ মে ভোরে বিষয়টি থানায় জানালে ট্রাকটির মালিক আব্দুল মালেক খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই দিনই তিনি থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করা হয়। এরপর বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ মে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা এলাকা থেকে ওই ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আসামি শাহাবুলের বাড়ি থেকে ৮৭ ও রোকনুজ্জামানের বাড়ি থেকে ২৩৫ সহ মোট ৩৪২ বস্তা ডাকাতি করা গো-খাদ্য উদ্ধার করা হয়।
স্নিগ্ধ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারর আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোথায় কতগুলো মামলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী এবং ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জে ‘গণপিটুনিতে’২ ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় ‘গণপিটুনিতে ’দুই সন্দেভাজন ডাকাত নিহত হয়েছে।
তারা হলেন- বাহ্মণবাড়িয়া জেলার ধরমন্ডল গ্রামের আব্দুল হামিদ (৪২) ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পুরাইকলা গ্রামের হুমায়ুন মিয়া (৪০)।
উপজেলার গুনিপুর গ্রামে শনিবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপিটুনীতে সন্দেহভাজন দুই চোরের মৃত্যু
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি, তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন জানান, ৯-১০জনের একদল ডাকাত ওই গ্রামের জনৈক জালাল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি করার চেষ্টা করেছিল। গৃহকর্তা মোবাইলে এলাকার কয়েক জনকে খবর দেন। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ডাকাতদের গিরে ধরে করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও উক্ত দুজন ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী