বাংলাদেশে
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশ তার আমলেই হয়েছে এবং যা বলতে চায় তা বলার স্বাধীনতা রয়েছে গণমাধ্যমের।
মঙ্গলবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব কিছু বলার পর কেউ যদি বলে যে তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, তার উত্তর কী হবে? আমি এটাই জানতে চাই।’
মার্কিন ওই গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকার কর্তৃক প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষ করেননি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশে মাত্র কয়েকটি টিভি ও রেডিও স্টেশন ছিল এবং সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতকে অবাধে মিডিয়া হাউস চালানোর পথ খুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, অনুমোদিত ৪৪টি টিভি চ্যানেলের মধ্যে এখন ৩২টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিচ্ছে এবং তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছে- সত্য বা মিথ্যা এবং তারা সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি আরও বলেন, সামরিক স্বৈরাচারের সময় বাক বা চলাফেরার স্বাধীনতা ছিল না।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও থাকবে:তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকে সেন্সর বোর্ড ছিলো। সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কিছু না করে সেটি আমি নজরে রাখি, তবে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেগুলো আমরা দেখেছি। সেখানে আমরা যা পেয়েছি সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের সঙ্গে এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরে উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত শনিবার বিকেল সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা বছরের পর বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পরেও মুক্তি না পাওয়ায়-এ সময় সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর আছে এটা থাকতে হব। যারা বলে থাকার দরকার নাই, তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি একটি সিনেমা বানায়, যেটি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সেটা যদি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরির কথা বলে যদি পুরো সত্য ঘটনা না আসে, তাহলে তো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই।’
তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে, আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো, এখন ২০ কোটি দেয়া হয়। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তারা আমাকে বললেন, অনুদান যেগুলো দেয়া হয় সেগুলোর অনেকগুলো হলে মুক্তি পায় না। অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয়, তারা সেগুলো বানায় না।’
আরও পড়ুন:মাজহারুল আনোয়ার তার কাজের মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি জানান, তিনি দেখেছেন যে আসলেই অনেক ছবি (অনুদানপ্রাপ্ত) বানানো হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি যে কমপক্ষে ১০ টি হলে মুক্তি দিতে হবে পরে এটি বাড়িয়ে ২০ টি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না, ভালো সিনেমা বানাতে মিনিমাম দুই কোটি লাগে। সেক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন শুধু বাণিজ্যিক ছবিতে না দেয়া হয়। আমরা এরপর থেকে বাণিজ্যিক ও আর্ট ছবিতে জোর দেই, ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টি টাতে নেমে এসেছিলো হল, সেখান থেকে ২১০ টা হয়েছে। আর এক বছরের মধ্যে আরও ১০০টা বাড়বে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেপ্লেক্স হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এক হাজার টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন, সেখান থেকে ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে।
এটা অনুদান নয় ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন করোনা ছিলো তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি কারণ তখন হল বন্ধ ছিল, পরে করোনা কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করলো তারপরে ব্যাংক গুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিসপার্স হচ্ছে। এখন যেহতু ভালো সিনেমা হচ্ছে তাই দরখাস্ত বাড়ছে। এটা একটা রিভলভিং ফান্ড। এটা দিয়ে অনেক হল রেনোভেট করা যাবে। নতুন হল করা যাবে। প্রথমে ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছিলো, আমরা দেখেছি এতে কোয়ালিটি হল হয়না এজন্য টাকার অংক বাড়িয়ে সেটা ১০ কোটি করা হয়েছে।
অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আর্ট ফিল্মে অনুদান দেবো আর মেইনষ্ট্রিমে দেবো না অনুদান তো এ জন্য নয়, অনুদান তো সব ধরনের সিনেমার জন্য। সব ধরনের মধ্যে মুলধারা তো হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি এটা তো সবাইকে স্বীকার করতে হবে।
যারা চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে নির্মান করেননি তাদের সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে নোটিশ দেয়া হয়, এরপর যখন কমপ্লাই করে না তখন মামলা করা হয়। এটার প্রেক্ষিতে অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছে এবং দিচ্ছে, আবার অনেকে বানাচ্ছে যারা করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:২ মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ গঠিত হবে:তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (সেপা) সইয়ের জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময়ে এবং দ্রুত সময়ে সেপা আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি চূড়ান্ত হওয়া সেপার মাধ্যমে উভয় দেশ লাভবান হওয়ার যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইকে স্বাগত জানিয়েছেন নেতারা।
বুধবার মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলে ভারতের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী ও বাণিজ্যিক অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির সর্ববৃহৎ বাজার হলো ভারত। এই প্রবৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করতে শিগগিরই আমরা দ্বিপক্ষীয় সেপা চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করব।
আরও পড়ুন:‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক বাড়াতে সীমান্তে বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়ন, একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের অর্থনীতি পারস্পরিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করতে সমর্থ হবে।
গতবছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষই সেপা’য় প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে উভয় প্রধানমন্ত্রী অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশদারিত্ব চুক্তিটির (সেপা) মাধ্যমে উভয় দেশের লাভ হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হাসিনা ও মোদি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। স্থলবন্দরের অবকাঠামো জরুরি ভিত্তিতে উন্নয়ন ও অশুল্ক সুবিধা এবং বন্দর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে জোর দেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে (আইসিপি) আগরতলা-আখাউড়া থেকে শুরু করে সহজে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বাজারে
প্রবেশের একটি প্রধান স্থলবন্দরে সীমাবদ্ধতার তালিকা ছাড়াই ভারতীয় পক্ষের অনুরোধ পূর্নব্যক্ত করেন।
উভয় নেতা পেট্রাপোল-বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে (আইসিপি) দ্বিতীয় মালবাহী গেটের উন্নয়নে তহবিল দেয়ার জন্য ভারতের প্রস্তাবের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দ্রুততম সময়ে কাজটি শেষ করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
শান্তির সংস্কৃতি প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশনের ওপর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেছেন।
ফোরামটি বিপুল সংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তঃসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বছরের ইভেন্টটির থিম হচ্ছে ‘শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারি মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর।
ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহূর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলোকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে।’
প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বর্তমানে সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বিস্তৃত আলোচনা’ শেষে মোদি বলেন, ‘আজ মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ সম্পন্নের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাশ্রয়ী বিদ্যুতের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির জন্য এশিয়ার বৃহত্তম বাজার এবং এই প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত করতে তারা শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ‘ফলপ্রসু আলোচনা’ হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
তিনি বলেন, ভারত রিয়েল-টাইমের ভিত্তিতে বন্যা সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করছে এবং তারা তথ্য আদান-প্রদানের সময়সীমাও বাড়িয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্য দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এগুলো দুই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে।
এ বিষয়ে মোদি বলেন, ‘এই নদীগুলো সম্পর্কিত লোককাহিনী ও লোকগীতিও আমাদের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষী। আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করেছি। এটি ভারতের দক্ষিণ আসাম ও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলকে উপকৃত করবে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ধাপে ধাপে হাঁটবে। ‘আমাদের আজকের আলোচনাটি মূলত এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছি। ১৯৭১ সালের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসকে আঘাত হানতে চায় এমন শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘আজকে, বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি ৭ সমঝোতা স্মারক সই
মোদি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তারা উভয়েই বিশ্বাস করেন যে কোভিড মহামারি ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
মোদি বলেন, ‘আমরা আইটি, মহাকাশ ও পারমাণবিক শক্তির মতো খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য আগ্রহের বিষয়। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবনের মতো ঐতিহ্য রক্ষায়ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
তিনি বলেন, রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর উদ্বোধন পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এই সেতুটি ভারতের লাইন অব ক্রেডিট-এর অধীনে খুলনা ও মোংলা বন্দরের মধ্যে নির্মিত নতুন রেললাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মোদি বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ভারত সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে হাসিনা-মোদি
মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার দুটি মর্টার ছুঁড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ‘এডজাস্ট’ করা কঠিন: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা এরকম ঘটনার স্বাভাবিক প্রতিবাদ করি। কিছুদিন আগে আমরা একই রকম ঘটনার খবর পেয়েছিলাম। আমরা আবারও মিয়ানমারের প্রতি কঠোর প্রতিবাদ জানাবো।’
তিনি বলেন, প্রথমত এটি তদন্ত করা হবে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটি নিক্ষেপ দুর্ঘটনাবশত ছিল, না ইচ্ছাকৃত ছিল।
রবিবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
রোহিঙ্গা সংকট: তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বিবেচনা করছে জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার’।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করা একটি স্থায়ী সমাধান। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শরণার্থী সংকটের বোঝা ভাগ করে নেয়ার একটি উপায়।’
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাপান এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তৃতীয়-দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য একটি পাইলট কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাসহ ৫৪টি পরিবার ও ২০০ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা ইউএনএইচসিআর-এর নির্দেশনায় জাপানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের আরও সম্ভাবনা বিবেচনা করতে পারে।
নাওকি বলেন, জাপান, বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসঙ্গে মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে সক্রিয়ভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হাইজার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো এবং ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মৌলিক সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে। আমরা দ্বিপাক্ষিক সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। আমি দ্রুত প্রত্যাবাসনের জরুরি প্রয়োজন দেখছি।
মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ গত পাঁচ বছরে মানবিক অবস্থান দেখিয়েছে এবং উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে কাতারের বিনিয়োগ চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন এবং বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ কামনা করেন।
রবিবার কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলী বিন সাঈদ বিন আল সামিক আল মাররি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় কাতারের শ্রমমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, তার দেশ সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করবে।
আরও পড়ুন:ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ও ক্যাপিটেক পদ্মা পিএফ শরীয়াহ’র ১৫% ও ১২.৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, চাদ ও সুদানে মধ্যস্থতার জন্য কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাতার সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা কামনা করেন।
কাতারের শ্রমমন্ত্রী করোনা মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
মোমেন অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে দক্ষতা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে কাতার সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
কাতারের মন্ত্রী কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কাতারের অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
কাতারের মন্ত্রী আরও বলেন, কাতার আগামী দিনে চিকিৎসা, হসপিটালিটি, ড্রাইভিং ও আইটি খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও স্বল্প দক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন:খেলাপি ঋণ রেকর্ড এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা: বিবি
দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছরের অংশ হিসেবে পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন করা হয়েছে। বইটি যৌথভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়।
সম্প্রতি ডাচ পানি বিষয়ক দূত হেঙ্ক ওভিঙ্ক এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ ডেল্ফ্-এ বাংলাদেশি এবং ডাচ তরুণ ফটোগ্রাফারদের পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি সম্মিলিত একটি স্মারক বই প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: অ্যাক্রিডিটেশন ল্যাব উন্নয়নে কাজ করবে নেদারল্যান্ড
হেঙ্ক ওভিঙ্ক ২০২৩ সালের জাতিসংঘের পানি সংক্রান্ত সম্বেলনের শেরপার দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রতিটি ব-দ্বীপে পানি সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি জনগণ-কেন্দ্রিক রূপান্তরে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশের পানি খাতে অব্যাহত ডাচ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
বইটি শীর্ষস্থানীয় ডাচ পানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ডেল্টারেস এবং দূতাবাসের মধ্যে গত ১৬ মাসের সহযোগিতায় পরিচালিত ‘পানি বিষয়ক ছবি প্রতিযোগিতা’র মাধ্যমে তৈরি হয়। গত বছর উন্মুক্ত ফটো প্রতিযোগিতায় ১৬০০ ছবি জমা পড়ে যার মধ্যে জুরি ১০টি ছবি পুরষ্কারের জন্য নির্বাচন করে।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিদের জন্য নির্দেশনা
অনুষ্ঠানে আইএইচই, ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল হাসকনিং সহ ডাচ পানি সেক্টরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাক নৃশংসতা ছিল ‘ভয়ানক’: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা ছিল ভয়ানক নৃশংসতা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্কিন আইনের অধীনে গণহত্যা নির্ধারণের প্রশ্নটি খুব কঠিন আইনি প্রশ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার অবস্থানে আছে কি না জানতে চাইলে ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি নির্ধারণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং এটি এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের আগ্রহ সম্পর্কে অনেক সচেতন কিন্তু বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোন ছাড় দেয় না’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পূর্বের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি আবারও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার,সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমস্যাগুলোকে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ডিক্যাব টকের আয়োজন করে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।