বাংলাদেশে
বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) সেবার উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ ব্যবস্থা প্রচারের লক্ষ্যে এবার কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।
সাভার ও সুনামগঞ্জে পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য ‘প্রোমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’- শিরোনামের একটি প্রকল্পে কাজ করবে তারা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৮ মাস পর্যন্ত চলাকালীন প্রকল্পটি চলবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
সোমবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় টেকসই পানির নিরাপত্তার জন্য সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-র ক্যাম্পাসে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এছাড়া, পান করা ছাড়া অন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করার জন্য কার্যকর রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা হবে। সাভারের সিআরপি-তে কাজের পাশাপাশি জুলাই ২০২২-এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ জেলায়ও সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
কার্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুইটি স্কুল ও পাঁচটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানির সহলভ্যতা বাড়াতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কাজে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।
এই প্রকল্পটি সুনামগঞ্জে বসবাসকারী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরি করবে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার পুনর্বাসন সহায়তার পাশাপাশি এর লক্ষ্য থাকবে বিশেষত যেকোনো দুর্যোগের সময় ওয়াশ সংস্থানগুলোর পরিচালনা বিষয়ে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দক্ষতার উন্নয়ন করা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
প্রকল্পটি ৬০ হাজার এর বেশি প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যাদের ৬০ শতাংশ-এর বেশি কিশোর-কিশোরী এবং/অথবা তরুণী।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশের মতো দেশকে নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর অন্যতম হলো জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের জন্য পানির নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যে, টেকসই বাংলাদেশ এবং সংরক্ষণ ও সহনশীলতার মডেল গড়ে তোলার জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াটারএইড এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশের এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একটি বাস্তব পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
একইসঙ্গে পানির নিরাপত্তার জন্য বৃহৎ আকারের অভিযোজন সমাধান প্রদর্শন ও জনগোষ্ঠীর মাঝে ওয়াশ সহজলভ্য করে তোলাও সহজ হবে।
২০১৭ সালে সংস্থা দুইটি মিলিতভাবে একটি ওয়াশ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল স্কুল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জলবায়ু-সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন সুবিধার বিকাশ করা, জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ওয়াশ অভিযোজন সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য পানি প্রযুক্তি (ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ সিস্টেম এবং রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্ট) স্থাপন করে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পানযোগ্য পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭টি বিদ্যালয় ও ৪০০টি পরিবারকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে ১৯ হাজারের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পেয়েছে উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা।
সেই সঙ্গে ৭ হাজারের বেশি নারী ও মেয়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হয়েছে।
এছাড়া জনগোষ্ঠীর ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা উন্নত করেছে প্রকল্পটি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ: শেয়ারড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন, বৈদ্যুতিক যানবাহন অবকাঠামো, উপকূলীয় এবং অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের মতো বিভিন্ন খাত এবং উপ-খাতে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের অবকাঠামো উন্নীতকরণ, পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প স্থাপন, জিএইচজি নির্গমন কমানো, স্মার্ট গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছে এমন খাতগুলোর মধ্যে যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে পারে এবং সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বরেন, বিনিয়োগ শুধুমাত্র বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা থেকে নয়, সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকেও আসা উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শেভরনের বাংলাদেশ অফিসের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকার এবং এক্সন মবিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জন আরডিল।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা
জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার বিকালে টোকিওতে পৌঁছালে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজপ্রাসাদে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুই পাশে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ-বাংলাদেশ ও জাপানের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) টোকিওর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের ত্রিদেশীয় সরকারি সফরের প্রথম ধাপে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টোকিওতে অবস্থান করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, তার সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ক্রয় ছাড়াই প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) বা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে টোকিওর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
২৬ এপ্রিল বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর দুই প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা ও কিশিদা ফুমিও) মধ্যে বৈঠকে এমওসি বা চুক্তি সই হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রো-রেল, শিল্প আপগ্রেডেশন, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, মেধা সম্পত্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি খাতে দুই দেশের মধ্যে দুই নেতার উপস্থিতিতে প্রায় আটটি এমওসি বা চুক্তি সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সম্প্রদায়ভিত্তিক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্য সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের সরকারি সফরে টোকিও পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
বাংলাদেশ প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি পাওয়ারের গোড্ডা ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক সমস্যার বিরোধ নিষ্পতি করা হয়নি এখনও।
প্রাথমিকভাবে, আদানি গত ৯ মার্চ পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে বাংলাদেশে তার বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এনার্জি অডিট) এর নেতৃত্বে 3 সদস্যের একটি কারিগরি দল পরিদর্শনের পরে একটি বাণিজ্যিক অপারেশন তারিখ (সিওডি) অনুমোদন করেছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে সূত্রটির একজন ইউএনবিকে জানিয়েছেন,‘প্রযুক্তিগত দলটি মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে গিয়েছিল এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় ১০ দিন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ট্যারিফের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তির পরে, আদানি পাওয়ার কয়লার দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়, তবুও এটি বাংলাদেশের অবস্থান মেনে চলছে না।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আদানি আইসিআই-৫০০ কয়লার জ্বিএআর ব্যবহার করে, যা নিম্নমানের কয়লা, কিন্তু আইসিআই-৬৫০০ -এর জিএআর মূল্য উদ্ধৃত করতে চায়।
তিনি বলেছেন, ‘উদাহরণস্বরূপ একটি আইসিআই-৬৫০০ -এর দাম হলো ১৭৯ দশমিক ৮৪, যেখানে আইআইসিআই-৯৫ দশমিক ৫০। এই ক্ষেত্রে, আদানি কয়লার দাম ১৭৯ দশমিক ৮৪ ডলার উদ্ধৃত করতে চাইছে যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে আদানি এবং বিপিডিবির মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনার পরে, আদানি দাম কমাতে সম্মত হয়েছে এবং এটি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুল্কের মধ্যে রাখতে চায়।
বিপিডিবির সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা কয়লার মূল্য নির্ধারণের একটি নির্দিষ্ট সূত্রে আটকে থাকে না যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যাযুক্ত কারণ প্রতি মাসে বিপিডিবিকে শুল্ক ইস্যুতে আদানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে যা বাংলাদেশের জন্য কাম্য নয়।’
এর আগে, আদানি গ্রুপের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসে এবং ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) কয়লা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি’ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
উভয় পক্ষ একে অপরের কথা শুনেন এবং তারা ইস্যুতে নিজ নিজ পক্ষের পক্ষে তাদের পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। আদানির প্রতিনিধি তাদের জানিয়েছিলেন যে তারা পিপিএ-এর কয়লা মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিতে বিপিডিবি’র অবস্থান তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনার কাছে জানাবে এবং তারা আরও ফলো-আপ মিটিংয়ে বসবে।
বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে ভারতের ঝাড়খন্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সই করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সংশোধন চেয়েছিল। মনে হচ্ছে প্রকল্পের জ্বালানি হিসেবে কেনা কয়লার দাম বিতর্কের প্রধান হাড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন। বিপিডিবি ঝাড়খন্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের জন্য জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত কয়লা আমদানির জন্য এলসি (ভারতে) খোলার বিষয়ে প্রাপ্ত একটি অনুরোধের পরে আদানি গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।’
যেহেতু কার্যত ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত প্ল্যান্টের উৎপাদিত সমস্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে। আদানি পাওয়ারের জন্য বিপিডিবি থেকে একটি ডিমান্ড নোট প্রয়োজন যা কয়লা আমদানির বিপরীতে এলসি খোলার আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে পারে।
বন্দর থেকে প্ল্যান্ট পর্যন্ত পরিবহন সহ কয়লা আমদানির খরচ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বহন করবে, যার মূল্য পিপিএ- এর শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত।
সেই সময়ে যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একটি বিশাল অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তখন আদানি পাওয়ার সম্প্রতি বিপিডিবিকে চাহিদা নোট ইস্যু করার জন্য একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে, যেখানে কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন (এমটি)৪০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মূল্যকে বিপিডিবি কর্মকর্তারা অনেক বেশি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় এটি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে, তারা যে কয়লার মূল্য উদ্ধৃত করেছে প্রতি মেট্রিকটন ৪০০ মার্কিন ডলার তা অত্যধিক। বরং এটি প্রতি মেট্রিকটন ২৫০ মার্কিন ডলারের কম হওয়া উচিত, যা আমরা আমাদের অন্যান্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমদানি করা কয়লার জন্য পরিশোধ করছি।’
বিপিডিবি কর্মকর্তা রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কয়লা সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে সরবরাহকারী বসুন্ধরা গ্রুপ জেটিতে পণ্য পৌঁছানোর জন্য প্রতি টন ২৩২ দশমিক ৩৩ ডলারে কয়লা সরবরাহের চুক্তি জিতেছিল। যদিও পরে কয়লার দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
একই সূত্রে আরও বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইট পরিদর্শনের সময় আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যেসব দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা স্বীকার করছে তাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই এই দেশগুলোর কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করব।
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রিকগনিশন অব বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১’- শীর্ষক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জাতিসংঘে ইতোমধ্যে একটি গণহত্যা দিবস রয়েছে, তাই দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বসম্প্রদায় ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘের গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
বিষয়টিকে জটিল আখ্যায়িত করে শাহরিয়ার আশা প্রকাশ করেন, সরকারিভাবে সেসব দেশের স্বীকৃতি না পেলেও বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাবে।
সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, যা বিশ্বের অন্যতম জঘন্য অপরাধ।
আওয়ামী লীগ সরকার ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
২০১৭ সালের ২০ মার্চ প্রস্তাবটি করা হয়েছিল।
এর আগে একই বছরের ১১ মার্চ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দিবসটি পালনের প্রস্তাব পাস হয়।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার হিসেবে ছিল।
সরকারের প্রচেষ্টা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারণ জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার অপরাধের শিকার এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক স্মরণ ও মর্যাদা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সরকার সর্বোচ্চ সংখ্যক দেশের কাছ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি চায়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, কিন্তু দ্রুতই গণহত্যার বিষয়টি বিস্মৃত হয়ে যায়।
২৫শে মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য জাতির চিরন্তন স্মারক এবং এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৫ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে যান।
সেই রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী পরবর্তী ৯ মাসে সারা দেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে’বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ’শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
হাইকমিশনার তাসনীম বৈদেশিক আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সবসময় বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বৈধ্য পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাই কমিশন এবছর পূর্ব লন্ডনে একটি রেমিট্যান্স মেলা করবে।
এছাড়া পূর্ব লন্ডনে হাই কমিশনের কন্সুলার সার্জারি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করবেন।
কমিউনিটি টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
সভায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সমস্যা ও এসব সমাধানের জন্য কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
হাইকমিশনার তাদের সমস্যাগুলো ও প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এ ব্যাপারে হাই কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরকদের পুরস্কৃত করলো রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস
বাংলাদেশে কোরিয়ান কমিউনিটির আয়োজনে ‘কোরিয়ান নাইট ২০২২’
বাংলাদেশে কোরিয়ান কমিউনিটি ৯ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে ‘কোরিয়ান নাইট ২০২২' আয়োজন করবে। এই বার্ষিক ইভেন্টটি কোভিড ১৯ মহামারির কারণে স্থগিত করা হয়েছিল এবং বিগত ৩ বছরে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। এবার শুধু বাংলাদেশে কোরিয়ান সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই নয়, বিশেষ করে বছরের শেষ উপলক্ষে, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনও করা হচ্ছে।
ঢাকার কোরিয়ান কমিউনিটি, কোরিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায়, এই কোরিয়ান নাইটে কে-পপ পারফরম্যান্স, আমন্ত্রিত পেশাদার কোরিয়ান গায়কদের কনসার্ট, প্রশংসা-পুরষ্কার প্রদান, লাকি ড্র এবং গেমের মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ৫০০ কোরিয়ান বাসিন্দারা এই অর্থবহ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন এবং কোরিয়ান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন বার্তা দেবেন এই আশায় যে এই অনুষ্ঠানটি শুধু কোরিয়ান সম্প্রদায়ের মধ্যেই নয়, কোরিয়ান ও বাংলাদেশীদের মধ্যেও সম্প্রীতি ও ঐক্য নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
এটি পরের বছরের জন্য বিভিন্ন কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে সৃজনশীল ধারণা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দেবে যখন দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
এছাড়াও, কোরিয়ান কমিউনিটি ৯ই ডিসেম্বর ২০২২-এ বসুন্ধরার ঢাকা কোরিয়ান চার্চে সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য একটি চ্যারিটি বাজারও করবে।
বর্তমানে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কোরিয়ান বাংলাদেশে বসবাস করে। তারা বেশিরভাগই বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িত; বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে। বাংলাদেশে কোরিয়ানরা, যাদের মধ্যে অনেকেই দেশে দীর্ঘদিনের বাসিন্দা, তারা বাংলাদেশি মানবসম্পদ উন্নয়নে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
বৃহস্পাতিবার সচিবালয়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন আমন কাটা চলছে। তারা আমাকে বলেছে যে তাদের কাছে তথ্য আছে কোনও ক্রমেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, ‘ইউএন ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন মাল্টিলেটারাল ডোনারা অনুমান করছে যে পৃথিবীতে একটি খাদ্য সংকট হওয়ার সম্ভাবনা আছে অতিসত্ত্বর। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। ছয় বছর যাবৎ রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশকে তারা কিভাবে দেখছে এবং কিভাবে ভবিষ্যতে এখানে তারা কাজ করবে তা নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আমনটা একটি মূল ফসল। প্রতিকূলতার মধ্যে সেচ দিয়ে কৃষকরা ধান লাগিয়েছে। সবাই বলছে যে স্মরণাতীতকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বলি, গরীব মানুষ আছে তাদের কষ্টও হচ্ছে। তবে টাকা নিয়ে খাবার কিনতে পারছে না এমন পরিস্থিতি হয়নি।
ডলার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সার আমদানিতে কোনও সমস্যা তৈরি করা যাবে না। এটার পেমেন্ট স্মুথ করতে হবে। খাদ্য আমদানিতে কিছু প্রভাব পড়ছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণ খাদ্য আমদানি হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রায় ৮০০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু দুই থেকে তিন লাখ টনও আসেনি। এই মুহূর্তে খাদ্যের দাম বাড়ার ট্রেন্ড নাই। খাদ্যের দাম কমেছে বলেই মূদ্রাস্ফীতি এ মাসে কমে এসেছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সংকট হবে না। এখনও ২৭ বিলিয়ন রিজার্ভ তো আছেই। আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ডলার দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘ফুড কর্নার’ ফের খুলেছে ডব্লিউএফপি
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বাইরের পরামর্শের প্রয়োজন নেই: মোমেন
বাংলাদেশ বাইরে থেকে কোনো পরামর্শ চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এমন একটি জাতি যারা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে রক্ত দিয়েছে।
‘আমি বলব – অন্যদের কথা বলার আগে আয়নায় তাদের (বিদেশি সমালোচকদের) নিজেদের মুখ দেখতে হবে। আমরা এত পরামর্শ চাই না’।
শনিবার সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য’ নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় এসেছে। ‘আমরা খুব স্বচ্ছ থাকি’।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ওপর বক্তৃতা দিচ্ছেন, তাদের অনেকেই বাংলাদেশের পাশে ছিলেন না যখন জাতি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছিল এবং জনগণের কণ্ঠস্বর অস্বীকার করেছিল।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ যখন ভালো অবস্থানের দিকে হাঁটছে এবং অর্থনৈতিক ফ্রন্টে ভালো করছে তখন আধিপত্য দেখানোর প্রবণতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার কখনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয় না এবং কাউকে গুম দেখতে চায় না, তবে দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে হইচই শুরু করে দেয়। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় না, দেশে কোনো লোক খুন-গুম হোক। সব দেশেই খুন-গুমের ঘটনা ঘটে, এর জন্য সরকার দায়ী না। বরং যারা খুন-গুমের ঘটনা ঘটায় তাদের শাস্তি দিতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট থাকে।
এসময় তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ বিদেশমুখী। শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। ওদিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। যদি শিক্ষাগ্রহণ করে বিদেশে যান তাহলে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। তাই সবাই মিলে আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে নজর দিতে হবে।
মোমেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। নিরক্ষরমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সুশিক্ষিত নাগরিক প্রয়োজন। সুশিক্ষিত নাগরিক গড়তে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসাগুলোতে নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাসহ দেশের অগ্রগতিই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার।
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সাহেবেরবাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন খাঁন, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন বিসিবির
অপেক্ষার পালা শেষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২-এর নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামাজিক মাধ্যমে বিসিবি অস্ট্রেলিয়া ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের নতুন জার্সি উন্মোচন করেছে।
বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত জার্সির একটি ভিডিও থেকে জানা যায়,বাংলাদেশর জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে বাংলার বাঘ রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরবন ও ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির কারুকাজ রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। ৬ নভেম্বর তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে খেলবে।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে টাইগাররা
নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত